মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হে জ্ঞানবান! ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের ফায়ছালা কি? যে ব্যক্তি তার নিজেকে এক অজানা অপরিচিত এক শহরে তার ইচ্ছা ও পছন্দ ছাড়া উপস্থিত পেয়েছে, অতঃপর সে জানতে পেরেছে যে কে তাকে সেখানে নিয়ে এসেছে? এবং তিনি তাকে সেই শহরে নিয়ে এসেছে তার পক্ষথেকে তার পথ প্রদর্শনের জন্য সংবাদ বাহক এসেছে। অতপর যারা তাকে বাঁচাতে ও পথ দেখাতে এসেছে তাদের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে বরং তাদের বিরোধিতা করছে অথচ তারা তার কষ্টকে বরণ করে নিচ্ছে। যে তাদেরকে মন্দ বলছে অথচ তারা তার নিকটে যাচ্ছে?
জ্ঞানী লোক অবশ্যই বলবে যে, ঐ ব্যক্তির সর্ব প্রথম অবশ্য করণীয় কাজ হবে, যে তাকে তার ইচ্ছা ও আগ্রহ ছাড়াই এই অপরিচিত বিশ্বে নিয়ে এসেছে তার পরিচয় নেয়া এবং তাকে এখানে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া। তার পথ প্রদর্শনের জন্য যদি তার পক্ষ থেকে কেহ এসে থাকেন তার সত্যতা যাচাই করা। যদি তাদের ব্যাপারে দৃঢ়তায় পৌঁছে যায় তবে তাদের সম্মান করা এবং অনুসরণ করা।
আর যদি সে তার ব্যাপারে গুরুত্ব না দেয় এবং কে তাকে নিয়ে এসেছে তার প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করে এবং তার সংবাদ বাহকের প্রতি অমনোযোগী হয়, তবে কোন সন্দেহ নেই যে, সে বোকামির ও নির্বুদ্ধিতার মধ্যে রয়েছে। তাই মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত যে, সে তো মাটি ছিল, কীভাবে জ্ঞানসম্পন্ন মানুষে পরিণত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
ومن آياته أن خلقكم من تراب ثم إذا أنتم بشر تنتشرون ( سورة الروم ২০ )
তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদেরকে মৃত্তিকা হতে সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা মানুষ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছ। (সূরা রুম-২০)
মানুষ ও মাটির মধ্যে কত পার্থক্য? মাটির জীবন নেই, শুনতে পায় না, দেখতে পায় না, বুঝতে পারে না, জ্ঞান নেই, চলতে পারে না, বড় হয় না ও বংশ বিস্তার করতে পারে না। এমন কি জীবের যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে তার কোনটাই তার মধ্যে নেই। জ্ঞানী ব্যক্তি যদি তার স্থানান্তরিত হওয়ার কথা চিন্তা করে যে কীভাবে মাটি থেকে খাদ্য এবং খাদ্য থেকে বীর্য এবং তা থেকে রক্তপিন্ড এবং তা থেকে মাংস পিন্ড অতপর হাড় তারপর হাড়ে আবার মাংস পড়ান। তারপর কি ভাবে তার মধ্যে জীবন ও রূহ সঞ্চারিত হলো এবং কীভাবে শিশুরূপে বের হয় আসল এবং তার পর একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষে রূপান্তরিত হলো।
যদি এর সব নিয়ে গবেষণা করে তবে সে দেখতে পাবে যে এতো কিছু কোনটাই তার ইচ্ছায় হয়নি।
অতএব সর্ব প্রথম মানুষের জন্য ওয়াজিব হলো তাঁর পরিচয় নেয়া, যার হাতে তার অস্তিত্বের চাবি কাঠি, তার জীবন, গঠন ও প্রতিপালন।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
يا أيها الإنسان ما غرك بربك الكريم الذي خلقك فسواك فعدلك في أي صورة ما شاء ركبك . ( سورة الانفطار ৬-৮)
হে মানুষ। কীসে তোমাকে তোমার মহান রব (আল্লাহ) হতে প্রতারিত করল? যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন অতপর তোমাকে সুঠাম করেছেন এবং তৎপর সুবিন্যস্ত করেছেন। যে আকৃতিতে চেয়েছেন তিনি তোমাকে সংযোজিত করেছেন (সূরা ইনফিতার ৬-৮)
মানুষ যখনই আল্লাহর ইবাদত থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তাদের রাসূলগণের নির্দেশ ভুলে গিয়েছে, তখনই তারা আল্লাহর জন্য একটা প্রতীক বেছে নিয়েছে এবং তাতে তারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে যে, এতে মানুষের বিশেষত্ব রয়েছে তারপর তাকে সম্মান করা শুরু করেছে। আর যতই দিন অতিবাহিত হয় তাদের সম্মান আরো বৃদ্ধি পায় এবং তাতে সীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে। পরিশেষে ইবাদত ও সম্মানের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে শরীক বানিয়ে নেয়। যেমন আরবের মোশরেকদের মূর্তি সম্পর্কে তাদের কথা আল্লাহ তা’আলা বর্ণনা করেন:
ما نعبدهم إلا ليقربونا إلي الله زلفى ( سورة الزمر ৩ )
আমরা তো এদের পূজা এ জন্যই করি যে, এরা আমাদের আল্লাহর সান্নিধ্য এনে দিবে। (সূরা যুমার- ৩)
মানুষের অজ্ঞতার কারণে সেই যুগে মূর্তি, সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র, পাথর, গরু, ইত্যাদির পূজা করা হতো। বর্তমানে এগুলোর সমষ্টি নেচার বা প্রকৃতিকে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মেনে নেয়া হচ্ছে। যারা নেচার বা প্রকৃতিকে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে বুঝাতে চায় তারা যুক্তি পেশ করে যে, গরুর গোবরে অটোমেটিক পোকা সৃষ্টি হচ্ছে, খাদ্যে ক্ষুদ্র জীবাণু জন্ম নিচ্ছে ও খাদ্যকে নষ্ট করে দিচ্ছে। এই দেখ, প্রকৃতির থেকে এমনিতেই জীবাণু সৃষ্টি হচ্ছে।
তাদের এই যুক্তিকে ভ্রান্ত ও ভুল প্রমাণ করেছেন ফ্রান্সের প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, প্রকৃতিতে নিজে নিজেই কোন কিছুর জন্ম হয়নি। বরং সেখানে পূর্বে থেকেই ক্ষুদ্র জীবাণু রয়েছে যা খালি চোখে দেখা সম্ভব হয়নি। তিনি তার কথার সত্যতা প্রমাণ করে বিজ্ঞানীদের বিশ্বস্ত করেছেন। তিনি কিছু খাদ্য নিয়ে বাতাস থেকে আলাদা করেছেন। তারপর উত্তাপের মাধ্যমে ক্ষুদ্র জীবাণু গুলো ধ্বংস করেছেন। অতঃপর তা কৌটার মধ্যে বন্ধ করে রেখেছেন। তারপর দেখা গেছে যে, তাতে আর নতুন জীবাণু জন্ম নিতে পারেনি ফলে খাদ্য নষ্ট-হয়নি। যার কিছুই নেই সে অপরকে দিতে পারে না। যে ব্যক্তি কোন সম্পদের মালিক নয়, তার থেকে কোন মানুষ সম্পদ চায় না। জাহিল ব্যক্তির কাছ থেকে ইলম বের হয় না। কেননা যার সে অধিকারী নয় তা সে দিতে পারে না।
গবেষণার মাধ্যমে আমরা যদি সৃষ্টির নিদর্শন অবলোকন করি যা আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্যের পরিচয় জানিয়ে দেয়।
আর যারা ধারণা করে যে, প্রকৃতি তাদেরকে সৃষ্টি করেছে তারা প্রকৃত পক্ষে আকলের খিলাফ করেছে, সত্যের বিরোধিতা করেছে। কেননা এই বিশ্ব জগৎ সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, এই বিশ্ব জগতের সৃষ্টিকর্তা প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞানী, পথ প্রদর্শক, রিজিক দাতা, সংরক্ষণ কারী, দয়াময় এক ও অদ্বিতীয়।
আর প্রকৃতি যার কোন ইল্ম নেই, জীবন নেই, অভিজ্ঞতা নেই, দয়া নেই, করুণা নেই, ইচ্ছা নেই, অনুভূতি নেই, তারপরও মূর্খরা কীভাবে এমন ধারণা করতে পারে?
প্রকৃতি হচ্ছে ঐ সব সৃষ্টিকুল যাকে এক একটি বৈশিষ্ট্যের উপর সৃষ্টি করা হয়েছে। আর মূর্তি পূজারিরা এই প্রকৃতির অংশ বিশেষ পূজা করে। কেউ করে সূর্যের পূজা, কেউ করে চন্দ্রের পূজা, এমন ভাবে গ্রহ, নক্ষত্র, আগুন, পাথর ও মানুষের পূজা করছে। আর এই সব মিলেই হচ্ছে প্রকৃতি। বর্তমানে এই প্রকৃতি পূজারিরা ধারণা করছে যে, এই প্রকৃতি তাদেরকে সৃষ্টি করেছে। অথচ এই প্রকৃতির কোন জ্ঞান নেই বরং মানুষের জ্ঞান রয়েছে। প্রকৃতির কোন বুদ্ধি নেই বরং তাদেরই রয়েছে বুদ্ধি। প্রকৃতির কোন অভিজ্ঞতা নেই বরং তাদের রয়েছে অভিজ্ঞতা। প্রকৃতির কোন ইচ্ছা নেই বরং তাদের রয়েছে ইচ্ছা। তারা কি জানে না সে যে জিনিসের অধিকারী নয়, তা সে দিতে পারে না।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
يا أيها الناس ضرب مثل فاستمعوا له إن الذين تدعون من دون الله لن يخلقوا ذبابا ولو اجتمعوا له وإن يسليهم الذباب شيئا لا يستنقذوه منه ضعف الطالب والمطلوب ما قدرا الله حق قدره إن الله لقوي عزيز ( سورة الحج ৭৩-৭৪ )
হে লোক সকল একটি উপমা দেয়া হচ্ছে মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ কর, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো তারা তো কখনো একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না, এই উদ্দেশ্যে তারা সবাই একত্রিত হলেও পারবে না। এমন কি মাছি যদি কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের নিকট হতে এটাও তারা ওর নিকট থেকে উদ্ধার করতে পারবে না। অন্বেষক ও অন্বেষিত কতই না দুর্বল। তারা আল্লাহর যথোচিত মর্যাদা উপলব্ধি করে না। আল্লাহ নিশ্চয়ই ক্ষমতাবান, পরাক্রমশালী। (সূরা হজ ৭৩,৭৪)
আর যদি কোন মানুষকে হত্যা করা অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া যায়। তাহলে সেই
রাস্তার পার্শ্বের কোন পাথরকে অপবাদ দেয় না, যে পাথরটি মানুষটিকে হত্যা করেছে কেননা পাথরটির এমন কাজ করার কোন ক্ষমতা ও শক্তি নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/482/51
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।