মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মহা গ্রন্থ আল কুরআন এমনি এক বিস্ময়কর বিজ্ঞান, বিংশ শতাব্দীর আধুনিক বিজ্ঞানও যাকে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা যতই গবেষণা করেছে এই কুরআন নিয়ে, ততই তাদের বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও সুফল বয়ে আনছে। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
ومن آياته منامكم بالليل والنهار وابتغاء كم من فضله ( سورة الروم ২৩)
‘‘রাতে ও দিনে তোমাদের নিদ্রা ও তাঁর কৃপা আকর্ষণ করা তারই (আল্লাহর) নিদর্শন।’’ (সূরা রূম ২৩)
নিদ্রা হচ্ছে জীবনী পন্থা যা অন্যান্য জীবের ন্যায় মানুষ এই নিদ্রার উপর নির্ভর করে। মানুষ তার শরীরের আরাম, ব্রেনের বিশ্রাম ও হৃদয়ের প্রশান্তির জন্য নিদ্রা একান্ত জরুরী। অপর এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
এই আয়াতের তাফছীরে বর্ণিত হয়েছে যে, নিদ্রা মানুষের চিন্তা ভাবনাকে কর্তন করে। তার অন্তর ও মস্তিস্ককে এমন স্বস্তি ও শান্তি দান করে, যার বিকল্প দুনিয়ার কোন শান্তি হতে পারে না।
কীভাবে নিদ্রা সংঘটিত হয় এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
فضربنا علي آذانهم في الكهف سنين عددا ( سورة الكهف .১১)
‘‘তখন আমি কয়েক বছরের জন্য গুহায় তাদের কানের উপর নিদ্রার পর্দা ফেলে দেই।’’ (সূরা কাহফ ১১)
আসলে নিদ্রা সংঘটিত হয় ঐ সময় যখন জাগ্রত রাখার বহির্গত সব কিছু যা মানুষের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে ব্রেনে পৌঁছে, তা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিরত হওয়া। সেই সব যত কমতে থাকে ব্রেনের কাজও তত কমতে থাকে। আর সেই গুরুত্ব পূর্ণ ইন্দ্রিয়গুলো হচ্ছে প্রথমে শ্রবন, তারপর দর্শন তার পর স্পর্শ ও অনুভূতি ইত্যাদি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, হাশরের পূর্বে মানুষদেরকে তাদের কবর থেকে উঠানোর পন্থা হচ্ছে, শিংগার ফুৎকারের মাধ্যমে এমন বিকট আওয়াজ হবে যা তাদের কর্ন কুহুরে পৌঁছে দেবে।
আল্লাহতাআলা বলেনঃ
ونفخ في الصور فإذا هم من الأجداث إلي ربهم ينسلون , ياويلنا من بعثنا من مرقدنا هذا ما وعد الرحمن وصدق المرسلون إن كانت إلا صيحة واحدة فإذا هم جميع لدينا محضرون ( سورة يس ৫১-৫৩)
‘‘শিংগায় ফুক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালন কর্তার দিকে ছুটে চলবে। তারা বলবে হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উত্থিত করল? আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন। এটা হবে একটা আওয়াজ সে মূহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।’’ (সূরা ইয়াছীন ৫১-৫৩)
ঘুমের বৈশিষ্ট হচ্ছে ঘুমন্ত ব্যক্তি ঘুমন্তাবস্থায় অনুমান করতে পারে না যে, সে এই ঘুমে কতুটুকু সময় অতিবাহিত করেছে। আর এরই দিকে কুরআন ইঙ্গিত করে বর্ণনা করছে।
وكذلك بعثنا هم ليتساءلوا بينهم قال قائل منهم كم لبثتم ؟ . قالوا لبثنا يوما أو بعض يوم ( سورة الكهف ১৯)
‘‘আমি এমনি ভাবে তাদেরকে জাগ্রত করলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করে । তাদের একজন বললঃ তোমরা কতকাল অবস্থান করেছ? কেউ কেউ বলল, একদিন অথবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি।’’ (সূরা কাহফ ১৯)
প্রকৃত পক্ষে তারা অবস্থান করেছিল।
ثلاث مائة سنين وازدادوا تسعا ( سورة الكهف .২৫)
তিন শত নয় বছর।
ঘুমন্ত ব্যক্তি তার চতুর পার্শ্বের সব কিছু থেকে আলাদা হয়ে যায়। যেন সে মৃত আর তাই পবিত্র কুরআন বিভিন্ন জায়গার ঘুমকে ক্ষণস্থায়ী মৃতুর সাথে তুলনা করেছেন।
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
وهو الذي يتوفاكم بالليل ويعلم ما جرحتم بالنهار ثم يبعثكم فيه ليقضي أجل مسمي ( سورة الأنعام ৬০)
‘‘তিনিই তোমাদেরকে রাতের বেলায় মৃত দান করেন এবং তিনি জানেন যা কিছু তোমরা দিনের বেলায় কর। অতপর তোমাদেরকে দিবসে সমন্থিত করেন যাতে নিদ্ধারিত সময় পূর্ণ হয়।’’ (সূরা আনআম ৬০)
লন্ডনে ড. আর্থার জে এলিসন ‘পবিত্র কুরআনের আলোকে আধ্যাত্ম তত্ত্ব এবং আধ্যাত্মিক চিকিৎসা’’ -এর উপর গবেষণা করছিলেন। গবেষণাকালে গভীর মনোযোগ এবং সূক্ষ্মদৃষ্টি দিয়ে তিনি পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করার সুযোগ লাভ করেন। মহা গ্রন্থ আল কুরআনের সত্যতা, বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য এবং সত্যে প্রভাবান্বিত হয়ে পরবর্তীতে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইসলামে দীক্ষিত হন। তাঁর ইসলামী নাম আল্লাহ এলিসন।
সম্প্রতি মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত একটি বিজ্ঞান বিষয়ক সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে ড. আল্লাহ এলিসন বলেন, পাশ্চাত্য বিজ্ঞানীদের দ্বীন ইসলামের উপর ব্যাপক গবেষণা এবং পড়ালেখা করা উচিত। কেননা একমাত্র ইসলামই এমন একটি ধর্ম যা একই সাথে মানবজাতির অন্তরলোক, বিবেক ও অনুভূতিকে সমভাবে সম্বোধন করেছে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বে জ্ঞানের যত দিক আছে, যত শাখা আছে তার সব কিছুই আছে মহা গ্রন্থ আল-কুরআনে। মহাবিশ্ব সৃষ্টি, গ্রহ-নক্ষত্র সৃষ্টি, জীবজগতের যত সব অজানা রহস্য উদঘাটন করেছে চিরন্তন এ আসমানী কিতাব। চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্রের গতি-প্রকৃতি, এর আবর্তন-বিবর্তন সম্পর্কে, পানি-সমুদ্র-বায়ুমন্ডল, বিদ্যুৎ, উদ্ভিদজগৎ, প্রাণীজগৎ, প্রাণের উৎপত্তি ও বিকাশ মহাকাল ইত্যাদি সম্পর্কে নিখুঁত, নির্ভুল জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা পবিত্র কুরআন প্রকাশ করেছে।
ড. আল্লাহ এলিসন বৃটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রি্ক ও ইলেকট্রোনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রাধন। তিনি কায়রোর ঐ সম্মেলনে বক্তব্য পেশের এক পর্যায়ে দুঃখ করে বলেন, মুসলমানেরা সার্বজনীন ধর্ম ইসলামের বিজ্ঞান বিষয়ক সব তথ্য এবং বর্ণনাসমূহকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সামনে পরিচিত করার ব্যাপারে পরিপূর্ণ সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আধ্যাত্মিকতা এবং মনস্তাত্বিক বিষয়াবলীর উপর শিক্ষা লাভ করা যায় বৃটেনে এমনি একটি সংস্থায় আমি ছয় বছর পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ঐ পদে কাজ করতে গিয়ে আমার বিভিন্ন ধর্মের উপর তুলনামূলক গবেষেণা বা পর্যালোচনার সুযোগ ঘটে। ‘‘চিকিৎসা বিজ্ঞানে কুরআনের অবদান’’ আলোচ্য বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত কায়রোর ঐ সম্মেলনে ইসলামে দীক্ষিত হবার ঘোষণা প্রদান করে। ড. আবদুল্লাহ বলেন, আমার গবেষণার আলোচ্য বিষয় ছিল ‘‘জীবের নিদ্রা এবং মৃত্যুর মাঝে সম্পর্ক’ বিষয়ক। গবেষণার সময় অত্যাধুনিক ইলেকট্রোনিক যন্ত্রপাতি এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে তিনি ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। এ গবেষণা কর্মে তিনি ড. ইয়াহইয়া আল মাশরিকীর সাহায্য লাভ করেছেন, যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তাত্ত্বিক বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং কায়রো সম্মেলনে ড. এলিসনের সাথে যোগদানের জন্য এসেছিলেন। ড. আল্লাহ বলেন, যখন তিনি কুরআনের আলোকে অধ্যাত্মতত্ত্ব এবং আধ্যাত্মিক চিকিৎসার উপর গবেষণায় মনোনিবেশ করেন, তখন বিষ্ময়কর সব তথ্যাবলী তার সামনে উদ্ঘাটিত হয়। তিনি বলেন, ‘‘জীবের নিদ্রাবস্থা ও মৃত্যু সম্পর্কে’’ আমি একটি সন্দর্ভ রচনা করতে গিয়ে কুরআন অধ্যয়নকালে আমার দৃষ্টি একটি আয়াতের উপর স্থির হয়ে গেল। এ আয়াতটি মানুষের নিদ্রাবস্থা এবং নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়া ও মৃত্যুর সাথে সম্পৃক্ত। ড. আল্লাহ বলেন, তিনি এবং ড. আল মাশরিকী সম্মিলিতভাবে কুরআন শরীফের এ আয়াতটির উপর ব্যাপক গবেষণাকর্ম চালিয়ে এ সিদ্ধান্তে উপণীত হয়েছেন যে, প্রাণীর ‘নিদ্রা ও মৃত্যু’ প্রকৃত পক্ষে একই সূত্রে গ্রথিত দুটি বস্ত্ত যাতে রাতের ঘুমের অনেক উপকার রয়েছে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সুস্বাস্থের অন্যতম ও প্রধান শর্ত হল পরিমিত পরিমাণ রাতে নিদ্রা যাওয়া। যারা পরিমিত পরিমাণ নিদ্রা যায় কেবল মাত্র তারাই সজীব প্রাণবন্ত মন নিয়ে দিবস আরম্ভ করে, রাতের ঘুমে কর্মশক্তি ও উদ্যম আনয়ন করে, দেহের ক্লান্তি ও অবসন্নতা দুর করে। আধুনিক বিজ্ঞানে আরও বর্ণিত যে, রাতের অন্ধকারের ঘুম মানুষের জন্য দিনের ঘুমের চেয়ে অনেক গুণ বেশী উপকারী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/482/42
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।