মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আমাদের দেশে তো প্রায়ই লঞ্চ-স্টীমার ডুবীর খবর শোনা যায়, কই একবারও তো আমাদের মুহতারাম পীর সাহেব বা তার খলীফারা তা উদ্ধার করলেন না? প্রায় রেডিও-টিভি ও পত্রিকায় নিখোঁজ সংবাদ শোনা যায়, আমাদের হুজুরেরা তো তাদেরকে উদ্ধার করে দেন না। নাকি এই হুজুরেরা গঙ্গুহী হুজুরদের মর্তবায় উন্নীত হতে পারেননি, তাদের মত মোরাকাবা করতে শিখেননি এবং তাদের মত ক্ষমতা লাভ করেননি? অথবা নাকি তাদের মুরীদরা দেওবন্দের মোহতামিমের মত হুজুরের উপর মজবুত বিশ্বাসের অধিকারী হতে পারেননি, যার কারণে গঙ্গুহী বা মাওলানা এছহাক বা তার পীর মাওলানা ইবরাহীম একবারও উদ্ধারের জন্যে এগিয়ে আসেন না, ফলে বারবার এরকম লঞ্চ-ষ্টীমার ডুবীর খবর পাওয়া যায়? মুরীদরা যদিও হুজুরদের উপর পাকা ঈমানের অধিকারী নাও হন তবুও তো হুজুরদের উচিত ছিল তাদের ঈমানকে পাকা করার জন্যে গঙ্গুহী হুজুরের কারামতের কিঞ্চিত হলেও বাংলার দূর্বল মানুষদের সামনে জাহির করা। নাকী শুধু উনাদের কারামতী তাদের মুরীদদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? বিপদে পড়েল মুরীদরা ঠিকই পীরদের উসীলায় উদ্ধার পেয়ে যান। কিন্তু যারা মুরীদ নয় তারা ওমুরীদ না হওয়ার অপরাধে পীর সাহেবদের দয়া-দাক্ষিণ্য থেকে মাহরূম থেকে যায়?
যদি মাওলানা এছহাক বা তার খলীফারা গঙ্গুহী বা শামসুত্ তাবরিজী হুজুরদের মত ক্ষমতা না পেয়ে থাকেন, তবে তো তাদের কাছে বায়আত করে লাভ নেই। অতএব উনারা ঐ ধরণের ক্ষমতা আগে লাভ করুন, তারপর আমরা সবাই গিয়ে তাদের কাছে বায়আত হব, দিল পরিশুদ্ধ করে তাদের শিখানো তরীকায় রাত-দিন সাধনা করব, যিকির ও ওজীফা পাঠ করব। তখন আর বাংলাদেশে কোন মুসীবত আসবে না, কোন সিডর, জলোচ্ছাস, বন্যা হানা দিয়ে মুরীদদেরকে ধ্বংস করে দিবে না, কারো সন্তান নিখোঁজ হবে না, কারো কোন সমস্যা থাকবে না।
আরেকটি ঘটনাঃ
চরমোনাই পীর সাহেব আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করেছেনঃ হযরত শামছুত তাবরিজী (রঃ) একদা রোম শহরের দিকে রাওয়ানা হলেন। পথিমধ্যে জনৈক অন্ধ বৃদ্ধকে একটি লাশ সম্মুখে নিয়া কাঁদিতে দেখলেন। কারণ জিজ্ঞেস করিলে বৃদ্ধ বলিল, আমার কেউ নেই, ১২ বছর বয়স্ক এটা আমার নাতী গাভী পালিয়া আমাকে দুগ্ধ খাওয়াইত এবং আমার খেদমত করিত। এখন আমার কোন উপায় নাই তাই কাঁদিতেছি। তখন হুজুর (তাবরিজী) বলিলেন, হে ছেলে, তুমি আমার হুকুমে দাঁড়াও। তখনই ছেলেটি উঠিয়া দাঁড়াইল। তাহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল কিরূপে জীবিত হইলে? নাতি বলিল, আল্লাহর ওলী আমাকে জেন্দা করিয়াছেন। এখবর খাঁটি মুসলমান বাদশার কাছে পৌঁছিলে তিনি কুতুবকে ডেকে বললেনঃ যদি আল্লাহর আদেশে জেন্দা হইতে বলিতেন। কুতুব সাহেব উত্তর করিলেন, মাবুদের কাছে আবার কি জিজ্ঞাসা করিব- তাঁহার আন্দাজ নাই? এই বৃদ্ধের একটি মাত্র পুত্র ছিল তাহাও নিয়াছে। বাকী ছিল এই নাতিটি, যে গাভী পালন করিয়া কোনরূপে জিন্দেগী গুজরান করিত, এখন এটিও নিয়া গেল। তাই আমি আল্লাহ্ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক রূহ নিয়া আসিয়াছি...।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়ঃ
বাদশাহ্ তাবরিজী সাহেবকে বলিলেন, আপনি শরীয়ত মানেন কিনা? তিনি বলিলেনঃ নিশ্চয়, শরীয়ত না মানিলে ভীষণ কিয়ামতের দিন হুজুর ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফায়াত পাওয়া যাইবেনা। বাদশা বলিলেন, আপনি শেরেক করিয়াছেন, সেই অপরাধে আপনার শরীরের সমস্ত চামড়া খসাইয়া ফেলিতে হইবে। আল্লাহর কুতুব কথা শুনা মাত্র দুই হাতের আঙ্গুলি দ্বারা পায়ের নীচ থেকে আরম্ভ করিয়া গায়ের সমস্ত চামড়া খসাইয়া বাদশাহর সম্মুখে ফেলিয়া জঙ্গলে চলিয়া গেলেন। জঙ্গলে বসিয়া আল্লাহর জেকেরে মশগুল হইয়া গেলেন। ভোর বেলা সূর্যের তাপ চর্মহীন শরীরে লাগা মাত্র কষ্ট পাইলেন এবং সূর্যকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, হে সূর্য্য আমি শরীয়ত মানিয়াছি, কাজেই তুমি আমাকে কষ্ট দিওনা। ইহা বলা মাত্র ঐ দেশের জন্য সূর্য্য অন্ধকার হইয়া গেল। দেশের ভিতর একটা সোরগোল পড়িয়া গেল। বাদশাহ্ অস্থির হইয়া ঐ হুজুরকে তালাশ করিতে লাগিলেন। বহু চেষ্টার পর এক জঙ্গলে গিয়া তাহার সাক্ষাৎ পাইলেন এবং আরজ করিলেন হুজুর শরীয়ত জারী করিতে গিয়া আমরা কি অন্যায় করিলাম, যাহার জন্য আমাদের এই মুসীবত আনিয়া দিয়াছেন? হুজুর তখন সূর্য্যকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, হে সূর্য্য তোমাকে বলিয়াছি আমাকে কষ্ট দিওনা, কিন্ত দেশবাসীকে কষ্ট দেও কেন? ইহা বলা মাত্র সূর্য্য আলোকিত হইয়া গেল। আল্লাহ্ পাক তাহার ওলীর শরীর ভাল করিয়া দিলেন।
চরমোনাই পীর সাহেব উক্ত ঘটনা উল্লেখ করে টিকায় লিখেছেনঃ
এধরনের কথা বলা আমাদের মত সাধারণ লোকদের জন্য পরিস্কার কুফুরি বলিয়া গণ্য হইবে। কিন্তু আল্লাহ্ পাকের দেওয়ানা বান্দাগণ এশ্কের চরম হালতে অন্তরের ভারসাম্য হারাইয়া একপ্রকার বেহুশ অবস্থায় কদাচিৎ এরূপ বলিয়া ফেলেন। আল্লাহ্ পাকের আশেকদের এধরনের ঊক্তি এশকের জোশ বশতঃ ঘটিয়া যায়, তাই আল্লাহ্ পাকের নিকট তাহা অপরাধ বলিয়া গণ্য হয়না। যেরূপ শিশু যদি পিতার মুখে থাপ্পড় মারে কিংবা দাড়ি ছিড়িয়া ফেলে, পিতার নিকট তাহা পীড়াদায়ক হয়না বরং তাহাতে আরো মহব্বতের জোয়ার উঠে। [দ্রঃ ভেদে মা'রেফত বা ইয়াদে খোদাঃ ১৫-১৭ নং পৃষ্ঠা]
বিশ্লেষণঃ
সম্মানিত পাঠক! আগের ঘটনা দুটিতে যে শির্ক ও কুফরীর বিষয় উল্লেখ হয়েছে এই ঘটনায় তা আরো প্রকট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। সনদ ও সাক্ষ্য-প্রমাণ বিহীন এ ধরণের মিথ্যা, উদ্ভট, কল্পনা প্রসূত ও বিবেক বর্জিত ঘটনা উল্লেখ করে সরলমনা মানুষের ঈমান লুট করার উদ্দেশ্য কি তা সহজেই অনুমান করা যায়। আর তা হচ্ছে সুমহান আল্লাহকে বাদ দিয়ে পীরদের ছায়া তলে আশ্রয় নেয়ার জন্যে মানুষকে আহ্বান জানানো। যেহেতু তাদের সাথে আল্লাহর হট লাইন আছে, চুক্তি আছে, ক্ষমতা ভাগাভাগি আছে, তাই আল্লাহর কাছে অত দূর না গিয়ে নিজের পীরের কাছে গেলেই তো সব কাজ হয়ে যাবে। পীরের হাতে নিজেকে সঁপে দিলে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে, কেউ নিখোঁজ হলে তাকে ফেরত পাওয়া যাবে, সন্তান পাওয়া যাবে, ব্যবসায় লাভবান হওয়া যাবে, শত্রু পরাজিত হবে, মামলায় জেতা যাবে, এমনকি মৃতকেও জীবিত করে পাওয়া যাবে। সুতরাং আর চিন্তা কিসের?
তাবরিজীর ঘটনা থেকে আমরা যে বিষয়গুলো দেখতে পাই তা নিম্নরূপঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/37/39
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।