hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান

লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম

৩২
মুহাদ্দিসগণের দৃষ্টিতে (সূরা ফাতিহা) ‘মনে মনে পাঠ’
আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ১০: (পৃ. ৬-৭)

তাছাড়া সূরা আ'রাফের ২০৪ নং আয়াতের “কুরআন পাঠের সময় চুপ থাকার নির্দেশটি যে ইমামের পিছনের মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা পাঠের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক স্বরূপ নয়, সে সংশয় নিরসন করেছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। যেমন:

فإني سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم - يقول « قال الله تعالی قسمت الصلاة بيني وبين على يقين ولعييري ما سأل فإذا قال العبد ( الحمد لله رب العين ). قال الله تعالی مدنی عبدي وإذا قال الرحمن الرحيم ). قال الله تعالى أثنى على غيري، وإذا قال ( مالك يوم الدين ). قال مدنی عبدی - وقال مرة فؤض إلى عبدی - فإذا قال ( إياك نعبد وإياك نستعين ). قال هذا بيني وبين عبدي ولعبدي ما سأل، فإذا قال راهدنا الصراط المستقيم صراط الذين أنعمت عليهم غير المغضوب عليهم ولا الضالين ). قال هذا لعبدي ولعبدي ما سأل

আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত (হাদীসে কুদসী) তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি সালাতকে (অথাৎ সূরা ফাতিহাকে) আমার ও আমার বান্দার মাঝে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। এর অর্ধেক আমার জন্য, আর বাকী অর্ধেক আমার বান্দার জন্য এবং আমার বান্দা আমার নিকট যা কামনা করে তাই তাকে দেয়া হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: তোমারা সূরা ফাতিহা পাঠ কর। আল্লাহ বলেন, যখন আমার বান্দা বলে: আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। অতঃপর বান্দা যখন বলে: আর-রাহমানির রাহীম, তখন আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে। বান্দা যখন বলে: মালিকি ইয়াওমিদ্দীন, তখন আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমাকে সম্মান প্রদর্শন করেছে। অতঃপর যখন বান্দা বলে: ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন, তখন আল্লাহ বলেন: এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যে সীমিত এবং আমার বান্দা যা প্রার্থনা করল তাই তাকে দেয়া হয়। অতপর বান্দা যখন “ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকীম, সীরাতাল্লাযীনা আনআমতা আলাইহিম, গাইরিলমাগদূবি আলাইহিম ওয়াল্লাদ্দাল্লীন” বলে, তখন আল্লাহ বলেনঃ এ সমস্তই আমার বান্দার জন্য এবং আমার বান্দা যা কিছু প্রার্থনা করেছে তাও প্রাপ্ত হবে। (মুসলিম হা/৭৬২, আবু দাউদ হা/৮২১, ইবনে মাজাহ হা/৮৩৮) 

পর্যালোচনা - ১০: হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম বায়হাক্বী (রহ) বর্ণনা করেন:

قال البخاري : وقال أبو السائب عن أبي هريرة : اقرأ بها في نفسك قال البخاري : ولو صح لكان يحتمل أن يكون سوى فاتحة الكتاب وأن يقرأ فيما يسكت الإمام

‘‘ইমাম বুখারী (রহ) বলেন: আবূ সায়েব আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, ‘‘মনে মনে পড়।’’ যদি এটা সহীহ হয়, তবে সম্ভবত ফাতিহাতুল কিতাবকে এখানে পৃথক করা হয়েছে। আর এটা পড়া হবে ইমামের সাকতাতে।’’ [কিতাবুল ক্বিরাআত. পৃ. ৯১]

ইমাম তিরমিযী (রহ)-ও হাদীসটি সাকতাতে পাঠের অর্থ নিয়েছেন। [দ্র: ‘পর্যালোচনা -৯’]

কেননা, আবূ হুরায়রা (রা) নিজেই বলেছেন:

للإمام سكتتان ، فاغتنموا القراءة فيهما بفاتحة الكتاب

‘‘ইমামের জন্য দু’টি সাকতা আছে। ফাতিহাতুল কিতাবকে দু’সাকতার মধ্যে তোমরা গণিমত মনে করো।’’ [ইমাম বুখারীর জুযউল ক্বিরাআত হা/২৭৫, মুহাদ্দিস যুবায়েরআলী যাঈ লিখেছেন, হাদীসটির সনদ হাসান (নাসরুল বারী পৃ. ২৯২)]

শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী বর্ণনাটিকে মওকুফ (সাহাবীর উক্তি) হিসেবে হাসান বলেছেন। [সিলসিলাহ যঈফাহ হা/৫৪৬]

অন্যত্র আবু হুরায়রা (রা) বলেন:

اقرأوا إذا سكتوا ، واسكتوا إذا قرأوا ؛ فإن الصلاة المخدجة التي لا قراءة فيها

‘‘যখন ইমাম সাকতা করেন তখন তোমরা পড়, আর যখন ইমাম পড়েন তখন তোমরা সাকতা করো। কেননা সালাত ত্রুটিযুক্ত থাকে যখন সেটা (ফাতিহা) তাতে (সালাতে) পড়া হয় না।’’ [বায়হাক্বীর কিতাবুল ক্বিরাআত পৃ. ৬৬, এর সনদ হাসান]

আমাদের কাছে আবু হুরায়রা (রা)-এর হাদীসগুলো পরস্পরের ব্যাখ্যা।

এ কারণে ইমাম বুখারী (রহ)-এর ন্যায় শায়খ আলবানী (রহ)-ও বলেছেন:

قلت : فيه دليل على أبي هريرة في " مسلم ": " اقرأ بِها في نفسك يا فارسي " إنَما يعنِي قراءتِها في سكتات الإمام إن وجدت . وهذه فائدة هامة . فخذها شاكرا الله تعالى

‘‘আমি (আলবানী) বলছি: এর স্বপক্ষে দলিল হল, আবূ হুরায়রা (রা)-এর সহীহ মুসলিমের বর্ণনা: ‘‘হে পারস্যবাসী! মনে মনে পাঠ কর’’ - নিঃসন্দেহে এই পাঠটি হবে ইমামের সাকতা’র সময়, যদি তুমি সুযোগ পাও। এটা খুবই উপকারী ফায়দা। সুতরাং আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের জন্য তা গ্রহণ কর।’’ [. সিলসিলাতুল আহাদীসুয যঈফাহ ওয়াল মাওযু‘আহ (রিয়াদ: মাকতাবাতুল মা‘আরিফ, ১১৯২/১৪১২) ২/২৪ পৃষ্ঠা, হা/৫৪৬ এর টিকা দ্রষ্টব্য। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে - বাংলা ভাষায় এই কিতাবটির অনুবাদক ইমাম আলবানী (রহ)’র টিকায় সংযুক্ত উক্ত উপকারী কথাটি উল্লেখ করেননি!!]

বুঝা গেল, আবু হুরায়রা (রা) থেকে ইমামের পিছনে মনে মনে সূরা ফাতিহা পাঠের ব্যাপারে তিনি (রা) নিজে ও মুহাদ্দিসগণ কি বুঝেছিলেন। হাদীসটি সম্পর্কে পুস্তিকাটির লেখকের বুঝ ও উপস্থাপনা আংশিক, অসম্পূর্ণ এবং নিতান্তই ব্যক্তিগত। কেননা তিনি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে প্রমাণিত সাকতার হাদীস দ্বারা ‘মনে মনে পড়ার’ ব্যাখ্যা গ্রহণ করতে নারাজ। অথচ মুহাদ্দিসগণ আবূ হুরায়রা (রা) বর্ণিত সাকতার হাদীস তাঁরই ‘মনে মনে পড়ার’ হাদীসটি দ্বারা ব্যাখ্যা নিয়েছেন। পক্ষান্তরে পুস্তিকাটির লেখক বর্জন করে সূরা আ‘রাফের ২০৪ নং আয়াত ও একই মর্মে বর্ণিত হাদীসগুলোর বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু মুহাদ্দিসগণের সমন্বয় পদ্ধতিতে লেখকের উল্লিখিত হাদীসগুলোর মূল দাবি ‘ইমামের পিছনে ফাতিহা পাঠের’ আমলটিও হয়ে যাচ্ছে। আর এটাই মু’মিনদের পথের (সূরা নিসা: ১১৫) অনুসরণের ফায়দা।

আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ১১: (পৃ. ৭)

পাঠকগণ লক্ষ্য করুন! যেহেতু এই হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তাআলা। সূরা ফাতিহাকেই সালাত বলেছেন, সেহেতু সূরা ফাতিহা সালাতের। অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুতরাং সূরা আরাফের ২০৪ নং আয়তের নির্দেশনা, সালাতে মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা পাঠের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক স্বরূপ নয় বরং সূরা মুযযাম্মিলের ২০ নং আয়াত ও আবু হুরায়রা (ভন্ন বর্ণিত উপরিউক্ত হাদীসে কুদসীর নির্দেশনা অনুযায়ী সূরা ফাতিহা সকল প্রকার সালাতে প্রতি রাকআতের জন্য এবং আল্লাহর বান্দা হিসেবে ইমাম ও মুক্তাদী সকলের জন্য অবশ্যই পঠনীয়।

পর্যালোচনা - ১১: আমরা সূরা আ‘রাফের ২০৪ নং আয়াতটিতে উপস্থাপিত ‘চুপ থাকার’ ব্যাখ্যা নবী (স), সাহাবী (রা) ও মুহাদ্দিসগণ থেকে উল্লেখ করেছি। [দ্র: ‘পর্যালোচনা-৭] কিন্তু লেখক আয়াতে বর্ণিত ‘আনসাত বা চুপ থাকার’ এমন কোনো ব্যাখ্যা উল্লেখ করেননি, যা থেকে প্রমাণিত হয় ইমামের ক্বিরাআত চলাকালে তা অগ্রাহ্য করে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। লেখকের ব্যাখ্যার সাথে না কুরআনের আয়াতের দাবি পূরণ হয়, না সহীহ হাদীসের মধ্যকার দ্বিধা-দ্বন্দের অবসান হয়। পক্ষান্তরে ইমাম ও মুহাদ্দিসগণের বিশ্লেষণে কুরআন ও সহীহ হাদীসের উভয় দাবির প্রতি আমল করা সম্ভব হয়। তা ছাড়া আমরা শুরুতেই প্রমাণ করেছি, পুস্তিকাটির লেখক সূরা মুযযাম্মিলের ২০ নং আয়াতটি বুঝতে পারেননি [দ্র: ‘পর্যালোচনা-৮]। সাহাবী ইবনে আব্বাস (রা) থেকে প্রমাণিত হয়েছে, সূরা আ‘রাফের ২০৪ ও সূরা মুযযাম্মিলের তাহাজ্জুদ সালাত সম্পর্কিত আয়াতগুলোর দাবিই সালাতে ক্বিরাআতের প্রতি মনোযোগ। সাথে সাথে এটাও প্রমাণিত হয়েছে, বিশেষভাবে জাহরি সালাতে ইমামের ক্বিরাআত শোনা অবস্থায় মুক্তাদি চুপ থাকবে ও মনোযোগী হবে। [দ্র: ‘পর্যালোচনা - ৭’]

সূরা ফাতিহা যে জাহরি ও সির্রি সালাতে অবশ্যই পঠনীয় তাতে আমাদের কোনো সংশয় নেই। যেভাবে নবী (স), সাহাবী (রা), তাবেঈ, ইমাম ও মুহাদ্দিসগণ (রহ) থেকে বর্ণনা গত হয়েছে। সাহাবী আবু হুরায়রা (রা)-এর হাদীসগুলোর সম্মিলিত দাবিও এটাই। [দ্র: ‘পর্যালোচনা - ১০’]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন