hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মন দিয়ে নামায পড়ার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৮
আযানের মর্ম অনুধাবন করা
প্রথমে লক্ষ্য করুন আযানের দিকে। যখন নামাযের সময় হয়, তখন প্রত্যেক মসজিদে মুয়াজ্জিন কী কথাগুলো উচ্চারণ করেন? বিশ্বজাহানের পালনকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়- ‘আল্লাহু আকবার’ ‘আল্লাহু আকবার’ (আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়)। আল্লাহ যখন বড় তখন তার তাওহীদের ঘোষণা দেয়া হয় এভাবে- ‘আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ (আমি সাক্ষ্য দিচিছ যে, আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই)। তারপর নবী ﷺ এর রিসালাতের ঘোষণা দেয়া হয়- ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর রাসূল)। তারপর কত সুন্দরভাবে মানুষকে নামাযের দিকে ডাকা হয়! ‘হাইয়া আলাস সালাহ্’ (নামাযের দিকে আসো)। তারপর মানুষকে সফলতার দিকে আহবান করা হয়- ‘হাইয়া ‘আলাল ফালাহ’ (কল্যাণের দিকে আসো)। সবশেষে আবার আল্লাহর বড়ত্বের ঘোষণা দিয়ে এ আহবান শেষ করা হয়।

প্রত্যেক মানুষ জীবনে সফলতা চায়। আর এ সফলতা অর্জনের জন্যই সারাজীবন সাধনা করে। এ আহবানের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, ‘সফলতার দিকে আসো’। এজন্য যাদের ঈমান আছে এবং যারা প্রকৃত সফলতা লাভ করতে চায়, তারা এ ডাক শুনে আর থেমে থাকতে পারে না। অফিসার অফিসে থাকতে পারে না, দোকানদার দোকানে বসে থাকতে পারে না, কাজের লোক আর কাজ করতে পারে না। পুরুষেরা ছুটে চলে মসজিদের পানে, আর মহিলারা চলে যায় নামাযের স্বস্থানে। কারণ তারা জানে যে, এখন আল্লাহর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আল্লাহ সবচেয়ে বড়’ তাঁর সামনে গিয়ে আমাকে হাজিরা দিতে হবে। আমি যদি এখন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকি, তবে আমার কাজকে বড় বানিয়ে নিলাম, এটা কোন মুমিনের কাজ হতে পারে না।

আযানের জবাব দেয়া ও দু‘আ পড়ার ফযীলত :

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে ছিলাম। এমন সময় নামাযের ওয়াক্ত হলে বিলাল (রাঃ) দাঁড়িয়ে আযান দিলেন। আযান শেষে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সাথে আযানের শব্দগুলো বলবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [নাসাঈ, হা/৬৮২; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭৩৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৬০৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৬৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৪৬; মিশকাত, হা/৬৭৬।]

উল্লেখ্য যে, ‘হাইয়া ‘আলাস সালাহ্’ এবং ‘হাইয়া ‘আলাল ফালাহ্’ এর স্থলে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্’- বলতে হয়। [নাসাঈ, হা/৬৭৪; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭৩৫।]

আযান শোনার পর দরূদ ও দু‘আ পড়ার ফযীলত :

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী ﷺ কে বলতে শুনেছেন, তোমরা যখন মুয়াজ্জিনকে আযান দিতে শুন, তখন সে যা বলে তোমরা তাই বলো। অতঃপর আমার উপর দরূদ পাঠ করো। কেননা, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তা‘আলা এর বিনিময়ে তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন। অতঃপর আমার জন্য আল্লাহর কাছে অসীলা প্রার্থনা করো। কেননা, অসীলা জান্নাতের একটি সম্মানজনক স্থান। এটা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একজনকেই দেয়া হবে। আশা করি, আমিই হব সে বান্দা। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আমার জন্য অসীলা প্রার্থনা করবে, তার জন্য (আমার) শাফা‘আত ওয়াজিব হয়ে যাবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৮৭৫; আবু দাউদ, হা/৫২৩; তিরমিযী, হা/৩৬১৪; নাসাঈ, হা/৬৭৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৪১৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৯০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩২৬৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৫০; মিশকাত, হা/৬৫৭।]

আযান শোনার পর দু‘আ :

১. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শোনার পর নিচের দু‘আ পড়বে, তার জন্য শাফা‘আত করা আমার উপর ওয়াজিব হয়ে যাবে :

اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ اٰتِ مُحَمَّدَنِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَنِ الَّذِيْ وَعَدْتَّهٗ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা রাববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্তা-ম্মাহ, ওয়াসসালা-তিল ক্বা-ইমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়ালফাযীলাহ, ওয়াব‘আছ্হু মাক্বা-মাম্ মাহমূদা নিল্লাযী ওয়া‘আত্তাহ্।

শাব্দিক অর্থ : اَللّٰهُمَّ হে আল্লাহ! رَبَّ তুমিই রব هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ এই পরিপূর্ণ আহবানের وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের। اٰتِ مُحَمَّدَنِ মুহাম্মাদ ﷺ কে দান করো اَلْوَسِيْلَةَ অসীলা নামক স্থান وَالْفَضِيْلَةَ এবং মর্যাদা। وَابْعَثْهُ আর তাকে অধিষ্ঠিত করো مَقَامًا مَّحْمُوْدًا সেই প্রশংসিত স্থানে اَلَّذِيْ وَعَدْتَّهٗ যার ওয়াদা তুমি তাকে দিয়েছ।

অর্থ : হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত নামাযের তুমিই রব। মুহাম্মাদ ﷺ কে দান করো অসীলা নামক স্থান ও মর্যাদা। আর তাকে অধিষ্ঠিত কর সেই প্রশংসিত স্থানে যার ওয়াদা তুমি তাকে দিয়েছ। [সহীহ বুখারী, হা/৬১৪; আবু দাউদ, হা/৫২৯; তিরমিযী, হা/২১১; ইবনে মাজাহ, হা/৭২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৫৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৫৩; মিশকাত, হা/৬৫৯।]

২. সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শুনার পর নিচের দু‘আটি পাঠ করবে তার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِمُحَمَّدٍ رَسُوْلًا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا

উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়ারাসূলুহ, রাযীতু বিল্লা-হি রাববাও ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসূলাও ওয়া বিল ইসলা-মি দ্বীনা।

শাব্দিক অর্থ : أَشْهَدُ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, أَنْ لَّا إِلٰهَ কোন মাবুদ নেই إِلَّا اللهُ আল্লাহ ব্যতীত وَحْدَهٗ তিনি একক, لَا شَرِيْكَ لَهٗ তাঁর কোন শরীক নেই وَأَنَّ مُحَمَّدًا এবং মুহাম্মাদ ﷺ عَبْدُهٗ তাঁর বান্দা وَرَسُوْلُهٗ এবং তাঁর রাসূল। رَضِيْتُ আমি সন্তুষ্ট হয়েছি بِاللهِ رَبًّا আল্লাহকে রব হিসেবে, وَّبِمُحَمَّدٍ رَسُوْلًا মুহাম্মাদ ﷺ কে রাসূল হিসেবে وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে।

অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আমি আল্লাহকে রব, মুহাম্মাদ ﷺ কে রাসূল এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। [সহীহ মুসলিম, হা/৮৭৭; আবু দাউদ, হা/৫২৫; তিরমিযী, হা/২১০।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন