hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পুনরুদ্ধার

লেখকঃ আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

২২
আল্লাহ্‌ই ক্ষমাকারীঃ
আল্লাহ্‌ তালার অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে যেমনঃ غفور গাফূর, غفار গাফ্‌ফার, عفوٌّ আফুউ, সবকটির অর্থ মহান ক্ষমাশীল। তিনি تواب (তাওয়াব) বান্দার তওবা কবুলকারী। এজন্যে বান্দা গুনাহ করে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি খুশি হন। ক্ষমা না চাইলে বেজার হন। তাঁর দরবার সকলের জন্যে উন্মুক্ত, তাঁর দরজা কারো জন্যে বন্ধ নয়। তিনি দুনিয়ার রাজা-বাদশাহের মত যালেম-অত্যাচারী নন যে, তাঁর কাছে পৌঁছার জন্যে মন্ত্রী-এমপির দরকার পড়বে বা তিনি সরাসরি বান্দার কথা শুনবেন না। বান্দা যতবড় অপরাধ করুক, যত বেশী গুনাহ করুক যে কোন সময় তাঁর কাছে যেতে পারবে। তাই তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্যে কোন পীর বা ওলী-আউলিয়া ধরে তার মাধ্যমে যেতে হবে না।

বান্দা তাকে ডাকলেই তিনি তার ডাকে সাড়া দিবেন এই অঙ্গিকার করেছেন। তিনি এরশাদ করেনঃ

وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ

তোমাদের পালনকর্তা বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। নিশ্চয় যারা আমার কাছে দুআ করে না- দুআ করতে অহংকার করে- তারা অচিরেই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা মু'মেনঃ ৬০)

তিনি আরো বলেনঃ

وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُوا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ

এবং যখন আমার বান্দাগণ আমার সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করে, তখন তাদেরকে বলে দিনঃ নিশ্চয় আমি তাদের সন্নিকটেই। কোন ব্যক্তি যখনই আমাকে আহ্বান করে, তখনই আমি তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে থাকি; সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমাকে বিশ্বাস করে, তাহলেই তারা সঠিক পথে চলতে পারবে। (সূরা বাকারাঃ ১৮৬)

আল্লাহ্‌ আরো বলেনঃ

وَهُوَ الَّذِي يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ وَيَعْفُو عَنِ السَّيِّئَاتِ وَيَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ

তিনিই তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং পাপরাশী ক্ষমা করেন, আর তোমরা যা কর তিনি তা জানেন। (সূরা শূরাঃ ২৫)

আল্লাহ্‌ পাক আরো এরশাদ করেনঃ

وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ “

হে মুমিন সমপ্রদায় তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তওবা কর, যাতে তোমরা সফল হতে পার। (সূরা নূরঃ ৩১)

করুণাময় মহিয়ান আল্লাহ্‌ তাআলা আরো বলেনঃ

وَالَّذِينَ لا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آَخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا، يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا،إِلَّا مَنْ تَابَ وَآَمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا “

আর যারা আল্লাহর সাথে অন্যকে মাবূদ হিসেবে ডাকে না, যথার্থ কারণ ছাড়া আল্লাহ্‌ যাকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। বস্তুতঃ যে এগুলো করলে সে শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামত দিবসে তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং তথায় হীন অবস্থায় স্থায়ীভাবে বসবাস করবে। তবে তারা নয়, যারা (খাঁটি) তওবা করে ঈমান আনবে ও সৎকর্ম করবে; বরং আল্লাহ (তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন এবং) তাদের পাপসমূহকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দিবেন। আল্লাহ্‌ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা ফুরকানঃ ৬৮-৭০)

প্রিয় পাঠক! লক্ষ্য করুন, উপরোক্ত আয়াতগুলোতে কিন্তু আল্লাহকে ডাকার জন্যে কোন মাধ্যম ধরতে বলা হয়নি। এ ধরণের আয়াত পবিত্র কুরআনে আরো অসংখ্য রয়েছে। বিবেকবানের জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট। অতএব যে কোন বান্দা সরাসরি নিঃসঙ্কচে আল্লাহকে ডাকতে পারে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারে, তাঁর দরবারে ফিরে যেতে পারে, তাঁর কাছে তওবা করতে পারে। কারো কোন উসীলার দরকার নেই। কোন ওলী-আউলিয়া বা মুরশেদ ধরে তাঁকে ডাকতে হবে না।

অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও আমাদেরকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার পথ বাতলিয়ে দিয়েছেন। কিভাবে কোন্‌ সময় কোন্‌ কাজের মাধ্যমে আল্লাহ্‌ বান্দাকে মাফ করবেন তার বিস্তারিত বিবরণ তিনি আমাদের সামনে রেখে গেছেন।

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

( يَنْزِلُ اللَّهُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا كُلَّ لَيْلَةٍ حِينَ يَمْضِي ثُلُثُ اللَّيْلِ الْأَوَّلُ فَيَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَنَا الْمَلِكُ مَنْ ذَا الَّذِي يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ ذَا الَّذِي يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ مَنْ ذَا الَّذِي يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ فَلَا يَزَالُ كَذَلِكَ حَتَّى يُضِيءَ الْفَجْرُ )

প্রত্যেক রাতের এক তৃতীয়াংশ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আল্লাহ্‌ তাআলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, অতঃপর বলেন, আমিই প্রকৃত বাদশাহ, আমি রাজাধিরাজ কে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দিব, কে আমার কাছে কোন কিছু চাইবে করবে আমি তাকে প্রদান করব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। এভাবে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত তিনি বান্দাদের ডাকতে থাকেন। (বুখারী ও মুসলিম)

আল্লাহ্‌ তাআলা বান্দাকে ডেকে বলেন, হে আমার বান্দাগণ তোমরা দিবারাত্রি পাপ কর্ম কর, আর আমি সকল পাপরাশী ক্ষমা করি। সুতরাং আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করব। (সহীহ্‌ মুসলিম)

আবু যার্‌র (রাঃ) হাদীছে কুদসী বর্ণনা করেছেন তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

( يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى يَا عِبَادِي كُلُّكُمْ ضَالٌّ إِلَّا مَنْ هَدَيْتُهُ فَسَلُونِي الْهُدَى أَهْدِكُمْ وَكُلُّكُمْ فَقِيرٌ إِلَّا مَنْ أَغْنَيْتُ فَسَلُونِي أَرْزُقْكُمْ وَكُلُّكُمْ مُذْنِبٌ إِلَّا مَنْ عَافَيْتُ فَمَنْ عَلِمَ مِنْكُمْ أَنِّي ذُو قُدْرَةٍ عَلَى الْمَغْفِرَةِ فَاسْتَغْفَرَنِي غَفَرْتُ لَهُ وَلَا أُبَالِي )

আল্লাহ্‌ তাআলা বলেনঃ হে আমার বান্দারা আমি যাকে হেদায়াত করি সে ছাড়া তোমরা সকলেই বিভ্রান্ত। অতএব তোমরা আমার কাছে হেদায়াত চাও আমি তোমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করব। আমি যাকে সম্পদশালী করি সে ছাড়া তোমরা সবাই ফকীর। অতএব তোমরা আমার কাছে চাও, আমি তোমাদের রিযিকের ব্যবস্থা করে দিব। আমি যাকে নিরাপদ রাখি সে ব্যতীত তোমরা সকলেই গুনাহগার। যে ব্যক্তি জানবে যে আমি মাগফিরাতের ক্ষমতা রাখি অতঃপর সে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিব, আমি কোন পরোয়া করিনা। [. তিরমিযী হা/২৪১৯ দ্রঃ ছহীহ তারগীব তারহীব হা/ ১৬২৫।]

হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ্‌ আরো ঘোষণা করেছেনঃ

( ياَ ابْنَ آدَمَ إنَّكَ ماَ دَعَوْتَنِيْ وَرَجَوْتَنِيْ غَفَرْتُ لَكَ عَلىَ ماَ كاَنَ مِنْكَ وَلاَ أُباَلِيْ، ياَ ابْنَ آدَمَ لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوْبُكَ عَناَنَ السَّماَءِ ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِيْ غَفَرْتُ لَكَ وَلاَ أُباَلِيْ )

হে আদম সন্তান! যখনই তুমি আমায় আহ্বান করবে এবং আমার নিকট আশা-আকাংখা পেশ করবে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব, তোমার পাপরাশী যত অধিক থাক না, এতে আমি কোন পরোয়া করি না।

হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ সমূহ যদি আকাশের উচ্চতায় পৌঁছে যায়। অতঃপর তুমি আমার কাছে মাফ চাও, আমি তোমাকে মাফ করে দিব। এতে আমি কোন কিছুর তোয়াক্কা করি না। [. তিরমিযী, সহীহুল জমে হা/৪৩৩৮]

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরে বলেনঃ

( إنَّ لِلتَّوْبَةِ باَباً عَرْضُ ماَ بَيْنَ مِصْرَعَيْهِ ماَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، وفي رواية : ( عَرْضُهُ مَسِيْرَةَ سَبْعِيْنَ عاَماً ) لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعُ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهاَ )

নিশ্চয় তওবার একটি দরজা আছে। উহার প্রশস্ততা পূর্ব দিগন্ত থেকে পশ্চিম দিগন্ত সম। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ উহার প্রশস্ততা সত্তর বছরের রাস্তা বরাবর। পশ্চিমাকাশে সূর্য উদিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তা বন্ধ করা হবে না। [. ত্বাবারনী, হাদীছ সহীহ্ দ্রঃ সহীহুল জামে হা/২১৭৭।]

কোন দেশে অপরাধীদের ব্যাপারে যদি সে দেশের প্রেসিডেন্ট বা বাদশা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে আর বলে দেন যে, অপরাধী নিজে রাষ্ট্রপ্রধান বরাবর দরখাস্ত লিখে আত্মসমর্পণ করে তবে তাকে ক্ষমা করা হবে, তার দন্ড মওকুফ করা হবে, তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। আর এর জন্যে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়, তখন কিন্তু অপরাধীর আর ভাবনা থাকবে না, নিজেকে মুক্ত করার জন্যে কারো কাছে ধর্ণা দেয়ার দরকার মনে করবে না। উকীল-ব্যারিস্টার নিয়োগ করার জন্যে কাউকে খুঁজে বেড়াবে না, কারো সাথে চুক্তি সম্পাদন করার চিন্তা তার মাথায় আসবে না। নিশ্চিন্তে ও নির্বিঘ্নে রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে গিয়ে নিজেকে সমর্পণ করবে।

মহান আল্লাহর সাথে কারো উদাহরণ পেশ করা সমীচিন নয়। মহান আল্লাহ্‌ রাজাধিরাজ মহা প্রতাপশালী ক্ষমতাবান, বান্দাদের অপরাধ মার্জনা করার জন্যে সবসময় সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেই রেখেছেন। শুধু তার সর্বশেষ সময়সীমা হচ্ছে মৃত্যু উপস্থিত হওয়া। মৃত্যুর গরগরা আসার আগে কেউ যদি তাঁর সুমহান দরবারে যথাযথভাবে আত্মসমর্পণ করতে পারে, তবে সে তাঁর সীমাহীন করুণার সাগরে ডুব দিয়ে নিজেকে পূত-পবিত্র করতে সক্ষম হবে এবং আখেরাতে নাজাতের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে নিবে। কিন্তু যেহেতু মানুষ জানেনা কখন তার মৃত্যু আসবে, সেহেতু সর্বদা তওবা-ইস্তেগফারে লিপ্ত থাকবে। যেমনটি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বাদা তওবা-ইস্তেগফারে ব্যস্ত থাকতেন। অথচ তাঁর কোন গুনাহই ছিল না। মৃত্যুর পূর্বে তওবা করে নিব এমন ধারণা করে বসে থাকবে না। অথবা আজ নয় কাল তওবা করব এভাবে কালক্ষেপণ করবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন