hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর বাণী আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান

লেখকঃ মোহাম্মদ ওসমান গনি

১৩
প্রথম দলিল :
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وهو الذي خلق الليل والنهار والشمس والقمر كل في ملك يسبحون ( سورة الأنبياء ৩৩)

তিনি রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র সৃষ্টি করেছেন। প্রতিটাই কক্ষ পথে বিচরণ করছে। (সূরা আম্বিয়া-৩৩)

এই আয়াততে পৃথিবী ঘুরছে এমন সুক্ষ্য ইঙ্গিত বহন করছে। এখানে রাত ও দিনের সময়কে উলেখ করে পৃথিবীকে বুঝান হয়েছে। কেননা রাত ও দিন পৃথিবীতেই প্রকাশ পেয়ে থাকে। যদি পৃথিবী না থাকতো তবে আলো ও অন্ধকার প্রকাশ পেত না, কোন রাত ও দিনের আবির্ভাব ঘটতো না। এই আয়াতে রাত দিন উলেখ করে যেন আল্লাহ রাববুল আলামীন এভাবে বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য প্রত্যেকটি এই বিশাল সৌরজগতের কক্ষপথে ঘুরছে।

আরবী ভাষার সৃষ্টি শব্দটি মর্মস্পর্শকৃত কোন জিনিসের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে যাকে। তবে এই আয়াতে দিন ও রাত সৃষ্টির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন তিনি রাত ও দিন অর্থাৎ অন্ধকার ও আলো সৃষ্টি করেছেন। অন্ধকার ও আলো কিন্তু স্পর্শ করা যায় না। তাই আল্লাহ রাববুল আলামীন অন্য আয়াতে এরশাদ করেন।

الحمد لله الذي خلق السموات والأرض وجعل الظلمات والنور ( سورة الأنعام )

সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং অন্ধকার ও আলোর উদ্ভব করেছেন। (সূরা আনআম ৬ঃ১)

এখানে আসমান ও জমিনের ব্যাপারে খালাকা শব্দটি ব্যবহার করেছেন এবং আলো ও অন্ধকারের ব্যাপারে যায়ালা শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেহেতু সেই আয়াতে রাত ও দিনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। সেহেতু বলা যায় যে, এখানে স্থান অর্থাৎ পৃথিবীকে বুঝান হয়েছে। এমন বহু উদাহরণ কুরআন ও আরবী ভাষায় রয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وأما الذين ابيضت وجوههم ففي رحمة الله وهم فيها خالدون ( سورة آل عمران ১০৭)

আর যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে, তারা থাকবে আল্লাহর রহমতের মধ্যে, তাতে তারা অনন্ত কাল অবস্থান করবে। (সুরা আল ইমরান ৪ঃ ১০৭)

এখানে আল্লাহর রহমত বলতে জান্নাতকে বুঝান হয়েছে। অন্য আয়াতে রয়েছে,

وينزل لكم من السماء رزقا ( سورة عافر ১৩)

তিনি আকাশ থেকে তোমাদের জন্য রিজিক নাজিল করেন। অর্থাৎ তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন যার কারণে রিজিক উৎপন্ন হয়ে থাকে। এমন কোন আলেম ও জ্ঞানী একথা বলেন না যে আসমান থেকে চাল ডাল, শাক-শব্জি ও ফল অবতীর্ণ হয়।

(দুই) উলেখিত আয়াতে বলা হচ্ছে, كل في فلك يسبحون প্রত্যেকটি সৌরজগতে ঘুরছে।

যদি শুধুমাত্র সূর্য ও চন্দ্র ঘোরার কথা বলা হতো, তবে বহু বচন ব্যবহার না করে দ্বিবচন শব্দ ব্যবহার করা হতো। তাই বলা যায় যে, রাত ও দিন থেকে পৃথিবীকে বুঝান হয়েছে অতএব পৃথিবী, সূর্য ও চন্দ্র প্রতিটাই মহা শূন্যে নিজ নিজ কক্ষ পথে ঘুরছে।

তবে প্রশ্ন হতে পারে যে, কুরআন কেন পৃথিবী ঘুরছে এমনভাবে স্পষ্ট করে সরাসরি বর্ণনা করল না, যেমন করে সূর্য ও চন্দ্রের ব্যাপারে বর্ণনা করেছে?

পবিত্র কুরআন স্বীয় বর্ণনায় হিকমত অবলম্বন করেছে। তাই কুরআন সব যুগের গ্রহণযোগ্যতার অধিকারী হয়েছে। যে যুগে এই কুরআন নাজিল হয়েছে, সেই যুগে কোন সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতির আবিষ্কার হয়নি। সেই সময় যদি ‘পৃথিবী সূক্ষ্ম ঘুরছে’ এমন কথা সরাসরি স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতো, তবে মানুষের ধারণ ক্ষমতার বাইরে তাদের জ্ঞানে তা গ্রহণ করতে পারতো না। যেহেতু তাদের কাছে এটাকে প্রমাণ করার মতো কোন যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়নি বলে বিশ্বজগতের তত্ত্বসমূহ অপ্রকাশিত ছিল। তাই তাদের এ ব্যাপারে গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়ে যেতো, এটাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার সুযোগ পেতো এবং এটাকে অস্বীকার করতো। মানুষের জ্ঞানের পরিধি ও অবস্থা বুঝে বর্ণনা করা কি হিকমত নয়?

এ ব্যাপারে আর একটি সুন্দর উপমা রয়েছে, যেমন যানবাহনের ব্যবহারে ব্যাপারে যদি কুরআন সেই সময় বর্ণনা করতো যে, যানবাহনের মাধ্যম শুধু মাত্র ঘোড়া, গাধা ও খচ্চর নয় এবং তোমরা অনতিবিলম্বে গাড়ি, বাস, রেলগাড়িতে আরোহণ করবে, যা ঘোড়া দিয়ে টানতে হবে না। শুধু তাই নয় বরং তোমরা আসমানে হেলিকপ্টার, বিমান ও রকেটের মাধ্যমে মহাশূন্যে উড়ে বেড়াবে। তবে অবশ্যই তারা তখন কুরআনকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার জন্য দ্রুত ধাবিত হতো। আর এই কারণেই কুরআন তার অলৌকিক পদ্ধতিতে এমন ভাবে বর্ণনা করেছে যা মানুষের আঁকল ও বিবেক তা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। তাহলে আসুন দেখা যাক কুরআনের সেই বাণীর দিকে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

والخيل والبغال والحمير لتركبوها وزينة ويخلق مالا تعلمون ( سورة النحل ৮)

তোমাদের আরোহণের জন্য এবং শোভার জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া খচ্চর ও গাধা এবং তিনি এমন জিনিস সৃষ্টি করবেন যা তোমরা জান না। (সূরা নাহল ১৬ঃ ৮)

অর্থাৎ গাড়ি, রেলগাড়ি, বিমান, রকেট ও মহাশূন্য যান ইত্যাদি। আর এগুলো মহান করুণাময় আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে জ্ঞান-বিজ্ঞান, বুদ্ধি, শক্তি ও সামর্থ্য দান করেছেন, যার মাধ্যমে মানুষ আজ এ ধরনের বিভিন্ন আশ্চর্য যন্ত্রপাতির আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে ও হচ্ছে এবং আরও হবে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

الذي أعطى كل شيء خلقه ثم هدي ( سورة طه ৫০)

তিনি প্রত্যেক বস্ত্তকে তার যোগ্যতা অনুসারে আকৃতি দান করেছেন। অতপর পথ প্রদর্শন করেছেন। (সূরা তাহা ২০ঃ ৫০)

আর এই রহস্যের কারণেই সেই আয়াতে রাত দিন উলেখ করে পৃথিবীকেই বুঝান হয়েছে। আরও উলেখ করা যেতে পারে যে, অণু-পরমাণু থেকে আরম্ভ করে অতি বিশাল বিশাল গ্যলাক্সি এই কুলু শব্দটির আওতাভুক্ত। আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করছে মহাবিশ্বে অতি ক্ষুদ্র অণু-পরমাণুতে রয়েছে ইলেকট্রন ও প্রোটন। এই ইলেকট্রন ও প্রোটন পরমাণুর ভিতরে ঘুরতে থাকে। অতএব এই জগতে কোন কিছুই স্থির নেই এবং প্রত্যেকটিই ঘুরছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন