hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মন দিয়ে নামায পড়ার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

কুরআনের আলোকে নামাযের গুরুত্ব ও উপকারিতা
নামায সর্বকালীন ইবাদাত :

নামায এবং যাকাত সকল নবীর যুগে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত হিসেবে স্বীকৃত ছিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَاَوْحَيْنَاۤ اِلَيْهِمْ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَاِقَامَ الصَّلَاةِ وَاِيْتَآءَ الزَّكَاةِ ﴾

আমি ওহীর মাধ্যমে সকল নবীদেরকে ভালো কাজ করার, নামায কায়েম করার ও যাকাত আদায় করার আদেশ করেছি। (সূরা আম্বিয়া- ৭৩)

ইসমাঈল (আঃ) তাঁর পরিবারকে নামাযের দাওয়াত দিতেন :

﴿وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ اِسْمَاعِيْلَ اِنَّهٗ كَانَ صَادِقَ الْوَعْدِ وَكَانَ رَسُوْلًا نَّبِيًّا - وَكَانَ يَأْمُرُ اَهْلَهٗ بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ وَكَانَ عِنْدَ رَبِّهٖ مَرْضِيًّا﴾

স্মরণ করো, এ কিতাবে ইসমাঈলের কথা! তিনি ছিলেন প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যবাদী এবং তিনি ছিলেন রাসূল ও নবী। তিনি তার পরিবার-পরিজনকে নামায ও যাকাতের নির্দেশ দিতেন; আর তিনি ছিলেন তার প্রতিপালকের প্রতি সন্তুষ্ট। (সূরা মারইয়াম- ৫৪, ৫৫)

মূসা (আঃ) কে নামাযের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল :

﴿وَاَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوْحٰى - اِنَّنِيْۤ اَنَا اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعْبُدْنِيْ وَاَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِيْ﴾

আমি তোমাকে মনোনীত করেছি। অতএব যে ওহী তোমার নিকট প্রেরণ করা হচ্ছে তুমি তা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করো। আমিই আল্লাহ, আমি ব্যতীত কোন সত্যিকার ইলাহ্ নেই। অতএব আমারই ইবাদাত করো এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম করো। (সূরা ত্বা-হা- ১৩, ১৪)

লুকমান (আঃ) তাঁর ছেলেকে নামাযের অসীয়ত করেছিলেন :

﴿يَا بُنَيَّ اَقِمِ الصَّلَاةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوْفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَاصْبِرْ عَلٰى مَاۤ اَصَابَكَ اِنَّ ذٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ﴾

হে আমার ছেলে! নামায কায়েম করো, সৎ কাজের আদেশ দাও, মন্দ কাজে বাধা দাও এবং তোমার উপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্যধারণ করো। নিশ্চয় এটা দৃঢ় সংকল্পের কাজ। (সূরা লুকমান- ১৭)

মারইয়াম (আঃ) কেও নামাযের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল :

﴿يَا مَرْيَمُ اقْنُتِيْ لِرَبِّكِ وَاسْجُدِيْ وَارْكَعِيْ مَعَ الرَّاكِعِيْنَ﴾

হে মারইয়াম! তুমি তোমার রবের অনুগত হও, আমাকে সিজদা করো এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ করো। (সূরা আলে ইমরান- ৪৩)

ঈসা (আঃ) সারা জীবন নামাযের জন্য আদিষ্ট হয়েছিলেন :

﴿قَالَ اِنِّيْ عَبْدُ اللهِ اٰتَانِيَ الْكِتَابَ وَجَعَلَنِيْ نَبِيًّا- وَّجَعَلَنِيْ مُبَارَكًا اَيْنَ مَا كُنْتُ وَاَوْصَانِيْ بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ مَا دُمْتُ حَيًّا﴾

ঈসা বললেন, আমি আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী বানিয়েছেন। আমি যেখানেই থাকিনা কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। আর যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন তিনি আমাকে নামায ও যাকাতের নির্দেশ দিয়েছেন। (সূরা মারইয়াম- ৩১)

বনী ইসরাঈল ও আহলে কিতাবের প্রতিও নামাযের নির্দেশ ছিল :

﴿وَاِذْ اَخَذْنَا مِيْثَاقَ بَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ لَا تَعْبُدُوْنَ اِلَّا اللهَ وَبِالْوَالِدَيْنِ اِحْسَانًا وَّذِي الْقُرْبٰى وَالْيَتَامٰى وَالْمَسَاكِيْنِ وَقُوْلُوْا لِلنَّاسِ حُسْنًا وَّاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَاٰتُوا الزَّكَاةَ ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ اِلَّا قَلِيْلًا مِّنْكُمْ وَاَنْتُمْ مُّعْرِضُوْنَ﴾

আর যখন আমি বনী ইসরাঈল হতে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কারো ইবাদাত করবে না। পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে, ইয়াতীম ও মিসকীনদের সঙ্গেও (সদ্ব্যবহার করবে), আর তোমরা মানুষের সাথে উত্তমভাবে কথা বলবে এবং নামায কায়েম করবে ও যাকাত প্রদান করবে; তারপরও তোমাদের মধ্য হতে অল্প সংখ্যক ব্যতীত তোমরা সকলেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলে আর তোমরা ছিলে বিমুখ। (সূরা বাকারা- ৮৩)

মুহাম্মাদ ﷺ ও তাঁর উম্মতের উপরও নামাযের বিধান দেয়া হয়েছে :

﴿وَاَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِ اِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذٰلِكَ ذِكْرٰى لِلذَّاكِرِيْنَ﴾

দিনের দু’প্রান্তে এবং রাতের প্রথমাংশে নামায কায়েম করো। অবশ্যই সৎকর্ম পাপকর্মকে মিটিয়ে দেয়। এটা উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।

(সূরা হূদ- ১১৪)

মহিলাদেরকেও পৃথকভাবে নামাযের নির্দেশ দেয়া হয়েছে :

﴿وَقَرْنَ فِيْ بُيُوْتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْاُوْلٰى وَاَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَاٰتِيْنَ الزَّكَاةَ وَاَطِعْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ﴾

আর তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থান করবে এবং পূর্বের অন্ধকার যুগের ন্যায় নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না; তোমরা নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ পালন করবে। (সূরা আহযাব- ৩৩)

উপরের এসব কুরআনিক তত্ত্বের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে যে, নামায সর্বযুগে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইবাদাত ছিল।

সত্যিকার মুমিনের পরিচয় হলো নামায কায়েম করা :

﴿اَلَّذِيْنَ يُقِيْمُوْنَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ -‐ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُوْنَ حَقًّا لَّهُمْ دَرَجَاتٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَّرِزْقٌ كَرِيْمٌ﴾

যারা নামায কায়েম করে এবং আল্লাহর দেয়া রিযিক হতে কিছু অংশ (আল্লাহর পথে) খরচ করে, তারাই সত্যিকার ঈমানদার। তাদের রবের নিকট তাদের জন্য অনেক মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক রিযিকের ব্যবস্থা রয়েছে।

(সূরা আনফাল- ৩, ৪)

নামায ও ঈমানের সম্পর্ক একেবারে কাছাকাছি :

﴿فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلّٰى - وَلٰكِنْ كَذَّبَ وَتَوَلّٰى﴾

সে (জাহান্নামী) লোকটি বিশ্বাস করেনি এবং নামাযও আদায় করেনি; বরং সে অস্বীকার করেছে এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। (সূরা কিয়ামাহ- ৩১, ৩২)

মহান আল্লাহর এ বাণীর মধ্যে ‘‘সে বিশ্বাস করেনি এবং নামাযও আদায় করেনি’’ কথাটি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এ থেকে স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে যে, কোন ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার পর তার প্রাথমিক জরুরি কাজ হলো- নামায আদায় করা। ইসলামের অন্যান্য ফরয কাজ যেমন যাকাত, হজ্জ ও রোযা ইত্যাদি বছরে একবার পালন করতে হয়; কিন্তু নামায প্রতিদিন পাঁচবার আদায় করতে হয়। ঈমান আনার পর কিছু সময় যেতে না যেতেই নামাযের সময় এসে যায়। তখনই যাচাই হয়ে যায় ব্যক্তির ঈমান আনা সত্য কি না। যদি সে নামায আদায় করে তাহলে বুঝা যাবে যে, সে সত্যিই ঈমান এনেছে। আর যদি নামায আদায় না করে, তাহলে প্রমাণিত হবে সে কেবল মুখে কালিমা পড়েছে, মনে-প্রাণে পড়েনি এবং পূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করেনি। সুতরাং মুমিনকে অবশ্যই নামায আদায়কারী হতে হবে।

নামায আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায় :

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اسْتَعِيْنُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ اِنَّ اللهَ مَعَ الصَّابِرِيْنَ﴾

হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন। (সূরা বাকারা- ১৫৩)

সকল কাজেই আমরা আল্লাহর সাহায্যের মুখাপেক্ষী। আর সে সাহায্য লাভের মাধ্যম হলো ধৈর্য ও নামায।

হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ এর অভ্যাস ছিল- তিনি যখনই কোন সমস্যায় পড়তেন তখনই নামাযে দাঁড়িয়ে যেতেন। [আবু দাঊদ, হা/১৩২১; শু‘আবুল ঈমান, হা/২৯১৩; জামেউস সগীর, হা/৮৮৩২; মিশকাত, হা/১৩২৫।]

নামাযের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি লাভ হয় :

﴿وَلَقَدْ نَعْلَمُ اَنَّكَ يَضِيْقُ صَدْرُكَ بِمَا يَقُوْلُوْنَ - فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَكُنْ مِّنَ السَّاجِدِيْنَ﴾

(হে নবী!) আমি অবশ্যই জানি যে, তারা (তোমার বিরোধীরা) যা বলছে, তাতে তোমার মন সংকীর্ণ হয়ে যায়। অতএব তুমি প্রশংসার সাথে তোমার রবের তাসবীহ পাঠ করো এবং সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। (সূরা হিজর- ৯৭, ৯৮)

আমাদের নবী মুহাম্মাদ ﷺ যখন ইসলামের দাওয়াত দিতেন, তখন বিরোধীরা তাঁকে নানা ধরনের কষ্ট দিত। তাঁকে নিয়ে নানা ধরনের বিদ্রূপ করত, আজে-বাজে কথা বলত। এতে নবী ﷺ মানসিক অশান্তিতে ভোগতেন। এমন অবস্থায় আল্লাহ তা‘আলা নবী ﷺ কে প্রশান্তি লাভের উপায় হিসেবে তাসবীহ পাঠ করার ও নামাযে মশগুল হওয়ার নির্দেশ দিলেন।

নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয় :

﴿كَلَّا لَا تُطِعْهُ وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ﴾

কখনো নয়! তুমি তার (কাফিরের) অনুসরণ করো না। তুমি সিজদা করো এবং (আল্লাহর) নৈকট্য অর্জন করো। (সূরা আলাক- ১৯)

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয় যখন সে সিজদার মধ্যে থাকে। অতএব তোমরা বেশি বেশি দু‘আ করো। [সহীহ মুসলিম, হা/১১১১; আবু দাউদ, হা/৮৭৫; নাসাঈ, হা/১১৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৪৪২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৯২৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৮৭; মিশকাত, হা/৮৯৪।]

নামাযের মাধ্যমে রুযীতে বরকত হয় :

﴿وَأْمُرْ اَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْاَ لُكَ رِزْقًا نَّحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوٰى﴾

আর তুমি তোমার পরিবার-পরিজনকে নামাযের নির্দেশ দাও এবং তুমি নিজেও এর উপর অবিচল থাকো। আমি তোমার কাছে রিযিক চাই না, রিযিক আমিই দেব। শুভ পরিণাম মুত্তাকীদের জন্য। (সূরা ত্বা-হা- ১৩২)

এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নবী ﷺ কে কেন্দ্র করে তাঁর বান্দাদেরকে ইবাদাতের দিকে উৎসাহিত করেছেন। আর বান্দা যখন নামায ও ইবাদাতে আত্মনিয়োগ করে, তখন তার রুযী-রোযগারের ব্যবস্থা আল্লাহ তা‘আলা সহজ করে দেন।

নামায শরীয়তের অন্যান্য হুকুম পালনে সাহায্য করে :

সূরা মু’মিনূন এর শুরুতে আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের বেশ কয়েকটি গুণাবলি উল্লেখ করেছেন। এতে শুরুতেই এসেছে নামাযের কথা আবার শেষেও বলা হয়েছে নামাযের কথা। সূরা মা‘আরিজের ২২-৩৪ আয়াত পর্যন্ত একই ধারা লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে অতি সহজেই এটা বুঝা যাচ্ছে যে, বান্দা যদি সঠিকভাবে নামায কায়েম করতে পারে, তাহলে ইসলামের অন্যান্য বিধান পালন করা তার জন্য সহজ হয়ে যাবে।

নামায মানুষকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে :

﴿اُتْلُ مَاۤ اُوْحِيَ اِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَاَقِمِ الصَّلَاةَ اِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ﴾

ওহীর মাধ্যমে তোমার কাছে যে কিতাব পাঠানো হয়েছে, তা পাঠ করো এবং নামায কায়েম করো। নিশ্চয় নামায মানুষকে অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে দূরে রাখে। (সূরা আনকাবূত- ৪৫)

নিয়মিত সুন্দরভাবে নামায আদায় করলে শরীর ও মন পবিত্র থাকে, তখন ভালো কাজের দিকে মন আকৃষ্ট হয় এবং খারাপ কাজের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়। নামাযের চাহিদাও এটাই। আর নামায আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার লক্ষণ হলো পাপ কাজ থেকে দূরে থাকা। সুতরাং যদি কেউ জানতে চায় যে, তার নামায আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে কি না, তাহলে তার লক্ষ্য করা উচিত যে, তার নামায তাকে কতটুকু পাপ কাজ থেকে দূরে রেখেছে। যদি দেখা যায় যে, সে নামাযের ফলে পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে সক্ষম হয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে তার নামায আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে।

নামায আদায়করীরাই ইহকাল ও পরকালে সফলতা লাভ করবে :

﴿قَدْ اَفْلَحَ مَنْ تَزَكّٰى - وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهٖ فَصَلّٰى﴾

নিশ্চয় সফলতা লাভ করেছে সে, যে নিজেকে পবিত্র করে নিয়েছে এবং তার মালিকের নাম স্মরণ করেছে অতঃপর নামায আদায় করেছে। (সূরা আলা- ১৪, ১৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন