hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পুনরুদ্ধার

লেখকঃ আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

১৩
শাফাআত শুধু আল্লাহর কাছে চাইতে হবেঃ
সকল শাফাআতের মালিক যেহেতু একমাত্র আল্লাহ্‌ তাআলা, যেহেতু তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ শাফাআত করতে পারবে না, যেহেতু নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা অন্য কেউ কারো জন্য শাফাআত করবেন না যে পর্যন্ত তার জন্য আল্লাহ্‌ অনুমতি না দিবেন, যেহেতু তাওহীদ পন্থী ছাড়া আল্লাহ্‌ কারো জন্য অনুমতি দিবেন না, যেহেতু শির্ক করলে শাফাআত থেকে বঞ্চিত হতে হবে, যেহেতু প্রমাণিত হল যে সব শাফাআত একমাত্র আল্লাহর- সেহেতু আমরা এই শাফাআত একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইছি। কোন নবীর কাছে নয়; কোন ওলী বা দরবেশ বা পীরের কাছে নয়।

পীরের মুরীদ হলেই যদি আখেরাতে পার পাওয়া যায়, তবে পীরের আত্মীয় হলে তো কোন কথাই নেই। সে তো জান্নাতে চলেই গেছে। অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকটাত্মীয়দের ব্যাপারে এরকম কোন দায়িত্ব নেননি বা তাদেরকে পার করে দেয়ার আশ্বাসও দেননি।

সহীহ্‌ বুখারী ও সহীহ্‌ মুসলিমে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ্‌ যখন নাযিল করলেনঃ وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ এবং আপনার বংশের নিকটাত্মীয়দেরকে জাহান্নামের ভয় দেখান। (সূরা শুআরাঃ ২১৪) তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ বংশ কুরায়শ এবং কুরায়শের অন্যান্য গোত্রকে একত্রিত করলেন এবং বললেনঃ

( يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا اشْتَرُوا أَنْفُسَكُمْ لَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنْ اللَّهِ شَيْئًا يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ لَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنْ اللَّهِ شَيْئًا يَا عَبَّاسُ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لَا أُغْنِي عَنْكَ مِنْ اللَّهِ شَيْئًا وَيَا صَفِيَّةُ عَمَّةَ رَسُولِ اللَّهِ لَا أُغْنِي عَنْكِ مِنْ اللَّهِ شَيْئًا وَيَا فَاطِمَةُ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَلِينِي مَا شِئْتِ مِنْ مَالِي لَا أُغْنِي عَنْكِ مِنْ اللَّهِ شَيْئًا )

হে কুরায়শ সমপ্রদায় তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর, আমি আল্লাহর পাকড়াও থেকে তোমাদের কোন কাজে আসব না। হে আবদে মানাফ গোত্র! আল্লাহর পাকড়াও থেকে আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হে আমার চাচা আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব! আল্লাহর পাকড়াও থেকে আমি আপনার কোন উপকার করতে পারব না। হে ছাফিয়া! রাসূলুল্লাহর ফুফু, আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা করার জন্যে আমি আপনার কোন উপকার করতে পারব না। হে মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমা! আমার নিকট দুনিয়ার সম্পদ থেকে যা ইচ্ছা চেয়ে নাও। আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচানোর জন্যে আমি তোমার কোন উপকার করতে পারব না। [. নাসাঈ, অনুচ্ছেদঃ ওসীয়ত, হা/ ৩৫৮৬ [দ্র: সহীহ্ নাসাঈ আলবানী হা/৩৬৪৬, ও সহীহ্ মুসলিম, অনুচ্ছেদঃ আল্লাহর বাণী: وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ এর ব্যাখ্যা, হা/ ৩০৫।]

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতেন যে তিনি কিয়ামতের দিন আল্লাহর অনুমতিতে মুমিনদের জন্যে সুপারিশ করবেন, সুপারিশ করবেন কাবীরা গুনাহে লিপ্ত লোকদের জন্যেও। তারপরও তিনি নিকটাত্মীয় হওয়ার সূত্রে এই লোকগুলোর জন্যে কোন ধরণের সাহায্য করার বিষয়কে নাকচ করে দিলেন। যারা মুশরিক তাদের কথা বাদ দিলে তো অন্য যারা ঈমানদার ছিলেন, তাদের বিষয়টি তো নাকচ করার কোন কারণ নেই। কিন্তু যেহেতু তিনি নির্দিষ্টভাবে ব্যক্তি বিশেষের জন্যে সুপারিশ করার বিষয়ে কোন ক্ষমতা রাখেন না, তাই তিনি তা নাকচ করে দিয়েছেন। যাতে করে আত্মীয় হওয়ার দাবীতে কেউ এই আশা রাখতে না পারে যে আমরা নবীজীর মাধ্যমে পার পেয়ে যাব। আল্লাহ্‌ অনুমতি না দিলে এবং শাফাআতকৃত ব্যক্তির উপর আল্লাহ্‌ সন্তুষ্ট না হলে নবীজী তার জন্যে কখনই সুপারিশ করবেন না। অতএব নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সবচেয়ে নিকটবর্তী লোকদের যখন এই অবস্থা তখন অন্যদের অবস্থা কিরূপ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।

এই আলোচনার পরও যদি কোন মানুষ দাবী করে যে, সে কিয়ামতে আল্লাহর কাছে কারো জন্যে সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখে, তবে সে যে নিজেকে আল্লাহর সমক্ষ নির্ধারণ করে মুশরিক হয়ে গেল একথা সূর্যের মত স্পষ্ট। অনুরূপভাবে একথাও প্রকাশ হয়ে গেল যে, কেউ যদি বিশ্বাস করে নির্দিষ্টভাবে উমুক ব্যক্তি তার এবং আল্লাহর মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তিনি তার জন্যে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবেন সেও কাফের মুশরিক। যদিও সে কালেমা ওলা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌ পাঠ করে, নামায পড়ে, যাকাত দেয়, রোযা রাখে, হজ্জ-ওমরা করে এবং দাবী করে যে আমি মুসলিম। এর সম্পর্কেই আল্লাহ্‌ বলেন,

قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالًا، الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا

আপনি বলুন, আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দিব, কাদের যাবতীয় আমল বরবাদ? তারা হচ্ছে সেই লোক দুনিয়ার জীবনে যাদের কর্মপ্রচেষ্টা গুমরাহীর পথে পরিচালিত হয়েছে; অথচ তারা মনে করে যে তারা নেক আমল করছে। (সূরা কাহ্‌ফঃ ১০৩-১০৪)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন