মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, একাকী নামায আদায় করার চেয়ে জামাআতে নামায আদায় করার সওয়াব ২৭ গুণ বেশি। [সহীহ মুসলিম, হা/১৫১০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৬১০; ইবনে খুযায়মা, হা/১৪৭১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৬১৮।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, জামাআতে নামায আদায়ের ফযীলত একাকী নামায আদায়ের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি। আর রাত ও দিনের ফেরেশতাগণ ফজরের নামাযের সময় মিলিত হয়ে থাকে। আবু হুরায়রা (রাঃ) আরো বলতেন, তোমরা ইচ্ছা করলে এ আয়াত পাঠ করতে পার। ‘‘আর ফজরের নামাযে কুরআন পাঠ (করলে), নিশ্চয় এতে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হয়।’’ [সহীহ বুখারী, হা/৪৭১৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৫০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৬০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০৫১।]
২. যত বেশি দূর থেকে আসবে তত বেশি সওয়াব হবে :
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনু সালিমা গোত্রের লোকেরা (মদিনার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে) মসজিদে নববীর কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইচ্ছা করলে রাসূলুল্লাহ ﷺ মদিনার ঐ এলাকা পরিত্যাগ করা অপছন্দ করলেন। ফলে তিনি বনু সালিমার লোকদেরকে বললেন, হে বনু সালিমা! তোমরা কি মসজিদে নববীর দিকে তোমাদের পদচারণার অর্থাৎ পায়ে হেঁটে আসার সওয়াব কামনা করো না? এরপর বনু সালিমা তাদের স্থানে অবস্থান করল। [সহীহ বুখারী, হা/১৮৮৭; ইবনে মাজাহ, হা/৭৮৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৭৯৬।]
৩. প্রত্যেক কদমে গোনাহ মাফ হয় ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায় :
আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী ﷺ থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ঘরে অথবা বাজারে (একা একা) নামায আদায়ের চেয়ে জামাআতের সাথে নামায আদায় করার সওয়াব পঁচিশ গুণ বেশি। কেননা তোমাদের কেউ যখন অযু করে এবং ভালোভাবে অযু করে, তারপর শুধু নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসে, তাহলে সে মসজিদে প্রবেশ করা পর্যন্ত যত কদম হাঁটবে, প্রত্যেক কদমের পরিবর্তে আল্লাহ তার একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন এবং একটি গোনাহ ক্ষমা করবেন। আর মসজিদে প্রবেশ করার পর যতক্ষণ পর্যন্ত সে মসজিদে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে নামাযে আছে বলেই গণ্য হবে। আর যতক্ষণ সে অযু অবস্থায় নামায আদায়ের স্থানে অবস্থান করে ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতাগণ (তার জন্য) এ বলে দু‘আ করতে থাকে- ‘‘হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করো। হে আল্লাহ! তুমি তার প্রতি রহম করো।’’ [সহীহ বুখারী, হা/৪৭৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৫৩৮; আবু দাউদ, হা/৫৫৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৪২৪; জামেউস সগীর, হা/৭২৭১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৯৭; মিশকাত, হা/৭০২।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক নবী ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (মানুষের) শরীরের প্রতি জোড়ার উপর প্রতিদিন একটি করে সাদাকা ওয়াজিব হয়। কোন ব্যক্তিকে তার সওয়ারীর উপর আরোহণ করতে সাহায্য করা অথবা তার মালপত্র উঠিয়ে দেয়া সাদাকা হিসেবে গণ্য হয়। আর উত্তম কথা বলা এবং নামাযের উদ্দেশ্যে যাতায়াতের প্রতিটি পদক্ষেপ সাদাকা হিসেবে গণ্য হয়। পথিককে পথ দেখিয়ে দেয়াও সাদাকা হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। [সহীহ বুখারী, হা/২৮৯১; সহীহ মুসলিম, হা/২৩৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮১৬৮।]
৪. মসজিদে গমনকারী ব্যক্তি আল্লাহর জিম্মাদারীতে থাকে :
আবু উমামা আল বাহিলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তিন ব্যক্তি আল্লাহর দায়িত্বে রয়েছেন।
(১) যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধে বের হয়েছে যে পর্যন্ত না আল্লাহ তাকে উঠিয়ে নেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করান অথবা তাকে সওয়াব ও গনীমত সহকারে ফিরিয়ে আনেন।
(২) যে ব্যক্তি মসজিদে গমন করেছে অতঃপর আল্লাহ তাকে মৃত্যু দিয়েছেন। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করেছে অথবা সওয়াব নিয়ে ফিরে এসেছে।
(৩) যে ব্যক্তি সালাম দিয়ে নিজের ঘরে প্রবেশ করেছে সেও আল্লাহর জিম্মাদারীতে রয়েছে। [আবু দাঊদ, হা/২৪৯৬; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/২৪০০; আদাবুল মুফরাদ, হা/১০৯৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪৯৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩২১; মিশকাত, হা/৭২৭।]
৫. মসজিদে গেলে ফেরেশতাদের দু‘আ পাওয়া যায় :
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন ব্যক্তি যতক্ষণ নামায আদায়ের পর স্বস্থানে অযু অবস্থায় অবস্থান করে ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতাগণ ঐ ব্যক্তির জন্য এভাবে দু‘আ করতে থাকেন- ‘‘হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করো এবং তুমি তার প্রতি অনুগ্রহ করো।’’ [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/৩৮০; সহীহ বুখারী, হা/৪৪৫; আবু দাউদ, হা/৪৬৯; নাসাঈ, হা/৭৩৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮১০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৭৫৩; জামেউস সগীর, হা/১১৬৭৩।]
৬. মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম স্থান :
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় স্থান হলো মসজিদসমূহ এবং সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য স্থান হলো বাজারসমূহ। [সহীহ মুসলিম, হা/১৫৬০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১২৯৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬০০; জামেউস সগীর, হা/১৬৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩২৪; মিশকাত, হা/৬৯৬।]
৭. সকাল-বিকাল মসজিদে যাওয়ার বিশেষ পুরস্কার :
আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল মসজিদে যাবে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য তার প্রত্যেক বারের আসা-যাওয়ার পরিবর্তে জান্নাতে একটি করে মেহমানদারী (আপ্যায়ন) প্রস্তুত করে রাখবেন। [সহীহ বুখারী, হা/৬৬২; সহীহ মুসলিম, হা/১৫৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৬১৬; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪৯৬; জমেউস সগীর, হা/১১৩৪৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩১৪; মিশকাত, হা/৬৯৮।]
৮. অন্ধকারে মসজিদে গমনকারীদেরকে নূর দেয়া হবে :
বুরাইদা (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যারা অন্ধকারে মসজিদে যায়, তাদেরকে কিয়ামতের দিনের পূর্ণ নূরের সুসংবাদ দাও। [তিরমিযী, হা/২২৩; আবু দাঊদ, হা/৫৬১; ইবনে মাজাহ, হা/৭৮১; ইবনে খুযায়মা, হা/১৪৯৮; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭৬৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩১৫; মিশকাত, হা/৭২১।]
৯. ফজর ও এশার জামাআতের বিশেষ ফযীলত :
উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি এশার নামায জামাআতে পড়ল সে যেন অর্ধরাত্রি নামায পড়ল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতের সাথে আদায় করল সে যেন পূর্ণ রাত্রি নামায আদায় করল। [সহীহ মুসলিম, হা/১৫২৩; আবু দাউদ, হা/৫৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪০৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪৭৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০৬০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৪১৫; মিশকাত, হা/৬৩০।]
১০. প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর ফযীলত :
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যদি লোকেরা জানত যে, আযান দেয়া এবং প্রথম কাতারে নামায আদায়ের মধ্যে কী পরিমাণ সওয়াব রয়েছে তাহলে তারা লটারী করে হলেও উক্ত আমলগুলো করত। আর যদি তারা জানত যে, আগে নামাযে যাওয়ার মধ্যে কী পরিমাণ সওয়াব রয়েছে, তাহলে তারা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আগে যাওয়ার চেষ্টা করত। আর যদি লোকেরা জানত যে, এশা ও ফজরের জামাআতের মধ্যে কী পরিমাণ সওয়াব রয়েছে তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে অর্থাৎ হাত ও হাঁটুর উপর ভর দিয়ে হলেও মসজিদে যেত। [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/১৪৯; সহীহ বুখারী, হা/৬১৫; সহীহ মুসলিম, হা/১০০৯; নাসাঈ, হা/৫৪০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৭২৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৫৯; জামেউস সগীর, হা/৯৪৭০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৩১; মিশকাত, হা/৬২৮।]
১১. জামাআতে নামায আদায়কারীরা হাশরের দিন আল্লাহর ছায়ায় স্থান পাবে :
আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সাত শ্রেণির লোককে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ছায়ায় স্থান দেবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না :
১। ন্যায়পরায়ণ শাসক।
২। সেই যুবক যে আল্লাহর ইবাদাতের মধ্য দিয়ে বড় হয়।
৩। সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। যখন সে বেরিয়ে আসে তখন পুনরায় মসজিদে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকে।
৪। সেই দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একে অপরকে ভালোবাসে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তারা একত্রিত হয় এবং পৃথক হয়।
৫। সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং দু’চোখে অশ্রু বিসর্জন দেয় অর্থাৎ কান্না করে।
৬। সেই ব্যক্তি যাকে কোন সম্ভ্রান্ত সুন্দরী নারী (খারাপ কাজের জন্য) আহবান করে; কিন্তু সে বলে, ‘‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’’।
৭। সেই ব্যক্তি যে গোপনে দান করে, এমনকি তার বাম হাত জানে না তার ডান হাত কী দান করেছে। [সহীহ বুখারী, হা/৬৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২৪২৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৩৫৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩২৬; মিশকাত, হা/৭০১।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/84/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।