hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান

লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম

৫১
পরিশিষ্ট: ২
من كان له إمام، فقراءة الإِمام له قراءة হাদীসটির তাহক্বীক

শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ

প্রশ্ন: নিম্নোক্ত বর্ণনাটির ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যামূলক দলীল ও শক্তিশালী তাহক্বীক্বের জন্য আপনার কিছুটা কষ্ট দিতে চাই। .... ইমাম মুহাম্মাদ বর্ণনা করেছেন,

أخبرنا أبو حنيفة قال حدثنا أبو الْحسن موسى بن أبِي عائشة عن عبد الله بن شداد بن الْهاد عن جابر بن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال : من صلى خلف الإمام فإن قراءة الإمام له قراءة

....উক্ত বর্ণনাটির তাহক্বীক্ব আপনার ‘মাসিক আল-হাদীস’ পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ করবেন।

জবাবঃ এই من صلى خلف الإمام فإن قراءة الإمام له قراءة হাদীসটি মর্মে ও শব্দে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে।

(১) সুনানে ইবনে মাজাহতে (হা/৮৫০) বর্ণিত হয়েছেঃ

حديث جابر الْجعفى عن أبي الزبير عن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم

জাবির আল-জু‘ফী:মাতরুক।

( كتاب الكنى والاسماء للامام مسلم قـ ٩ ۶ كنيته : ابو محمد، الضعفاء والمتروكين للامام نسائ ٩٨ )

ইমাম যাহাবী (রহ) লিখেছেন: كذبه أيضا أيوب وزائدة ‘‘এতে আইয়ুব (আস-সাখতিয়ানী) ও যায়েদকে মিথ্যুক বলা হয়। (নাসবুর রায়াহ ১/৩৪৫)

(২) ইবনে ‘আদীর কামেলে (১/৫২৪) বর্ণিত হয়েছে:

حديث أبى هارون العبدى عن أبى سعيد الْخدرى رضي الله عنه إلْخ .....

আবূ হারুন - মাতরুক। দেখুন: ইমাম নাসায়ীর (রহ) ‘কিতাবুয যু‘য়াফা ওয়াল মাতরুকীন’ (৭৪৬)।

আবূ হারুন সম্পর্কে যায়লাঈ হানাফী (রহ) হাম্মাদ বিন যায়েদের মন্তব্য উল্লেখ করেছেন: كان كاذابا ‘‘সে মিথ্যুক ছিল।’’ (নাসবুর রায়াহ ৪/২০১ পৃ:)

(৩) দারা কুতনী (১/৪০২ হা/১৪৮৬) বর্ণনা করেছেন:

حديث سهل بن عباس الترمذى بسنده إلْخ ........

দারা কুতনী বলেন: এই হাদীসটি মুনকার, আর সাহল বিন ‘আব্বাস মাতরুক।

উসূলে হাদীসে উল্লেখ আছে, মাতরুক প্রভৃতি চরমভাবে আপত্তিযুক্ত বর্ণনাকারীদের রেওয়ায়াত মারদুদ (প্রত্যাখ্যাত)। যেমন হাফেয ইবনে কাসির (রহ) লিখেছেনঃ

لأن الضعف بتفاوت فمنه مالا يزول بالْمتابعات يعنى لا يؤثر كونه تابعا او متبوعا كرواية الكذابين والْمتركين

‘‘কেননা যঈফ বিভিন্ন ধরণের। কিছু যঈফ সমর্থনমূলক হিসাবেও কার্যকরী হয় না। যেমন - মিথ্যুক ও মাতরুকদের বর্ণনাসমূহ। এগুলো না সহযোগীমূলক আর না স্বয়ং সম্পূর্ণ।’’(ইখতিসারে উলূমুল হাদীস পৃ. ৩৮)

এই ভূমিকার পর এখন প্রশ্নে উল্লিখিত من كان له امام الْخ ... হাদীসের সনদগুলোর বিস্তারিত আলোচনা উপস্থাপন করছি। এরই উপর বিরোধী পক্ষ ‘ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা না পড়ার’ ব্যাপারে ভিত প্রতিষ্ঠিত রেখেছে। والله موافق بالله

প্রথম বর্ণনাঃ মুয়াত্তা মুহাম্মাদ আশ-শায়বানী (৯৮ পৃ. হা/১১৭)

مُحمد بن الْحسن شيبانِى : أخبرنا أبو حنيفة قال حدثنا أبو الْحسن موسى بن أبي عائشة عن عبد الله بن شداد بن الْهاد عن جابر بن عبد الله الْخ ....

বর্ণনাটিতে ‘আব্দুল্লাহ বিন শাদ্দাদ ও জাবির (রা)-এর মধ্যে ‘আবূল ওয়ালীদ’-এর মধ্যস্থতা আছে। দ্র: আবূ ইউসূফের, কিতাবুল আসার (১১৩), সুনানে দারা কুতনী (১/৩২৫ হা/১২২৩ - দারা কুতনী বলেন: আবূল ওয়ালীদ: মাজহুল), বায়হাক্বীর ‘কিতাবুল ক্বিরাআত’ (পৃ. ১২৫ হা/৩১৪, পৃ. ১২৬-২৭; অন্য সংস্করণে হা/৩৩৯, ৩৪১)।

সুস্পষ্ট হল, বর্ণনাটি আবূল ওয়ালিদের (মাজহুল) কারণে যঈফ। এই মাজহুল বর্ণনাকারী কথা কোন কোন সনদে উল্লেখ নেই। যা থেকে স্পষ্ট হয়, যেখানে তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই বর্ণনাটি প্রাধান্যপ্রাপ্ত অনুল্লেখ বর্ণনার চাইতে।

এই বর্ণনাটির অপর একটি ত্রুটি হল, স্বয়ং ইমাম আবূ হানিফাই (রহ) বর্ণনাটিকে বাতিল মনে করতেন। আবূ ‘আব্দুর রহমান আল-মুক্বর্রায়ি (রহ) বলেন:

كان أبو حنيفة يُحدثنا فإذا فرغ من الْحديث قال : هذا الذى سَمعتم كله ريح وباطل

‘‘আবূ হানিফা (রহ) আমাদেরকে হাদীস শুনাতেন। যখন হাদীস বর্ণনা শেষ করতেন তখন বলতেন: তোমরা যেসব হাদীস শুনেছ তা হাওয়া ও বাতিল।’’ (কিতাবুল জারাহ ও তা‘দিল লিইবনে আবী হাতিম ৮/৪৫০, এর সনদ সহীহ)

অপর একটি বর্ণনাতে ইমাম আবূ হানিফা (রহ) বলেন: عامة ما أحدثكم خطأ ‘‘আমি তোমাদেরকে ‘আমভাবে যে হাদীস বলি, তা ত্রুটিযুক্ত।’’ (আল-‘ঈলালুল কাবীর লিত-তিরমিযী ২/৯২২ পৃ. এর সনদ সহীহ, আল-কামিল লি-ইবনে ‘আদী ৭/২৪৭৩, তারীখে বাগদাদ ১৩/৪২৫)

অপর একটি বর্ণনাতে আবূ হানিফা (রহ) নিজের বর্ণনা সম্পর্কে বলেন:

والله ما أدرى لعله الباطل الذى لا شك فيه

‘‘আল্লাহর কবসম! আমি (এর সত্যতা) জানি না। হয়তো এটা এমন বাতিল, যার ব্যাপারে কোন সংশয় নেই।’’ (ইমাম ইয়া‘কুব বিন সুফিয়ান আল-ফারসী’র ‘কিতাবুল মা‘রিফাহ’ ২/৭৮২ পৃ., এর সনদ হাসান)

সুতরাং এখন এটা সাধারণ মানুষও সহজেই বুঝতে পারবে যে, ইমাম আবূ হানিফা নিজের বর্ণিত হাদীস ও কিতাবের ব্যাপারে পরবর্তীদের থেকে বেশি জানতেন। আর এটা সম্ভব যে, আবূ ওয়ালিদের (মাজহুলের) কারণে ইমাম সাহেব নিজের বর্ণনাকে বাতিল গণ্য করেছেন। والله أعلم وعلمه أتم

দ্বিতীয় বর্ণনাঃ মুসনাদে আহমাদ (আল-মাওসিয়াতুল হাদীসিয়্যাহ) ১২/২৩ হা/১৪৬৪৩ - এ বর্ণিত হয়েছে:

حدثنا أسود بن عامر : أخبرنا حسن بن صالِح عن أبى الْزبير عن جابر ... الْخ

এই বর্ণনাটি যঈফ।

প্রথমত, আবূ যুবায়ের আল-মাক্কী মুদাল্লিস। উসূলে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, মুদাল্লিসের (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম ছাড়া) ‘আন ( عن ) দ্বারা বর্ণিত হাদীস যঈফ।

( مقدمه ابن الصلاح مع التقييد والايضاح صـ ٩٩، والنسخة مجققة صـ ١ ۶١)

দ্বিতীয়ত, হাসান বিন সালেহ ও আবূ যুবায়েরের মধ্যে জাবের (আল-জু‘ফী) মাতরুক মধ্যস্ততাকারী। [দ্র: মুসনাদে আহমাদ ৩/৩৩৯ হা/১৪৬৯৮, তাহক্বীক্ব ফি ইখতিলাফিল হাদীস লিইবনে জাওযী ১/৩২০ হা/৫২৭]

জ্ঞাতব্যঃ এটা খুবই আফসোসের বিষয় যে, ইবনে তুর্কীমানী হানাফী (রহ) ইবনে যুবায়েরের ভয়ানক তাদলীসের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও - এই যঈফ ও মাতরুক বর্ণনাকে ‘‘ هذا سند صحيح ’’ (এই সনদটি সহীহ) লিখেছেন। [দ্র: জাওয়াহিরুল নাক্বী ২/১৫৯ সূত্রে: ইবনে আবী শায়বাহ ১/৩৭৭ হা/৩৮০২]

শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ) দলীল-প্রমাণের সাথে ইবনে তুর্কীমানীর বক্তব্যকে জোরদারভাবে রদ (খণ্ডন) করেছেন। (দ্র: ইরওয়াউল গালীল ২/২৭০ পৃ. হা/৫০০)

তৃতীয় বর্ণনাঃ

أحمد بن منيع : ثنا إسحاق الأزرق : ثنا سفيان وشريك عن موسى ابن أبى عائشة عن عبد الله بن شداد عن جابر رضي الله عنه .... الْخ ( اتّحاف الْخيرة الْمبرة للبوصيرى ۶/۲۲ ٥ حـ١٥ ۶٧)

এই বর্ণনাটি দু’টি কারণে যঈফ।

প্রথমত, সুফিয়ান সওরী মুদাল্লিস (‘উমদাতুল কবারী লিল‘আয়নী ৩/১১২ باب الوضوء من غير حديث ; জাওয়াহিরুন নাক্বী ৮/২৬২)। তাছাড়া এটি ‘আন ( عن ) দ্বারা বর্ণিত হাদীস। শরীক (আল-কাযী)-ও মুদাল্লিস। (তাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন: ২৪, জামে‘উত তাহসীল লিল‘ঈলায়ী পৃ. ১০৭, মুদাল্লিসীন লিলআবী যার‘আহ বিনুল ‘ইরাকবী: ২৮, মুদাল্লিসীন লিসসুয়ূতী: ২৪, মুদাল্লিসীন লিলহালাবী পৃ. ৩৩)।

দ্বিতীয়ত, পূর্ববর্তী আলোচনাতে এসেছে - ‘আব্দুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ ও জাবির (রা)-এর মাঝে আবূ ওয়ালিদ (মাজহুল) মধ্যস্থতাকারী।

সার-সংক্ষেপঃ এই বর্ণনাটির সমস্ত সনদ যঈফ। সুতরাং শায়খ আলবানী (রহ) কর্তক হাদীসটিকে ‘হাসান’ (ইরওয়াউল গালীল ২/২৬৮) এবং আল-মাওসু‘আতুল হাদীসিয়্যাহ-এর টিকাতে ‘‘ حسن بطرقة وشواهده ’’ (বিভিন্ন সূত্র ও সাক্ষ্যে ভিত্তিতে হাসান) বলাটা সহীহ নয়। হাদীসটিকে হাফেয ইবনে হাজার মা‘লুল বা ত্রুটিযুক্ত (তালখীসুল হাবীর ২/২৩২ হা/৩৪৫) এবং কুরতুবী যঈফ বলেছেন। (তাফসীরে কুরতুবী ১/১২২, সূরা ফাতিহা باب الثانى فى نزولِها واحكامها )

আমাদের শায়খ ইমাম বাদীউদ্দীন শাহ আর-রাশেদী এই হাদীসটির যঈফ প্রমাণে ( اظهر البرأة عن حديث : من كان له إمام فقرأة الإمام له قرأة ) কিতাব লিখেছেনে। ফালিল্লাহিল হামদ। [. শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ, ফাতাওয়া ‘ইলমিয়্যাহ আল-মা‘রফ তাওযীহুল আহকাম ১ম খণ্ড, পৃ.৩২৬-৩৩০।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন