hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পুনরুদ্ধার

লেখকঃ আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

৩৫
কাফেররা বিপদে পড়লে শির্ক করত নাঃ
পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করে দেখা যায়, মক্কার কাফেররা কঠিন বিপদের মূহূর্তে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্‌ তাআলাকে ডেকেছে। কিন্তু আল্লাহ্‌ তাদের বিপদ দূর করে দিলে আবার তারা শির্ক শুরু করে দিয়েছে। অর্থাৎ কঠিন বিপদের মূহূর্তে তারা পাকা ঈমানদার হয়ে যেত, বিপদ শেষ হলে ঈমান হারিয়ে ফেলত। আল্লাহ্‌ পাক কাফেরদের অবস্থা বর্ণনা করে এরশাদ করেনঃ

هُوَ الَّذِي يُسَيِّرُكُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ حَتَّى إِذَا كُنْتُمْ فِي الْفُلْكِ وَجَرَيْنَ بِهِمْ بِرِيحٍ طَيِّبَةٍ وَفَرِحُوا بِهَا جَاءَتْهَا رِيحٌ عَاصِفٌ وَجَاءَهُمُ الْمَوْجُ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ وَظَنُّوا أَنَّهُمْ أُحِيطَ بِهِمْ دَعَوُا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ لَئِنْ أَنْجَيْتَنَا مِنْ هَذِهِ لَنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ، فَلَمَّا أَنْجَاهُمْ إِذَا هُمْ يَبْغُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ “

তিনিই তোমাদেরকে স্থলভাগে ও জলভাগে পরিভ্রমণ করান; এমনকি তোমরা যখন নৌকায় বা জাহাজে অবস্থান কর, আর সেই নৌকাগুলো যাত্রীদের নিয়ে অনুকূলে বায়ুর সাহায্যে চলতে থাকে, আর তারা তাতে আনন্দিত হয়, এমন সময় হঠাৎ তাদের উপর এক প্রচন্ড প্রতিকূল ঝড় এসে পড়ে এবং প্রত্যেক দিক হতে তরঙ্গমালা তাদের দিকে ধেয়ে আসে, আর তারা মনে করে যে তারা তো বিপদে বেষ্টিত হয়ে পড়েছে, তখন সকলে খাঁটি বিশ্বাসের সাথে একমাত্র আল্লাহকেই ডাকতে থাকে, হে আল্লাহ্‌! যদি আপনি আমাদের রক্ষা করেন, তবে অবশ্যই আমরা কৃতজ্ঞ হয়ে যাব। অনন্তর যখনই আল্লাহ্‌ তাদের উদ্ধার করে নেন, তখনই তারা ভূ-পৃষ্ঠে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহচারণ করতে থাকে। (সূরা ইউনুসঃ ২২, ২৩)

বিপদের সময় কাফেরদের দুআ ও ইবাদতের একনিষ্ঠতার আরো বিবরণ আল্লাহ্‌ দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ

وَإِذَا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فِي الْبَحْرِ ضَلَّ مَنْ تَدْعُونَ إِلَّا إِيَّاهُ فَلَمَّا نَجَّاكُمْ إِلَى الْبَرِّ أَعْرَضْتُمْ وَكَانَ الْإِنْسَانُ كَفُورًا “

সমুদ্রবক্ষে যখন তোমাদেরকে বিপদ স্পর্শ করে তখন কেবলমাত্র আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে তোমরা আহ্বান করে থাক তাদের কথা তোমাদের মন থেকে সরে যায় (যেহেতু এই বিপদের মুহূর্তে ওরা এখন কোন উপকারে আসবে না)। কিন্তু তিনি স্থলভাগে তোমাদেরকে পৌঁছে দিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার করে দেন, তখন তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। আসলে মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ৬৭)

অর্থাৎ- কাফেররা সর্বক্ষণ শির্ক ও কুফরীতে লিপ্ত থাকা সত্বেও আল্লাহর উপর তাদের বিশ্বাস এত দৃঢ় ছিল যে, যখন ঝড়-তুফানের মত কঠিন বিপদে পড়ত, তখন তারা তাদের মাবূদ মুর্তী পীর-দরবেশদের কথা বেমালুম ভুলে যেত। তারা পূর্ণরূপে জানত যাদেরকে তারা ডেকে থাকে তারা এই ভয়াবহ বিপদে কোন ধরণের সাহায্য বা বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করার ব্যাপারে খুবই নগন্য ও অত্যন্ত দূর্বল। বরং তারা তো তাদের ডাকই শুনতে পাবে না, সাড়া দেয়া তো দূরের কথা। এই কারণে তখন তারা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে সাহায্যের আশা করত না আবেদন করত না। আর সাহায্য পাওয়ার আশায় এককভাবে খাঁটি মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকত। উদ্ধার পাওয়া পর্যন্ত তারা আল্লাহর খাঁটি বান্দায় পরিণত হয়ে যেত। তারা জানত যে এই কঠিন বিপদে আল্লাহ্‌ ছাড়া পৃথিবীর কোন ব্যক্তি কোন শক্তি তাদের উপকার করতে পারবে না, তাদেরকে উদ্ধার করতে পারবে না। কিন্তু আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার পর তারা আবার আল্লাহ্‌ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিত, তাঁর সাথে হঠকারী আচরণ শুরু করে দিত। পূর্ব অভ্যাস অনুযায়ী শির্ক ও কুফরীতে লিপ্ত হত- মনগড়া মাবূদদের উদ্দেশ্যে মান্নত করত, পশু যবেহ করত। নীচের আয়াতে তাদের সেই আচরণের বিবরণ পাওয়া যায়। আল্লাহ্‌ বলেনঃ

فَإِذَا رَكِبُوا فِي الْفُلْكِ دَعَوُا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ فَلَمَّا نَجَّاهُمْ إِلَى الْبَرِّ إِذَا هُمْ يُشْرِكُونَ “

তারা যখন নৌযানে আরোহণ করত, তখন বিশুদ্ধচিত্তে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকত; অতঃপর তিনি যখন স্থলে ভিড়িয়ে তাদেরকে উদ্ধার করতেন, তখন তারা শির্কে লিপ্ত হত। (সূরা আনকাবূতঃ ৬৫)

এই আয়াতের তাফসীরে ইমাম ইবনে জারীর তাবারী (রহঃ) বলেছেনঃ ওমুশরিকরা যখন সমুদ্র ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জাহাজ বা স্টীমারে ভ্রমণ করত এবং কোন কারণ বশতঃ তা ডুবে যাওয়ার ভয় করত, তখন তারা একনিষ্ঠভাবে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছেই দুআ করত। কঠিন বিপদের আশংকা করলে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর একত্ববাদকে মেনে নিত, এককভাবে তাঁর আনুগত্য করত এবং তাঁর বাধ্যগত দাসে পরিণত হয়ে যেত। সে সময় তাদের মাবূদদের মাধ্যমে বা অন্য কারো মাধ্যমে উদ্ধার কামনা করত না। কিন্তু তাদের স্রষ্টা আল্লাহ্‌ যখন তাদেরকে মুক্তি দিয়ে দিতেন, তাদেরকে নিরাপদে স্থলে পৌঁছে দিতেন, তখন তারা আবার ইবাদতে শির্ক করা শুরু করত এবং আল্লাহর সাথে অন্যান্য মাবূদ ও মুর্তি, দেব-দেবীকে ডাকা শুরু করত। [. তাফসীর ইবনে জারীর তাবারী ২০/৬০ পৃষ্ঠা]

ইকরেমা বিন আবু জাহেল (রাঃ) বিপদে পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে বিপদমুক্ত হওয়ার কারণেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। মক্কা বিজয়ের সময় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, আবু জাহেল পুত্র ইকরেমাকে যেখানেই পাবে হত্যা করবে। যদিও সে কাবার গেলাফ আঁকড়ে ধরে থাকে, তবু তাকে হত্যা করবে। এ সংবাদ পেয়ে ঈকরেমা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পাকড়াও থেকে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মক্কা ত্যাগ করেছিলেন। লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে দূর দেশে কোথাও চলে যাবেন। জাহাজে আরোহণ করার পর তারা ঝড়ের কবলে পড়লেন। তখন জাহাজের লোকেরা বলল, সবাই একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাক, উদ্ধার পাওয়ার জন্য তাঁর কাছে দুআ কর। কেননা তোমাদের মাবূদ দেব-দেবী এখন কোন উপকার করতে পারবে না। একথা শুনে ইকরেমা বললেন, আল্লাহর শপথ সাগরের মধ্যে একমাত্র আল্লাহ্‌ ছাড়া কেউ যদি আমাকে বাঁচাতে না পারে, তবে তো স্থলভাগেও তিনি ছাড়া আমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। তারপর তিনি দুআ করলেনঃ হে আল্লাহ্‌! আমি আপনার কাছে অঙ্গিকার করছি, আপনি যদি আমাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করে দেন, তবে আমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আগমণ করব এবং তাঁর হাতে হাত রেখে ইসলাম গ্রহণ করব। আমি অবশ্যই তাঁকে উদার-ক্ষমাশীল ও সম্মানিত পাব। অতঃপর ইকরেমা বিপদ মুক্ত হয়ে আর পলায়ন করেননি, মক্কায় ফিরে এসে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। [. সুনান নাসাঈ, অধ্যায়ঃ মুরতাদের বিধান হা/ ৩৯৯৯। হাদীছটি সহীহ, দেখুন সহীহ্ সুনান নাসাঈ- আলবানী হা/৪০৬৭, সিলসিলা সহীহা হা/১৭২৩)]

সুবহানাল্লাহ্‌! কাফেররা বিপদের মুহূর্তে শির্কমুক্ত হয়ে একনিষ্ঠ মনে আল্লাহকে ডাকত। কুরআনের স্বাক্ষ্য অনুযায়ী তারা সাময়িকের জন্যে হলেও হয়ে যেত তাওহীদপন্থী। উদ্ধারের জন্যে শুধুমাত্র তাঁর কাছেই ফরিয়াদ করত। কিন্তু আমরা পূর্বে উল্লেখিত ঘটনায় কী দেখলাম? ঝড়-তুফানে পথহারা জাহাজের যাত্রীরা কঠিন এই বিপদের মুহূর্তেও খাঁটিভাবে আল্লাহকে না ডেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্যে অন্য মানুষকে উসীলা হিসেবে পেশ করছে? আরেক দূর্বল মানুষের সাহায্যের অপেক্ষায় চোখ বুঁজে তার আগমণের অপেক্ষা করছে। এতবড় বিপদে পড়েও যদি মানুষ আল্লাহর দারস্থ না হয়, তাঁর কাছে কাকুতি মিনতী না করে তবে কখন তারা আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ হবে। হায় আফসোস! মক্কার কাফেররা নৌকা-স্টীমারে বিপদের সময় তাদের পালনকর্তা আল্লাহকে চিনল, কিন্তু বর্তমান যুগের মুসলমানরা ঠিক ঐ ধরণের বিপদে প্রকৃত উদ্ধারকারী আল্লাহকে চিনল না, চিনল কুতুব ও ওলী-আউলিয়াদেরকে! যারা অন্যের উপকার তো দূরের কথা নিজেরা নিজেদের উপকার সাধন বা ক্ষতি রোধের বিন্দুমাত্র ক্ষমতা রাখেন না!

এ জন্যে বিশ্বের অন্যতম তাওহীদের অগ্রদূত, মুজাদ্দেদ শায়খুল ইসলাম মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহ্‌হাব (রাহ:) উল্লেখ করেন, বর্তমান যুগের পীরপন্থী কবর পুজারীরা এত অধিক শির্ক চর্চা করে যে, তাদের শির্ক পূর্ব যুগে মক্কার কাফের-মুশরিকদের শির্ক থেকেও অনেক ভয়াবহ ও কঠিন। তিনি বলেন,

জেনে রাখুন! বর্তমান যুগের মুশরিকদের চেয়ে প্রথম যুগের মুশরিকদের শির্ক হালকা ছিল। কেননা আগের যুগের লোকেরা শুধু স্বচছলতার সময় শির্ক করত। ফেরেশতা, ওলী-আউলিয়া ও দেব-দেবীদের ডাকত। কিন্তু কঠিন বিপদাপদের সময় শির্ক করত না। সে সময় একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর কাছে দুআ করত। যেমনটি কুরআনে সূরা বানী ইসরাঈলের ৬৭ নং আয়াতে উল্লেখ হয়েছে যে, সমুদ্র পথে তারা বিপদে পড়লে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে, সকলকে ভুলে গিয়ে একমাত্র আল্লাহর কাছে রোনাজারী শুরু করে দিত। আল্লাহ তাদেরকে মুক্তি দিয়ে দিলে তারা আবার শির্কে লিপ্ত হয়ে যেত। এছাড়া সূরা আনআমের ৪০-৪১নং আয়াত [. আল্লাহ বলেন, ‘‘আপনি তাদের জিজ্ঞেস করুন, বলতো, যদি তোমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি পতিত হয়, কিংবা তোমাদের কাছে কিয়ামত এসে যায়, তবে তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে ডাকবে যদি তোমরা সত্যবাদী হও? বরং সে সময় তোমরা তো কেবল তাঁকেই ডাকবে। অতঃপর যে বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য তাঁকে ডাকবে, ইচ্ছা করলে তিনি তা দূরও করে দেন। আর সে সময় যাদেরকে অংশী করতে তাদেরকে ভুলে যাবে।’’], সূরা যুমারের ৮নং আয়াত [. আল্লাহ্ বলেন, যখন মানুষ দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়, তখন সে একাগ্রচিত্তে শুধু তার পালনকর্তাকে ডেকে থাকে। অতঃপর তিনি যখন তাকে নেয়ামত দান করেন, তখন সেই দুঃখ-কষ্টের কথা ভুলে যায়- পূর্বে যার জন্য সে আল্লাকে ডেকে ছিল এবং আল্লাহর শরীক স্থীর করে, যাতে করে অন্যকে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে।’’] এবং সূরা লোকমানের ২২ নং আয়াতে [. আল্লাহ্ বলেন, ‘‘যখন (সমুদ্র বক্ষে) মেঘমালা সদৃশ ঢেউ তাদেরকে আচ্ছাদিত করে, তখন তারা খাঁটি মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে।’’] উক্ত কথা উল্লেখ আছে।

তিনি বলেন, আপনি যখন এ বিষয়টি বুঝলেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই সকল মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন, যারা স্বচছলতার সময় আল্লাহকেও ডাকত এবং অন্যকেও ডাকত। কিন্তু বিপদ-মুসীবতে একক আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ডাকত না, অন্য কারো স্মরণাপন্ন হত না; ভুলে যেত তাদের পীর-মাশায়েখ ও দেব-দেবীকে। তখন আপনার কাছে সুস্পষ্ট হয়ে গেল বর্তমান যুগের লোকদের শির্ক আর সেই যুগের লোকদের শির্কের মাঝে পার্থক্য। [. কাশফুশ শুবুহাত শরহে ইবনে উছাইমীন ১০২ পৃঃ।]

হানাফী মাযহাবের আলেম শায়খুল কুরআন শায়খ গোলাম (রহঃ) (মৃত্যু ১৯৮০ খৃঃ) বলেন: উল্লেখিত আয়াত সমূহ দ্বারা পরিস্কার হয়ে গেল যে, মক্কার মুশরিকরা বিপদ-মুসীবতের সময় একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারো স্মরণাপন্ন হতো না। তারপরও তারা ছিল মুশরিক। কেননা তারা অন্য সময় গাইরুল্লাহর স্মরণাপন্ন হত। কিন্তু বর্তমান যুগের পীরপন্থীরা মক্কার মুশরিকদেরকে টেক্কা দিয়ে সীমালঙ্ঘন করেছে। তারা সধারণ সময়ে তো অবশ্যই এমনকি বিপদাপদের মুহূর্তেও আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদের পীর-মাশায়েখ, কুতুবদেরকে ডেকে থাকে, তাদের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা জানায়। বলেঃ আমাদের স্টীমার সমুদ্রে বিপদম্মুখ হয়েছে, হে আল্লাহর ওলী আমাদের সাহায্য করুন..। [. জুহূদুল উলামা আল হানাফিয়্যাহ্ ফী ইবতালি আকায়েদিল কুবুরিয়্যা। (কবর পুজারী পীরপন্থীদের ভ্রান্ত আকীদা মূলৎপাটনে হানাফী আলেমদের প্রচেষ্টা- লেখকঃ ড: শামসুদ্দীন আফগানী (রহঃ) ২/১১৮৮ পৃঃ)]

একটি প্রশ্নঃ আল্লাহ্‌ কি গঙ্গুহী সাহেবকে বান্দাদের উদ্ধারের জন্যে নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন? কোথায় সেই নিয়োগপত্র, আমরা দেখতে পারি কি? যাতে করে আমরাও বিপদাপদে তাকে স্মরণ করে উদ্ধার পাই? আল্লাহ্‌ কি বান্দাদের সরাসরি হেফাযত করতে অপারগ তাই আরেকজনের তাঁর সাহায্যের দরকার? এই ঘটনা থেকে কি একথা প্রমাণ হয় না যে, মানুষ যদি পীরদের প্রতি বিশ্বাস রাখে তবে বিপদাপদে তারা সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসবেন? তাহলে শির্ক কাকে বলে? আল্লাহর ক্ষমতাকে ভাগ করে নেয়ার দাবী করলেও যদি তা শির্ক না হয়, তবে শির্ক কী?

আফসোস! পীর সাহেবের এই সমস্ত লিখনীর মধ্যে যদি মানুষকে শির্ক থেকে বেঁচে থাকার জন্য আহবান করা হত, কতই না ভাল হত! কিন্তু শির্ক কি? কি কাজ করলে শির্ক হয় তার কোন বিবরণ তার বইয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন