hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মন দিয়ে নামায পড়ার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১২
জামাআত বর্জন করার পরিণতি
১. জামাআত বর্জনকারীরা কিয়ামতের দিন লাঞ্ছিত হবে :

﴿يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَّيُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ فَلَا يَسْتَطِيْعُوْنَ - خَاشِعَةً اَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ - وَّقَدْ كَانُوْا يُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ وَهُمْ سَالِمُوْنَ﴾

যেদিন পায়ের গোছা প্রকাশ পাবে (কিয়ামতের কঠিন মুসীবত আসবে) এবং মানুষকে সিজদা করার জন্য ডাকা হবে, তখন তারা সিজদা করতে পারবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত হয়ে যাবে, অপমান তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে। কারণ দুনিয়াতে তাদেরকে সিজদা করার জন্য ডাকা হতো; কিন্তু তারা নিরাপদ থাকা সত্ত্বেও সাড়া দিত না। (সূরা কালাম- ৪২, ৪৩)

মুফাসসিরীনে কেরাম বলেছেন, (হাশরের ময়দানে) আল্লাহর সকল সৃষ্টি তাকে সিজদা করবে; কিন্তু কাফির এবং মুনাফিকরা সিজদা করতে পারবে না। তারা সিজদা করতে ইচ্ছা করবে কিন্তু সক্ষম হবে না। কেননা সেদিন তাদের মেরুদন্ড কাঠের মতো শক্ত হয়ে যাবে, সুতরাং তা সিজদার জন্য ঝুঁকতে পারবে না। [তাফসীরে ফাতহুল কাদীর, ৭/২৮৯।]

২. জামাআত বর্জনকারীদের প্রতি নবীর ক্ষোভ :

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ। আমি ইচ্ছা করছি, জ্বালানী কাঠ একত্র করার আদেশ করব। তারপর আদেশ করব যাতে নামাযের জন্য আযান দেয়া হয়। তারপর কোন ব্যক্তিকে আদেশ করব, সে যেন লোকদের ইমামতি করে। তারপর আমি বাড়িতে অবস্থানকারী ঐ সকল লোকের কাছে যাব (যারা জামাআতে হাজির হয়নি)। তারপর তাদের ঘরগুলো জ্বালিয়ে দেব। সেই সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ, যদি তাদের কেউ এ কথা জানত যে, সে হাড্ডির সাথে সংযুক্ত মোটাতাজা মজাদার গোশত পাবে, অথবা বকরীর উত্তম দুটি খুর পাবে, তাহলে তারা অবশ্যই এশার নামাযের জামাআতে হাজির হতো। [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/২৯০; সহীহ বুখারী, হা/৬৪৪; মুসলিম, হা/১৫১৩; আবু দাউদ, হা/৫৪৮; নাসাঈ, হা/৮৪৮; ইবনে মাজাহ, হা/৭৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩২৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪১৯৬।]

একজন রহমতের নবী হয়েও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেন। জামাআতে নামায আদায় করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হলে নবী ﷺ এরকম ইচ্ছা পোষণ করতেন না। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, একজন মানুষের ঘর-বাড়ি ও ধন-সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেলে যত ক্ষতি হয়; তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় জামাআতের সাথে নামায না আদায় করার কারণে।

আফসোস এ যুগের মুসলিমদের জন্য, যারা জামাআতে নামায আদায় করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং যারা অনুধাবন করতে পারছে না যে, তারা জামাআত ছেড়ে কতটুকু ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

৩. অন্ধকেও ছাড় দেয়া হয়নি :

আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি নবী ﷺ কে প্রশ্ন করলেন যে, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন অন্ধ ব্যক্তি। আমি বাড়িতে অবস্থান করি। আমার এমন কোন লোক নেই যে, আমাকে মসজিদে নিয়ে যাবে। অতএব আমার জন্য এমন কোন ছাড় আছে কি যে, আমি আমার বাড়িতেই নামায আদায় করতে পারব? তখন তিনি বললেন, তুমি কি আযান শুনতে পাও? আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম বললেন, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তাহলে আমি তোমার জন্য কোন ছাড় দিতে পারছি না। [আবু দাউদ, হা/৫৫২; ইবনে মাজাহ, হা/৭৯২; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৯০৩।]

নবী ﷺ এর এ বাণী শোনার পর সাহাবীরা যেভাবেই হোক মসজিদে এসে উপস্থিত হতেন এবং জামাআতে নামায পড়তেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, অন্ধ লোককেও বাড়িতে নামায আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়নি। এখন যারা সুস্থ্য, দেখতে পায়, চলতে পারে তারা কীভাবে বাড়িতে নামায আদায় করতে পারে?

৪. ওজর ছাড়া জামাআত ত্যাগ করা যাবে না :

ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শুনে কোন ওজর ব্যতীত মসজিদে না গিয়ে একাকী নামায আদায় করে, তার এ নামায গ্রহণযোগ্য হবে না। লোকেরা বলল, ওজর বলতে কী বুঝায়? তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, ভয় ও রোগ। [আবু দাঊদ, হা/৫৫১; দার কুতনী, হা/১৫৫৭; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৮৯৬; সুনানে বায়হাকী, হা/৪৮২৬।]

ভয় অর্থ হলো প্রাণের ভয়। দুশমন, হিংস্র জন্তু অথবা বিষাক্ত সাপ-বিচ্ছুর কারণে এ ভয় হতে পারে। আর রোগের অর্থ হলো এমন রোগ, যে রোগের কারণে মসজিদ পর্যন্ত যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।

৫. একাকী নামায আদায়কারীর উপর শয়তান চেপে বসে :

আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন গ্রাম বা জনপদে যদি তিনজন লোক থাকে এবং সেখানে জামাআতের সাথে নামায কায়েম না হয়, তবে বুঝতে হবে যে, তাদের উপর শয়তানের আধিপত্য রয়েছে। অতএব তোমরা জামাআতকে আঁকড়ে ধরো। কারণ নেকড়ে বাঘ বিচ্ছিন্ন মেষকেই শিকার করে থাকে। [আবু দাঊদ, হা/৫৪৭; নাসাঈ, হা/৮৪৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৭৫৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪৮৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২১০১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭৬৫; মিশকাত, হা/১০৬৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৪২৭।]

৬. জামাআত বর্জনকারীরা পথভ্রষ্ট ও মুনাফিক :

আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আগামীকাল কিয়ামতের দিন মুসলিম হিসেবে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ পেতে আনন্দবোধ করে, সে যেন ঐ নামাযের রক্ষণাবেক্ষণ করে, যেসব নামাযের জন্য আযান দেয়া হয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের নবীর জন্য হেদায়াতের পথ বর্ণনা করেছেন। আর জামাআতে নামায আদায় করাও হেদায়াতের একটি পথ। সুতরাং যদি তোমরা জামাআতে উপস্থিত না হয়ে বাড়িতে নামায আদায় করে থাক, যেভাবে পেছনে থাকা লোকেরা তাদের বাড়িতে নামায আদায় করে নেয়, তাহলে তোমরা হেদায়াতের পথ হারিয়ে ফেলবে। আর এভাবে যদি তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নাত পরিত্যাগ কর, তাহলে অবশ্যই হেদায়াতের পথ হারিয়ে ফেলবে।

কোন ব্যক্তি যদি অতি উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে (নামায আদায় করার জন্য) কোন একটি মসজিদে উপস্থিত হয় তাহলে মসজিদে যেতে সে যতবার পদক্ষেপ ফেলবে তার প্রতিটি পদক্ষেপের পরিবর্তে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একটি নেকী লিখে দেন, তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন এবং একটি করে পাপ মোচন করে দেন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আমরা মনে করি যার মুনাফিকী সর্বজনবিদিত এমন মুনাফিক ছাড়া কেউ-ই জামাআতে নামায আদায় করা ছেড়ে দিত না। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যামানায় এমন ব্যক্তিও জামাআতে উপস্থিত হতো, যাকে দু’জন মানুষের কাঁধে ভর দিয়ে এনে নামাযের কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়া হতো। [সহীহ মুসলিম, হা/১৫২০; নাসাঈ, হা/৪৮৯; ইবনে মাজাহ, হা/৭৭৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৯৩৬; মুস্তাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৯৮৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৪০৪; মিশকাত, হা/১০৭২।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন