hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর বাণী আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান

লেখকঃ মোহাম্মদ ওসমান গনি

২৩
সাগরের অভ্যন্তরে ঢেউ অন্ধকার ও আল-কুরআন :
আজকের যুগের সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য ও জ্ঞানের ভিত্তিতে প্রকাশিত যে গভীর সাগরের তলদেশে অত্যধিক অন্ধকার রয়েছে এবং সেখানে রয়েছে তরঙ্গ বা ঢেউ যেমন ঢেউ রয়েছে পানির উপরিভাগে। উপগ্রহের মাধ্যমে ছবিসহ এসব তথ্য আবিষ্কার করেছে। অথচ আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে পবিত্র কুরআন আজকের আধুনিক বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক আবিষ্কার গুলোর কথা কি করে এত নিখুঁত সত্যতার সাথে পূর্বাহ্ণেই বলে দিয়েছে। আসুন তাহলে শোনা যাক পবিত্র কুরআন এ ব্যাপারে কি বলছেঃ

أو كظلمات في بحر لجي يغشه موج من فوقه موج من فوقه سحاب ظلمات بعضها فوق بعض إذا أخرج يده لم يكد يراها ومن لم يجعل الله له نورا فما له من نور ( سورة النور ৪০)

অথবা সমুদ্রের বুকে গভীর অন্ধকারের ন্যায় যাকে উদ্বেলিত করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ যার উপরে ঘন কালো মেঘ আছে। একের উপর এক অন্ধকার। যখন সে তার হাত বের করে তখন তাকে একেবারেই দেখতে পায় না। আল্লাহ যাকে জ্যোতি দেন না তার কোন জ্যোতিই নেই (সূরা নূর ৪০)।

সমুদ্রের গভীরে অন্ধকার বৃদ্ধির কথা উপরোক্ত আয়াতে উলেখ করে আল্লাহ কাফেরদের অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন।

সাগর যখন শান্ত এবং আকাশ পরিষ্কার থাকে তখন ক্রমান্বয়ে সমুদ্রের গভীরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে অন্ধকারও বৃদ্ধি পেতে থাকে। অশান্ত সাগরেও অস্বাভাবিক (দুর্যোগপূর্ণ) আবহাওয়ায় অন্ধকার আরো বৃদ্ধি পায়।

সূর্যের ৭টি আলোর মধ্যে সব আলো সমুদ্রের স্মান গভীরতা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না।

প্রথম ধরনের অন্ধকারঃ সাধারণতঃ সমুদ্রের ১০ মিটার গভীরতায় লাল ৩০ মিটারে কমলা, ৫০ মিটারে হলুদ, ১০০ মিটারে সবুজ এবং ২০০ মিটারে নীল আলো অদৃশ্য হয়ে যায়। এরপর মাছ পর্যন্ত নিজের শরীরের আলোর সাহায্য ছাড়া দেখতে পায় না। কারণ গভীর সমুদ্রের তলদেশ সম্পূর্ণ অন্ধকার। এ অন্ধকারই হলো প্রথম ধরনের অন্ধকার।

২য় ধরনের অন্ধকারঃ সাগরের উপরিভাগ শান্ত হওয়ার পরিবর্তে বাতাস বা অন্য কারণে যদি ঢেউ এর উপরে ঢেউ হয় তা’হলে সূর্যের আলোর অধিকাংশই প্রতিফলিত হয়ে ঢেউ এর তেরছা বা হেলানো দিক দিয়ে অপসৃত হয়ে যায়, এবং আলোর পরিমাণ দারুণভাবে হ্রাস পায়। এই সময় সাগরের তলদেশের অন্ধকার অনেক বৃদ্ধি পায়। একে বলে দ্বিতীয় ধরনের অন্ধকার।

৩য় ধরনের অন্ধকারঃ আমরা জানি যে, মেঘ হলো ঘনীভূত জলীয় বাষ্পের সমষ্টি। (এর মধ্যে থাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বৃষ্টি-কণা এবং তুষার-কণা! এই কণাগুলো বাতাসে ভেসে বেড়ায়। বৃষ্টি-ভরা মেঘকে বলা হয় জমাট-মেঘ যার আকার বিশাল মেঘের পর্বতের মত। এর খাড়া-উচ্চতা বেশ দীর্ঘ এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন। এর গভীরতার ব্যাপ্তি ২৫,০০০ থেকে ৩৫,০০০ হাজার ফুটের মধ্যে।) উপর থেকে সূর্যের আলো যখন একে ভেদ করে তখন আলো প্রতিফলিত হয়ে যায়। ফলে সূর্য-কিরণের বড় অংশটা মেঘ কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ঢেউ এর উপর পড়ে কদাচিৎ পানির গভীরতা অতিক্রম করতে পারে। ফলে সাগরের তলদেশ সমগ্র আলো থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে সাগরের তলদেশে নিশ্ছিদ্র অন্ধকার বিরাজ করে। এ ধরনের অন্ধকারে কেউ তার নিজের হাত পর্যন্ত দেখতে পায় না;-এমনকি হাত চোখের সামনে তুলে ধরলেও। তা’হলে অন্ধকারের গভীরতা কতটা বিশাল!

এমন এক যুগে এ আয়াত নাজিল হয়েছিল সে যুগে ছিল না কোন ডুবুরি। না ছিল কোন জাহাজ, না ছিল কোন আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি। সেই যুগের মানুষের জানা ছিল না যে সাগরের অভ্যন্তরীণ তরঙ্গ রয়েছে। সাগরের গভীর তলদেশে রয়েছে অন্ধকার একথাও ছিল তাদের অজানা, আসলে এ ধরনের জ্ঞান সেই যুগে কোন মানুষেরই থাকা সম্ভব ছিল না।

প্রফেসর রাও ছিলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও বিশ্ববিখ্যাত সমুদ্র ভূ-তত্ত্ববিদ।

তিনি বলেন: বিজ্ঞানীরা আজ সাবমেরিনের মাধ্যমে সমুদ্রের অন্ধকারাচ্ছন্নতার কথা জানতে পেরেছে। অথচ আল-কুরআন বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছে অনেক আগেই। তিনি গবেষণা করে বলেন, আল্লাহ সাগর বক্ষের যে অন্ধকারের কথা বলেছেন, তা যে কোন সাগরের জন্য নয়, বরং নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্যধারী সাগরের জন্যই আল্লাহর এ বর্ণনা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে এ জাতীয় অন্ধকার স্তরের দু’টি কারণ-(১) রং এবং (২) আলো।

অর্থাৎ-পানির মধ্যে সাত প্রকারের রং রয়েছে। একটির স্তর অতিক্রম করে অন্যটিতে উপনীত হলেই অন্ধকারের মাত্রা বেড়ে যায়। আর আলো রশ্মি যখন পানিতে পতিত হয়, তখন সাতটি রঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। আর তা হলো রশ্মি যখন মহা সাগরের গভীরে প্রবেশ করে তখন দেখেছি, ওপরের স্তর প্রথম ১০ মিটার পর্যন্ত লাল। অতঃপর ৪৯ মিটার পর্যন্ত কালো, ৫০ মিটারের পরে হলুদ, ১০০ মিটারের পরে সবুজ, ২০০ মিটারের পরে নীল। অতঃপর কঠিন অন্ধকার। এ কারণেই ৩০ মিটার গভীরে পোঁছার পরে কোন ডুবুরির ক্ষত স্থান থেকে রক্ত বের হলে তা আর লাল রঙ্গের দেখা যায় না। আর এসব কারণেই আলোর স্তরে অন্ধকার ঘটে।

আমরা জানি আলোক রশ্মি সৃষ্টি হয় সূর্য থেকে। আর মেঘমালা সূর্যের নীচে অবস্থান করে একটি প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। এটাই অন্ধকারের প্রথম স্তর। অতঃপর সমুদ্রের ঢেউয়ের ওপরে আলোক রশ্মি প্রতিফলিত হয়ে নিম্নদেশে আরেকটি অন্ধকার সৃষ্টি করে এটা হল দ্বিতীয় স্তর। আর যে সমুদ্রের ঢেউ নেই তথায় আলোক রশ্মি প্রতিফলিত হয় না। আর অপ্রতিফলিত আলোক রশ্মি সমুদ্র বক্ষের অনেক গভীর পৌঁছতে সক্ষম। এ ভাবেই মহাসাগরকে দু’টি স্তরে বিন্যস্ত করা যায়। একটি হল উপরিভাগ আরেকটি হল নিম্নভাগ। সাধারণত উপরিভাগ বিশেষভাবে আলো ও উষ্ণতাপূর্ণ। অপর দিকে গভীরাংশ অন্ধকার ও শীতলতায় পূর্ণ। আবার উপরিভাগ ঢেউ দ্বারা চিহ্নিত আর নীচের অংশ শান্ত বলেই পরিগণিত। তবে কোন কোন সময় নীচের অংশেও প্রচন্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। যা মেরীন বিজ্ঞানীরা ১৯০০ সনে আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। সমুদ্রের গহিন অন্ধকারে এবং অতল গভীরে মাছেরাও দেখতে পায় না। অন্য কোন প্রাণীর দেখার বিষয়টি তো প্রশ্নই আসে না। এ সকল বিষয়ে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার অতি সম্প্রতি। অথচ আল-কুরআন এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে ১৪০০ বৎসর পূর্বেই। তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ, ঢেউয়ের ওপর ঢেউ, বিষয়টি উপলব্ধির জন্য আমরা নিম্নোক্ত বর্ণনাটির প্রতি লক্ষ্য করতে পারি।

সমুদ্রগর্ভে যে অন্ধকার এর ওপর রয়েছে প্রথম ঢেউ, যা সমুদ্রের গভীর অংশকে উপরিভাগ থেকে পৃথক করে রেখেছে। এ খাতটিও কুরআনে হাকিমে উলেখ রয়েছে, এই যে বিভিন্ন ঢেউ, তরঙ্গ, অন্ধকার, রং ঘনত্ব, উপরিভাগ এবং নিম্নভাগের পার্থক্য, দুই সমুদ্রের মোহনা একই বিন্দুতে মিলন অথচ কেউ কারো সাথে মিশে না। ইত্যাদি বিষয় মেরীন বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছে। অথচ নিরক্ষর মুহাম্মদ (সা) এর সব জ্ঞান নিখুঁতভাবে প্রচার করেছেন ১৪০০ বৎসর পূর্বেই।

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্নের উদ্ভব হতে পারে যে, সাগরের নিচে গভীর অন্ধকারে কি তাহলে সৃষ্টি জীবসৃষ্টি জীব নেই? যদি থাকে তবে তারা কীভাবে দর্শনের কাজ সম্পন্ন করে থাকে?

আধুনিক বিজ্ঞান প্রকাশ করেছে যে, এই সব গভীর অন্ধকারে সে সব কটি পতঙ্গ বসবাস করছে তারা চক্ষু ছাড়া সৃষ্টি, তাদের কোন চক্ষু নেই, দর্শনের কোন যন্ত্র নেই।যেহেতু তাদের দর্শনের কোন যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না সেহেতু তারা গভীর অন্ধকারে বসবাস করছে। আর তাদের রয়েছে শ্রবণ যন্ত্র এরা রাডারের মতো কৌশল দ্বারা হাজার হাজার মিটার নীচে নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে। নিশ্চয়ই এটা সেই স্রষ্টার আলৌকিকতার যিনি সব কিছু জানেন তিনি ভাল ভাবেই জানেন যে, এই সব সৃষ্টি এমন স্থানে অবস্থান করবে যেখানে গভীর অন্ধকার। সেখানে আলোর ব্যবস্থা নেই তাই সেখানে এদের চোখের প্রয়োজন হবে না। অতএব সুন্দর সঠিক ভাবে তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করছেন। প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যে নির্ধারিত পরিকল্পনা রয়েছে। উক্ত পরিকল্পনার অধীনে একই পদ্ধতিতে সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে সৃষ্টি হয়েছে প্রত্যেক জীব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন