hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান

লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম

৩) আহলেহাদীস মুহাদ্দিস আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (রহ)-এর অভিমত
فنحن نقرأ خلف الإمام في الصلوات السرية وفي الجهرية أيضا عند سكتات الإمام فإن الآية لا تدل على المنع إلا إذا جهر قال الإمام البخاري في جزء القراءة قيل له احتجاجك بقول الله تعالى فاستمعوا وأنصتوا أرأيت إذا لم يجهر الإمام يقرأ خلفه فإن قال لا بطل دعواه لأن الله تعالى قال فاستمعوا له وأنصتوا وإنما يستمع لما يجهر مع أنا نستعمل قول الله تعالى فاستمعوا له نقول يقرأ خلف الإمام عند السكتات انتهى

‘‘সুতরাং আমরা সির্রি সালাতে ইমামের পিছনে (সূরা ফাতিহা) পড়ি, অনুরূপ জাহরি সালাতেও ইমামের সাকতাতে। কেননা (সূরা আ‘রাফের ২০৪ নং) আয়াতে (চুপ থাকার দাবি ক্বিরাআত) জাহরি হওয়া ছাড়া নিষেধ করা হয়নি। ইমাম বুখারী (রহ) তাঁর ‘জুযউল ক্বিরাআতে’ বলেছেন: (মহান আল্লাহর বাণী:) ‘‘যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন মনোযোগের সাথে শোনো ও চুপ থাকো’’ (সূরা আ‘রাফ: ২০৪) দ্বারা যখন দলিল নেয়া হয়। তখন বলা হবে, যখন ইমাম প্রকাশ্যে পড়ে না তখন যে তার পিছনে পড়ে তার ব্যাপারে তোমার অভিমত কি? যদি সে বলে: (পড়বে) না। তবে তার দাবি বাতিল হবে। কেননা মহান আল্লাহর বাণী: ‘‘তোমরা শোনো ও চুপ থাকো।’’ এই শোনাটা তখন হয় যখন (ইমামের) জাহরি ক্বিরাআত হয়। এতদসত্ত্বেও আমরা আমল করি আল্লাহর এ কথার فاستمعوا ‘‘তোমরা মনোযোগের সাথে শোনো।’’ আমরা বলবো সাকতাসমূহের সময় ইমামের পিছনে পড়া হবে। (ইমাম বুখারীর বক্তব্য) শেষ।’’ [তুহফাতুল আহওয়াযি (শামেলা সংস্করণ: ২/২৩৯. অন্য সংস্করণ ২/২০৭)]

আমরা পরবর্তী আলোচনার বিভিন্ন স্থানে উপরের মুহাদ্দিসগণ ছাড়া আরও কয়েকজন প্রথম সারির মুহাদ্দিসণের অভিমত উল্লেখ করব। যাঁরা জাহরি সালাতের ক্ষেত্রে ইমামের পিছনে সাকতাতে সূরা ফাতিহা পাঠকে এ সম্পর্কিত হাদীসগুলোর বিরোধ নিরসণের পদ্ধতি হিসেবে অভিমত দিয়েছেন, তাঁরা হলেন:

৪) ইমাম বুখারী (রহ) [দ্র: পর্যালোচনা-১০, ১৪, ১৬];

৫) ইমাম বায়হাক্বী (রহ) [দ্র: পর্যালোচনা-৫, ১৩, ১৬, ১৮, ৩২];

৬) হাফেয ইবনে হাজার (রহ) [দ্র: পর্যালোচনা-৩, ১৬];

৭) হাফেয নববী (রহ) [দ্র: পর্যালোচনা-৩২];

৮) মুহাদ্দিস শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভি (রহ) [দ্র: পর্যালোচনা-১];

৯) আল্লামা আব্দুল হাই লাক্ষ্নভি হানাফি (রহ) [দ্র: পর্যালোচনা-১];

১০) শায়খ আলবানী (রহ) [দ্র: পর্যালোচনা-৪, ১০, ১৩, ১৬];

১১) শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ (রহ) [দ্র: পর্যালোচনা-৩, ৭, ১৫, ১৬, ২১];

১২) শায়খ ইরশাদুল হক্ব আসারি (হাফি.) [দ্র: পর্যালোচনা-৩, ৫];

১৩) মুফতি রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহি দেওবন্দি (রহ) [দ্র: পর্যালোচনা-১] - প্রমূখ।

বুঝা যাচ্ছে, পুস্তিকাটির অভিমতদাতা ও লেখক ‘অহেতুক বিতর্ক’ বলে যা লিখে প্রচার-প্রচারণাতে লিপ্ত আছেন, তা জুমহুর বা অধিকাংশ ইমাম, মুহাদ্দিস ও শায়খদের উপস্থাপিত দলিল-প্রমাণ, ব্যাখ্যা, দলিলসমূহের বিরোধ সমন্বয় পদ্ধতি এবং তাঁদের বুঝের বিরোধিতার নামান্তর।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন