hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মন দিয়ে নামায পড়ার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৬৫
সূরা কাফিরূন
ফযীলত : এ সূরাটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা। এর বিশেষ কিছু ফযীলত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে :

১। রাসূলুল্লাহ ﷺ ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাতে এবং মাগরিবের দু’রাক‘আত সুন্নাতে সূরা কাফিরূন এবং সূরা ইখলাস পড়তেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১৭২৩; আবু দাউদ, হা/১২৫৮।]

২। হাদীসে এসেছে, সূরা কাফিরূন কুরআনের এক চতুর্থাংশের মর্যাদা রাখে। [তিরমিযী, হা/২৮৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৫১০; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/২০৭৮।]

শানে নুযূল : নবী ﷺ যখন ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করলেন, তখন মক্কার কাফির ও মুশরিকরা তাকে এ কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য নানা ধরনের প্রস্তাব নিয়ে তাঁর কাছে উপস্থিত হতো।

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কুরাইশরা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলল, আমরা আপনাকে এত বেশি পরিমাণ ধনসম্পদ দেব যার ফলে আপনি মক্কার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে যাবেন। যে মেয়েটিকে আপনি পছন্দ করবেন তার সাথে আপনার বিয়ে দিয়ে দেব। আমরা আপনাকে নেতা বানিয়ে আপনার পেছনে চলতে প্রস্তুত। আপনি শুধু আমাদের একটি কথা মেনে নেবেন, তা হচ্ছে আমাদের উপাস্যদের নিন্দা করা থেকে বিরত থাকবেন। এ প্রস্তাবটি আপনার পছন্দ না হলে আমরা আরেকটি প্রস্তাব পেশ করছি। এ প্রস্তাবে আপনারও লাভ এবং আমাদেরও লাভ। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, সেটি কী? তারা বলল, একবছর আপনি আমাদের উপাস্যদের ইবাদাত করবেন এবং একবছর আমরা আপনার উপাস্যের ইবাদাত করব। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, থামো! আমি দেখি আমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কী হুকুম আসে। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ সূরাটি নাযিল করেন এবং তাদের প্রস্তাব নাকচ করে দেন। [আসবাবুন নুযুল, আবুল হাসান, ১/৪৫৮।]

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ قُلْ يَاۤ اَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ لَاۤ اَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ وَلَاۤ اَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ وَلَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ وَلَاۤ اَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম- (১) কুল্ ইয়া আইয়ুহাল কা-ফিরূন, (২) লা- আ‘বুদু মা- তা‘বুদূন, (৩) ওয়ালা আন্তুম ‘আবিদূনা মা আ‘বুদ, (৪) ওয়ালা আনা ‘আবিদুমমা ‘আবাত্তুম, (৫) ওয়ালা আনতুম ‘আবিদূনা মা আ‘বুদ, (৬) লাকুম দ্বী-নুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন।

শাব্দিক অর্থ : قُلْ (হে নবী!) তুমি বলে দাও, يَاۤ اَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ হে কাফিররা! لَاۤ اَعْبُدُ আমি তাদের ইবাদাত করি না مَا تَعْبُدُوْنَ তোমরা যাদের ইবাদাত কর। وَلَاۤ اَنْتُمْ عَابِدُوْنَ আর তোমরা তার ইবাদাতকারী নও مَاۤ اَعْبُدُ যার ইবাদাত আমি করি। وَلَاۤ اَنَا عَابِدٌ এবং আমিও তাদের ইবাদাতকারী নই - مَّا عَبَدْتُمْ যাদের ইবাদাত তোমরা কর। وَلَاۤ اَنْتُمْ عَابِدُوْنَ আর তোমরা তার ইবাদাতকারী নও مَاۤ اَعْبُدُ যার ইবাদাত আমি করি। لَكُمْ دِيْنُكُمْ তোমাদের পথ তোমাদের জন্য - وَلِيَ دِيْنِ আর আমার পথ আমার জন্য।

অর্থ : পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। ১. (হে নবী!) তুমি বলে দাও, হে কাফিররা! ২. আমি তাদের ইবাদাত করি না তোমরা যাদের ইবাদাত কর। ৩. আর তোমরা তার ইবাদাতকারী নও যার ইবাদাত আমি করি। ৪. এবং আমিও তাদের ইবাদাতকারী নই- যাদের ইবাদাত তোমরা কর। ৫. আর তোমরা তার ইবাদাতকারী নও আমি যার ইবাদাত করি। ৬. (এ দ্বীনের মধ্যে কোন মিশ্রণ সম্ভব নয়, অতএব) তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য- আর আমার দ্বীন আমার জন্য।

সূরার শিক্ষা ও মূল বিষয় : এ সূরায় এ কথাই বলা হয়েছে যে, ইসলাম ও কুফর এবং শির্ক ও তাওহীদ কোন দিনই এক সঙ্গে চলতে পারে না। একটি অপরটির বিপরীত। তাওহীদের মূল দাবি হলো শির্কের নিন্দা করা। যে আল্লাহর ইবাদাত করতে চায় সে অন্য কারো ইবাদাত করতে পারবে না। মুসলিমদেরকে চলতে হবে আল্লাহর দেয়া বিধানের উপর। আর অমুসলিম ও মুশরিকরা চলে তাদের মনগড়া মতবাদের উপর।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন