মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
জনাব চরমোনাই পীর সাহেবের মতে মারেফতের পীররা নবীদের চাইতে উচ্চস্তরে পৌঁছতে পারেন; বরং তার দাবী মতে মারেফত পন্থী একজন সাধারণ মূর্খ লোক যে স্তরে পৌঁছতে পারে তা নবীদের পক্ষেও সম্ভব নয়। তিনি লিখেছেনঃ হে মুমিন ভাই সকল! এখন বুঝিয়া লউন যে, মূর্খ লোক মা'রেফতের উপরের দরজায় পৌঁছতে পারে কিনা এবং ইহাও খেয়াল করুন যে, মা'রেফতের রাস্তা কত বড় কঠিন ও কত গোপন, যেখানে মূছা (আঃ)এর মত অত বড় পয়গাম্বরও একজন সাধারণ রাখালের হাল বুঝিতে পারেন নাই। (আশেক মাশুক ৮৮-৯০ পৃঃ) [. এই উক্তির পূর্বে পীর সাহেব কপোলকল্পিত, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্ভট একটি কাহিনী উল্লেখ করেছেন। কাহিনীটি পড়লে একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ নবীর শানে চরম বেয়াদবী ও ধৃষ্টতারই প্রমাণ মেলে। নবী-রাসূলদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোন আলেম তো দূরের কথা সাধারণ মুসলমানের পক্ষে এধরণের কুরুচীপূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করা মোটেও শোভনীয় নয়। ঘটনাটি সংক্ষেপে নিম্নরূপঃ ‘‘মূসা (আঃ) একদিন পথ চলছিলেন, এমন সময় দেখেন জনৈক রাখাল ধ্যানমগ্ন হয়ে গুনগুন করে বলছিলঃ ওগো আল্লাহ্ তোমারে যদি পাইতাম সাবান দিয়া গোসল করাইতাম, মাথার চুল আঁচড়াইয়া দিতাম, আতর-সুরমা লাগাইয়া দিতাম...। এসব শুনে মূসা (আঃ) তাকে ধমক দিলেন, কি আজে-বাজে বকছো? এগুলো তো শেরেকী কথা। রাখাল ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে গেল। তখন আল্লাহ্ তা’আলা মূসা (আঃ)কে ডাক দিয়ে তিরস্কার করলেন এবং জানালেন রাখালের কথায় তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন। মূসা (আঃ) পয়গম্বরী হারানোর ভয়ে রাখালকে খুঁজে বের করে তার কাছে ক্ষমা চাইলেন। তখন রাখাল জানালো সে সিদরাতুল মুনতাহা পার হয়ে আরশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছিল। কিন্তু তিনি তাকে বাধা দিয়ে আল্লাহর দীদার হতে বঞ্ছিত করলেন।’’ এরপর চরমোনাই পীর সাহেব উল্লেখিত মন্তব্য পেশ করেনঃ]
সম্মানিত পাঠক! এই উক্তি দ্বারা জনাব পীর সাহেব মানুষকে যা বুঝাতে চেয়েছেন তা হলঃ
১) আল্লাহকে চেনা ও পাওয়ার পথে শরীয়ত পন্থী মূসা (আঃ)এর চাইতে মারেফত পন্থী রাখালের জ্ঞানই বেশী, রাখালের মর্যাদাই অধিক! কেননা আল্লাহকে পাওয়ার পথে রাখাল যতদূর অগ্রসর হতে পেরেছে, মূসা (আঃ) তার কুলকিনারাই পাননি! রাখাল আল্লাহর যত নিটকবর্তী হতে পেরেছে মূসা (আঃ) তার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেননি! অতএব মূসা (আঃ)এর মত নবী যে হাল বুঝতে পারেন না, যে নবী আল্লাহকে সন্তুষ্টকারী (?) কথাবার্তাকে শির্কী কথা বলে প্রতিবাদ করেন, সেই নবীর অনুসরণ করার কোন দরকার আছে কি? বরং সেই রাখালদের পথ ধরে তাদের হাতে মুরীদ হলেই তো আল্লাহকে পাওয়া যাবে, তাঁর আশেক হওয়া যাবে, তাঁর দীদার লাভ করা যাবে, তাঁর নূরে গরক হয়ে সেদরাতুল মুন্তাহায় পৌঁছা যাবে। অতএব যে শরীয়তের জাহেরা পথে চলে আল্লাহর দীদার পাওয়া যায় না, আল্লাহকে চেনা যায় না, আল্লাহর সাথে প্রেমালাপ করা যায় না, সে পথে চলারও দরকার পড়ে না এবং সে পথের প্রতি আহ্বান করারও দরকার নেই। ঐ জন্যেই মনে হয় ইমাম রাজীর পীর সাহেব ইমামকে মা'রেফতের পথে দিক্ষীত করার পূর্বে একবছর কিতাব দেখতে বারণ করেছিলেন। [. ঘটনাটি দেখুন ৪৭-৪৮ পৃঃ।] কারণ কি? কারণ সুস্পষ্ট- একবছর কিতাব না দেখলে তিনি ইসলাম ভুলে যাবেন, অন্তর থেকে ইলম মুছে যাবে আর সেখানে মূর্খতা জড় গেড়ে বসবে। তখন সেই ইলম শুন্য মূর্খ হৃদয় মারেফত নামক ধোকাবাজীর জ্ঞান দ্বারা পরিপূর্ণ করা যাবে। এই জন্যেই পীর সাহেবরা মানুষকে তাওহীদ ও সুন্নাত বা কুরআন ও হাদীছের জ্ঞানে পারদর্শী হওয়ার চাইতে মা'রেফতের জ্ঞানের প্রতিই বেশী আহ্বান করে থাকেন- যে জ্ঞানের কোন পরিচয় নেই, নেই কোন নীতিমালা, নেই কোন দীলল-প্রমাণ ও বই-পুস্তক।
২) পীর সাহেব উল্লেখিত উক্তি দ্বারা পরোক্ষভাবে মানুষকে নবী-রাসূলদের অনুসরণ থেকে বিরত রেখে মা'রেফতের পীরদের অনুসরণের প্রতি আহ্বান করেছেন। ইঙ্গিত করেছেন যে, নবীদের চাইতে পীরেরাই আল্লাহকে অধিক চেনেন এবং আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হতে পারেন। এই কারণে তাদের মতে শরীয়তের আমল-আখলাকগুলো শুধু লেবেল। আল্লাহকে পাওয়ার আসল ও আভ্যন্তরীন মাল-মসলা ও পদ্ধতি একমাত্র তাদের কাছেই আছে! তারা ঐ রাখালদের পথে চলে তাদের সিনা বসিনায় (অন্তর থেকে অন্তরে) চলে আসা মারেফতের গূঢ় তত্ব লাভ করে থাকেন, এজন্যে শরীয়তের বাহ্যিক বিষয় সমূহ তাদের কাছে শুধু লোক দেখানো কিছু আমল। এই কারণে দেখবেন (আমাদের দেশে) শরীয়তের জ্ঞানে পারদর্শী (দাওরায়ে হাদীছ বা টাইটেল পাশ করেও) আলেম সমাজ ঐ সিনা-বসিনায় চলে আসা মারেফতী জ্ঞান পাওয়ার উদগ্র বাসনায় ছুটে চলেন নামধারী পীর সাহেবদের খানকা ও দরবার শরীফে। ধন্য করেন পীর সাহেবদের পদসেবা করে নিজের জীবনকে। এই কারণে তো মা'রেফতের জ্ঞান মূলতঃ কী সে সম্পর্কে কেউ কোন ধারণা দিতে পারেন না। সে সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তার উত্তর হচ্ছে পীর সাহেব। অর্থাৎ পীর মানেই মারেফত। আর পীর না থাকলে মারেফত নেই। এ জন্যে ইসলামী শরীয়তের উপর যত বই-কিতাব লিখা হয়েছে, তার বিপরীতে এলমে মারেফতের কোন পুস্তক আছে কি?
আমরা জানি معرفة (মা'রেফত) শব্দটি আরবী, তার অর্থ চেনা বা জানা। একজন মানুষ কোন বিষয় সম্পর্কে জানলে বা চিনলে তার মা'রেফত হাসিল হল। আল্লাহকে চেনা ও জানার জন্য তাঁর প্রদত্ব কিতাব ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাত ব্যতীত তৃতীয় কোন রাস্তা নেই। এজন্যেই নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে বলেছিলেনঃ تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ আমি তোমাদের জন্যে দুটি বস্তু ছেড়ে যাচ্ছি, তোমরা যতক্ষণ তা আঁকড়ে ধরে থাকবে (অর্থাৎ তার অনুসরণ করবে) কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব অপরটি হচ্ছে তাঁর নবীর সুন্নাত তথা জীবনাদর্শ। [. মুআত্বা মালেক হা/ ১৫৯৫]
৩) এখানে আরেকটি কথা পরিস্কার যে, নবী-রাসূলের পথে না চলেও আল্লাহকে পাওয়া যায় সে কথার প্রতি পীর সাহেব ইঙ্গিত করেছেন। অন্যথা এরকম সনদ বিহীন একটি উদ্ভট মিথ্যা ঘটনা উল্লেখ করার কী কারণ থাকতে পারে? পীর সাহেব মূলতঃ এই আকীদা তার পূর্বসূরী বিভ্রান্ত ইবনে আরাবীর নিকট থেকে গ্রহণ করেছেন।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া লিখেছেনঃ ইবনে আরাবী তার রচিত ওফুসুস নামক গ্রন্থে লিখেছেনঃ আল্লাহর ওলীগণ কোন মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি আল্লাহর নিকট থেকে নির্দেশ পান। আর নবীগণ ফেরেশতার মাধ্যমে নির্দেশনা লাভ করে থাকেন। তার এই কথা মিথ্যা ও বাতিল। কেননা কোন ওলী আল্লাহর নির্দেশনা লাভ করতে পারেন না, তাঁর কাছে প্রেরীত নবী-রাসূলের মাধ্যম ছাড়া। অবশ্য ওলীর কাছে যদি কোন বিষয়ে এলহাম [. আল্লাহর পক্ষ থেকে মনের মধ্যে কোন বিষয় জাগ্রত হওয়াকে এলহাম বলা হয়।] হয়, তবে তা ভিন্ন কথা। কিন্তু সেই এলহামের সত্যতা যাচাই করতে হবে কুরআন-সুন্নাহর মাপকাঠিতে। [. মাজমু’ ফাতাওয়াঃ ১/১৪৯] কেননা নবী-রাসূল ছাড়া পৃথিবীতে কোন যুগে কোন মানুষ সত্যের মাপকাঠি হতে পারে না। অতএব কারো কাছে কোন বিষয়ে এলহাম হলে, সেই এলহাম সত্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে না শয়তানের পক্ষ থেকে তা যাচাই করবেন কিভাবে? [. একমাত্র নবী-রাসূল ছাড়া পৃথিবীর কোন মানুষ শয়তান থেকে নিরাপদ নয়। চাই তিনি ওলী হোন বা অন্য কেউ। এই কারণে ওমার বিন খাত্তাব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর মাধ্যমে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়ার পরও আশংকা করতেন যে, হয়তো তিনি নিজের অজান্তে মুনাফিকী কর্ম করে ফেলেছেন কিনা? এজন্যে তিনি হুযায়ফা (রাঃ)কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি, আমার মধ্যে কি মুনাফেকের কোন আলামত বিদ্যমান আছে? হুযায়ফা বলেছিলেন, না নেই। আপনার পর আমি আর কাউকে এধরণের প্রশ্নের জবাব দেব না। (উল্লেখ্য যে, হুযায়ফা (রাঃ)এর নিকট নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুনাফেকদের পরিচয় ও তালিকা গোপনে প্রকাশ করেছিলেন এবং তা কারো সামনে প্রকাশ করতে নিষেধ করেছিলেন।)তাবেঈ ইবনে আবী মুলাইকা বলেন, ‘‘নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাহাবীদের মধ্যে থেকে তিরিশ জন এমন সাহাবীকে আমি পেয়েছি, যাঁরা সকলেই মুনাফেক হয়ে যাওয়ার বিষয়ে অশংকা করতেন। তাঁদের মধ্যে কেউ দাবী করতেন না যে, আমার ঈমান জিবরাঈল বা মিকাঈল (আঃ)এর ঈমানের ন্যায়।’’ (বুখারী)] তা যাচাই করার জন্য নবী-রাসূলের কাছে প্রেরীত বিধানের মাপকাঠিতে তাকে যাচাই করে নিতে হবে। তার অনুকুলে হলে গ্রহণযোগ্য হবে অন্যথায় প্রত্যাখ্যাত হবে। যাচাই করার দরকার না হলে তো যে কেউ দাবী করতে পারে যে, আমার কাছে এলহাম হয়েছে।
কেননা আল্লাহ্ তাআলা তাঁকে পাওয়ার জন্য নবী-রাসূলদের মাধ্যম ছাড়া অন্য কোন পথ নির্ধারণ করেননি। কেননা তিনি তাঁদেরকে প্রেরণ করেছেন তাঁর বাণী প্রচার করার জন্য। কোন্ কাজে তিনি খুশি হন এবং কোন্ কাজে নাখোশ হন মানুষকে তা শিক্ষা দেয়ার জন্য। এজন্য তিনি সাধারণ মানুষের কাছে শরীয়ত তথা আদেশ-নিষেধ বা ইবাদত সম্বলিত কোন ওহী নাযিল করেননি।
কোন মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, ওহীর মাধ্যমে কিংবা পর্দার অন্তরালে অথবা দূত প্রেরণ ব্যতিরেকে আল্লাহ্ তার সাথে সরাসরি কথা বলবেন। তাঁর ইচ্ছানুসারে তাঁরই অনুমতিক্রমে দূত (জিবরীল বা অন্য ফেরেশতা) ওহী আনয়ন করে থাকেন। নিশ্চয় তিনি সমুন্নত, প্রজ্ঞাময়। (সূরা শূরাঃ ৫১)
আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি যে, ইসলামী শরীয়তের পরিপূর্ণ অনুরসণ ছাড়া কোন মানুষ পরিপূর্ণ আল্লাহর ওলী হতে পারে না; বরং যে যত বেশী শরীয়তের অনুসরণ করতে সক্ষম হয়েছে সে তত বড় আল্লাহর ওলী। কেননা আল্লাহ যাকে ভালবাসেন, যাকে ওলী বা বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন তাকেই তাঁর যাবতীয় বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে মেনে চলার তাওফীক দান করেন। আর সেই ওলীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন নবী-রাসূলগণ। তাঁদের কাছে যা নাযিল হয়েছে জাহেরী-বাতেনীভাবে তারই অনুসরণ করা প্রতিটি মানুষের জন্যে অপরিহার্য।
নবী-রাসূলগণ যা নিয়ে এসেছেন, যে বিষয়ে সংবাদ দিয়েছেন তার সবকিছুকে বিশ্বাস করা ও আমল করা আবশ্যক এবং তাঁদের বিধি-বিধান বাদ দিয়ে কোন ওলীর অনুসরণ হারাম সে সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বহু আয়াত নাযিল হয়েছে। যেমন আল্লাহ্ বলেনঃ
তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা আমাদের নিকট নাযিল করা হয়েছে তার উপর। আরো যা নাযিল করা হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাঁর বংশধরদের নিকট এবং মূসা ও ঈসাকে যা প্রদান করা হয়েছে এবং অন্যান্য নবীগণ তাঁদের প্রভু হতে যা প্রদত্ব হয়েছিলেন তদ সমুদয়ের উপর ঈমান এনেছি। তাদের মধ্যে কাউকেও আমরা প্রভেদ করি না এবং আমরা তাঁরই নিকট আত্মসমর্পণকারী। (সূরা বাকারাঃ ১৩৬)
তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তোমরা তারই অনুসরণ কর, তা ব্যতিরেকে কোন ওলী-আউলিয়ার অনুসরণ কর না। (সূরা আরাফঃ ৩)
ইমাম ইবনে হাজার হায়তামী (রহঃ) বলেন, ওকোন মানুষ যদি ধারণা করে যে, অন্তরের বিশুদ্ধতার মাধ্যমে নবুওতের সম্মান লাভ করা যায়, অথবা বিশ্বাস করে যে, কোন কোন ওলী নবী থেকে উত্তম, অথবা বলে যে তার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশনা এসে থাকে- যদিও সে নবুওতের দাবী না করে, তবে এ ব্যক্তি কাফের ও মুরতাদ হিসেবে গণ্য হবে। মুসলিম শাসকের উপর ওয়াজিব হচ্ছে তাকে হত্যা করা। [. আল যাওয়াজের আন ইক্বতিরাফিল কাবায়ের ১/৬৬ পৃঃ।]
ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেনঃ ইমাম গাজালী (রহঃ) সুস্পষ্টরূপে একথা উল্লেখ করেছেন যে, কোন মানুষ যদি নবুওতের মর্তবার উপরে বেলায়াতের মর্তবাকে উচ্চ দাবী করে, তবে তাকে হত্যা করা আমার নিকট একশত কাফেরকে হত্যা করার চাইতে অধিক পছন্দনীয়। কেননা এই ব্যক্তি দ্বারা দ্বীনের ভয়ানক ক্ষতি সাধিত হবে। [. মাজমু ফাতাওয়া ৪/১০৪ পৃঃ]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/37/54
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।