hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পুনরুদ্ধার

লেখকঃ আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

কবর যিয়ারতের প্রকারভেদঃ
মানুষ কবরের কাছে যা করে তা দুপ্রকারঃ

প্রথমতঃ শরীয়ত সম্মত। অর্থাৎ শরীয়ত অনুমোদিত নিয়মে কবর যিয়ারত। কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করবে না। কবর যিয়ারতের মাধ্যমে সুন্নাতের অনুসরণ, আখেরাতের স্মরণ ও কবর থকে শিক্ষা গ্রহণের নিয়ত করবে।

দ্বিতীয়তঃ নিষিদ্ধ যিয়ারত। এটা আবার দুপ্রকারঃ

ক) যা হারাম ও শিকের্র পর্যায়ে পৌঁছায়। যেমন, কবর স্পর্শ করা এবং কবরবাসীকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উসীলা বা মাধ্যম সাব্যস্ত করা। কবরের কাছে সালাত আদায় করা, কবরকে আলোকিত করা, কবর পাকা করা এবং কবরের অধিবাসীদের মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা করা। যদিও তা ইবাদতের মর্যাদায় না পৌঁছে।

খ) বড় শিরক: যেমন-কবরবাসীর কাছে দুআ করা। তাদের নিকট সাহয্য চাওয়া, তাদের নিকট প্রয়াজন পূরণ পুরণের আশা করা ইত্যাদি। এটা ঠক তেমন শিরক যা মুর্তি পুজকরা করে থাকে।

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবর ভেঙ্গে ফেলার ব্যাপারে যে কড়াকড়ি আরো তার কারণ কি? কারণ তিনি জানতেন [. রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা জানেন তা শুধুমাত্র ওহীর ভিত্তিতেই জানতেন। কেননা, নিজের ইচ্ছায় তিনি কোন কথা বলতেন না। আল্লাহ্ বলেন, ‘‘তিনি প্রবৃত্তির তাড়নায় কোন কথা বলেন না, তিনি যা বলেন, তা তো ওহী।’’ (সূরা নজমঃ ৩-৪)] যে কবর-মাজারে সমাধিস্থ লোকদের প্রতি অতিভক্তি শির্কের গোড়া পত্তন করবে। তিনি জানতেন মানুষ কবরের কাছে ঘন ঘন গমণ করলে শয়তান তাদেরকে কবরস্থিত ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত করে শির্কের সূচনা ঘটাবে।

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কবরকে বারবার যিয়ারত করতে নিষেধ করেছেন। আরও নিষেধ করেছেন দুআ করার জন্য ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে সেখানে জমায়েত হওয়াকে অভ্যাসে পরিণিত করতে। এর পরিবর্তে বেশী বোশী দুরুদ ও সালাম পড়তে বলছেন। কারণ তা তাঁর নিকটে পৌঁছে থাকে। অতএব নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কবর এভাবে বারাবার যিয়ারত কারা যদি নিষিদ্ধ প্রমাণিত হয় তবে অন্যান্য কবর ও কথাকথিত মাযারকে কেন্দ্র করে উরূস পালন উৎসব উদ্‌যাপন করা বা মাযারের মৃত ব্যক্তির জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন করার নিষিদ্ধতা আরও ভালভাবে প্রমাণিত হয়।

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

( لا تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا , وَلَا تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيدًا , وَصَلُّوا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ )

তোমাদের গৃহগুলোকে গোরস্থানে পরিণত করো না, (বরং নিজের ঘরে বিভিন্ন সময় নামায আদায় করবে) আমার কবরকে উৎসব স্থলে রূপান্তরিত করো না। তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ কর, যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। [. [ছহীহ] আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ মানাসেক, অনুচ্ছেদঃ কবর যিয়ারত, হা/১৭৪৬। দ্রঃ ছহীহুল জামে আলবানী হা/৭২২৬।]

বর্তমান যুগে অনেক মানুষ সুস্পষ্ট ভাষায় আল্লাহর সাথে শির্ক করে থাকে। তারপরও সে নিজেকে পাক্কা ও খাঁটি মুসলমান মনে করে। [. ২০০১ সালে স্বপরিবার হজ্জ করার সময় আরাফাত থেকে ফিরে মুযদালিফায় এসে আমরা যখন মাগরিব ও এশার নামায জামাতের সাথে একত্রে আদায় করে নিদ্রার প্রস্ত্ততি নিচ্ছি, তখন একদল হাজী আমাদের থেকে সামান্য দূরে মাগরিব ও এশার নামায আদায় করে নিদ্রার প্রস্ত্ততি বাদ দিয়ে হালকায়ে যিকিরের জন্যে বসে গেল। তাদের ইমাম সুললিত কন্ঠে বিভিন্ন যিকির পাঠ করছে আর তার সাথে অন্যরাও একই স্বরে তা পাঠ করছে। ঐ সব পাঠ করতে করতে তারা এমন কিছু বলতে লাগল যা শুনে আমার শরীরের লোম যেন খাড়া হয়ে গেল। তারা বলতে লাগল ইয়া রাসূলুল্লাহ্! ইয়া আবু বকর! ইয়া ওমার! ইয়া ঊছমান! ইয়া আলী! এবং আরো অনেকের নাম উচ্চারণ করে শেষে বলল ইয়া আবদুল কাদের জীলানী মদদ। অর্থ ‘হে আবদুল কাদের জীলানী আমাদেরকে সাহায্য করুন।’ আমি আর বসে থাকতে পারলাম না। আমি উঠে গিয়ে তাদের সামনে দন্ডায়মান হলাম, তাদেরকে লক্ষ্য করে বললাম। ভায়েরা আমার! আপনারা হজ্জ করতে এসেছেন আল্লাহকে ডাকুন! কেন আপনারা আবদুল কাদের জীলানীর কাছে সাহায্য চাইছেন? আমার এই কথা যেন তাদের কর্ণ কুহুরে ঢুকলই না। তারা তাদের যিকির চালিয়ে যেতে থাকল। আমি তখন উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করে তাদেরকে লক্ষ্য করে বললাম। আমি একটি প্রশ্ন করছি, আপনাদের পালনকর্তা কি মৃত্যু বরণ করেছেন? তাই আপনারা চিরঞ্জীব আবদুল কাদের জীলানীর কাছে সাহায্য চাইছেন?! কিন্তু তারা কেউ আমার কথার দিকে কোনই ভ্রুক্ষেপ করল না। তারা তাদের কাজ চালিয়ে গেল।প্রিয় পাঠক! লক্ষ্য করুন, হজ্জের মাঠে এসে তারা যদি আবদুল কাদের জীলানীর কাছে সাহায্য চাইতে পারে, তবে তার চাইতে বড় শির্ক আর কী হতে পারে? অথচ তারা মুখে পাঠ করেছেঃ ..লাববাইকা লা শারিকা লাকা লাববাইকা..। অর্থাৎ তোমার কোন শরীক নেই, তোমরা দরবারে আমরা হাজির হে আল্লাহ্। লাববাইক আহবানে তারা কি সত্যবাদী? কখনই নয়। তাদের চেয়ে মক্কার কাফের সম্প্রদায় অধিক সত্যবাদী ছিল। তারাও হজ্জ করত এবং লাববাইক্ বলত। কিন্তু তারা যেহেতু শির্ক করত, আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের কাছে মদদ বা সাহায্য চাইত, তাই তারা বলত: ..লাববাইকা লা শারিকা লাকা ইল্লা শারীকান্ তামলেকুহু ওয়ামা মালাক্..। হে আল্লাহ্ তোমার কোন শরীক নেই, তবে সেই শরীক ব্যতীত তুমি যার মালিক এবং সে যা কিছুর মালিক তুমি তারও মালিক।]

মোটকথা সকল প্রকার ইবাদত বন্দেগী নিরংকুশ ভাবে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর জন্য সমপাদন করাকে তাওহীদ বলা হয়। পক্ষান্তরে কোন ইবাদত আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে সমপাদন করাটাই শিরক। হে আল্লাহ্‌ তুমি আমাদের শিরক থেকে রক্ষা কর। (আমীন)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন