মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাববুল আলামীন কিছু অদৃশ্যের সংবাদ প্রদান করেছেন যে তা অনতিবিলম্বে বাস্তবায়িত হবে। অতঃপর তা হুবহু বাস্তবায়িত হয়েছে যে ভাবে কুরআন বর্ণনা করেছে। আর তা মু‘মেন, কাফের, সৎ, অসৎ সবাই জানতে পেরেছে।
প্রত্যেক যুগে ও প্রত্যেক স্থানে এমন কিছু লোক পাওয়া যায় যে, তারা ভবিষ্যতের অনেক খবর প্রদান করে কিন্তু কিছু বাস্তবায়িত হয় আর কিছু বাস্তবায়িত হয় না। কোন ব্যক্তির ভবিষ্যৎ বাণী মোতাবেক যদি তা পরিলক্ষিত হয় তবে মানুষেরা তাকে সম্মান করে আর যদি বাস্তবায়িত না হয় তখন তার সম্পর্কে কিছুই বলে না। আসলে ব্যাপারটা কিছুটা ঝড়ে বক মরে ফকিরের ফকিরালী বাড়ে এর মত।
আল্ কুরআনের অদৃশ্যের খবরগুলো প্রত্যেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে, হচ্ছে এবং হবেই। যেহেতু এটা কোন মানুষের বাণী নয় বরং এই সংবাদ গুলো আল্লাহর, যিনি সমস্ত জাহানের সৃষ্টিকর্তা পরিচালক ও একক নিয়ন্ত্রক, তিনি এই জগতের গোপন প্রকাশ্য সবই জ্ঞাত। তিনি অবগত আছেন এই জগতে যা ঘটেছে এবং ঘটবে এবং কিয়ামত পর্যন্ত যা ঘটবে সবই তার জানা।
অতএব এখন আমরা আল কুরআনের কিছু অদৃশ্যের খবর নিয়ে আলোচনা করব যে খবর কোন মানুষের পক্ষ থেকে হওয়া অসম্ভব।
আল্লাহর রাসূল (স.) তার দাওয়াতী কাজ শুরু করলেন পৃথিবীর সবাই তার বিরোধিতা করতে ছিল যেমন মক্কার মোশরেক বা মদিনার ইহুদীরা শামের খৃষ্টানরা এমন ভাবে চতুর্দিক থেকে সবাই দুর্বল মুসলিমদের কষ্ট দিচ্ছিল, হিংসা জন্ম নিচ্ছিল, ষড়যন্ত্র চলছিল এই দাওয়াতকে চিরতরে নিঃশেষ ও নির্মূল করে দেয়ার। এমতাবস্থায় আল্লাহর আয়াত অবতীর্ণ হলো:
أم يقولون نحن جميع منتصر , سيهزم الجمع ويولون الدبر ، بل الساعة موعدهم والساعة أدهى وأمر ( سورة القمر ৪৪-৪৬)
এরা কি বলেঃ আমরা এক সংঘবদ্ধ অপরাজেয় দল। এই দল তো শীঘ্রই পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে। অধিকন্তু কিয়ামত তাদের শাস্তির নির্ধারিত কাল এবং কিয়ামত হবে কঠিনতর ও তিক্ততর।
(সূরা কামার ৪৪-৪৬)
পৃথিবীর কোন জ্ঞানী লোক যদি এই খবর শুনতো যে, মক্কার এই দুর্বল লোকেরা কুরাইশদেরকে পরাজিত করে বিজয়ী হবে তবে অবশ্যই হতভম্ব ও আশ্চর্য হতো যে কীভাবে এই সেই দুর্বল জাতি যাদের কোন সমরশক্তি নেই, অর্থ নেই, না আছে কোন জনশক্তি। সেই সময় এই খবরকে হয় তো কেউ মোহাম্মদ (স.) এর খেয়াল, ধারণা ও স্বপ্ন বলে উড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে তা দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করেছে এবং বাস্তবতার সাথে প্রত্যক্ষ করেছে এবং বলতে বাধ্য হয়েছে এমন খবর কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় বরং তা সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাববুল আলামীন স্বীয় নবী (সা.) কে শত চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে জানিয়ে দিলেনঃ
يايها الرسول بلغ ما أنزل إليك من ربك , وإن لم تفعل فما بلغت رسالته ، والله يعصمك من الناس ( سورة المائدة . ৬৭ )
হে রাসূল যা কিছু তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে। তুমি সব কিছুই পৌঁছে দাও আর যদি এরূপ না কর তাহলে তুমি আল্লাহর পয়গাম পৌঁছে দাও নাই। আল্লাহ তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন। (সূরা মায়িদা ৬৭)
আল্লাহ রাববুল আলামীন স্বীয় নবীকে সকল শক্রর হাত থেকে রক্ষার ঘোষণা এক অতি আশ্চর্য ব্যাপার কারণ শক্ররা শক্তিশালী হচ্ছে ও বৃদ্ধি পাচ্ছে অথচ মু‘মেন রা অল্প ও দুর্বল, এমতাবস্থায় তার নিরাপত্তার প্রয়োজন ছিল আরো অধিক। অথচ আল্লাহর রাসূল তার সাহাবাগনকে ওহির কথা জানিয়ে দিলেন যে, তোমরা যারা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত তোমরা চলে যাও। আল্লাহ নিজেই তার নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং নিজেই তাকে সকল শক্রর হাত থেকে রক্ষা করবেন।
পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, বহু সীমালংঘনকারী তাদের সৈন্য সামন্ত দিয়ে সব ধরনের নিরাপত্তার সর্বোচ্চ সতর্ক ও সাবধান থাকা স্বত্বেও তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
অথচ শক্রদের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ (স.) কে হত্যার ঘোষণা ও হুমকি থাকা স্বত্বেও তার নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বললেনঃ
ওও أيها الناس .. انصرفوا .. فقد عصمني الله ،، ( الدر المنثور ২/ ২৯৯)
তাই তিনি একা চলতেন তার সাথে কোন রক্ষী ছিল না। তার শেষ জীবন পর্যন্ত এমন ভাবেই কাটিয়ে দিয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ (স.) যখন হিজরত করতে ছিলেন তখন মুশরেকরা তাকে হত্যার প্রচেষ্টা করেছিল। অথচ রাসূল (স.) এর কোন বডিগার্ড ছিল না। তিনি তাদের লাইনেই ভিতর দিয়ে, তাদের সম্মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসলেন। গারে ছাউরে অবস্থানের পর মদিনার দিকে রওয়ানার পথে সুরাকা বিন মালেক রাসূল (স.) কে হত্যার উদ্দেশ্য নিকটবর্তী হলো। তার শেষ ফল এই ছিল যে, যখন সে রাসূল (সা.) এর হেফাজতের ব্যাপারে আল্লাহর নিদর্শন দেখার পর উল্টো তাঁর থেকে নিজের নিরাপত্তার আবেদন করেছিল।
মুসলিম শরীফে বর্ণিত, একদা রাসূল (সা.) একটি গাছের নিচে অবস্থান করছিলেন। তাঁর তলোয়ারটি উক্ত গাছে ঝুলিয়ে রাখলেন। হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে উক্ত তলোয়ারটি নিয়ে উন্মুক্ত করে রাসূল (সা.) কে বলল, আপনি কি আমাকে ভয় পাচ্ছেন না? তিনি বললেন না। সে বলল, আমার থেকে তোমাকে কে রক্ষা করবে? তিনি বললেন আল্লাহ আমাকে তোমার থেকে রক্ষা করবেন। অতএব তলোয়ারটি রেখে দাও। উক্ত মুশরেকটি তলোয়ারটি রেখে দিল। উক্ত মুশরেকটির তলোয়ারটি রেখে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।
অতএব এটা সুস্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান যে, আল্ কুরআনে ভবিষ্যৎ বাণী করা হয়েছে তা কোন মানুষের পক্ষ থেকে নয় বরং মহান করুণাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে তাতে কোনই সন্দেহ নেই।
ডা. শাহ মোহাম্মদ হেমায়েত উল্লাহ স্বীয় কিতাবে সূরা লাহাব উলেখ করে বলেনঃ এই সুরার ভবিষ্যৎ বাণী হচ্ছে আবু লাহাব ও তার স্ত্রী দোযখের আগুনে জ্বলবে। কারণ তারা ঈমান না নিয়ে মারা যাবে আর লাহাব ছিল মুহাম্মাদ (সা.) এর চাচা। যখনই কেউ মুহাম্মাদ (সা.) এর নিকট থেকে ফিরে আসত তখনই আবু লাহাব তার কাছ থেকে মুহাম্মাদ (স.) কি বলেছেন তা জেনে নিত এবং মুহাম্মাদ (সা.) যা বলতেন ঠিক তার উল্টোটা করত। উপরোক্ত সুরা নাজিল হয়েছে আবু লাহাবের মৃত্যুর ১০ বছর পূর্বে। কাজেই আবু লাহাব কুরআন মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য যদি একটু মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে শুধু বলত যে, আমি ঈমান এনেছি। দেখ কুরআন মিথ্যা দাবি করেছে। তার পক্ষে কুরআন মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য একথা বলা কত সহজ ছিল। কিন্তু যেহেতু এটা মহান স্রষ্টারই বাণী যিনি ভবিষ্যৎ জান্তা অতএব আবু লাহাব উক্ত অভিনয়টুকুও যে করবে তা মহান স্রষ্টা ভালভাবেই জানতেন।
মহা গ্রন্থ আল্ কুরআন স্বয়ং আল্লাহর বাণী যা আজও অবিকৃত অবস্থায় বিদ্যমান আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা অবিকৃত অবস্থায় থাকবে যেহেতু আল্লাহ তা আলা স্বয়ং তার সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বলেনঃ
إنا نحن نزلنا الذكر , وإناله لحافظون
আমি এই কুরআন নাজিল করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষণ কারী।
আল্ কুরআনে এমন ভাবে অনেক অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের সংবাদ রয়েছে যার অধিকাংশ সে সময় ছিল অজানা। বর্তমানে বিজ্ঞানে নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কুরআনের বর্ণনার সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/482/47
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।