hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান

লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম

৩৯
মানসুখ ও শায হাদীস
আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ২১: (পৃ. ১৩)

عن عبد الله بن السائب قال صلى لنا النبي صلى الله عليه وسلم الصبح بمكة فاستفتح سورة المؤمنين حتى جاء ذكر موسى وهارون أو ذكر عيسى محمد بن عباد يشك أو اختلفوا عليه أخذت النبي صلى الله عليه وسلم سعلة فركع  

(৩) আব্দুল্লাহ ইবনুস সাইব (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কায় আমাদের নিয়ে ফযরের সালাত আদায় করলেন এবং সুরা মু'মিনুন শুরু করলেন। যখন মূসা প্রাণি ও হারুন গল্প অথবা ঈসা মণি এর নামের উল্লেখিত আয়াত পর্যন্ত পৌছলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাশি আসল। তিনি রুকুতে গেলেন। (মুসলিম হা/৯০৪)

পর্যালোচনা - ২১: এই ঘটনাটি মক্কার। আব্দুল্লাহ ইবনে সাইব কুরাইশী (রা) মক্কাতে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং সূরা মু’মিনীন মাক্কী সূরা। পক্ষান্তরে আবূ হুরায়রা (রা), সামুরাহ (রা) উভয়েই মদীনাতে হিজরতের পরে ইসলাম গ্রহণ করেন। [রিজালশাস্ত্রের কিতাব দ্র:]

সামুরাহ (রা)-এর সাকতার হাদীসটি প্রমাণ দেয় ইমরান বিন হুসাইন (রা)-এর সাথে তাঁর কথোপকথন হয়েছিল, অর্থাৎ নবী (স)-এর মৃত্যুর পরে। আর সাহাবী উবাই ইবনে কা‘ব আনসারি (রা) সামুরার স্মরণ থাকার কথা স্বীকার করলেন মদীনাতে। অর্থাৎ লেখকের উল্লিখিত ‘কাশি আসার’ বর্ণনাটি সাকতার হুকুমের অনেক পূর্বের বর্ণনা।

সাকতার হাদীসগুলোর বিরোধিতার জবাবে শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ (রহ) লিখেছেন: ‘‘আবূ হুরায়রা (রা) মাদানি, আবূ সালামাহ আব্দুর রহমান আত-তাবেঈ (রহ) আল-মাদানী - এঁরা কি এই ‘আমলটি মদীনা থেকে বাইরে গিয়ে করতেন!!??’’ [নাসরুল বারি ফি তাহক্বীক্বে জুযউল ক্বিরাআত হা/২৭৫ নং এর ব্যাখ্যা দ্র:]

লেখকের পরবর্তী হাদীসটি প্রমাণ দেয়, ক্বিরাআত করা সম্পর্কিত কোনো কোনো হুকুম মানসুখ হয়েছে।

আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ২২: (পৃ. ১৩)

 (৪) ফজরের জামাতে ইমামের কিরাআত পাঠ অবস্থায়ই উবাদা বিন সামিত কে সূরা ফাতিহা পাঠ করতে শুনে, ইবনে রাবিয়াহ আল-আনসারি । সালাত শেষে উবাদা বিন সামিত কে প্রশ্ন করলেন, আমি শুনেছি আপনি সূরা ফাতিহা পাঠ করেছেন, উবাদা বিন সামিত (রা) বললেন:

  نعم صلى بنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم - بعض الصلاة التي يجهر فيها بالقراءة ، فقال : لا يقرأ أحد ثم إذا جرت بالقراءة إلا بأم القرآن |

 হ্যা, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চস্বরে কিরাআত | পাঠ করা কতক সালাত শেষে বলেছেন, যখন সালাতে উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করা হয়, তখন সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কিছু পাঠ করবে না। (বুখারী জুযউল কিরাআত হা/৬৫)

পর্যালোচনা - ২২: এই হাদীসটি প্রমাণ দেয়, তখন সাহাবীগণ ইমামের পিছনে মনে মনে সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন না। বরং পাশ্ববর্তী অপর মুক্তাদিও তা শুনতে পেতেন। অথচ লেখক নিজেই আনাস (রা) থেকে উল্লেখ করেছেন:

فلا تفعَلوا ولْيقرَأْ   أحَدُكم   بفاتحةِالكِتابِ   في   نفسِه  

‘‘এটা কোরো না, তোমাদের কেউ মনে মনে ফাতিহাতুল কিতাব পড়বে।’’

বুঝা যাচ্ছে, উবাদা (রা)-এর হাদীসের হুকুমটি মানসুখ। আবার এভাবেও বলা যায়, ইমামের ক্বিরাআতে সময় চুপ থেকে মনোযোগী না হয়ে পড়তে থাকার বর্ণনাগুলো পরস্পর বিরোধী হওয়ায় শায। যেভাবে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) বলেছেন।

আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ২৩: (পৃ. ১৩-১৪)

  یزید بن شريك أنه سأل عمر عن القراءة خلف الامام فقال اقرأ بفاتحة الكتاب قلت وان كنت انت قال وان كنت انا قلت وان جهرت قال وان جهرت  

(৫) ইয়াযীদ ইবনু শারীক এলাকায় ইমামের পিছনে কিরআত পাঠ সম্পকে উমর শে-কে প্রশ্ন করলে উমার ও বললেন, তুমি সূরা ফাতিহা পড়। আমি বললাম আপনি যদি ইমাম হন? তিনি বললেন, আমি ইমাম হলেও আমার পিছনে পড়বে। আমি বললাম, আপনি যদি উচ্চস্বরে কিরআত পাঠ করেন তাহলে? তিনি বললেন আমি উচ্চস্বরে কিরআত পাঠ করলেও তুমি সূরা ফাতিহা পড়বে। (বায়হাকী সুনানুল কুবরা হা/৩০০৫ ও ৩০০৭, বুখারী জুযউল কিরাআত হা/৫১, সুনানে দারাকুতনী হা/১১৯৭-৯৮) 

পর্যালোচনা - ২৩: এই হাদীসটিতে ইমামের ক্বিরাআত পাঠের সময় চুপ থাকা সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীসের বাহ্যিকভাবে বিরোধিতা দেখা যায়। এ পর্যায় হাদীসটির বাহ্যিক অর্থ কুরআন ও তার পরিপূরক হাদীসের বিরোধী হওয়ায় ইবনে তাইমিয়া (রহ) উক্ত মর্মের হাদীসগুলোর দাবিকে শায বলেছেন। আর শায়খ আলবানী (রহ) মানসুখ বলেছেন। পক্ষান্তরে অধিকাংশ মুহাদ্দিস সাকতার হাদীস দ্বারা উক্ত মর্মের হাদীসগুলোকে ব্যাখ্যামূলক হিসেবে গ্রহণ করেছেন। বিরোধীপক্ষের দলিলের উপস্থাপনার জবাবে আমাদের কাছে উক্ত উপস্থাপনাগুলো হাদীসের নীতিমালার আলোকে যথোপযুক্ত। আল্লাহ তাআলা সত্য বুঝার তাওফিক্ব দিন।

তা ছাড়া পূর্বে উল্লিখিত আমর বিন শুআয়েবের হাদীসের দাবি: ‘যখন নবী (স) পড়তেন, তখন পড়তেন না। আর যখন নবী (স) চুপ থাকতেন তখন পড়তেন।’’ অর্থাৎ ইমামের পিছনে (খলফাল ইমাম) পড়তে হবে কিন্তু ইমামের সাথে সাথে নয়। যা কুরআনের আয়াত, রসূলের (স) হাদীস, আসারে সাহাবী (রা), তাবেঈ (রহ) ও মুহাদ্দিসগণ (রহ) থেকে প্রমাণিত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন