hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মন দিয়ে নামায পড়ার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৯
কুরআন দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত
প্রিয় ভাই-বোনেরা! আল্লাহ তা‘আলা আমাদের প্রতি রহম করুন। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন অনেক লোক ছিলেন, যারা কুরআন পড়ে বা শুনে খুবই প্রভাবিত হতেন। যারা কুরআনের মর্ম বুঝে তিলাওয়াত করেন বা শুনেন তাদের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তা একটু লক্ষ্য করি।

(১) যুবায়ের ইবনে মুত্‘ইম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুসলিম হওয়ার আগে বদরের যুদ্ধে বন্দীদের ব্যাপারে আলোচনার জন্য মদিনায় গিয়ে পৌঁছলাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন সূরা তূর দিয়ে মাগরিবের নামায আদায় করছিলেন। এমনকি বাহির থেকে কিরাআতের আওয়াজ শুনতে পেলাম। তিনি যখন এ আয়াত পড়লেন,

﴿اِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ - مَا لَهٗ مِنْ دَافِعٍ﴾

তোমার পালনকর্তার আযাব অবশ্যই আসবে; একে কেউ ফিরিয়ে রাখতে পারবে না। (সূরা তূর- ৭, ৮)

তখন আমি এমন ভয় পেলাম, যেন আমার অন্তর ফেটে যাচ্ছে; আমি সাথে সাথে ইসলাম গ্রহণ করলাম। তখন আমার মনে হচ্ছিল যেন এ স্থান ত্যাগ করার আগেই আমি আল্লাহর আযাবে গ্রেফতার হয়ে যাব। [মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৪৮১; মুজামুস সগীর, হা/১১৪১; কিতাবুল আমওয়াল, হা/৩০২; মা‘রেফাতুস সুন্নাহ ওয়াল আছার, হা/১২৯৯।]

(২) আলী ইবনে ফুযাইল নরম মনের একজন যুবক ছিলেন। তার সামনে জান্নাত, জাহান্নাম, মৃত্যু ও কবরের আলোচনা হলে তিনি কান্না শুরু করতেন। তার পিতা এক মসজিদে ইমামতি করতেন। পিতা যখন জানতেন, তার ছেলে নামাযে উপস্থিত, তখন তিনি হৃদয় বিদারক কোন সূরা বা আয়াত পড়তেন না। একদিন ছেলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও পিতা তাকে অনুপস্থিত মনে করে নামাযে সূরা মু’মিনূন তিলাওয়াত শুরু করলেন। যখন তিনি এ আয়াতগুলোতে পৌঁছলেন,

﴿اَلَمْ تَكُنْ اٰيَاتِيْ تُتْلٰى عَلَيْكُمْ فَكُنْتُمْ بِهَا تُكَذِّبُوْنَ - قَالُوْا رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَآلِّيْنَ - رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا مِنْهَا فَاِنْ عُدْنَا فَاِنَّا ظَالِمُوْنَ - قَالَ اخْسَئُوْا فِيْهَا وَلَا تُكَلِّمُوْنِ - اِنَّهٗ كَانَ فَرِيْقٌ مِّنْ عِبَادِيْ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَاَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ - فَاتَّخَذْتُمُوْهُمْ سِخْرِيًّا حَتّٰۤىۤ اَنْسَوْكُمْ ذِكْرِيْ وَكُنْتُمْ مِّنْهُمْ تَضْحَكُوْنَ - اِنِّيْ جَزَيْتُهُمُ الْيَوْمَ بِمَا صَبَرُوْاۤ اَنَّهُمْ هُمُ الْفَآئِزُوْنَ﴾

তখন আলী বেহুশ হয়ে পড়লেন। পরে লোকেরা তার মাথায় পানি দিলে তার হুশ ফিরে আসে। [কিতাবুত্ তাও্ওয়াবীন লিইবনে কুদাম।]

আয়াতগুলোর সারমর্ম হলো, অপরাধীরা জাহান্নামে চলে যাওয়ার পর আল্লাহ তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন, তোমাদেরকে কেউ আমার আয়াত পড়ে শোনায়নি? তোমরা তো সেগুলোকে মিথ্যা বলতে। তখন তারা বলবে, হে আল্লাহ! আমাদের দুর্গতি আমাদের উপর প্রবল হয়ে গিয়েছিল। আর আমরা পথভ্রষ্ট ছিলাম। এখন আমাদের আবার দুনিয়াতে পাঠিয়ে দিন। আমরা যদি আবার আপনার নাফরমানী করি, তবে আমরা গোনাহগার হব। তখন আল্লাহ বলবেন, তোমরা এখানে পড়ে থাকো। আমার সাথে কোন কথা বলো না। আমার বান্দাদের একটি দল দুনিয়াতে আমার উপর ঈমান আনত এবং বলত, ‘‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি। অতএব আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের উপর রহমত বর্ষণ করুন। আর আপনিই উত্তম রহমত বর্ষণকারী’’। তোমরা তাদেরকে নিয়ে হাসি-তামাশা করতে, এমনকি তোমরা আমার স্মরণ থেকে বিমুখ ছিলে। আজ আমি তাদেরকে তাদের সবরের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছি। কারণ তারাই সফলকাম। (সূরা মু’মিনূন : ১০৫-১১১)

(৩) মুহাম্মাদ ইবনে মুনকাদির (রহ.) মৃত্যুর সময় খুবই হা-হুতাশ করছিলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি এমন করছেন কেন? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর কিতাবের একটি আয়াতকে ভয় করছি সেটি হলো,

﴿وَلَوْ اَنَّ لِلَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مَا فِي الْاَرْضِ جَمِيْعًا وَّمِثْلَهٗ مَعَهٗ لَافْتَدَوْا بِه مِنْ سُوْٓءِ الْعَذَابِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَبَدَا لَهُمْ مِّنَ اللهِ مَا لَمْ يَكُوْنُوْا يَحْتَسِبُوْنَ﴾

যদি গোনাহগারদের কাছে পৃথিবীর সবকিছু থাকে এবং তার সাথে আরো অনুরূপ থাকে, তবে কিয়ামতের দিন সবকিছুই মুক্তিপণ হিসেবে দিতে চাইবে। আর তারা এমন শাস্তির সম্মুখীন হবে যা কল্পনাও করেনি অথবা তাদের সামনে এমন গোনাহ প্রকাশ পাবে যাকে তারা গোনাহ মনে করেনি।

(সূরা যুমার- ৪৭)

এখন আমার ভয় হচ্ছে, আমার সামনে এমন গোনাহ প্রকাশ পেতে পারে যা আমি হিসাব করিনি। [তাফসীরে ফাতহুল কাদীর- ৬/২৯৩।]

তারতীলের সাথে কুরআন পাঠ করতে হবে :

মহান আল্লাহ তা‘আলা তারতীলের সাথে কুরআন পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাজভীদের নিয়মাবলি আদায় করে সুন্দর করে পড়াকে তারতীল বলা হয়। তবে বিশুদ্ধ উচ্চারণসহ শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থ সম্পর্কে চিন্তা করে এর দ্বারা প্রভাবান্বিত হওয়াই হলো আসল তারতীল। হাসান বসরী (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَرَتِّلِ الْقُرْاٰنَ تَرْتِيْلًا﴾

তুমি তারতীলসহ কুরআন পাঠ করো। (সূরা মুয্যাম্মিল- ৪)

এর অর্থ হচ্ছে, প্রতিটি আয়াতকে পৃথক করে অর্থের দিকে মনোনিবেশ করে পাঠ করাই হচ্ছে এ তারতীলের উদ্দেশ্য। [তাফসীরে সীরাজুম মুনীর- ৩/১৩।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন