hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান

লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম

৪২
সানাতে সূরা ফাতিহা পাঠের সমর্থনে সাক্ষ্যমূলক মারফু‘ হাদীস
ইমাম বায়হাক্বী (রহ) বর্ণনা করেছেন:

وأنبأني أبو عبد الله الحافظ ، أنا أبو علي الحافظ ، أنا الحسن بن سفيان ، نا هشام بن عمار ، نا صدقة ، نا المثنى يعني ابن الصباح ، عن عمرو بن شعيب ، عن أبيه ،

عن عبد الله بن عمرو ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم خطب الناس فقال : « من صلى صلاة مكتوبة أو سبحة فليقرأ فيها بأم القرآن ... ومن كان مع الإمام فليقرأ بأم القرآن قبله إذا سكت ... »

‘‘... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) বলেন: রসূলুল্লাহ (স) খুতবাতে বলেছেন: যে কেউ ফরয বা নফল সালাত পড়ে সে যেন তাতে উম্মুল কুরআন পড়ে।... আর যার সাথে ইমাম আছে, সে যেন উম্মুল কুরআন পড়ে তার (ইমামের) পূর্বে যখন সে সাকতা করে।...’’ [বায়হাক্বীর কিতাবুল ক্বিরাআত, পৃ. ৫৪]

অভিযোগ: এই সনদটিতে মুসান্না আছেন। হাদীসগুলিয়ে ফেলার জন্য তার হাদীস ইমাম বুখারী, ইবনুল ক্বাত্তান প্রমুখ ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তিনি সালেহ ছিলেন, কেবল বৃদ্ধ বয়সে গুলিয়ে ফেলতেন। [নিহায়াতুল ইগতিবাত ১/৩০১ পৃ. ৮৮ নং, টীকাসহ (সংক্ষেপিত), অনুরূপ: আলবানী যঈফাহ হা/৯৯২-এর বিশ্লেষণ]

জবাব: উক্ত অভিযোগের জবাব দিয়েছেন ইবনুল কিয়াল। তিনি লিখেছেন:

قال البخاري : قال يحيى القطان : لم يترك المثنى من أجل عمرو بن شعيب ونقل ابن أبي حاتم عن يحيى القطان قال : لم نتركه من أجل حديث عمرو بن شعيب ولكن كان اختلاطا منه في عطاء وقال أحمد لا يساوي حديثه شيئا مضطرب الحديث

‘‘ইমাম বুখারী (রহ) বলেছেন, ইমাম ইয়াহইয়া আল-ক্বত্তান বলেন: আমর বিন শু‘আবের কারণে মুসান্নার হাদীস ত্যাগ করা হয় না। আর ইবনে আবি হাতেম ইয়াহইয়া আল-ক্বত্তান থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (রহ) বলেন: আমরা আমর বিন শু‘আয়েবের কারণে তার হাদীস ত্যাগ করিনি, তার ইখতিলাত (বর্ণনার কমবেশি হওয়া) হলো আতার ব্যাপারে। আর ইমাম আহমাদ বলেছেন: তাকে মুযতারাবুল হাদীস হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। [আল-কাওকিবুন নিরাত ১/৫০৬ পৃ. শামেলা সংস্করণ]

উক্ত উদ্ধৃতি থেকে জানা গেল, মুসান্না থেকে আমর বিন শু‘আয়েবের বর্ণনাতে সমস্যা নেই। আর আমাদের উল্লিখিত সনদটিও সেটাই। তা ছাড়া মুসান্নার ভুল ও যঈফ হওয়াকে মেনে নিলেও সমস্যা নেই। কেননা, ইবনে লিহইয়াহ একই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর তিনি হলেন সহীহ মুসলিমের রাবি। যাকে অন্যান্য বর্ণনাকারীদের সমর্থনসহ ইমাম মুসলিম হাদীস গ্রহণ করেছেন। সনদসহ বর্ণনাটি নিম্নরূপ:

وأنبأني أبو عبد الله الحافظ ، نا أبو علي الحافظ ، أنا أبو يعلى الموصلي أنا كامل بن طلحة ، نا ابن لهيعة ، نا عمرو بن شعيب ، عن أبيه ، عن جده ، :

أن رسول الله صلى الله عليه وسلم خطب الناس فقال : من صلى صلاة مكتوبة فليقرأ بأم القرآن ... ومن كان مع الإمام فليقرأ قبله إذا سكت ، ومن صلى صلاة فلم يقرأ فيها فهي خداج فهي خداج ثلاث مرات

‘‘আমর বিন শুআয়েব আন আবিহি আন জাদ্দিহি থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: যে ফরয সালাত পড়ে সে যেন উম্মুল কুরআন পড়ে ...। আর যার ইমাম আছে, সে যেন ইমামের পূর্বে পড়ে যখন সে সাকতা করে। আর যে সালাত পড়ে কিন্তু (উম্মুল কুরআন) পড়ে না, তবে তা ত্রুটিপূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ, তিনবার বললেন।’’ [বায়হাক্বীর কিতাবুল ক্বিরাআত, পৃ.৫৪]

তাহক্বীক্ব: পাকিস্তানি আহলেহাদীস আলেম ইরশাদুল হক্ব আসারি লিখেছেন:

ইমাম ইবনে আব্দুল বার (রহ) নিজের সনদে এই বর্ণনাটি ابن لَهيعة قال حدثنا عمرو بن شعيب শব্দে রেওয়ায়াত করে ইবনে লাহিয়াহ কর্তৃক ‘আমর ইবনে শু‘আয়েব থেকে শোনাটা সুস্পষ্ট করেছেন। এই সবকিছু تنوير الْحوالك (২/১১৮ পৃ.) প্রভৃতিতে উল্লেখ আছে।

আলোচ্য বর্ণনাটিতে কখনো نا عمرو বলেছেন, সুতরাং শোনার ব্যাখ্যা আর কী দ্বারা হবে? অবশ্য ইমাম আহমাদ (রহ) বলেছেন: ইবনে লাহিয়াহ (রহ) মুসান্না বিন সাবাহ’র মধ্যস্ততায় বর্ণনা করতেন। অতঃপর মুসান্না বিন সাবাহ’র মধ্যস্ততায় তা মৌলিকভাবে বর্ণনা করতে থাকেন। (তাহযিব প্রভৃতি)

.... তাছাড়া ইমাম বায়হাক্বী (রহ) লিখেছেন:

مُحمد بن عبد الله بن عبيد بن عمير وإن كان غير مُحتج به وكذلك بعض من تقدم مِمن رواه عن عمرو بن شعيب فلقراءة الْمأموم فاتِحة الكتاب في سكتة الإمام شواهد صحيحة عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده خبرا عن فعلهم

‘‘মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন ‘উবায়েদ ও অন্যান্যরা ‘আমর বিন শু‘আয়েব থেকে যা বর্ণনা করেছেন - যদিও তা গ্রহণযোগ্য নয়, কিন্তু ‘আমর বিন শু‘আয়েব ‘আন আবীহি ‘আন জাদ্দিহি থেকে সাহাবা (রা)-দের আমলের সহীহ সনদের বর্ণনাটি এর সাক্ষ্য।’’

তা ছাড়া হাবিবুর রহমান আল-আ‘যামি (রহ) লিখেছেন:

اخرج هق ( اى البَيهقى ) فى كتاب الْقراءة ( صـ ٦٩ ) من طريق عبيد الله بن عمر بن عمرو بن شعيب ما يقرب من هذا .... الْخ ( حاشية الْمصنف صـ  ج )

‘‘ইমাম বায়হাক্বী  ‘কিতাবুল ক্বিরাআতে’ (পৃ. ৬৯) عبيد الله بن عمر بن عمرو بن شعيب সনদে যা বর্ণনা করেছেন তা এই ( مُحمد بن عبد الله بن عبيد الله الْمثنى প্রমুখের) বর্ণনাটির নিকটবর্তী।’’

সুতরাং এর মারফু‘ বর্ণনার ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেয়া উসূলী দিক থেকে সহীহ নয়। । [ ইরশাদুল হক্ব আসারি, তাওযিহুল কালাম পৃ. ৫৮১]

এ পর্যায়ে ইবনে উমায়েরের সনদে অপর একটি বর্ণনা আছে। কিন্তু তার হাদীস সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয় না বিধায় উপস্থাপন যোগ্য নয়। কিন্তু শায়খ আলবানী (রহ) পূর্ববর্তী বর্ণনা দু’টির প্রতি যে অভিযোগ করেছেন (আলবানীর ‘যঈফাহ’ হা/৯৯২), তার জবাবে শায়খ ইরশাদুল হক্ব আসারির (হাফি) উপরের উপস্থাপনাই যথেষ্ট মনে করছি।

উপরোক্ত পর্যালোচনার আলোকে সুস্পষ্ট হয়, সাহাবী আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সানাতে সূরা ফাতিহা পড়ার সমর্থনে হাসান সনদের মারফু‘ হাদীস রয়েছে। ফালিল্লাহিল হামদ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন