মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আমরা যদি আমাদের বয়সের যা অতীত হয়েছে তা নিয়ে একটু চিন্তা করি তাহলে আমরা আমাদের জীবনের মূল্য বুঝতে পারব। কেননা আমরা তো এখন কবরের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গেছি। আমাদের হায়াতকে যদি স্মরণ করি যা শেষ হয়েছে সে মুহূর্তে আমরা বুঝতে পারব যে, আমরা এই দুনিয়াতে মুসাফির ছাড়া আর কিছুই নই। যেমন খবর দিয়েছেন আমাদের নবী মুহম্মদ সা.। তিনি বলেনঃ
ওও عش في الدنيا كأنك غريب أو عابر سبيل ،،
তুমি পৃথিবীতে এমন ভাবে বসবাস কর যেন তুমি একজন অপরিচিত ব্যক্তি, অথবা মুসাফির।
অতএব আমাদের চিন্তা করা উচিত আমরা মুসাফির হিসেবে আমাদের স্থায়ী ঠিকানার জন্য কি প্রস্ত্তত করেছি? অথবা আমরা আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সংরক্ষণের জন্য ব্যস্ত রয়েছি? কাল কিয়ামতে যা কিছু আমাদের প্রয়োজন তা থেকে অমনোযোগী রয়েছি। অথচ অনতিবিলম্বে আমরা সব কিছু রেখে বিদায় নিব। এক টুকরা জমির জন্য কত ঝগড়া বিবাদ করছি, মারামারি করছি। কেউ দাবি করছি এটির মালিক আমি, আবার অন্যেরা দাবি করছে এটা আমার। এই জমির প্রকৃত মালিক কে?
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
وإنا لنحن نحي ونميت ونحن الوارثون ولقد علمنا المستقدمين منكم ولقد علمنا المستأخرين . وإن ربك هو يحشرهم إنه حكيم عليم .( سورة الحجر . ২৩-২৫ )
আমি জীবন দান করি ও মৃত্যু ঘটাই এবং আমিই চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী। তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে আমি তাদেরকে জানি এবং পরে যারা আসবে তাদেরকেও জানি। তোমার রবই তাদেরকে সমবেত করবে, তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। (সূরা হিজর ২৩-২৫)
এই পৃথিবী পরীক্ষাগার। এখানে বাছাই হচ্ছে কে আল্লাহর আনুগত্য করছে এবং কে আল্লাহর নাফরমানি করছি। অতঃপর এই পৃথিবী থেকে এমন অবস্থায় বেরিয়ে আসবে যে অবস্থায় এই পৃথিবীতে প্রবেশ করেছিল।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
ولقد جئتمونا فرادا كما خلقناكم أول مرة وتركتم ما خولناكم وراء ظهوركم .( سورة الأنعام ৯৪ )
আর তোমরা আমার কাছে একা এসেছ যেভাবে প্রথমবার আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলাম। আর যা কিছু আমি তোমাদেরকে দিয়েছিলাম তা তোমরা নিজেদের পিছন ছেড়ে এসেছ। (সূরা আল আনআম ৯৪)
পৃথিবীর দিনগুলো শেষ হচ্ছে কিন্তু আখেরাতের জীবন হচ্ছে অবশিষ্ট ও চিরন্তন। পৃথিবীটা সুখ দুঃখ মিশ্রিত আর আখেরাতটা এককভাবে সুখ ও নিয়ামতে ভরপুর।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وأزلفت الجنة للمتقين غير بعيد هذا ما توعدون لكل أواب حفيظ من خشي الرحمن بالغيب وجاء بقلب منيب ادخلوها بسلام ذلك يوم الخلود لهم ما يشاءون فيها ولدينا مزيد (. سورة ق ৩১-৩৫ )
জান্নাতকে মুত্তাকীদের জন্য উপস্থিত করা হবে আর তা অতি নিকটে। এই প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল প্রত্যেক আল্লাহর অনুরাগী হিফাযতকারীর জন্য। যারা না দেখে দয়াময় আল্লাহকে ভয় করে এবং বিনীত চিত্তে উপস্থিত হয়। তাদেরকে বলা হবে, এটি শান্তির স্থান, তোমরা তাতে প্রবেশ কর, এটা অনন্ত জীবনের দিন। সেথায় তারা যা কামনা করবে তাই পাবে এবং আমার নিকটে রয়েছে তারও অধিক। (সুরা ক্বাফ ৩১-৩৫)
কিন্তু যারা আল্লাহকে অস্বীকার করেছে, তাদের জন্য থাকবে কঠিন শাস্তি এবং তারা আল্লাহর সম্মুখে যখন দাঁড়িয়ে যাবে তখন তারা পৃথিবীতে আর একবার ফিরে আসার আবেদন করবে, যাতে তারা যা করেছে তা বাদ দিয়ে সৎ আমল করতে পারে। অতঃপর তাদেরকে বলা হবে, তাদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ সুযোগ দেয়া হয়েছিল, এবং তাদের কাছে সতর্ককারী এসে সতর্ক করে দিয়েছে এবং ঐ দিবস সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করেছে যে দিন কোন সাহায্যকারী থাকবে না। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
والذين كفروا لهم نار جهنم لا يقضى عليهم فيموتوا ولا يخفف عنهم من عذابها كذلك نجزي كل كفور وهم يصطرخون فيها ربنا أخرجنا نعمل صالحا غير الذي كنا نعمل أولم نعمركم ما يتذكر فيه من تذكر وجاء كم النذير فذوقوا فما للظالمين من نصير ( سورة فاطر ৩৬-৩৭ )
যারা কুফরী করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদের মৃত্যুর আদেশ দেয়া হবে না যে তারা মরবে এবং তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তিও লাঘব করা হবে না। এমন ভাবে আমি প্রত্যেক কাফেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি। সেথায় তারা আর্তনাদ করে বলবেঃ হে আমাদের রব আমাদেরকে নিষ্কৃতি দিন, আমরা সৎ কর্ম করব। পূর্বে যা করতাম তা করব না। আল্লাহ বলবেন: আমি কি তোমাদেরকে এত দীর্ঘ জীবন দান করিনি যে, তখন কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারত? তোমাদের নিকট তো সতর্ককারীরাও এসেছিল সুতরাং শাস্তি আস্বাদন কর জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা ফিতার ৩৬-৩৭)
বর্তমান বিশ্বে মানুষের জিন্দিগির দিকে লক্ষ্য করি। তা নিয়ে, চিন্তা ভাবনা করি তাহলে দেখতে পাই তারা অশান্তির আগুনে জ্বলছে, অস্থিরতায় ভুগছে, সন্ত্রাসের আতঙ্ককে দিন কাটাচ্ছে, কোথাও নিরাপত্তা নেই, তাই সুখ ও শান্তি বলতে কিছুই নেই তাদের জীবনে, না আছে পরিবারে, না আছে সমাজে, না আছে দেশে, পূরো বিশ্বের যেন একই অবস্থা।
এর একমাত্র কারণ হচ্ছে মানুষ তার সৃষ্টিকর্তার প্রকৃত পরিচয় ভুলে গিয়েছে। মানুষ যদি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে তার প্রতিপালকের জ্ঞান, শক্তি, কুদরত সম্পর্কে জ্ঞাত হতো, মৃত্যুর পর তার সাক্ষাতের বিশ্বাসী হতো, পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য বুঝতে পারতো, কোন কাজে তাদের সৃষ্টিকর্তা রাজি ও খুশি আছেন তা যদি জানতে পারতো ও মৃত্যুর পর কোন জিনিস তাদের জন্য অপেক্ষা করছে তা যদি অবগত হতো তাহলে তাদের এমন করুন পরিস্থিতি হতো না।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
يأيتها النفس المطمئنة، ارجعي إلى ربك راضية مرضية، فادخلي في عبادي، وادخلي جنتي .
হে, প্রশান্ত আত্মা, তুমি তোমার রবের নিকট ফিরে এসো, সন্তুষ্ট ও সন্তোষ ভাজন হয়ে, অনন্তর তুমি আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হও, এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর (সূরা ফজর ২৭-৩০)
প্রতিটি মানুষের মাঝে এমন আশা আকাঙ্ক্ষা দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন যার চাহিদা দুনিয়াতে পূরণ হতে পারে না। যদি কোন মানুষকে বলা হয় তোমাকে আমরা পৃথিবীর অর্ধেকের মালিক বানিয়ে দিলাম। সে অবশ্যই বলবে আমি বাকি অর্ধেকও চাই।
আল্লাহকে যারা বিশ্বাস করে না তারা ধারণা করে যে, এই দুনিয়ায় তাদের সব কিছু। দুনিয়া তাদের একমাত্র আরাম আয়েশ ও ভোগ বিলাসের স্থান। আর দুনিয়াতে যা কিছু আছে তা তাদের চাহিদা পূরণ হওয়ার নয়। কীভাবে সম্ভব? এই পৃথিবীতে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের বাস। প্রত্যেকেই চায় তার মত একাই পৃথিবীর মালিক হতে। আর এখান থেকেই শুরু হয় ফেৎনা, ফাসাদ, অশান্তি ও অস্থিরতা একই পরিবারে দুই ভাইয়ের মাঝে, দুই দলের মাঝে, দুই বংশের মাঝে, দুই দেশের মাঝে। এমনটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে সারা বিশ্বে।
আর যারা আল্লাহর বিশ্বাসী হবে, তারা দৃঢ় বিশ্বাস করেছ যে, তাদের সৃষ্টিকর্তা মোমিনদের জন্য এমন জান্নাত সৃষ্টি করে রেখেছেন যেথায় মনের সকল চাহিদা পূরণ হবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
الذين آمنوا بآياتنا وكانوا مسلمين , ادخلوا الجنة أنتم وأزواجكم تحبرون يطاف عليهم بصحاف من ذهب وأكواب وفيها ما تشتهيه الأنفس وتلذ الأعين وأنتم فيها خالدون ( سورة الزخرف ৬৯-৭১)
যারা আমার আয়াতে বিশ্বাস করেছ এবং আত্মসমর্পণ করেছিলে, তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিনিগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে, সেথায় রয়েছে সব কিছু, অন্তর যা চায় এবং নয়ন যাতে তৃপ্ত হয়। সেথায় তোমরা স্থায়ী হবে। (সূরা যুখরূফ ৬৯-৭১)
মোমিন ভাল করে অবগত আছে যে, এই পৃথিবীর বুকে আল্লাহর হুকুমের অনুসরণে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি ও জান্নাতের স্থায়ী নিয়ামত পাওয়া যাবে না। মু‘মিন আরও জানে যে, তার প্রতিপালক হালাল পন্থায় দুনিয়ায় অংশ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে কোন ধোঁকা ও প্রতারণা থাকবে না। থাকবে না কোন জুলুম ও নির্যাতন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/482/50
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।