মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
একমাত্র তাওহীদ ও নেক আমলই মানুষকে পুলসিরাত পার করিয়ে জান্নাতে নিয়ে যাবে। পীরের হাতে হাত রাখলে জান্নাত পাওয়া যাবে একথা কুরআন-সুন্নাতের কোথাও নেই।
পুলসিরাত পার হওয়ার সময় মুমিনদেরকে তাদের ঈমান ও আমল অনুসারে আলো দেয়া হবে। যার আমল সবচেয়ে বেশী হবে তার আলো হবে পাহাড়ের মত বিশাল। আর যার আমল সবচেয়ে কম হবে তার আলো হবে অতি ক্ষুদ্র, যা তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের এক পাশে থাকবে। ঐ আলোকরশ্মিতে তারা পুলসিরাত পার হবে। মুমিন ব্যক্তি কেউ চোখের পলকে কেউ বিদ্যুতের বেগে, কেউ ঝড়ের বেগে, কেউ পাখির মত, কেউ দ্রুতগামী ঘোড়ার মত এবং কেউ সাধারণ আরোহীর মত পুলসিরাত অতিক্রম করবে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নিরাপদে পার হবে, কারো শরীরের গোস্ত ছিঁড়ে যাবে, কেউ আবার জাহান্নামে পড়ে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম) কিন্তু মুনাফেকরা কোন আলো পাবে না। তারা মুমিনদের কাছে আলো ভিক্ষা চাইবে। তাদেরকে বলা হবে পিছনে ফিরে গিয়ে আলো অনুসন্ধান করো। আলোর খোঁজে ফিরে গেলে তাদের মাঝে এবং মুমিনদের মাঝে একটি দেয়াল খাড়া করে দেয়া হবে। (সূরা হাদীদঃ ১৩) তারপরও তারা পুলসিরাত পার হওয়ার জন্য অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে জাহান্নামের মধ্যে গিয়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ওরা হচ্ছে এমন লোক যারা ঝাড়-ফুঁক করে না, কারো কাছে ঝাড়-ফুঁক চায় না, পাখি উড়িয়ে ভাল-মন্দ নির্ধারণ করে না। তারা আল্লাহর উপর পরিপূর্ণরূপে ভরসা করে। [. বুখারী, অনুচ্ছেদঃ যারা ঝাড়-ফুঁক করে না, হা/ ৫৩১১, ৬০৫৯ ও মুসলিম, অনুচ্ছেদঃ মুসলমানদের মধ্যে কিছু লোক বিনা হিসাবে বিনা আযাবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন তার দলীল, হা/ ৩২০, ৩২৩।]
যারা ঈমান এনেছে এবং তারা তাদের ঈমানকে শির্কের সাথে মিশ্রিত করেনি, তাদের জন্য রয়েছে নিরাপত্তা আর তারাই হল সুপথ প্রাপ্ত। (সূরা আনআম: ৮২)
অর্থাৎ যারা ঈমান আনার পর একনিষ্ঠ থেকেছে, খালেসভাবে আল্লাহর ইবাদত করেছে এবং তাঁর ইবাদতে কাউকে শরীক করেনি তারা কিয়ামত দিবসে জাহান্নামের শাস্তি থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে এবং তারাই দুনিয়া ও আখেরাতে সুপথ প্রাপ্ত। [. তাফসীর ইবনে কাসীর ৩/২৯৪ পৃঃ, সূরা আনআমের ৮২ নং আয়াতের তাফসীর।]
যে ব্যক্তি এই সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই তিনি এক তার কোন শরীক নেই। (আরো সাক্ষ্য দেয় যে) মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল আর ঈসা (আঃ) আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল এবং তাঁর কালেমা যা তিনি মারয়ামের মধ্যে অনুপ্রবেশ করিয়েছিলেন ও তাঁর পক্ষ থেকে একটি রূহ এবং (আরো সাক্ষ্য দেয় যে) জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। তাহলে আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন সে যে কোন আমলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক না কেন। [. বুখারী, অধ্যায়ঃ নবীদের হাদীছ, অনুচ্ছেদঃ আল্লাহর বাণীঃ ياأهل الكتاب ... হা/৩১৮০। মুসলিম, অধ্যায়ঃ ঈমান, অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তির তাওহীদের উপর মৃত্যু বরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে তার দলীল। হা/৪১।]
ঈতবান বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে [লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ] বলবে, আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন। [. বুখারী, অধ্যায়ঃ সালাত, অনুচ্ছেদঃ গৃহে মসজিদ... হা/৩১৮০। মুসলিম, অধ্যায়ঃ মসজিদ ও নামাযের স্থান, অনুচ্ছেদঃ বিনা ওযরে জামাতের নামাযে অনুপস্থিত থাকার অনুমতি। হা/১০৫২।]
যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে উহা পাঠ করবে, সে কখনই তাঁর সাথে শির্কে লিপ্ত হতে পারে না। কখনই তাঁকে বাদ দিয়ে পীর-ফকীর-মাজারে ধর্ণা দিতে পারে না। অথবা তাঁকে পাওয়ার জন্যে তার মতই আরেক মানুষকে উসীলা বা মাধ্যম মানতে পারে না। (উসীলা সম্পর্কে অচিরেই বিস্তারিত আলোচনা আসবে, ইনশাআল্লাহ্)
আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্ বলেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবী পূর্ণ পাপ নিয়ে আমার কাছে আসবে এ অবস্থায় যে আমার সাথে কাউকে শরীক করেনি, তবে অনুরূপ (পৃথিবী পূর্ণ) মাগফিরাত নিয়ে আমি তার সাথে সাক্ষাত করব। [মুসলিম, অধ্যায়ঃ যিকির, দু’আ, তওবা ও ইস্তেগফার, অনুচ্ছেদঃ যিকির, দু’আ, তওবা ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের ফযীলত। হা/৪৮৫২।]
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, মুআয! তুমি কি জান বান্দার উপর আল্লাহর দাবী কি? আর আল্লাহর উপর বান্দার দাবী কি? তিনি বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই অধিক জানেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর দাবী হচ্ছে তারা এককভাবে তাঁর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার দাবী হচ্ছে, যে বান্দা শির্ক মুক্ত ইবাদত করবে তিনি তাকে শাস্তি দিবেন না। (বুখারী ও মুসলিম)
এই অর্থবোধক আরো অসংখ্য আয়াত ও হাদীছ রয়েছে। যা দ্বারা বুঝা যায় যে, শির্ক মুক্ত খাঁটি ঈমান এবং সুন্নাত মোতাবেক নেক আমলই মানুষকে নিরাপদে পুলসিরাত পার হয়ে জান্নাতে পৌঁছে দিতে এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে সহযোগিতা করবে । জীবিত বা মৃত পীরের হাতে হাত লাগলে বা তার কাছে বায়আত করলে এরকম কোন নিরাপত্তা পাওয়া যাবে না; বরং তাদের প্রতি ঐরূপ বিশ্বাস রাখলে মুশরেক হয়ে মরতে হবে এবং আখেরাতের নিরাপত্তা হারাতে হবে। কারণ পীরেরা নিজেরাই জানেন না তারা নিরাপদে পুলসিরাত পার হতে পারবেন কি না, অন্যকে পার করা তো দূরের কথা। অন্যকে মুক্তি করিয়ে দেয়া তো দূরের কথা তারা নিজেরাই জানেন না আল্লাহ্ তাদেরকে মুক্তি দিবেন কি না! যে নিজেই ভিক্ষুক সে অন্যকে ভিক্ষা দিবে কিভাবে?চ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/37/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।