hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মন দিয়ে নামায পড়ার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪০
রুকূ করা
কিরাআত পড়া শেষ হলে ‘আল্লা-হু আকবার’ বলে রুকূতে যেতে হবে। কোমর, পিঠ ও মাথা বরাবর থাকবে এবং হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁক করে হাঁটু ধরতে হবে। তারপর রুকূতে গিয়ে কিছু সময় থামতে হবে। মাথা একটু ঝুঁকানোর পরেই তাড়াতাড়ি সোজা হয়ে গেলে রুকূর হক আদায় হবে না।

আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর হলো সে ব্যক্তি, যে নামাযের মধ্যে চুরি করে। সাহাবীরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! নামাযের মধ্যে আবার চুরি হয় কীভাবে? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যে নামাযের রুকূ এবং সিজদা পরিপূর্ণভাবে করে না সে নামাযের মধ্যে চুরি করে। [মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৬৬০; মু‘জামুস সগীর, হা/৩৩৫; জামেউস সগীর, হা/৯৬৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫২৫।]

অপর হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সেই নামায আদায়কারীর নামায যথেষ্ট নয়, যে রুকূ ও সিজদা হতে পিঠ সোজা করে না। [আবু দাউদ, হা/৮৫৫; তিরমিযী, হা/২৬৫; ইবনে মাজাহ, হা/৮৭০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১১৪; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৮১৮২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫২২; জামেউস সগীর, হা/১৩১৮০; মিশকাত, হা/৮৭৮।]

কারো সামনে মাথা নত করার অর্থ হলো নিজেকে ছোট মনে করে তাকে সম্মানিত করা। পৃথিবীর রাজা-বাদশাহদেরকে সম্মান দেয়ার জন্য তাদের প্রজারা মাথা নত করে থাকে। কিন্তু মুসলিমরা একমাত্র আল্লাহর সামনে মাথা নত করে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে মাথা নত করে সম্মান দেয়া ইসলামে জায়েয নেই। রুকূর মূল বিষয় হচ্ছে আল্লাহকে সম্মান দেয়া।

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা রুকূর মধ্যে আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো এবং সিজদার মধ্যে অধিক হারে দু‘আয় মনোনিবেশ করো। আশা করা যায় তোমাদের দু‘আ কবুল হবে। [সহীহ মুসলিম, হা/১১০২; আবু দাউদ, হা/৮৭৬; নাসাঈ, হা/১০৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯০০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৫৪৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬০৪৫; দারেমী, হা/১৩৬৪; জমেউস সগীর, হা/৪৫১২; মিশকাত, হা/৮৭৩।]

আমরা রুকূ দিয়ে এটা প্রকাশ করি যে, হে আল্লাহ! আমি আপনার এক নগণ্য বান্দা। আপনি হলেন মহান। তাই আমি এতক্ষণ আপনার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, এখন দাসত্বের আরো এক ধাপ এগিয়ে আমার মাথাকে আপনার সামনে নত করে দিলাম। তাসবীহ পড়ে মুখের দ্বারাও এ স্বীকৃতি দিচ্ছি।

উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন কুরআনের এ আয়াত নাযিল হয় ﴿فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيْمِ﴾ অর্থাৎ আপনার মহান প্রভুর নামে তাসবীহ পাঠ করুন। [সূরা ওয়াকিয়া- ৯৬।] তখন নবী ﷺ বললেন, এ তাসবীহটাকে তোমরা রুকূর তাসবীহ বানিয়ে নাও। অতঃপর যখন নাযিল হয় ﴿سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْاَعْلٰى﴾ অর্থাৎ আপনার সুউচ্চ মর্যাদাবান প্রতিপালকের নামে তাসবীহ পাঠ করুন। তখন নবী ﷺ বললেন, এ তাসবীহটাকে তোমরা সিজদার তাসবীহ বানিয়ে নাও। [আবু দাউদ, হা/৮৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৮৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৫০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬০০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮৯৮; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৮১৮;মিশকাত, হা/৮৭৯।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন