hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর বাণী আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান

লেখকঃ মোহাম্মদ ওসমান গনি

১৯
পাহাড় স্থাপন ও আল-কুআন :
আল্লাহ তা’আলা মানুষের জন্য ভূমন্ডল ও নভোমন্ডলে অসংখ্য অবদান সৃষ্টি করে রেখে দিয়েছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মাধ্যমে সেগুলো মানব জাতির সামনে স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। বিজ্ঞানীগণ ১৯৫৬ সালের দিকে জানতে পেরেছেন যে, প্রত্যেক পাহাড়ের নিচে উক্ত পাহাড়ের শিকড় রয়েছে যা মাটির কঠিন আঠালো স্তর পর্যন্ত ভেদ করে রয়েছে। আর এটা এ জন্য আল্লাহ তাআলা করেছেন যাতে মাটির নরম স্তরটির কঠিন স্তরের সাথে সংযোগ থাকতে পারে এবং পৃথিবী ঘোরার সময় কম্পন সৃষ্টি না হয়, এবং এদিকে ওদিকে হেলে দুলে না যায়। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

والجبال أوتادا ( سورة ال ৭)

(আমি কি করিনি) পর্বত মালাকে পেরেক? (সূরা নাবা ৭)

অন্য আয়াতে বর্ণিত হচ্ছেঃ

وجعلنا في الأرض رواسي أن تميدبهم ( سورة الأنبياء ৩১)

আমি পৃথিবীতে ভারী বোঝা রেখে দিয়েছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পরে। (সূরা আম্বিয়া-৩১ )

তিনি আরও বলেন:

والجبال أرساها ( سورة النازعات ৩২)

তিনি পর্বতের দ্বারা তাকে (পৃথিবীকে) স্থিরতা দান করেছেন। (সূরা নাজিয়াত-৩২ )

বিজ্ঞান আমাদেরকে আরও জানিয়ে দিচ্ছেন যে, পৃথিবীতে এমন কোন পাহাড় নেই যার ভূ পৃষ্টের অভ্যন্তরে শিকড় নেই। বরং পাহাড়ের দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে প্রায় তার সাড়ে চারগুণ লম্বা মাটির অভ্যন্তরে রয়েছে। প্রকৃত পক্ষে সেগুলো পেরেকের ন্যায়। তাঁবু ঠিক রাখার জন্য বালির মধ্যে যেভাবে পেরেক ব্যবহার হয় ঠিক তেমনি ভাবে পৃথিবীকে ঠিক ও স্থিরতা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে পর্বতমালা।

প্রফেসর শিয়াবিতা জাপানি ঐ বিজ্ঞানী চলমান বিশ্বের ভূ-তত্ত্ববিদদের অন্যতম। তিনি কোন ধর্মে বিশ্বাস করতেন না। সকল ধর্মের প্রতিই বিভ্রান্তিমূলক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তবে বর্তমানে বিজ্ঞানময় কুরআনের সত্যতাকে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন।

কয়েকজন মুসলিম মনীষী তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বললেন, বিশ্বের কোন ধর্ম বিষয়ক পন্ডিতদের মুখ খোলা উচিত নয়। কেননা যখন আপনারা কথা বলেন, তখন মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেন এবং বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ সংঘর্ষ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার জন্য বিশেষত ধার্মিক পন্ডিতেরাই দায়ী। এর প্রতি উত্তরে মুসলিম মনীষীগণ বললেন, তাহলে ন্যাটো রাষ্ট্র সংঘ এবং ওয়ারম চুক্তি বা যুদ্ধ প্রতিযোগিতা এত বিপুল পরিমাণে নিউক্লিয়ার ধ্বংসাত্মক অস্ত্রাগার নির্মাণ করেছে, এটার জন্যেও কি ধার্মিক পন্ডিতেরা দায়ী? প্রতি উত্তরে তিনি নীরব। তখন বলা হলো সকল ধর্মের ব্যাপারে আপনি কটূক্তি করেন, তাতে কোন আপত্তি নেই। তবে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যেহেতু আপনি কম জ্ঞানের অধিকারী, সেহেতু এ ব্যাপারে কোন কঠিন মন্তব্য না করাই উত্তম। বরং আপনার নিকট জোর আবেদন জানাচ্ছি, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আপনি একটু জানুন ও গবেষণা করুন। অতপর তার সামনে তার গবেষণা বিষয়ক একাধিক প্রশ্ন উপস্থাপন করা হলো।

প্রশ্ন: আচ্ছা জনাব বলুনতো, পাহাড়গুলো কি দৃঢ়ভাবে মাটির সাথে স্থাপিত? নাকি ভাসমান? মহা দেশীয় ও মহাসাগরীয় পাহাড়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কি?

আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে, মহা দেশীয় পাহাড় মূলত গঠিত হয় গাদ দ্বারা। পক্ষান্তরে মহাসাগরীয় পাহাড় গঠিত হয় আগ্নেয়গিরি সম্বন্ধীয় শিলা দ্বারা। আর মহা দেশীয় পাহাড় সংকোচন শক্তির দ্বারা গঠিত হয়। কিন্তু মহাসাগরীয় পাহাড় গঠিত হয় প্রসারণ শক্তি দ্বারা। আবার মহা দেশীয় পাহাড় হালকা উপাদান দ্বারা গঠিত। তবে মহাসাগরীয় পাহাড়ের গঠন হালকা বলেই এই পাহাড়গুলো হালকা নয়। কিন্তু ইহা গরম। আর পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, উভয় পাহাড়ই ভার বহন করার কাজ করে চলছে। অতএব আল্লাহর কুরআনে বলা হয়েছে যে, আমি কি পাহাড়কে পেরেক স্বরূপ স্থাপন করিনি? সুতরাং উভয় পাহাড়ই পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করার কাজ করে চলছে। এ বিষয়টিতে আপনার মতামত কি?

এতদশ্রবণে প্রফেসর শিয়াবিতা ভূমিতে অবস্থিত এবং সমুদ্র বক্ষে দন্ডায়মান সকল পাহাড়ের বর্ণনা দিলেন। আর তিনি এও বললেন যে, সকল পাহাড়ই পেরেকের আকৃতি বিশিষ্ট। যেন ফুটো জিনিসকে আটকে রাখার কাজ করছে। এবং ভূপৃষ্ঠ ও সাগরের ভারসাম্য রক্ষা করে চলছে। অথচ এ মর্মে আল-কুরআন সু-স্পষ্টভাবে কথা বলেছে অনেক পূর্বেই, আর তা হলো আমি কি পাহাড়কে পেরেক স্বরূপ স্থাপন করিনি? তিনি অবাক হলেন, আজ থেকে ১৪০০ শত বৎসর পূর্বে ভৌগোলিক অবস্থা সম্পর্কে যখন মানুষের ধারণা ছিল খুবই দুর্বল। এত যান্ত্রিক উপাদান যখন ছিল না। বই পুস্তক ছিল না। আধুনিক ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানীদের লিখিত কোন দলিলও ছিল না, আবিষ্কার ছিল না, কি করে তখন মুহাম্মদ (সা) নিরক্ষর মানুষ হয়ে এই তাত্ত্বিক তথ্য প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যা আজকে তিলে তিলে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সমগ্র বিজ্ঞান যাকে শাশ্বত বলে মেনে নিচ্ছে। নিশ্চয়ই ইহা কোন মানবীয় জ্ঞান নয়। বরং কোন অসীম ও ঐশী শক্তির পক্ষ থেকে সমাগত হয়েছে। নিঃসন্দেহে মুহাম্মদ (সা)-এর প্রচারিত জ্ঞান চিরন্তন সত্য। এই বলেই তিনি আল-কুরআনের ব্যাপারে মন্তব্য করলেন। আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্য-সমৃদ্ধ গ্রন্থ আল-কুরআন চিরন্তন সত্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন