hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর বাণী আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান

লেখকঃ মোহাম্মদ ওসমান গনি

বিজ্ঞান ভিত্তিক ও সত্য জ্ঞান-ই আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় :
আল্লাহ তাআলা জ্ঞানের চর্চা, জ্ঞানের অনুশীলন দ্বারা মানব জাতির কল্যাণের পথ প্রদর্শন করেছেন। শুধু জ্ঞানই নয়, জ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত সকল শাখার দিশারি হচ্ছে কুরআন।

বস্ত্তজগতের জ্ঞানই বিজ্ঞান। বিজ্ঞান বিষয়ক বহু আলোচনা হয়েছে আল কুরআনে। ইসলামী পরিভাষায় ইলম ও হিকমত এ দুটি শব্দই জ্ঞানের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গভীরভাবে পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করলে দেখা যায় যে, প্রকৃতি ও সামাজিক জ্ঞানের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলোর উলেখ করতে গিয়ে ‘হিকমত’ কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ‘ইলম’ শব্দটি প্রয়োগ খুবই তাৎপর্য পূর্ণ। পবিত্র কুরআনের যত জায়গায় প্রকৃতি রাজ্যের এমন নৈসর্গিক ঘটনাবলীর দিক আল্লাহ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন, যেগুলোতে বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও অভিজ্ঞতা জড়িত রয়েছে। সে সকল বর্ণনায় ইলম শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়। সুতরাং বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বুঝাবার জন্যই আল্লাহ ইলম শব্দের প্রয়োগ পছন্দ করেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা আদমকে সৃষ্টি করে তাঁকে এমন গুণে ভূষিত করলেন যা দ্বারা তিনি নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন। আর এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা ইলম বা জ্ঞানের মাধ্যমেই সম্ভব হলো। আল-কুরআন তার অনুসারীদেরকে জ্ঞান শিক্ষা করার ক্ষেত্রে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করার দুয়া শিখিয়ে দিয়েছে,

وقل رب زدني علما ( سورة طه ১১৪)

বল হে আমার প্রতিপালক। আমার জ্ঞানের বৃদ্ধি সাধন কর (সূরা ত্ব’হা ২০ঃ ১১৪)

আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র বলেন,

يؤتي الحكمة من يشاء ومن يؤت الحكمة فقد أوتي خيرا كثيرا ( سورة البقرة ২৩৯)

তিনি যাকে ইচ্ছা বিজ্ঞানের জ্ঞান দান করেন। আর যে ব্যক্তিকে বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রদান করা হলো তাকে মহা সম্পদ দান করা হলো। (সূরা বাকারা ২ঃ ২৬৯)

আল-কুরআন আমাদেরকে যেমন জ্ঞান অর্জন করার আদেশ ও উৎসাহ প্রদান করেছে, তেমনি অনুপ্রেরণা দিয়েছে জগৎ সমূহ নিয়ে চিন্তা গবেষণা করার প্রতি। কারণ প্রতিটা সৃষ্টির মাঝে আল্লাহর অলৌকিক কুদরত ও নিদর্শন রয়েছে। তাইতো বর্তমান বিজ্ঞানের বিস্ময়কর যুগে সঠিক বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে শত শত বিজ্ঞানীগণ সেই মহান স্রষ্টার প্রতি ঈমান আনতে শুরু করেছে। কারণ আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানীগণ আল্লাহর বিভিন্ন সৃষ্টির মাঝে সুদৃঢ়, সুক্ষ্য, সুনির্দিষ্ট নিয়ম-শৃঙ্খলা দেখতে পাচ্ছেন। পৃথিবীর আবর্তন ও তার পৃষ্ঠে সংঘটিত ঘটনাবলী, চন্দ্র-সূর্য ও তারকাসহ জগতের সর্বত্র শুধু বৈজ্ঞানিক জ্ঞানেরই সুষম বিন্যাস। তাই আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন,

انظروا ماذا في السموات والأرض ( سورة يونس ১০১)

তোমরা দেখ আসমান ও জমিনে কি রয়েছে? (সুরা ইউনুস ১০ঃ১০১)

أولم ينظروا في ملكوت السموات والأرض وما خلق الله من شيء ( سورة الأعراف ১৮৫)

আসমান ও পৃথিবীর রাজ্যে যা কিছু আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন তা কি তারা দেখে না? (সূরা আরাফ ৭ঃ১৮৫)

বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের চরম উন্নতির যুগ। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও তথ্যের ভিত্তিতে মহা বিশ্বের এ বিশালতা ও নিয়ম শৃঙ্খলার প্রতি যদি দৃষ্টি দেয়া হয়, তবে আমাদের দৃষ্টি সীমানাকেই শুধু ক্লান্ত করবে না বরং আমাদের কল্পনাকেও অভিভূত করে দেবে। যার ইঙ্গিত আল কুরআন বহু আগেই ঘোষণা করেছেন,

ما تري في خلق الرحمن من تفوت فارجع البصر هل تري من فطور ثم ارجع البصر كرتين ينقلب إليك البصر خاسئا وهو حسير . ( سورة الملك )

দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে কোন খুঁত দেখতে পাবে না, আবার তাকিয়ে দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? এরপর বার বার দৃষ্টি ফিরাও, সে দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। (সূরা মুলক ৬৭ঃ ৪)

তাই বলতে পারি আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক গভীর। তবে বিজ্ঞানের তত্ত্ব লব্ধ জ্ঞান হতে হবে কুরআনি নির্দেশনা মোতাবেক। যেহেতু কুরআন হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত ঐশী বাণী, যাতে নেই সন্দেহ, নেই কোন মিথ্যার অবকাশ। শত ভাগ সত্য ও সঠিক এবং কিয়ামত পর্যন্ত অপরিবর্তিত। আর বিজ্ঞান হলো মানুষের আহরিত জ্ঞান, তাই তা স্থান কাল পাত্রের ব্যবধানে পরিবর্তিত হয়, সন্দেহ মুক্ত নয় ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে থাকে বহুলাংশে, কারণ মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।

এ বিষয়ে ফ্রান্সের বিজ্ঞানী মরিচ বোকাইলি তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান’ নামক গ্রন্থে লিখেছেন ‘আমরা দেখেছি, মহা বিশ্ব সম্পর্কে কুরআনের একটি আয়াতও এমন নয়, যা বৈজ্ঞানিক বিচারে সঠিক নয়। যেখানে বাইবেলে ভুলের পরিমাণ পর্বত সমান, সেখানে কুরআনের কোন আয়াতে আমি কোন ভুল খুঁজে পাইনি। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্য সংবলিত আয়াতের সংখ্যা প্রচুর। আর এ সব বাণী আধুনিক বৈজ্ঞানিক সত্যের সাথে কীভাবে যে এতো বেশী সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে সে বিষয়টাই আমাকে বিস্মিত করেছে সবচাইতে বেশি।’

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন