মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আপনি যদি মুসলিম হওয়ার ব্যাপারে সত্যবাদী হতে চান এবং নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে চান তাহলে নামায পড়ুন।
আপনি যদি ভদ্র, চরিত্রবান ও নিয়মানুবর্তী হতে চান তাহলে নামায পড়ুন, নামায আপনাকে এসকল গুণাবলি অর্জনে সহায়তা করবে।
আপনার মাতা-পিতাকে যদি আপনি ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যদি আপনার দরদ থাকে তাহলে আপনি নামায পড়ুন। এতে তারা খুশি হবেন এবং তাদের ব্যাপারে আপনার দু‘আ আল্লাহর কাছে কবুল হবে।
আপনি যদি আপনার সন্তানদেরকে ভালোবাসেন, তাহলে আপনি নামায পড়ুন। এতে তারাও নামায আদায়কারী হবে। আপনি নিজেই যদি নামায না পড়েন তাহলে তারা শিখবে কীভাবে? দুনিয়ার অগ্নিকুন্ডে আপনার সন্তানকে ফেলে দিতে চান না, তাহলে জাহান্নামের আগুনে তাদেরকে কেন ফেলতে চান? নবী ﷺ বলেছেন, ‘‘সাত বৎসর হলেই সন্তানকে নামায শিখাও। আর দশ বৎসর হয়ে গেলে নামায না পড়লে তাদেরকে প্রহার করো।’’ [আবু দাঊদ, হা/৪৯৪; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২৩৪৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/৫০২; জামেউস সগীর, হা/১০৮০৬।]
স্বামী-স্ত্রী যদি পরস্পরকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসতে চান, তবে দু’জনেই নামায পড়ুন, এতে আপনাদের মধ্যে মায়া-মহববত আরো বেশি হবে। আপনাদের আনন্দ হবে পুতঃপবিত্র।
আপনি যদি দেশপ্রেমিক হতে চান, তাহলে নামায পড়ুন। কারণ নামায ছেড়ে দেয়া কবীরা গোনাহ। আর কবীরা গোনাহ করলে আল্লাহর গযব, বিপদ-আপদ নেমে আসে, এতে দেশ ও জাতি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আপনি যদি সত্যিই আল্লাহকে ভালোবাসেন, তাহলে নামায পড়ুন। কারণ যে যাকে ভালোবাসে, সে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে ও কথা বলতে পছন্দ করে। আর আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ার ও তার কাছে মুনাজাত করার সুবর্ণ সুযোগ ও মাধ্যম হলো নামায।
একদিন আপনাকে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে এবং সকল কাজকর্মের হিসাব দিতে হবে এ বিশ্বাস যদি আপনার থাকে, তাহলে কোনভাবেই নামায ছাড়বেন না। কারণ আল্লাহর আদালতে উপস্থিত হওয়ার পর সর্বপ্রথম প্রশ্ন করা হবে নামায পড়েছ কি না। এই জায়গায় পাস করলে সবখানেই পাস করতে পারবেন আর নামাযের প্রশ্নে ফেল করলে আর কোথাও পাস করার আশা নেই।
জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুনকে যদি আপনি ভয় করেন, তাহলে নামায আদায় করুন। কারণ আমরা সূর্যের প্রখর তাপটুকু সহ্য করতে পারি না। আর জাহান্নামের আগুন যা হবে দুনিয়ার আগুনের চেয়ে সত্তর গুণ বেশি শক্তিশালী, সে আগুন আমরা কীভাবে সহ্য করব।
আপনার নিজের প্রতি যদি দরদ ও মায়া থাকে, তাহলে নামায ছাড়বেন না। কারণ আমরা দুনিয়ায় নিজেদেরকে কোন হালকা শাস্তির সম্মুখীন করতে চাই না, তাহলে নামায না পড়ে নিজেদেরকে জাহান্নামের কঠিন শাস্তির দিকে ঠেলে দেব কেন?
শয়তান যেসকল ভুল ধারণা ও বিভ্রান্তিতে ফেলে মানুষকে নামায থেকে বিরত রাখে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
অনেকে বলে, শুধু নামাযটা পড়ি না তবে আমার ঈমান ঠিক আছে। দেখুন, এ ধারণাটা কুরআন ও হাদীসের সম্পূর্ণ বিপরীত। কুরআন-হাদীস বলেছে নামায আদায় করাটা ঈমানের পরিচয়, আর না পড়া কুফর ও মুনাফিকীর পরিচয়। এখন নামায ছাড়া ঈমান ঠিক থাকে কী করে?
কেউ কেউ এমন রয়েছে যারা বলে, নামাযের কী দরকার? অন্তর ঠিক থাকলে এবং পরের মাল না খেলেই চলবে। দেখুন, অন্যায়ভাবে পরের মাল খাওয়া একটি অপরাধ, আর নামায না পড়া আরেকটি অপরাধ। এখন আপনি একটি অপরাধ করলেন না, ভালো কথা। কিন্তু নামায না পড়লে যে আপনি অপরাধী হবেন না এ ধারণা সঠিক নয়। নামায পড়লেই আপনি নামায বর্জনের অপরাধ থেকে মুক্তি পাবেন, অন্যভাবে নয়।
অনেকের ধারণা, কোন পীরের কাছে মুরিদ হলেই চলবে। তিনিই জান্নাতে পৌঁছিয়ে দিবেন। দেখুন! কোন হক্কানী পীর তাঁর মুরিদকে বলবেন না যে, তোমার নামায পড়তে হবে না। কারণ সত্যিকার পীর হলেন তারা, যারা মানুষকে আল্লাহর বিধান পালনে উৎসাহিত করেন। তাছাড়া হাশরের দিন পীর সাহেব নিজেই নিজের মুক্তির জন্য ইয়া নাফসী, ইয়া নাফসী করতে থাকবেন। তিনি আপনাকে বাঁচাবেন কী করে? আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ কারও ব্যাপারে কোন কথাই বলতে পারবে না। তাই পীরের উপর ভরসা না করে নেক আমলের মাধ্যমে মুক্তির পথ তৈরি করুন, এটাই সঠিক পন্থা। নামায ছাড়লে কেউই বাঁচতে পারবে না।
কোন নামায আদায়কারী ব্যক্তি যদি গোনাহের কাজ করে, তবে এটা দেখে অনেকে বলে যে, নামায পড়ে কী লাভ হবে? অমুককে দেখি নামায পড়ে; অথচ সে এই এই খারাপ কাজ করছে। দেখুন! একজন যদি নামায পড়েও মন্দ কাজ করে তবে হতে পারে নামাযের বরকতে সে মন্দ কাজ ছেড়ে দিবে অথবা আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু যার নামায নেই তার ক্ষমা পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাছাড়া একজনের পাপের ফলে আরেকজন দায়ী হবে না। আপনি নামায না পড়লে সে হিসাব আপনাকেই দিতে হবে। আপনার কবরে আপনাকেই শোয়ানো হবে, অন্যকে নয়। তাই একজন ভুল পথে গেলে আমিও ভুল পথে যাব- এটা কি ঠিক হবে?
এমন অনেক লোক আছে যারা কিছু দিন নামায পড়ে, এরপর আবার নামায ছেড়ে দেয়, আর ভাবে কয়েকদিন নামায পড়ে তো কিছুই পেলাম না। দেখুন! এ দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র, বান্দা এখানে যা আমল করবে আখিরাতে এর ফল পাবে। দুনিয়াতে বাঁচতে হলে যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, আখিরাতে সুখ পেতে হলে তেমনই ঈমান ও আমলের প্রয়োজন। তাই দুনিয়াতে কিছু পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, আখিরাতের মুক্তির জন্য সর্বদা নামায পড়তে হবে।
অনেকে যৌবনকালে ইবাদাত করতে রাজী নন, তারা বৃদ্ধ বয়সকে ইবাদাতের জন্য বাছাই করেন। লক্ষ্য করুন! আপনি যেদিন থেকে বালেগ হয়েছেন সেদিন থেকেই ইসলামের বিধিবিধান পালন করা আপনার উপর ফরয হয়ে গেছে। আর যৌবনকালের ইবাদাত বেশি মর্যাদাপূর্ণ এবং আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দনীয়। দুনিয়ায় কারো চাকুরী ঠিক হয়ে গেলে সে তো বলে না যে, ‘আমি বৃদ্ধ হলে চাকুরী করব’ তাহলে আপনি আখিরাতের কাজকে কেন পিছিয়ে রাখবেন? তাছাড়া আপনিতো জানেন না, যে কোন মুহূর্তে মৃত্যুর ফেরেশতা এসে উপস্থিত হয়ে যেতে পারে।
নামায নষ্ট না করার জন্য আল্লাহ কতইনা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এজন্য যতক্ষণ পর্যন্ত কোন মানুষের হুশ-বুদ্ধি ঠিক আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে নামায পড়তেই হবে। বিশেষ কোন অসুবিধার কারণে নামায ছুটে গেলে কাযা পড়ে নেবেন। হঠাৎ ঘুমের মধ্যে নামাযের সময় চলে গেলে জাগ্রত হওয়ার পরেই তা পড়ে নিন, তাহলে আপনি এই গোনাহের শাস্তি থেকে বেঁচে যাবেন।
আপনি অসুস্থ, দাঁড়িয়ে নামায পড়তে পারছেন না, তখন আপনি বসে নামায পড়তে পারবেন। বসাও যদি আপনার জন্য কষ্টকর হয়, তবে শুয়ে নামায পড়তে পারবেন। যেভাবে সুবিধা হয় সেভাবেই নামায আদায়ের সুযোগ রয়েছে।
পরিধানের কাপড় পাক রাখবেন। প্রস্রাব-পায়খানার পর পানি বা ঢিলা অথবা টিসু যেটি আপনার হাতের কাছে পান ব্যবহার করুন, এতে কাপড় নাপাক হবে না। গোসল ফরয হওয়ার কোন কারণ না ঘটলে যতই কাজকর্ম করেন না কেন কেবল অযু করেই নামায পড়তে পারবেন।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এত সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও কেন আমরা নামায পড়ব না। আসলে ইসলামের বিধান পালন করা কঠিন কিছু নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না।
(সূরা বাকারা- ১৮৫)
আমরা আল্লাহর হুকুম পালন করি না বলেই তা কঠিন মনে হয়। তাই আসুন! আমরা সবাই মিলে ইসলামের বিধান মেনে চলি। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করি, এতে দুনিয়া ও আখিরাতে আমরা কল্যাণ লাভ করতে পারব, ইনশা-আল্লাহ। হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে আপনার দ্বীন মেনে চলার তাওফীক দান করুন। আমীন!
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/84/71
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।