hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান

লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম

৩৮
মনে মনে পাঠ বনাম পাশ্ববর্তী ব্যক্তিকে শুনিয়ে পাঠ
আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ২০: (পৃ. ১২)

(২) উবাদা বিন সামিত প্রশ্ন হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ

  عن عبادة بن الثاني قال كنا خلف رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في صلاة الفجر فقرا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقفلت عليه القراءة فلما فرغ قال « لعلكم تقرون خلف إمام» . قلنا نعم هذا یا رسول الله . قال «لا تفعلوا إلأ بفاتحة الكتاب فإنه لا صلاة لمن لم يقرأ بها  

“একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ফযরের জামাতে শরীক ছিলাম, সালাতে কুরআন পাঠের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পাঠ তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন সম্ভবতঃ তােমরা ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ করছ? আমরা বলি হ্যাঁ, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তখন তিনি বলেন, তোমরা সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কিছু পাঠ করবে না। কেননা যে ব্যাক্তি সূরা ফাতিহা পড়বে না, তার সালাত হবে না। (সহীহ ইবনে হিব্বান হা/১৮৪৮, বুখারী। জুযউল কিরাআত হা/২৫৭-৫৮, মিশকাত হা/৮৫৪)

পর্যালোচনা - ২০: এই হাদীসটি থেকে বুঝা যায়, খলফাল ইমাম (ইমামের পিছনে থাকা) অবস্থায় কোন ক্বিরাআত করা যাবে না, তবে সূরা ফাতিহা পড়া যাবে। কিন্তু একথা বর্ণিত হয়নি, ফাতিহা মনে মনে পড়বে, না সাধারণভাবে ক্বিরাআত করবে। উবাদাহ (রা)-এর পরবর্তী হাদীস (দ্র: ‘পর্যালোচনা-২২’) প্রমাণ দেয় - তিনি (রা) ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়লে পাশ্ববর্তী ব্যক্তি তা শুনতে পেতো। এ পর্যায়ে জাহরি সালাতে ইমামের ক্বিরাআত করা অবস্থায় প্রত্যেক মুক্তাদির ক্বিরাআত পার্শ্ববর্তী মুসল্লি শুনতে পারবে এবং ইমামের ক্বিরাআত শোনা থেকে বঞ্চিত হবে। যা কুরআনের আয়াত ‘‘যখন কুরআন পড়া হয় তখন মনোযোগের সাথে শোন ও চুপ থাক।’’ (সূরা আ‘রাফ: ২০৪)-এর বিরোধী হয়। পূর্বে নবী (স) ও সাহাবীদের তাফসির থেকে প্রমাণিত হয়েছে: ঐ কুরআন তিলাওয়াত জাহরি সালাতে ইমামের তিলওয়াতকে বুঝানো হয়েছে।

তা ছাড়া এভাবে প্রত্যেকে মুক্তাদি সূরা ফাতিহা পাঠ করলে ইমাম বা মুক্তাদি প্রত্যেকের অসুবিধা হবে। পক্ষান্তরে লেখকের উদ্ধৃত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত পূর্বের হাদীসটিতে বর্ণিত হয়েছে:

فلا تفعَلوا ولْيقرَأْ   أحَدُكم   بفاتحةِالكِتابِ   في   نفسِه  

‘‘তোমরা এটা (ক্বিরাআত) কোরো না, তোমাদের কেউ মনে মনে ফাতিহাতুল কিতাব পড়বে।’’

অর্থাৎ ক্বিরাআত করা যাবে না কিন্তু মনে মনে কেবল সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। বুঝা গেলো, উবাদা (রা) বর্ণিত হাদীসটি আনাস (রা)-এর হাদীসের বিরোধী। আবার আনাস (রা)-এর হাদীসটির দাবি আমর ইবনে শুআয়েবের হাদীসের বর্ণনা:

أِنَّهُمْ كَانُوْا يَقْرَءُوْنَ خَلْفَ رَسُوْلِ اللهِ إِذَا أنْصَتَ فَاِذَا قَرَأَ لَمْ يَقْرَءُوْا وَإِذَا انْصَتَ قَرَءُوْا

‘‘তাঁরা অর্থাৎ সাহাবাগণ রসূলুল্লাহ (স)-এর পিছনে তখন পড়তেন যখন তিনি চুপ থাকতেন। আর যখন রসূলুল্লাহ (স) পড়তেন তখন তাঁরা পড়তেন না। অতঃপর যখন রসূলল্লাহ (স) চুপ থাকতেন তখন তাঁরা পড়তেন। [. সহীহ : বায়হাক্বীর কিতাবুল ক্বিরাআত পৃ. ৬৯ ; এর সনদ সহীহ [কিতাবুল ক্বিরাআত পৃ. ৫৫, তাফসীরে কুরআনে ‘আযীয ১/৮৫ পৃ.]।]

উক্ত ব্যাখ্যা গ্রহণ ছাড়া ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ)-এর ব্যাখ্যাই প্রাধান্য পায় যে, লেখকের হাদীসটি কুরআন ও সহীহ হাদীসের বিরোধী হওয়ায় শায। কিংবা শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ) ব্যাখ্যা ‘‘ইমামের সাথে সাথে ফাতিহা পড়ার হাদীসগুলো মানসুখ।’’ শায়খ আলবানী (রহ)-এর সমর্থন রয়েছে লেখকের পরবর্তী উবাদাহ (রা) হাদীসে [দ্র: ‘পর্যালোচনা - ২২’]

আমাদের কাছে, সাকতা বা আনসাতের মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠ করলে লেখকের হাদীসগুলো পরস্পরের ব্যাখ্যা হিসেবে গ্রহণযোগ্য। অন্যথায় ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) ও শায়খ আলবানী (রহ)-এর বিশ্লেষণ লেখকের দলিলগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন