hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর বাণী আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান

লেখকঃ মোহাম্মদ ওসমান গনি

১৮
মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও আল কুরআন :
বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি রয়েছে। তবে প্রত্যেকেই জানতে চায় কোন জিনিসে আকর্ষণ সৃষ্টি করে? এই আকর্ষণের কারণ কি? বিজ্ঞানীগণ গবেষণার মাধ্যমে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন যে পৃথিবীর অভ্যন্তর হচ্ছে অত্যধিক ভারী এবং যার ওজন যত ভারী হবে তার আকর্ষণ তত শক্তি শালী হবে। তারা বলছেন আমরা যত মাটির নিচে নেমেছি ওজন তত বেড়েছে, তারা জমিনের অভ্যন্তরে ঠিক মাঝামাঝিতে এক প্রকার ভারী তরল পদার্থ পেয়েছেন যা সেখানে ঘুরছে। তার এই চলাচলটা একটা পথে পরিণত হয়েছে। আর এই হচ্ছে ম্যাগ্নেটিস যা প্রত্যেক বস্ত্তকে টেনে নেয় বা আকর্ষণ করে। তারা আরও বর্ণনা করেছে যে এই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকার কারণেই মানুষ পৃথিবীর উপর চলাফেরা করতে পারছে, বৃষ্টির পানি নিচে মাটিতে আসে, গাছের ফল জমিনে পড়ে, বাতাস পৃথিবীর সাথে লেগে থাকে। শুধু তাই নয় পৃথিবী হতে কোন বস্ত্তর দুরত্ব যতই বাড়তে থাকে ততই তার ওজন কমতে থাকে। আর যদি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যবস্থা মহান স্রষ্টা না করতেন তবে পৃথিবীর সব কিছু মহাশূন্যে হারিয়ে যেত, তা আর পাওয়া যেত না।

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

إذا زلزت الأرض زلزالها وأخرجت الأرض أثقالها ( سورة الزلزلة ১-২)

যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে। যখন সে তার বোঝা বের করে দিবে। (সূরা যিলযাল ১-২)

এই আয়াত দুইটির ব্যাখ্যায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সেমিনারে মুসলিমদের সাথে উপস্থিত হয়েছিলেন আমেরিকার অধিবাসী সাতিকলাজ। তিনি বলেন: পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভারী বোঝা রয়েছে। আর এই বোঝাগুলো অনতিবিলম্বে বেরিয়ে আসবে। যখন সেগুলো বের হয়ে আসবে তখন অবস্থা কি হবে?

আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলছেন:

وإذا الأرض مدت وألقت ما فيها وتخلت ( سورة الإنشقاق ৩-৪)

যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে এবং পৃথিবীর গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে ও তা শূন্যগর্ভ হয়ে যাবে। (সূরা ইনসিকাক ৩-৪)

পৃথিবীর গর্ভস্থিত সবকিছু যখন বের হয়ে যাবে তখন আর তার মাধ্যাকর্ষণ থাকবে না। এই মহা বিশ্বের সুন্দর আইন শৃঙ্খলা ও নিয়ম নীতি আর থাকবে না। এ সব কিছুই হবে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে। ডা. হেমায়েত স্বীয় কিতাবে আরও বর্ণনা করেছেন: পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টান না থাকলে অথবা কম হলে জলীয় বাষ্প উপরের দিকে চলেই যেত। আবার উপরে ঠান্ডা বাতাস জলীয় বাষ্পকে ঘনীভূত করতে না পারলে জলকণা তৈরি হত না। ফলে বৃষ্টিও হত না। তাহলে একদিন পৃথিবীর সব পানিই বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে বেড়াত। আর ফিরে আসত না। ফলে পৃথিবীতে কোন পানিই খুঁজে পাওয়া যেত না। যার ফলে নিঃশেষ হয়ে যেত জীবনের অস্তিত্ব। তিনি আরও বলেন: পৃথিবী যদি চাঁদের মত ছোট অর্থাৎ বর্তমান আয়তনের চারভাগের একভাগ হত তবে এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হত বর্তমানে যা আছে তার ৬ ভাগের ১ ভাগ। তাহলে সূর্যের তাপে পানি বাষ্প হয়ে উপরের দিকে চলে গেলে আর ফিরে আসত না কোনদিন। মাধ্যাকর্ষণ কম হওয়ার কারণে চলে যেত তো চলেই যেত। ফলে দ্রুত শেষ হয়ে যেত পৃথিবীর সমুদয় পানি। ‘এবং আমি আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করি পরিমিতভাবে; অতঃপর আমি উহা মৃত্তিকায় সংরক্ষণ করি; আমি উহাকে অপসারিত করিতেও সক্ষম।’ (সূরা মু’মিনূন ২৩ঃ আয়াত ১৮)

চাঁদ সবসময় পৃথিবীর দিকে একদিক মুখ করে ঘুরে। চাঁদের মত পৃথিবীও যদি সূর্যের দিকে একদিকে হত তাহলে সেই দিক হতো তীব্র শীত, যার কারণে পানি বরফ হয়ে যেত আর অন্যদিকে প্রখর গরমের জন্য পানি বাষ্পীয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকত।

অতি গরম ও অতি শীত কোন অবস্থায়ই পানি পাওয়া সম্ভব হত না।

পৃথিবী যদি সূর্যের সমান বড় হত তবে এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হত বর্তমানের ১৫০ গুণ। যার কারণে বায়ুমন্ডলের উচ্চতা ৪ মাইলের চেয়েও কমে যেত। তাহলে পানি আর বাষ্পীভবন হত না। সারা পৃথিবী ডুবে যেত পানিতে।

সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যদি বর্তমানের দ্বিগুণ হত তাহলে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর তাপ কমে গিয়ে দাঁড়াত বর্তমানের ৪ ভাগের ১ ভাগে। তদুপরি কক্ষপথ বৃদ্ধির কারণেও শীতকালের পরিমাণ হত বর্তমানের চার গুণ। কাজেই সারা পৃথিবীর পানি বরফে পরিণত হয়ে যেত। এমনকি গ্রীষ্মকালেও মুক্ত পানি পাওয়া যেত না। তীব্র শীত ও মুক্ত পানির অভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত অতি সহজেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন