hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পুনরুদ্ধার

লেখকঃ আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

১৭
তাওহীদই বান্দাকে শয়তান থেকে বাঁচাবেঃ
শয়তান থেকে বাঁচার গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছেঃ বান্দা যদি তাওহীদকে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে তথা একনিষ্ঠ ভাবে আল্লাহর ইবাদত করে, সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর উপর ভরসা রাখে, আল্লাহকে ভয় করে চলে, আল্লাহর কাছে যাবতীয় আশা-আকাংখা পেশ করে, ভালবাসা এককভাবে আল্লাহকে নিবেদন করে, নিজের যাবতীয় বিষয় যদি আল্লাহর উপর সোপর্দ করে, প্রত্যেক কাজে আল্লাহকে স্মরণ করে, [. সাঈদ বিন যুবাইর (রহ:) আবদুল্লাহ্ বিন আববাস (রা:) থেকে বলেন: শয়তান আদম সন্তানের অন্তরে চেপে বসে থাকে। যখন সে ভুল করে বা উদাসীন হয়, তখনই সে কুমন্ত্রনা দেয়। অতঃপর যখন সে হুঁশিয়ার হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন সে পশ্চাতে সরে যায় কুমন্ত্রনা দেয়া ছেড়ে দেয়। (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা- ৭/ ১৩৫ পৃঃ)ইবনু ছওর তার পিতার নিকট থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: কুমন্ত্রনা দানকারী শয়তান বনী আদমের সুখে-দুঃখে তার অন্তরে ফুৎকার (প্ররোচনা) দেয়। কিন্ত আল্লাহ্কে স্মরণ করলেই শয়তান পশ্চাতে সরে যায়। (তাফসীর তাবারী- ৩০/৩৫৫পৃঃ)] আল্লাহই একমাত্র তার কল্যাণ ও অকল্যাণের অধিকারী বিশ্বাস করে, পৃথিবীর কোন কিছুই আল্লাহর নির্দেশ না হলে তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না এরকম দৃঢ়তা অন্তরে পোষণ করে, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করে না, দুনিয়ার কোন মানুষকে অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী মনে করে না, জীবন-মৃত্যুতে সাহায্য-সহযোগিতা একমাত্র আল্লাহ্‌ ছাড়া কেউ করতে পারে না এই বিশ্বাস রাখে এবং সেই সাথে আল্লাহর নির্দেশিত যাবতীয় ফরয ইবাদত যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে ও তাঁর নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বিরত থাকে। মোটকথা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের বিধান সমূহ যথাযথভাবে মেনে চলে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সমস্ত পদ্ধতিতে শয়তান থেকে বাঁচার ব্যবস্থাপনা দিয়েছেন তার প্রতি আমল করে, তবে আল্লাহ্‌ তাআলা নিজ করুণায় তাকে সবধরণের শয়তান থেকে রক্ষা করবেন, পরিত্রাণ দিবেন তাদের চক্রান্ত থেকে। [. নিম্ন লিখিত ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করলে একজন মানুষ শয়তান থেকে বেঁচে থাকতে পারবে ইনশাআল্লাহ্। ১) সর্বাবস্থায় আল্লাহ্র দরবারে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করা। যে সকল ক্ষেত্রে শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করতে হয় তা হল: ছালাতের শুরুতে, কুরআন তেলাওয়াত করার সময়, রেগে গেলে, সকাল-সন্ধায়, নিজগৃহে প্রবেশ করার সময়, দ্বীনের মৌলিক কোন বিষয়ে সন্দেহ হলে, স্ত্রী সহবাস করার আগে, ঘুমানোর সময়, কোন খারাপ স্বপ্ন দেখলে।২) কুরআন তেলাওয়াত করা। বিশেষ করে সূরা বাক্বারা পাঠ করা। যে গৃহে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় সেখানে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। (মুসলিম)৩) ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত) পাঠ করা। তাহলে সারা রাত তার কাছে শয়তান আসতে পারবে না। (বুখারী ও মুসলিম)৪) বেশী ক্রোধাম্বিত হলে আউযুবিল্লাহ... পাঠ করা এবং ওযু করা। কেননা তা একটি শয়তানী প্রবণতা। শয়তান আগুন থকে সৃষ্টি হয়েছে। আর পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। ৫) অধিকহারে ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা। ‘লাহওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ্’ বেশী বেশী পাঠ করা। ৬) শয়তানকে খুশী করে এমন আসবাব থেকে নিজ গৃহকে মুক্ত করা। যেমন বাদ্য-যন্ত্র, ঘন্টা, কুকুর, ছবি, প্রতিকৃতি, ভাষ্কর্য এবং যাবতীয় খেল-তামাশা ও গর্হিত বিষয়-বস্ত্ত থেকে বাড়ীকে মুক্ত ও সংরক্ষণ করা। ৭) পরিবার এবং সন্তানদেরকে শরীয়ত সম্মত দু‘আ-যিক্র দ্বারা ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে হেফাযত করা এবং এ ঝাড়-ফুঁক নিয়মমাফিক সবসময় করা। যেমন: আয়াতুল কুরসী, সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও নাস প্রভৃতি পাঠ করা। (তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)৮) দৃষ্টি অবনত রাখা। পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত থাকা। কেননা নারী যখন সামনে আসে তখন শয়তানের আকৃতিতে আসে আর যখন ফিরে যায় তখন শয়তানের আকৃতিতে ফিরে যায়। ৯) বেগানা নারীর সাথে নির্জন না হওয়া। কেননা উক্তাবস্থায় শয়তান তাদের তৃতীয়জন হিসেবে সেখানে বিরাজ করে।১০) ইচ্ছাকৃত ভাবে শয়তানী কাজের বিরোধিতা করা। যেমন, ডান হাতে খানা-পিনা করা। কেননা শয়তান বাম হাতে খানা-পিনা করে। (বুখারী ও মুসলিম) ১১) অপব্যায় অপচয় না করা। কেননা অপব্যায়কারী শয়তানের ভাই। (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ২৭) ১২) প্রতিটি বিষয়ে ধীরস্থীরতা অবলম্বন করা। কেননা তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ এবং ধীরস্থীরতা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে। (তিরমিযী)১৩) সাধ্যানুযায়ী হাই উঠানোকে প্রতিরোধ করা। কেননা হাই শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। হাই উঠানোর সময় [হা] করলে শয়তান হাসে। (বুখারী) ১৪) প্রত্যেক কাজের সময় বিসমিল্লাহ্ বলা। কেননা বিসমিল্লাহ্ বললে শয়তান ক্ষুদ্র হয়ে যায় এমনকি মাছির মত ছোট্ট হয়ে যায়। ১৫) দিনে একশতবার পাঠ করা ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লাশারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।’ তাহলে শয়তান প্রতিহত হবে। ১৬) প্রথম ওয়াক্তে ফজরের নামায আদায় করা। কেননা যে ফজর সালাত আদায় করবে সে আল্লাহ্র যিম্মাদারীর মধ্যে হয়ে যাবে। ১৭) সালাত অবস্থায় এদিক ওদিক না তাকানো। কেননা সালাতাবস্থায় এদিক-ওদিক দৃষ্টিপাত করা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। (বুখারী)১৮) বিনা প্রয়োজনে নারীর নিজ গৃহ থেকে বাইরে না যাওয়া। কেননা যখন সে বের হয় তখন শয়তান তাকে অভ্যর্থনা জানায় এবং উঁকি দিয়ে দেখে। ১৯) স্ত্রী সহবাসের সময় দু’আ পাঠ করা। তাহলে সন্তান জন্ম হলে তাকে শয়তান কোন ক্ষতি করতে পারবে না।]

আল্লাহ্‌ তাআলা এরশাদ করেনঃ

إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ سُلْطَانٌ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ

যারা ঈমানদার এবং যারা তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করে তাদের উপর শয়তানের কোনই কর্তৃত্ব-ক্ষমতা নেই। (সূরা নাহালঃ ৯৯)

আল্লাহ্‌ আরো বলেনঃ

إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ “

নিশ্চয় আমার (প্রকৃত) বান্দাদের উপর তোমার কোনই কর্তৃত্ব নেই। (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ৬৫)

অতএব শয়তানের কর্তৃত্ব থেকে বাঁচতে হলে, তার হাত থেকে রেহাই পেতে হলে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ঈমানের অধিকারী হতে হবে। জীবনের সবকিছু আল্লাহর কাছে সোপর্দ করতে হবে। সকলকে তাঁর উপরেই আশা-ভরসা রাখতে হবে এবং মহান আল্লাহর প্রকৃত ওআব্দ বা দাসে পরিণত হতে সচেষ্ট হতে হবে। তবেই পরাজিত হবে শয়তান। বিজয়ী হবে আল্লাহর বান্দা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন