hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর বাণী আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান

লেখকঃ মোহাম্মদ ওসমান গনি

২৫
চলমান সূর্য ও আল- কুরআন :
মানুষ পবিত্র কুরআনকে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে এসে পর্যালোচনার মাধ্যমে এর যথার্থ সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষ তার ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে প্রথমে ধারণা করে ছিল ‘‘সূর্য ঘুরছে, পৃথিবী স্থির। আবার পরবর্তীতে ধারণা করেছে যে সূর্য স্থির, পৃথিবী তার চতুর্দিকে ঘুরছে আর তাই দিন ও রাতের সৃষ্টি হচ্ছে। আসলে উক্ত দু‘টি মতবাদের কোনটাই সঠিক ছিল না বরং সূর্য ও পৃথিবী সহ মহাশুন্যে যা কিছু আছে সবই মহান শ্রষ্টার বেঁধে দেয়া নিয়মে সুনির্দিষ্ট পথে চলছে। সূর্যের ব্যাপারে কুরআন বলেছেঃ

وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ ( سورة يس ৩৮)

সূর্য তার নির্ধারিত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে গমন করছে। এটা পরাক্রমশালী মহাজ্ঞানীর সুনির্ধারিত ব্যবস্থা। (সূরা ইয়াছীন ৩৮)

আধুনিক বিজ্ঞান বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, সূর্য তার কক্ষ পথে সেকেন্ডে ২৫০ কিঃ মিঃ বেগে পথ চলে। এই গতিতে চলার সময় প্রতি সেকেন্ডে ২০ কিঃ মিঃ গতিতে অল্কা লাহরীর থেকে বিদ্যুৎ হয়।

মণির উদ্দীন আহমদ স্বীয় কিতাবে উলেখ করেছেনঃ সূর্য হচ্ছে এ বিশাল সৃষ্টিজগতের একটি সাধারণ নক্ষত্র, তবু প্রখরতা ও উষ্ণতাকে কোনো দিনই কোনো মানবীয় জ্ঞান পরিমাপ করতে পারেনি। প্রতি সেকেন্ডে ৪০ লক্ষ টন হাউড্রোজেন এর থেকে ছিটকে পড়ছে এমন সব তারকালোকে, যার তাপমাত্রা ৫০ লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৃথিবীর বুকে মানব সভ্যতার বিকাশের প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত মানবকুল যত এনার্জি ব্যয় করছে তার চেয়ে দশগুণ বেশী এনার্জি প্রতি সেকেন্ডে সূর্য তার চারদিকে বিতরণ করে যাচ্ছে। যে গতিতে সূর্য তার হাউড্রোজেন ছড়াচ্ছে, তা একটি হাউড্রোজেন বোমার তুলনায় ১০ কোটি গুণ বেশী ক্ষমতা ও গতিসম্পন্ন। প্রতি সেকেন্ডে সূর্য তার আশে পাশে যে হিলিয়াম নামক তরল গ্যাস তৈরী করছে, তার পরিমাণ হচ্ছে ৫৬০৪ কোটি টন। এর শক্তি ও প্রখরতা এত বেশী যে, যদি সূচাগ্রও এই ভূমন্ডলের কোথাও গিয়ে পড়ে তাহলে তার ১০০ মাইলের ভেতরে কোন জীব-জন্তু থাকলে তা জ্বলে ছাই-ভম্ম হয়ে যাবে।

এই জ্বলন্ত সূর্যের সম্মুখ ভাগ থেকে প্রতি সেকেন্ডে আরেকটি জ্বালানী গ্যাস নির্গত হয়। বিজ্ঞানীরা যার নাম দিছেন স্পইকুলস। এই গ্যাসের গতি হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ হাজার মাইল। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এক অদ্ভুত বিকর্ষণশক্তি তাকে মূহুর্তেই আবার সূর্যের কোলেই ছুড়ে মারে। এই যে অকল্পনীয় ও অস্বাভাবিক জ্বলন্ত আগুনের কুন্ডলি বানিয়ে রাখা হয়েছে, যার একটি অণু-পরমাণুও যদি ভূলোকে সরাসরি ধাক্কা লাগে, তাহলে গোটা পৃথিবীটাই জ্বলে পুড়ে ছাই-ভস্ম হয়ে যাবে বলে আধুনিক বিজ্ঞানীরা বলছেন। কিন্তু পৃথিবীর বুকে আলো বিতরণ করে একে ফুলে ফলে সাজিয়ে দেয়ার এ আয়োজনটকু করেছেন কে? কে এ মহান শক্তিধরকে ধ্বংস করার বদলে গড়ার কাজে লাগিয়ে রেখেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন