মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
বিশ্বের কাফের মুশরেক, ইহুদি, খ্রিস্টান, মুসলিম অমুসলিম, আরব অনারব, অতীতে ও বর্তমানে সবাই এক বাক্যে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে যে, আল্ কুরআন কোন মানুষের তৈরি নয় বরং মহা পরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ।
এই হচ্ছে ওয়ালেদ ইবনে মুগীরা। সে ছিল মুশরেকদের সর্দার। সে রাসূল (সা.) এর কাছে আসল। তিনি কুরআন পড়তে ছিলেন। ওয়ালীদ ইবনে মুগীরা এই তিলাওয়াত শুনে একে আল্লাহর বাণী মেনে নিয়ে মুশরেকদের সবার সামনে স্বীকার করতে বাধ্য হয়। আবু জেহেল এই খবর শুনে তার কাছে এসে বললঃ হে চাচা! তোমার সম্প্রদায় তোমার জন্য সম্পদ জমা করেছে। সে বলল কেন? আবু জেহেল বলল: তোমাকে দেয়ার জন্য। যেহেতু তুমি মোহাম্মদ (সা.) এর কাছে তার বিরোধিতা করার জন্য গিয়েছ। ওয়ালেদ বলল: কুরাইশরা জানে যে আমি তাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশী সম্পদশালী। আবু জেহেল বলল: তাহলে তুমি এমন কথা বল যাতে তোমার সম্প্রদায় বুঝতে পারে যে, তুমি মোহাম্মদ (সা.) কে ঘৃণা ও অস্বীকার করছ। সে বলল: আমি কি বলব তোমাদের মাঝে এমন কোন ব্যক্তি নেই, যে আমার চেয়ে বেশী কবিতা জানে। আল্লাহর শপথ আমি তার মুখে এমন কালাম শুনেছি যা কোন মানুষের কালাম হতে পারে না এবং কোন জ্বিনের কালাম হতে পারে না। এতে রয়েছে এক অপূর্ব মাধুর্য এবং এর বিন্যাসে রয়েছে বিশেষ ধরনের এক বর্ণাঢ্যতা। এর বাহ্যিক আবরণ হৃদয়গ্রাহী এবং অভ্যন্তর ভাগে প্রবাহিত রয়েছে এক স্নিগ্ধ ফলগুধারা। এটা নিশ্চিতই সবার ঊর্ধ্বে থাকবে এবং এর উপর কেউ প্রবল হতে পারবে না। এটা মানুষের কালাম না। ওয়ালীদ সত্য বলেছে।
কোরাইশ সরদার ওতবা ইবনে রাবীয়া একদিন একদল কোরাইশসহ মসজিদে হারামে উপবিষ্ট ছিল, অপর দিকে রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদের এক কোণে একাকী বসেছিলেন। ওতবা তার সঙ্গীদেরকে বলল, তোমরা যদি মত দাও তবে আমি মুহাম্মাদের সাথে কথাবার্তা বলি। আমি তার সামনে কিছু লোভনীয় বস্ত্ত পেশ করব। যদি সে কবুল করে তবে আমরা যেসব বস্ত্ত তাকে দিয়ে দেব যাতে সে আমাদের ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান থেকে নিবৃত্ত হয়। এটা তখনকার ঘটনা যখন হজরত হামজা মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন এবং ইসলামের শক্তি দিন দিন বেড়ে চলছিল। ওত্বার সঙ্গীরা সমস্বরে বলে উঠল হে আবুল ওলীদ (ওত্বার ডাকনাম) আপনি অবশ্যই তার সাথে আলাপ করুন।
ওতবা সেখান থেকে উঠে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে গেল এবং কথাবার্তা শুরু করল। প্রিয় ভ্রাতুষ্পুত্র আপনি জানেন, কোরাইশ বংশে আপনার অসাধারণ মর্যাদা ও সম্মান রয়েছে। আপনার বংশ সুদূর বিস্তৃত এবং আমরা সবাই আপনার কাছে সম্মানিত। কিন্তু আপনি জাতিকে এক গুরুতর সংকটে জড়িত করে দিয়েছেন। আপনার আনীত দাওয়াত জাতিকে বিভক্ত করে দিয়েছে, তাদেরকে বোকা বানিয়ে দিয়েছে, তাদের উপাস্য দেবতা ও ধর্মের গায়ে কলঙ্ক আরোপ করেছে যা সমস্ত মুশরেকরা উপলব্ধি করেছে। শুধু তাই না বরং ওয়ালীদ যেভাবে অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেছে তদ্রুপ সবাই আল্ কুরআনের অলৌকিকতা গভীর ভাবে অনুভব করেছে। এই সত্যকে স্বীকার করতে তাদের অহংকার, কুফরী ও ধোঁকা তাদেরকে বারণ করতে পারেনি। কারণ অস্বীকার করার কোনই উপায় ছিল না। এবং তাদের পূর্ব পুরুষদেরকে কাফের আখ্যায়িত করেছে। এখন আপনি আমার কথা শুনুন। আমি কয়েকটি বিষয় আপনার সামনে পেশ করছি। যাতে আপনি কোন একটি পছন্দ করে নেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন আবুল ওলীদ বলুন, আপনি কি বলতে চান। আমি শুনব।
আবুল ওলীদ বললঃ হে ভ্রাতুষ্পুত্র! যদি আপনার পরিচালিত আন্দোলনের উদ্দেশ্য ধন সম্পদ অর্জন করা হয় তবে আমরা ওয়াদা করছি আপনাকে কোরাইশ গোত্রের সে বিত্তশালী করে দেব। আর যদি শাসন ক্ষমতা অর্জন করা লক্ষ্য হয় তবে আমরা আপনাকে কোরাইশের প্রধান সরদার মেনে নেব এবং আপনার আদেশ ব্যতীত কোন কাজ করব না। আপনি রাজত্ব চাইলে আমরা আপনাকে রাজারূপেও স্বীকৃতি দেব। পক্ষান্তরে যদি কোন জ্বীন অথবা শয়তান আপনাকে দিয়ে এসব কাজ করায় বলে আপনি মনে করেন এবং আপনি সেটাকে বিতাড়িত করতে অক্ষম হয়ে থাকেন, তবে আমরা আপনার জন্য চিকিৎসক ডেকে আনব সে আপনাকে এই কষ্ট থেকে উদ্ধার করবে। এর যাবতীয় ব্যয় ভার আমরাই বহন করব। কেননা আমরা জানি, মাঝে মাঝে জ্বীন অথবা শয়তান মানুষকে কাবু করে ফেলে এবং চিকিৎসার ফলে তা সেরে যায়।
ওত্বার এই দীর্ঘ বক্তৃতা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেনঃ আবুল ওলীদ আপনার বক্তব্য শেষ হয়েছে কি? সে বলল, হাঁ। তিনি বললেন: এবার আমার কথা শুনুন। সে বলল, অবশ্যই শুনব। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের পক্ষ থেকে কোন জওয়াব দেয়ার পরিবর্তে আলোচ্য সূরা ফুস্সিলাত তেলাওয়াত করতে শুরু করে ওতবা চুপ চাপ শুনতে থাকে এবং হাতের পিঠ পিছনে লাগিয়ে গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনে। রাসূলুল্লাহ (সা.) সেজদার আয়াতে পৌঁছে সেজদা করলেন এবং ওত্বাকে বললেন, আবুল ওলীদ আপনি যা শুনবার শুনলেন। এখন আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। ওতবা সেখান থেকে উঠে তার লোকজনের দিকে চলল। তারা দুর থেকে ওত্বাকে দেখে পরস্পর বলতে লাগল, আল্লাহর কসম আবুল ওলীদের মুখমন্ডল বিকৃত দেখা যাচ্ছে। সে যে মুখ নিয়ে এখান থেকে গিয়েছিল, সে মুখ আর নেই। ওতবা মজলিসে পৌঁছালে সবাই বলল, বলুন, কি খবর আনলেন? ওতবা বলল আল্লাহর কসম আমি এমন কালাম শুনেছি যা জীবনে কখনও শুনিনি। আল্লাহর কসম সেটা জাদু নয়, কবিতা নয়, এবং অতীন্দ্রিয়বাদীদের শয়তান থেকে অর্জিত কথাও নয়। হে কোরাইশ সম্প্রদায় তোমরা আমার কথা মেনে নাও এবং ব্যাপারটি আমার কাছে সোপর্দ কর। আমার মতে তোমরা তার মোকাবিলা ও তাঁকে নির্যাতন করা থেকে সরে আস। এবং তাঁকে তার কাজ করতে দাও। কেননা তার এই কালামের এক বিশেষত্ব রয়েছে।
কুরাইশদের বড় বড় নেতা ও সরদারদের সামনে এই ছিল ওত্বার আল্ কুরআনের অলৌকিকতার স্বীকারোক্তি এবং আল্কুরআনের সামনে এই ছিল ওত্বার আল কুরআনের প্রভাবে তার হৃদয় মন ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পরিবর্তন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/482/48
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।