hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর বাণী আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান

লেখকঃ মোহাম্মদ ওসমান গনি

৪৬
মানব জন্ম ও আল্ কুরআন :
আমরা বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে বসবাস করছি। এ যুগে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এখনই সময় এসেছে কুরআনকে বুঝার। আসুন তাহলে মানব সৃষ্টি সম্পর্কে ছোট একটি আয়াত নিয়ে আলোচনা করি। মহান আল্লাহ তা‘আলা ঐশী গ্রন্থ আল্ কুরআনে বর্ণনা করেন:

فلينظر الإنسان مم خلق خلق من ماء دافق يخرج من بين الصلب والترائب ( سورة الطارق ৬-৮)

মানুষের দেখা উচিত কি বস্ত্ত থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে স্খলিত পানি থেকে এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষ পাঁজরের মধ্য থেকে। (সূরা তারেক ৬-৮)

এই আয়াতটি মানুষের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করছে, যাকে দুর্বল ও তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে যা স্খলিত হয়।

অপর আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ

ألم يك نطفة من منى يمنى ( سورة القيامة ৩৭)

সে কি স্খলিত শুক্র বিন্দু ছিল না? (সূরা কিয়ামত ৩৭)

আল্ কামুছ আল্ মুহিতে বর্ণিত স্খলিত পানি নির্গত হয় বিশেষ করে পুরুষ থেকে। মহিলা থেকে বেগবান কোন পানি নির্গত হয় না।

জনৈক উস্তাদ বর্ণনা করেছেন: এক ব্যক্তি একজন মুফ্তী সাহেবের কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন যে, এক বিছানায় স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিল। সকাল বেলায় দেখতে পায় যে, বিছানার চাদরের উপর একটি বীর্যপাতের আলামত রয়েছে। কার সে বীর্য কেউ বলতে পারছে না। এখন কার উপর গোসল ফরজ হয়েছে? তাদের পরনের কাপড়ে কোন চিহ্ন নেই। স্বপ্নদোষ কার হয়েছে কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারছে না। মুফতী সাহেব বললেন: বীর্যের চিহ্নটি যদি লম্বা লম্বি হয়ে থাকে তবে পুরুষের আর যদি গোলাকার হয়ে থাকে তবে তা মহিলার যে হেতু পুরুষের বীর্য স্খলিত বা বেগবান অবস্থায় বেরিয়ে আসে। আর মহিলার বীর্য স্বাভাবিক অবস্থায় বেরিয়ে আসে যা স্খলিত হয় না।

অর্থাৎ মানুষকে সৃষ্টিকরা হয়েছে এমন একটি স্থান থেকে যার অবস্থান হলো মেরুদন্ড ও বক্ষ পাঁজরের মধ্যবর্তী।

আমরা এই ধরনের আয়াত বহু বার পাঠ করি এবং বহুবার শ্রবণ করি কিন্তু আমাদের মাঝে খুব কম সংখ্যক লোক রয়েছে যে এ ধরনের আয়াত থেকে কুরআনের বৈজ্ঞানিক অলৌকিকতা অনুধাবন করতে পারে এবং তারা বলতে বাধ্য হয় যে, কোন মানুষের কথা হতে পারে না বরং এ হচ্ছে মানুষের সৃষ্টিকর্তার বাণী যিনি তার গোপন ও প্রকাশ্য সম্পর্কে সার্বিক জ্ঞান রাখেন। প্রথমে আমাদের জানা উচিত কুরআন নাজিলের সময় থেকে নিয়ে বর্তমান সময় পর্যন্ত এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ ও আলেম গণ কি ভাবতেন। অতীতে মানুষ ধারণা করতো যে, পুরুষের বীর্য তৈরি হয় তার পিঠে আর মহিলার তৈরি হয় তার পাঁজরায়। আর এ দুটির মাধ্যমে সন্তান জন্ম নেয়।

আল্লাহর বাণীর পরিপ্রেক্ষিতে ইবনে আববাস বলেন: পুরুষের মেরুদন্ড আর মহিলার পাঁজরার হাড় এ দুটির মাধ্যমে সন্তান হয়।

আবার কেউ বিশ্বাস করতো যে, পুরুষের বীর্য তার মেরুদন্ড ও তার পাঁজরের হাড়ের মধ্যবর্তী স্থান থেকে বের হয় অর্থাৎ পুরুষের মেরু দন্ডে তার বীর্য জমা থাকে। প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেন যে, সহবাসের কারণে অনেকেই পিঠ ও মেরুদন্ডে ব্যথা অনুভব করেন এজন্য যে, সেখানে পানি কম হয়ে যায়। আবার কেউ ধারণা করেন যে, পুরুষের বীর্য তার মগজ থেকে নেমে আসে। অতঃপর তার অন্ডকোষে জমা হয়। এ ব্যাপারে তারা বলেন যে, এ ধারণা কুরআনের আয়াতের বিপরীত নয় কেননা বীর্য যখন ব্রেন থেকে তা নিচে নেমে আসে তখন মেরুদন্ড ও পাঁজরের হাড়ের মাঝ দিয়ে অতিবাহিত হয়।

পবিত্র আয়াতটি আলেম ও তাফছীরকারগণকে হয়রান পেশানির মধ্যে নিমজ্জিত করেছিল। কীভাবে স্খলিত পানি মেরুদন্ড ও বক্ষ পাঁজরের মধ্য থেকে নির্গত হয়। আয়াতটির ব্যাখ্যায় বর্ণিত হয়েছে যে, বীর্য সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে স্খলিত হয়ে মেরুদন্ডের মাধ্যমে অন্ডকোষের নালিতে অল্প অল্প করে সংঘটিত হতে থাকে। তারপর তা পরিপক্ব ও পূর্ণাঙ্গ হয়ে মণির ছোট থলিতে পৌঁছে যায়। যৌন উত্তেজনার মাধ্যমে মূত্র চলার রাস্তার মাধ্যমে অন্তিম মুহূর্তে প্রচন্ড বেগে শরীরের বাহিরে বের হয়। এ প্রক্ষিপ্ত পানি বলতে সাধারণত পুরুষের বীর্যকেই বুঝায়। কারণ দৃশ্যত ইহাই যৌন মিলনের ফলে স্ত্রীর যোনিগর্ভে সবেগে স্খলিত হয়।

আধুনিক বিজ্ঞান বলছে যে, পুরুষের প্রজনন কার্যবিধি তিনটি ধাপে বিন্যাস করা যায়।

১.শুক্র কীট ও যৌনরস তৈরী করা।

২.যৌন ক্রিয়া সম্পন্ন করা

৩.শুক্র কীট তৈয়ারি ও যৌন ক্রিয়ার বাস্তবায়নে স্নায়ু তন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ।

বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে প্রমাণ পেশ করেছেন যে, পুরুষের অন্ডকোষ ও মহিলার ওভাম তৈরি হয় মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় শিশুর মেরুদন্ড ও পাঁজরার হাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে বংশবাহী নালির মাধ্যমে । অতপর অন্ডকোষ আস্তে আস্তে নিচে নামতে নামতে শরীরের বাহিরে অবস্থান নেয়। গর্ভ ধারণের সপ্তম মাসের শেষের দিকে। আর মেয়ে হলে তার ওভাম নিচে নেমে তার যথাস্থানে এসে অবস্থান নেয়। তারপরও সেগুলোর প্রয়োজনীয় সব কিছুই আসে মেরুদন্ড ও পাঁজরার হাড়ের মধ্যবর্তী স্থানের মধ্য দিয়ে।

এ বিষয়টি সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ডা. হেমায়েতুল্লাহ, তিনি লিখেছেনঃ প্রতিটি সন্তানের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরী হয় এক কোষ ভ্রূণ বৃদ্ধি পেয়ে নির্দিষ্ট স্থান থেকে। সে মতে অন্ডকোষ ও ডিম্বাশয় তৈরী হয় বুকের ভিতরের শেষের ৩টি ১০, ১১, ও ১২ নং বাঁকা হাড় যা পিঠের মেরুদন্ডের হাড়ের সাথে যে স্থানে লাগানো থাকে সেখানকার মেসোনেফ্রনস থেকে প্রকাশ থাকে যে, মানুষের বুকের এক পার্শ্বে ১২টি এবং অপর পার্শ্বে ১২ টি মোট ২৪ টি লম্বা বাঁকা হাড় থাকে। উপর থেকে নিচের দিকে ১, ২, ৩ করে ক্রমান্বয়ে ১১, ১২ নাম্বার দিয়ে হাড়গুলি গণনা করা হয়। এগুলোকে পাঁজরের হাড় বলে।

মাতৃ গর্ভের ২ মাস বয়স থেকে পুরুষ সন্তানের অন্ডকোষ আর মেয়ে সন্তানের ডিম্বাশয় উপরোক্ত মেসোনেফ্রনস থেকে নিচে নামতে থাকে এবং জন্মের পূর্বে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যায়। আরও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এগুলো নিচে নেমে আসলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রমাণিত যে, এদের নার্ভ (স্নায়ু) কন্ট্রোল উৎপত্তি স্থান মানে ১০, ১১, ও ১২ নাম্বার বুকের হাড় মেরুদন্ডের যে স্থানে লাগানো থাকে সে স্থান থেকে যে নার্ভ বের হয়ে আসে সে নার্ভের মাধ্যমে এ নার্ভই উত্তেজনা মিলনের যাবতীয় কার্যক্রম এবং বীর্য নির্গত করে।

যদি কোন কারণে এই নার্ভ কাজ না করে বা অকেজো হয়ে যায় তখন স্বাস্থ্য যতই ভাল থাকুক না কেন সংগম করতে অক্ষম হয়ে যায়। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পুরুষত্বহীনতা বলে।

ভ্রূণবিদ্যা আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত কে জানতো যে অন্ডকোষ ও ডিম্বাশয় পৃষ্ঠদেশের মেরুদন্ডের সাথে বুকের হাড়ের মিলন স্থানের মেসোনেফ্রনস থেকে তৈরী হয় এবং মানুষের উত্তেজনা মিলনের কার্যক্রম ওখান থেকে উৎপন্ন নার্ভের উপর নির্ভরশীল। অথচ ১৪০০ বছর পূর্বে যখন মানুষ ভ্রূণবিদ্যা সম্পর্কে কিছুই জানত না তখন পবিত্র কুরআনে ঘোষণা দিচ্ছে:

فلينظر الإنسان مما خلق خلق من ماء دافق يخرج من بين الصلب والترائب ( سورة الطارق ৫-৭)

অতএব মানুষের লক্ষ্য করা উচিত যে, তাকে কোন বস্ত্ত থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে স্ববেগে নির্গত তরল পদার্থ থেকে যা নির্গত হয় পিঠের মেরুদন্ড ও বুকের হাড়ের মধ্য হতে। (সুরা তারিক ৫-৭)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন