hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পুনরুদ্ধার

লেখকঃ আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

তাওহীদ পুনরুদ্ধার ইবাদত-বন্দেগীতে তাওহীদ পুনরুদ্ধারঃ
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে তাঁর জান্নাত লাভের আশায় ইবাদত করতে হয়। আল্লাহর ক্রোধ ও জাহান্নাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যেই সৎ কর্ম সম্পাদন করতে হয়। তাহলেই সে ইবাদত হবে তাওহীদ ভিত্তিক এবং গ্রহণযোগ্য। তাই আল্লাহ্‌ তাআলা ঘোষণা করেনঃ

وَمَا أُمِرُوا إِلا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ

তাদেরকে তো শুধু এ আদেশ করা হয়েছে যে, তারা ধর্মকে একনিষ্ঠ করে আল্লাহর ইবাদত করবে। (সূরা বাইয়্যেনাহ্‌: ৫) রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

( إِنَّ اللَّهَ لَا يَقْبَلُ مِنْ الْعَمَلِ إِلَّا مَا كَانَ لَهُ خَالِصًا وَابْتُغِيَ بِهِ وَجْهُهُ (

নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তাআলা ইখলাস ও তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য কৃত আমল কবুল করেন না। [. আবু উমামা (রাঃ) থেকে আবু দাউদ ও নাসাঈ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, দ্রঃ সহীহ তারগীব ও তারহীব হা/৭]

কিন্তু উক্ত ইবাদতের মাধ্যমে যদি মানুষের প্রশংসা-ভালবাসা বা বাহাবা ও সন্তুষ্টি লাভ অথবা দুনিয়ার কোন স্বার্থ হাসিলের সামান্যতম ইচ্ছা থাকে তবে তা তাওহীদ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। ফলে উক্ত ইবাদত আল্লাহর কাছে হবে প্রত্যাখ্যাত; বরং তা রূপান্তরিত হবে শির্কে। যদিও উহা ছোট শির্কের অন্তর্ভূক্ত। এ ধরণের ইবাদতকে ইসলামের পরিভাষায় ওরিয়া বলা হয়।

সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের এক শ্রেণীর উচ্চ পর্যায়ের লোকের মধ্যে এই রিয়ার চর্চা ব্যাপক আকারে দেখা যায়। অনেক মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মধ্যে ২/১ ওয়াক্ত নামায অনায়াসেই ছেড়ে দেয়। বিশেষ করে ফজরের নামাযের সময় তাদের অনুপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। আবার কেউ শুধুমাত্র জুমআ বা দুঈদের নামায আদায় করেই পরিতৃপ্ত। কেননা এর মাধ্যমে অন্ততঃ মানুষ একথা বলবে না যে, লোকটা এত খারাপ যে জুমআর নামায তো পড়েই না দুঈদের নামাযও পড়ে না। অথচ সে যে পাঁচ ওয়াক্ত নামায অনায়াসে ছেড়ে দিচ্ছে তাতে কারো মাথা ব্যথা নেই উচ্চ্য-বাচ্চ্য নেই।

যে ব্যক্তি ২/১ ওয়াক্ত নামায ছেড়ে দেয় তার অবশিষ্ট নামায, জুমআ ও দুঈদের নামায যে কেবল মানুষ দেখানোর জন্যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ সে যদি সত্যই আল্লাহ্‌কে দেখানোর জন্যে এবং তাঁর সন্তুষ্টির আশায় ইবাদত করত, তবে যে আল্লাহ্‌ জুমআ বা দুঈদের নামাযের বিধান দিয়েছেন তিনিই অন্যান্য নামাযও ফরয করেছেন। এরকম সুবিধাবাদী মুসল্লীদেরকে কুরআন-হাদীছের ভাষায় মুনাফিক বলা হয়েছে। আর মুনাফেকদের কাজ শুধু মানুষকে সন্তুষ্ট করা এবং মুসলমান সমাজে টিকে থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

আল্লাহ্‌ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ

إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَإِذَا قَامُوا إِلَى الصَّلَاةِ قَامُوا كُسَالَى يُرَاءُونَ النَّاسَ وَلَا يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلَّا قَلِيلًا

নিশ্চয় মুনাফেকরা আল্লাহকে ধোকা দিতে চায়, অথচ তিনিই তাদেরকে ধোকা দিবেন। ওরা যখন নামাযে দন্ডায়মান হয় তখন অলস ভঙ্গিতে দাঁড়ায়। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে দেখানো। এই কারণে তারা খুব কমই আল্লাহকে স্মরণ করে থাকে। (সূরা নিসাঃ ১৪২) অর্থাৎ তাড়াহুড়া করে নামায আদায় করে।

আল্লাহ্‌ আরো বলেনঃ

فَوَيْلٌ لِلْمُصَلِّينَ،الَّذِينَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ،الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ

অতঃপর মুসল্লীদের জন্যে দুর্ভোগ, যারা নামাযের বিষয়ে উদাসীন [. মুসআব বিন সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা (সা’দ)কে জিজ্ঞেস করলাম, বাবা! এই আয়াতটি সম্পর্কে আপনার কি মত? আমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে, নামায আদায় করতে গিয়ে তার মধ্যে উদাসীনতা আসে না? তিনি বললেন, তুমি যা মনে করেছো তা এখানে উদ্দেশ্য নয়; এ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে নামাযের সময়কে বিনষ্ট করা। খেলা-ধুলা বা আজে-বাজে বিষয়ে লিপ্ত থাকে এভাবে নামাযের সময় পার হয়ে যায়।-মুসনাদ আবু ইয়ালা [দ্রঃ সহীহ্ তারগীব ও তারহীব হা/৫৭৬। বর্ণনাটি মাওকূফ সূত্রে হাসান]], যারা মানুষকে দেখানোর জন্যে নামায আদায় করে। (সূরা মাউনঃ ৪-৬)

আবার অনেকে বড় বড় দান-সাদকা করে মানুষের কাছে প্রশংসা শোনার জন্যে। তাই দানকারীর নাম প্রচার না করা হলে তার মন খারাপ হয়। অনেকে টাকা-পয়সা খরচ করে হজ্জ-ওমরা পালন করে আসে হাজী নাম ফুটানোর জন্যে। হজ্জ করে এসে লোকেরা তাকে হাজী সাহেব না বললে মন খারাপ হয়। এ ধরণের আরো যে সমস্ত আমলে মানুষের উদ্দেশ্য থাকে তার কোনটাই আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হবে না। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌ পাক ঐ সমস্ত আমলকারীকে লাঞ্ছিত-অপমানিত করবেনঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি রিয়া এবং শ্রুতির উদ্দেশ্যে কোন আমল করবে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্‌ তার গুপ্ত অসৎ উদ্দেশ্য প্রকাশ করে দিবেন এবং সকলের সম্মুখে তাকে লাঞ্ছিত করবেন। [. মুসনাদে আহমাদ হা/২১২৯০। দ্রঃ সহীহ তারগীব হা/২৪ . মুসলিম, অনুচ্ছেদঃ যে তার আমলে আল্লাহর সাথে অন্যকে অংশী করে। হা/ ৫৩০০। . হাদীছটা এরকমঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট বর্ণনা করেছেনঃ ‘‘কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা’আলা বান্দাদের মাঝে বিচার-ফায়সালা করার জন্য অবতরন করবেন। প্রত্যেক জাতি সে সময় হাঁটুর উপর ভর করে নতজানু অবস্থায় থাকবে। সর্বপ্রথম যাকে ডাকা হবে সে এক ব্যত্তিু যে কুরআনের প্রচুর জ্ঞানার্জন করেছিল, আর এক ব্যত্তিু যে আল্লাহর পথে নিহত হয়েছিল এবং এক ব্যত্তিু যে অঢেল সম্পদের অধিকারী ছিল। সম্মানিত মহান আল্লাহ কুরআনের কারীকে বলবেন, আমার রাসূলের উপর আমি যা নাযিল করেছিলাম তার জ্ঞান কি তোমাকে দান করি নাই? সে বলবে, হাঁ হে আমার প্রতিপালক। তিনি বলবেন, যে জ্ঞান অর্জন করেছ সে অনুযায়ী কি আমল করেছ? বলবে আমি রাত-দিন তা নিয়ে ব্যসত থেকেছি তার হক আদায় করেছি। সম্মানিত মহান আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। ফেরেশতারাও বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। আর মহান আল্লাহ বলবেনঃ বরং তুমি তো ইচ্ছে করেছিলে যে, (তোমাকে) বলা হবে উমুক ব্যত্তিু ক্বারী। আর তা তো বলাই হয়েছে। (মুসলিমের বর্ণনায় আছে, ‘‘অতঃপর তার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হবে। তখন তাকে মুখের ভরে ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’সম্পদশালী ব্যত্তিুকে নিয়ে আসা হবে। সম্মানিত মহান আল্লাহ তাকে বলবেনঃ আমি কি তোমাকে সম্পদের প্রাচুর্য দান করিংন? এমনকি কারো মুখাপেক্ষী করে তোমাকে রাখিনি? সে বলবে, হ্যাঁ, হে আমার বর। তিনি বলবেনঃ তোমাকে যা দান করেছিলাম তা কোন কাজে ব্যবহার করেছ? সে বলবেঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতাম এবং দান-সাদকা করতাম। আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। ফেরেশতারাও বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। সুমহান আল্লাহ বলবেনঃ বরং তুমি তো ইচ্ছে করেছিলে যে, তোমাকে বলা হবে উমুক ব্যত্তিু দানশীল। আর তা তো অবশ্যই বলা হয়েছে। (মুসলিমের বর্ণনায় আছে, ‘‘অতঃপর তার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হবে। তখন তাকে মুখের ভরে ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’আল্লাহর পথে নিহত ব্যত্তিুকে নিয়ে আসা হবে। আল্লাহ তাকে বলবেনঃ কি কারণে নিহত হয়েছ? সে বলবে, হে প্রভূ! আপনার রাসতায় জিহাদ করার জন্য আপনি আদেশ করেছিলেন, তাই লড়াই করে নিহত হয়েছি। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ, ফেরেশতারাও বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। আল্লাহ বলবেনঃ বরং তুমি তো ইচ্ছে করেছিলে যে, (তোমাকে) বলা হবে উমুক ব্যত্তিু বীর যোদ্ধা। আর তা তো অবশ্যই বলা হয়েছে। (মুসলিমের বর্ণনায় আছে, ‘‘অতঃপর তার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হবে। তখন তাকে মুখের ভরে ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’) অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাঁটুর উপর আঘাত করে বললেনঃ ‘‘হে আবু হুরায়রা! আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে এরা হল তিন ব্যত্তিু কিয়ামত দিবসে যালদরকে সর্বপ্রথম জাহান্নামের আগুনে প্রজ্জলিত করা হবে।’’ (তিরমিযী)]

বরং আল্লাহ্‌ তার আমলকে প্রত্যাখ্যান করে বলবেনঃ

( أَنَا أَغْنَى الشُّرَكَاءِ عَنْ الشِّرْكِ مَنْ عَمِلَ عَمَلًا أَشْرَكَ فِيهِ مَعِي غَيْرِي تَرَكْتُهُ وَشِرْكَهُ )

আমি শির্ককারীদের শির্কী আমল থেকে মুক্ত। যে ব্যক্তি কোন আমল করে তাতে আমার সাথে অন্যকে অংশী করবে, আমি তাকে এবং তার শির্কী আমলকে পরিত্যাগ করব। []

আর এই কারণে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্‌ তাআলা সর্বপ্রথম যাদের দ্বারা জাহান্নামের আগুনকে প্রজ্জ্বলিত করবেন তারা কিন্তু সাধারণ অপরাধী নয়। যারা ব্যভিচারী, মদপানকারী, সুদখোর, ঘুষখোর, চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী প্রভৃতি ছিল, সবার আগে এই পাপীদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে না। বুখারী ও মুসলিমের হাদীছে প্রমাণিত আছে যে, বরং যারা সমাজের চোখে সবচেয়ে বড় নেক কাজ আঞ্জাম দিয়েছে তাদেরকেই সকলের আগে উল্টো করে নাকের ভরে ছেঁচড়ে জাহান্নামের মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে। []

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন