hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পুনরুদ্ধার

লেখকঃ আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

৩৪
পীরেরা কি গায়েবীভাবে মুরীদদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেন?
চরমোনাই পীর মাওলানা এছহাক সাহেব হযরত রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী সাহেবের একটি কারামাত লিখেছেনঃ ঘটনাটি সংক্ষেপে এরূপঃ দেওবন্দ মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আহমদ হোছায়েন সাহেব হজ্জ থেকে ফেরার পথে তাদের ষ্টীমার সাগরের মধ্যে ভয়ানক তুফানের মধ্যে পতিত হয়। ষ্টীমার লাইন ছেড়ে ২০০ মাইল অন্য দিকে সরে যায়। তখন হাজী সাহেবগণ খুরমা, সুরমা, রুমাল ইত্যাদি মক্কা শরীফ থেকে যা নিয়ে এসেছিলেন তা সামনে রেখে আল্লাহকে ডাকতে লাগলেন, ওগো আমার মাওলা! আমাদের প্রাণের টুকরা ছেলেমেয়ে আপনার নাবালেগ বেগুনাহ্‌ বান্দাদের জন্যই আমরা এইসব আনিয়াছি, তাহাদের উছীলায় আমরা গুনাহগার বান্দাদিগকে এই মহাসংকট হইতে বাঁচাইয়া রাখুন।

হযরত মাওলানা সাহেব (দেওবন্দের মোহতামিম) বলেন, সে সময় আমার চোখে একটু তন্দ্রা আসিল। ঐ তন্দ্রার মধ্যে দেখিতে পাইলাম যে, কুতুবে আলম হযরত গঙ্গুহী রাহমাতুল্লাহি আলাইহে একখানা ছোট নৌকার উপর বসিয়া আমাদের ষ্টীমারখানা কাঁধের সঙ্গে লাগাইয়া ধরিয়ে রাখিয়াছেন। আমার তন্দ্রা ভাঙ্গিয়া গেল। আমি হাজী সাহেবদের বলিলাম কোন চিন্তা নেই আমাদের বাঁচাইবার জন্যে আল্লাহ্‌ পাক মেহেরবানী করিয়া তাহার কুতুব পাঠাইয়া দিয়াছেন।

পীর সাহেব ঘটনার সারাংশে লিখেছেনঃ এখন লক্ষ্য করুন মাওলার খাঁটি আশেক হইতে পারিলে তিনি আপন আশেককে কতদূর মর্তবা ও কি পরিমাণ ক্ষমতা দান করিয়া থাকেন। আরো লক্ষ্য করুন যে, দুনিয়াতে যাহাকে এত শক্তি দান করিয়াছেন, আখেরাতে যে তাঁহাকে কত শক্তি, কত মর্তবা দিবেন তাহার কোন সীমা থাকিবে না। (আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহীঃ ৬০-৬১ পৃষ্ঠা)

আরেকটি ঘটনাঃ

চরমোনাই পীর সাহেব হযরত গঙ্গুহী সাহবের আরেকটি কারামাত লিখেছেনঃ জনৈক বৃদ্ধের এক ছেলে তিনদিন যাবত নিরুদ্দেশ ছিল। বৃদ্ধ ছেলেকে উদ্ধারের জন্য গঙ্গুহী সাহেবের নিকট দরখাস্ত করলেন। তখন গঙ্গুহী সাহেব মুরাকাবায় বসে বৃদ্ধের ছেলেকে উদ্ধার করে দিলেন এবং তাকে বললেন, বাড়ি যাও, তোমার ছেলে বাড়ি আসিয়াছে। [. চরমোনাই পীর ঘটনাটি বিস্তারিত এরকম লিখেছেনঃ ‘হযরত গঙ্গুহী (রহঃ) একদিন আপন বৈঠকখানায় বসিয়া খাছ লোকদিগকে ওয়াজ নছীহত শুনাইতেছেন। এমতাবস্থায় একজন বৃদ্ধ লোক আসিয়া বলিল, হুজুর আমার ছেলে তিনদিন যাবত কোথায় গিয়া লুকাইয়াছে জানি না। বহু খোঁজ করিয়াও তাহার কোন সন্ধান পাইতেছিনা। হুজুর! মেহেবানী করিয়া আল্লাহ পাকের কাছে খাছ দোয়া করতঃ আমার ছেলেটিকে হাজির করিয়া দেন। এই বলিয়া বৃদ্ধ কাঁদিতে লাগিল। কুতুবে আলম বৃদ্ধকে সান্তনা দিয়া মোরাকাবায় চলিয়া গেলেন। কিছু সময়ের মধ্যে তিনি মাথা উঠাইয়া বলিলেন, বুড়ো! এখন তুমি বাড়ি যাও তোমার ছেলে বাড়ি আসিয়াছে। তখন বুড়ো খুব খুশি হইয়া বাড়ির দিকে দৌড় দিল। গিয়া দেখে, ছেলে তাহার বাড়ির দরজায় বেহুশ হইয়া পড়িয়া আছে। অনেক যত্নের ফলে খোদার রহমতে ছেলের হুশ হইল। খানা-পিনার বাদে তাহার বাবা জিজ্ঞাসা করিল, বাবা! তুমি কোথায় গিয়াছিলা? ছেলেটি বলিল, বাবাজান! আমি রাত্রে এশার নামায পড়িয়া বাহির হওয়া মাত্র একটি জ্বীন আমাকে ধরিয়া নিয়া একটি সাগরের দ্বীপ চরে ফেলিয়া দেয়। ... সেখানে আমার তিনদিন কাটিয়া যায়। আমি জীবনের আশা ত্যাগ করতঃ বসিয়া কাঁদিতেছি। বেলা দশটার সময় হঠাৎ কুতুবে আলম গঙ্গুহী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আমার সম্মুখে দাঁড়াইয়া বলেন যে, হে ছেলে! তুমি এখানে কেন আসিয়াছ? তুমি আমার সাথে চল, আমি তোমাকে বাড়ি দিয়া আসি। এই বলিয়া তিনি আমার হাত ধরিলেন। তারপর কি হইয়াছে তাহা আমি জানি না...।’ (আশেক মা’শুক বা এস্কে এলাহীঃ ৬০-৬১ পৃষ্ঠা)] (আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহীঃ ৬২-৬৩ পৃষ্ঠা)

বিশ্লেষণঃ

উপরের ঘটনা দুটি দ্বারা যা বুঝে আসে তা নিম্নরূপঃ

ক) যে সকল বিষয়ে আল্লাহ্‌ ছাড়া কেউ সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না, সে ক্ষেত্রে মারেফতের পীররা ভক্তদের সাহায্য করে থাকেন।

খ) কঠিন বিপদের মূহূর্তে দুআ করার জন্য উসীলা করার নিয়ম। আর তা হচ্ছে নেক লোকদের উসীলা করা।

গ) বিপদ-মুসীবতে পড়লে তা থেকে উদ্ধারের জন্য মারেফতের পীরদের কাছে আবেদন করা যায়।

ঘ) মারেফতের পীররা গায়েবীভাবে মুরীদদের বিপদের কথা শুনতে ও জানতে পারেন এবং যতদূরেই তারা থাক না কেন স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন।

ঙ) মারেফতের পীররা স্বশরীরে উপস্থিত না হয়েও গায়েবীভাবে মুরীদদের সাহায্য করতে পারেন।

চ) ওরা দুনিয়াতে যেমন মুরীদদের উপকার করেন, আখেরাতেও তাদের উপকার করবেন।

উপরের ঘটনা দুটি কোন্‌ দরবেশের মাধ্যমে ঘটেছে, আদৌ ঘটেছে কি না, ঘটনা সত্যা না মিথ্যা, ঘটলে কখন ঘটেছে ইত্যাদি বিষয় আমাদের আলোচ্য নয়। আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে, আল্লাহর বান্দা এবং যারা নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর উম্মত তাদেরকে নিয়ে। ইসলামী শরীয়তে এমন কোন উদাহরণ আছে কি যে মানুষ কোনভাবে শরীয়তের বাহ্যিক বিধি-নিষেধ থেকে দূরে থাকতে পারবে? এমন কোন সুযোগ আছে কি যে পবিত্র কুরআন ও সহীহ্‌ হাদীছের সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ কোন কাজ করেও মানুষ মুসলমান থাকতে পারবে? ইসলামের স্বর্ণ যুগে, ওহী নাযিল হওয়ার যুগে, সাহাবায়ে কেরামের যুগে, তাবেঈদের যুগে এরকম কোন নযীর আছে কি? যা আমরা উপরে দেখলাম?

নবী-রাসূল পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য কী ছিল? আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে মক্কার লোকদের কী নিয়ে ঝগড়া-বিসম্বাদ ছিল? ঐ সমস্ত লোকদের ঈমান-আমলই বা কী ছিল যে নবীজী তাদের সাথে মিশতে পারলেন না? আর তারাও তাঁকে সহ্য করল না? বেধে গেল বিশাল বিশাল যুদ্ধ ও হয়ে গেল রক্তপাত?

আমরা এ বিষয়ে পূর্বে কিছুটা আলোচনা করেছি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে মক্কার কাফেরগণ কিছু বিষয়ে আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখতো। বিশেষ করে যে সমস্ত কাজ আল্লাহ্‌ ছাড়া কেউ করতে পারবে না, সে সকল বিষয়ে তারা আল্লাহর উপর নিখাদ দৃঢ় বিশ্বাস রাখত। আমরা আরো দেখেছি যে, কাফেররা কোন কোন সময় তওয়াফ, হজ্জ ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদতও করত। কিন্তু তারা যেহেতু উপকার-অপকারের ক্ষেত্রে মুর্তি ইত্যাদিকে উসীলা বা মাধ্যম বিশ্বাস করত। মনে করত যে ওরা তাদের জন্যে আল্লাহর কাছে সুপারিশকারী এই কারণে তারা ছিল মুশরিক। [. দেখুন ৭৪ থেকে ৭৯ পৃষ্ঠা।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন