hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মন দিয়ে নামায পড়ার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

নামায আদায় না করার পরিণাম
১. নামায ছেড়ে দেয়া কুফরী কাজ :

যে ব্যক্তি নামায আদায় করে না সে যদি নামাযকে অস্বীকারপূর্বক এমনটি করে থাকে তাহলে সে সর্বসম্মতিক্রমে কাফির হয়ে যাবে। এতে কারো দ্বিমত নেই। আর নামায ফরয হওয়াকে স্বীকৃতি দানের পর যদি কেউ নামায আদায় না করে তাহলেও সে আমলগতভাবে কুফরী কাজ করে। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে বলেন,

﴿فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوْا سَبِيْلَهُمْ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ﴾

যদি তারা তওবা করে, নামায আদায় করে এবং যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা তওবা- ৫)

﴿فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ فَاِخْوَانُكُمْ فِى الدِّيْنِ﴾

যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে এবং যাকাত দেয়, তবে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই। (সূরা তওবা- ১১)

এ দুটি আয়াতে নামায কায়েম এবং যাকাত আদায় করাকে নিরাপত্তা এবং ইসলামী ভ্রাতৃত্বের মানদন্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই যে ব্যক্তি নামায আদায় করে না সে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।

কুফর ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্যকারী বিষয় হচ্ছে নামায :

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্যের মাপকাঠি হলো নামায আদায় না করা। [সহীহ মুসলিম, হা/২৫৬; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৭৩০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৩।]

অর্থাৎ নামায ত্যাগ করলে তার কুফরীতে লিপ্ত হওয়ার আর বিলম্ব থাকে না। নামায হলো তার ঈমানের জন্য প্রাচীরস্বরূপ।

বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা বৃষ্টির দিনে নামাযে তৎপর থাকো। কেননা যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামায ত্যাগ করল সে কুফরী করল। [সহীহ ইবনে হিববান হা/১৪৬৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৮।]

বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাদের ও তাদের (মুনাফিকদের) মধ্যে যে অঙ্গীকার রয়েছে তা হলো নামায। সুতরাং যে নামায ত্যাগ করল, সে কুফরী করল। [তিরমিযী, হা/২৬২১; নাসাঈ, হা/৪৬৩; ইবনে মাজাহ, হা/১০৭৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৯৮৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৫৪; দার কুতনী, হা/১৭৫১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৬৪; মিশকাত, হা/৫৭৪।]

২. সাহাবীরা নামায ত্যাগ করাকে কুফরী মনে করতেন :

আবদুল্লাহ ইবনে শাক্বীক্ব আল উক্বাইলী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথিগণ নামায ত্যাগ করা ব্যতীত অন্য কিছুকে কুফরী মনে করতেন না। [তিরমিযী, হা/২৬২২; মিশকাত, হা/৫৭৯; রিয়াযুস সালিহীন, হা/৪৭০; জামেউল উসূল ফিল আহাদীস, হা/৩২৬৫।]

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ ، قَالَ : لَا إِيْمَانَ لِمَنْ لَا صَلَاةَ لَهٗ

আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যার নামায নেই তার ঈমান নেই। [সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫৭৫।]

অর্থাৎ যে ব্যক্তি নামায আদায় করে না, তার নিজেকে মুমিন বলে দাবি করা শোভা পায় না।

৩. নামায ত্যাগকারীর মুক্তি পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই :

উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করে দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি উত্তমভাবে অযু করবে, সময়মতো নামায আদায় করবে, নামাযের রুকূসমূহ পূর্ণ করবে এবং তাতে বিনয় ও নম্রতা বজায় রাখবে আল্লাহ তা‘আলা তার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি এমনটি করবে না তার ব্যাপারে আল্লাহর পক্ষ হতে কোন প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি তাকে ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিতে পারেন, আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন। [আবু দাউদ, হা/৪২৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৭৫৬; মু‘জামুল আওসাত, হা/৯৩১৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৪০০; মিশকাত, হা/৫৭০।]

৪. কিয়ামতের দিন বে-নামাযীকে কঠিন দুর্ভোগ পোহাতে হবে :

﴿وَاِذَا قِيْلَ لَهُمُ ارْكَعُوْا لَا يَرْكَعُوْنَ - وَيْلٌ يَّوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِيْنَ﴾

আর তাদেরকে যখন বলা হয়, তোমরা আল্লাহর সামনে নত হও। অর্থাৎ নামায আদায় করো, তখন তারা মাথা নত করে না। কিয়ামতের দিন এ সকল মিথ্যুকদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ। (সূরা মুরসালাত- ৪৮, ৪৯)

৫. কিয়ামতের দিন বে-নামাযীর নূর ও নাজাতের দলীল থাকবে না :

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ নামায আদায় করা সম্পর্কে আলোচনা করলেন এবং বললেন, যে ব্যক্তি নামাযের হেফাযত করবে এটা তার জন্য নূর ও দলীল হবে। আর কিয়ামতের দিন তার জন্য নাজাতের অসীলা হবে। আর যে ব্যক্তি নামাযের হেফাযত করবে না অর্থাৎ নামায আদায় করবে না তার জন্য কোন নূর ও দলীল থাকবে না এবং তার জন্য কোন নাজাতের উপায়ও থাকবে না। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৫৭৬; দারেমী, হা/২৭৬৩; শু‘আবুল ঈমান, হা/২৫৬৫।]

৬. নামায ত্যাগকারীর হাশর হবে বড় বড় কাফিরদের সাথে :

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, বে-নামাযী কিয়ামতের দিন কারুন, হামান, ফিরাউন এবং উবাই ইবনে খালফের সাথে থাকবে। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৬৭... ঐ।]

উল্লেখিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, নামায ত্যাগকারীর হাশর হবে ফিরাউন, হামান এবং উবাই ইবনে খালফ- এদের সাথে। আর এ কথা স্পষ্ট যে, এসব ব্যক্তি বড় বড় কাফির ছিল। এমনকি এরা কাফির মুশরিকদের নেতা ছিল।

৭. নামায ত্যাগকারীরা জাহান্নামে যাবে :

﴿فِيْ جَنَّاتٍ يَّتَسَآءَلُوْنَ - عَنِ الْمُجْرِمِيْنَ - مَا سَلَكَكُمْ فِيْ سَقَرَ - قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّيْنَ﴾

আল্লাহর নেক বান্দারা যখন জান্নাতে চলে যাবেন, তখন জাহান্নামীদের সম্পর্কে তারা কথাবার্তা বলবেন। জান্নাতীরা অপরাধীদেরকে জিজ্ঞেস করবেন কোন্ জিনিস তোমাদেরকে এ ভয়ানক জাহান্নামে পৌঁছাল? জাহান্নামীরা উত্তর দেবে, আমরা দুনিয়াতে নামায আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।

(সূরা মুদ্দাস্সির : ৪০-৪৩)

পবিত্র কুরআনের এ আয়াতে নামায না পড়াকে জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে যে, নামায ছাড়ার কারণে মানুষকে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে।

উল্লেখ্য যে, জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীদের মধ্যে অনেক দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও কোন যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া পরস্পরকে দেখতে পারবে এবং কথা বলতে পারবে। উপরোক্ত আয়াত ছাড়াও সূরা আরাফের ৪৪-৫০ এবং সূরা আস্সাফ্ফাত এর ৫০-৫৭ আয়াতেও বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন