মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত- (১) এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল, (২) নামায কায়েম করা, (৩) যাকাত আদায় করা, (৪) হজ্জ পালন করা এবং (৫) রমাযান মাসে রোযা রাখা। [সহীহ বুখারী, হা/৮, সহীহ মুসলিম, হা/১২১; তিরমিযী, হা/২৬০৯; নাসাঈ, হা/৫০০১।]
কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নেয়া হবে :
হুরাইছ ইবনে কাবীছা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি মদিনায় আগমন করলাম। অতঃপর বললাম, হে আল্লাহ! আমাকে একজন উত্তম সঙ্গী দান করুন। অতঃপর আমি আবু হুরায়রা (রাঃ) এর নিকট গিয়ে বসলাম এবং বললাম, আমি আল্লাহর কাছে দু‘আ করেছি যে, তিনি যেন আমাকে উত্তম সঙ্গী দান করেন। সুতরাং আপনি এমন একটি হাদীস বর্ণনা করুন, যা আপনি নবী ﷺ হতে শুনেছেন। আমি আশা রাখি আল্লাহ তা‘আলা এর দ্বারা আমাকে উপকৃত করবেন। এরপর আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন বান্দার সকল আমলের মধ্যে প্রথমে নামাযের হিসাব নেয়া হবে। যদি তার নামায সঠিক হয়, তবে সে মুক্তি পাবে এবং সফলতা লাভ করবে। আর যদি তার নামায সঠিক না হয়, তবে সে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরয নামাযের মধ্যে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাদেরকে বলবেন, দেখো! আমার বান্দার আমলের মধ্যে নফল নামায আছে কি না, যদি থাকে তবে তা দিয়ে ফরযের ঘাটতি পূর্ণ করে দেয়া হবে। এরপর তার সকল আমলের হিসাব এভাবেই নেয়া হবে। [তিরমিযী হা/৪১৩, নাসাঈ, হা/৪৬৫; ইবনে মাজাহ, হা/১৪২৬; জামেউস সগীর, হা/৩৭৮৩।]
নামায জান্নাত লাভের উপায় :
আবু উমামা আল বাহেলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বিদায় হজ্জের ভাষণে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদাত করো, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করো, (রমাযান) মাসের রোযা রাখো, সম্পদের যাকাত আদায় করো এবং তোমাদের আমীরের আনুগত্য করো; তাহলে তোমরা তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করবে। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২২২১৫; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১৯; তিরমিযী, হা/৬১৬; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৮৬৭।]
নামায কিয়ামতের দিন নূর ও নাজাতের দলীল হবে :
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী ﷺ নামাযের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বললেন, যে ব্যক্তি এটাকে হেফাযত করবে তা কিয়ামতের দিন তার জন্য জ্যোতি, মুক্তির দলীল ও নাজাতের অসীলা হবে। আর যে ব্যক্তি এটাকে হেফাযত করবে না তার জন্য কিয়ামতের দিন কোন জ্যোতি, মুক্তির দলীল এবং নাজাতের জন্য কোন অসীলা থাকবে না। আর সে কিয়ামতের দিন কারুন, ফিরাউন, হামান এবং উবাই ইবনে খালফের সাথে থাকবে। [মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৫৭৬, সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৬৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৪৩১।]
নামায সর্বোত্তম ইবাদাত :
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা (দ্বীনের উপর) অটল থাকো, অবশ্য তোমরা সকল কাজে ঠিক থাকতে পারবে না। তবে জেনে রেখো! তোমাদের সকল কাজের মধ্যে নামায হচ্ছে সর্বোত্তম। (সুতরাং নামায সঠিকভাবে আদায় করবে) আর মুমিন ব্যক্তি ছাড়া কেউ অযুর নিয়ম রক্ষা করে না। [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/৬৬; ইবনে মাজাহ, হা/২৭৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৪৩২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০৩৭; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৪৪৭; মু‘জামুল আওসাত, হা/৭০১৯; দারেমী, হা/৬৮১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১১৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৯৭; মিশকাত, হা/২৯২।]
নামায আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় ইবাদাত :
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ কে জিজ্ঞেস করলাম- কোন্ কাজ আল্লাহ তা‘আলার নিকট অধিক প্রিয়? তিনি উত্তরে বললেন, যথাসময়ে নামায আদায় করা। আমি বললাম, তারপর কোন্ কাজ? তিনি বললেন, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা। পুনরায় আমি বললাম, তারপর কোন্টি? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ আমাকে এ কথাগুলো বললেন। আমি যদি আরো অধিক জিজ্ঞেস করতাম, তাহলে তিনি আমাকে আরো অধিক বলতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৫২৭, ৫৯৭০; সহীহ মুসলিম, হা/২৬৪; নাসাঈ, হা/৬১০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৮৯০; আদাবুল মুফরাদ, হা/১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৪৮৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৯৭।]
নামায ত্যাগ না করার জন্য নবী ﷺ এর উপদেশ :
আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে উপদেশ দিয়েছেন,
১. তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, যদিও তোমাকে খন্ডবিখন্ড করা হয় অথবা পুড়িয়ে ফেলা হয়।
২. ইচ্ছা করে ফরয নামায ত্যাগ করবে না। যে ইচ্ছা করে নামায ত্যাগ করবে, তার থেকে ইসলামের নিরাপত্তা উঠে যাবে।
৩. মদ্যপান করবে না, এটি সমস্ত মন্দের চাবিকাঠি। [ইবনে মাজাহ, হা/৪০৩৪; আদাবুল মুফরাদ, হা/১৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৭; মিশকাত, হা/৫৮০।]
মাঠে-ঘাটে নামায আদায়কারীর ফযীলত :
উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, তোমার রব খুশি হন সেই ছাগল-ভেড়ার রাখালের প্রতি, যে একাকী পাহাড়ের চূঁড়ায় দাঁড়িয়ে আযান দেয় এবং নামায পড়ে। তখন আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাদেরকে বলেন, তোমরা আমার এ বান্দার প্রতি লক্ষ্য করো! সে আযান দেয় ও নামায কায়েম করে। সে আমার শাস্তিকে ভয় করে। তোমরা সাক্ষী থাকো! আমি আমার এ বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালাম। [আবু দাঊদ, হা/১২০৫, নাসাঈ, হা/৬৬৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৭৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৬০; জামেউস সগীর, হা/১৪০৬২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৪১।]
তুমি তোমার পরিবার-পরিজনকে নামাযের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এর উপর অনড় থাকো। (সূরা ত্বা-হা- ১৩২)
সাবরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, তোমাদের সন্তানরা যখন সাত বৎসরে পৌঁছবে তখন তাদেরকে নামাযের জন্য আদেশ করবে আর তাদের বয়স যখন দশ বৎসরে পৌঁছবে, তখন নামায না পড়লে তাদেরকে প্রহার করবে। [আবু দাঊদ, হা/৪৯৪; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২৩৪৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/৫০২; জামেউস সগীর, হা/১০৮০৬।]
উক্ত আয়াত এবং হাদীসের মাধ্যমে পরিবার প্রধানকে পরিবারের সবাইকে নামাযে অভ্যস্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ দায়িত্ব পালন না করলে পরিবারের দায়িত্বশীলরা অবশ্যই গোনাহগার হবেন। মুক্তির জন্য কেবল নিজের আমলই যথেষ্ট নয়। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তোমরা সাবধান হও! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের প্রত্যেককেই দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জনগণের শাসকও একজন দায়িত্বশীল। সুতরাং তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর পুরুষও তার পরিবারের দায়িত্বশীল। সুতরাং তাকেও এ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। স্ত্রীও তার স্বামীর পরিবার এবং সন্তানের উপর দায়িত্বশীল। ঐ দিন তার এ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমনকি কোন ব্যক্তির গোলাম বা দাস তার প্রভুর সম্পদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তাকেও ঐ দিন তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অতএব সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। আর এ দায়িত্ব সম্পর্কে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। [সহীহ বুখারী, হা/৭১৩৮; সহীহ মুসলিম, হা/৪৮২৮; আবু দাউদ, হা/২৯৩০; তিরমিযী, হা/১৭০৫; আদাবুল মুফরাদ, হা/২০৬; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৪৮৩; মিশকাত, হা/৩৬৮৫।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/84/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।