মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখবে, তাঁকে ভয় করে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে এবং তাঁর নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাতকে মান্য করে নিজের জীবনকে পরিচালনা করার পাশাপাশি যাবতীয় শির্ক ও বিদআত থেকে বেঁচে থাকবে সেই আল্লাহর ওলী বা আল্লাহর বন্ধু। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর ওলীদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না। আর ওরা হচ্ছে তারাই যারা ঈমানদার এবং আল্লাহকে ভয় করে চলে। (সূরা ইউনুসঃ ৬২, ৬৩)
তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং মুমিনরা- যারা সালাত আদায় করে, যাকাত আদায় করে এবং যারা বিনয়ী। আর যে ব্যক্তি বন্ধুত্ব রাখবে আল্লাহর সাথে, তাঁর রাসূলের সাথে এবং মুমিনদের সাথে, (তারা আল্লাহর দলভুক্ত হল এবং) নিশ্চয় আল্লাহর দলই বিজয়ী। (সূরা মায়েদাঃ ৫৫, ৫৬)
আমর বিন আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গোপনে নয়; বরং উচৈচঃস্বরে বলেছেন,
( أَلا إِنَّ آلَ أَبِي يَعْنِي فُلانًا لَيْسُوا لِي بِأَوْلِيَاءَ إِنَّمَا وَلِيِّيَ اللَّهُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ وفي رواية المتقون (
তোমরা জেনে রাখ, উমুক বংশের লোকেরা আমার বন্ধু নয়; বরং আমার বন্ধু হচ্ছেন আল্লাহ্ এবং নেককার মুমিনগণ। (অন্য বর্ণনায়) আমার বন্ধু হলেন মুত্তাকী বা আল্লাহ্ভীরুগণ। [. বুখারী ও মুসলিম।]
অতএব যারা আল্লাহর প্রতি শির্ক মুক্ত ঈমান রাখে এবং আল্লাহকে ভয় করে তাঁর বিধি-নিষেধ মেনে চলে তারাই আল্লাহর ওলী। তারা রাসূলের ওলী, মুমিনদের ওলী। وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীগণ পরস্পর পরস্পরের ওলী- বন্ধু। (সূরা তাওবাঃ ৭১)
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে, নিজেদের জান-মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে এবং যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। (সূরা আনফালঃ ৭২)
আল্লাহর প্রতি যার ঈমান যত মজবুত, ভয়-ভীতি, ভালবাসা ও আশা-আকাংখা নিয়ে যে যত বেশী আল্লাহর প্রতি দৃঢ় ভরসা ও আস্থা রেখেছে, তাঁর কাছে সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছে, শির্ক ও কুফরী থেকে নিজের ঈমানকে হেফাযত রেখেছে, যাবতীয় ইবাদত নিরঙ্কুশভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সম্পাদন করেছে, আল্লাহ্ যাকে ভালবাসেন তাকে ভালবেসেছে, তিনি যাকে ঘৃণা করেন তাকে ঘৃণা করেছে, জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করে চলেছে, আল্লাহর নির্ধারিত হালাল-হারামের সীমানাকে লঙ্ঘণ করেনি, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাতকে সবকিছুর উর্ধে স্থান দিয়েছে, নিজের পক্ষ থেকে নতুন কোন ইবাদত সৃষ্টি করেনি, বিদআত-কুসংস্কার থেকে দূরে থেকেছে, মুমিনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মুমিনদেরকে ভালবেসেছে সেই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর ওলী। এই বৈশিষ্টগুলো যার মধ্যে যে পরিমাণ বিদ্যমান থাকবে, সে সেই পরিমাণ আল্লাহর বন্ধুত্ব অর্জন করবে।
টাইটেল, সার্টিফিকেট-সনদ, সাইনবোর্ড, দরবার শরীফ, বংশের শাজারা নামা, বাহ্যিক অলৌকিকতা, মুরীদ ইত্যাদি না থাকলেও আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ওলী হতে পারে। আওলাদে রাসূল বা সৈয়দ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করা ওলী হওয়ার জন্যে শর্ত নয়। বিশাল পাগড়ী বা আলখেল্লাধারী হওয়া ওলীর জন্য শর্ত নেই। আবশ্যক নয় যে মানুষের মাঝে ওলী হিসেবে তাকে পরিচিত হতে হবে। এও আবশ্যক নয় যে তার খানকা বা দরবার শরীফ না থাকলে তিনি ওলী হতে পারবেন না। কেননা ওলী হওয়ার ভিত্তি হচ্ছে তাকওয়া বা আল্লাহ্ ভীতি। আল্লাহ্ বলেন,
তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সর্বাধিক সম্মানিত যে বেশী আল্লাহকে ভয় করে। (সূরা হুজুরাতঃ ১৩) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতির মাপকাঠি ব্যতীত অনারব মানুষের উপর কোন আরবের কোন মর্যাদা নেই। [. বায়হাকী, হাদীছটি সহীহ্ দ্রঃ সিলসিলা সহীহা হা/২৭০০] তিনি আরো বলেন, مَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ যার আমল তাকে পশ্চাতে ফেলেছে, তার বংশ মর্যাদা তাকে অগ্রগামী করতে পারবে না। (সহীহ্ মুসলিম) কথায় বলে, জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভাল।
আল্লাহর ওলীরা ফরয ও নফল ইবাদতের পাবন্দ হয়। তাদের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার ওলীর সাথে শত্রুতা পোষণ করবে, সে আমার সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দিল। বান্দার উপর আমি যা ফরয করেছি তার মত এমন কোন আমল নেই যা সম্পাদন করে সে আমার নিকটবর্তী হতে পারে। এরপর বান্দা নফল ইবাদত করতে করতে আমার আরো নিকটবর্তী হতে থাকে, এমনকি আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি তখন আমি তার শ্রবণ হয়ে যাই যা দ্বারা সে শোনে, তার দৃষ্টি হয়ে যাই যা দ্বারা সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দ্বারা ধরে, তার পা হয়ে যাই যা দ্বারা সে চলে। সে আমার দ্বারাই শোনে, আমার দ্বারাই দেখে, আমার দ্বারাই ধরে এবং আমার মাধ্যমেই চলে। (সে আল্লাহর এত বেশী নিকটবর্তী হয় যে,) আমার কাছে কিছু চাইলে আমি তাকে প্রদান করি, আশ্রয় প্রার্থনা করলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। [. সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ রিকাক, অনুচ্ছেদঃ বিনয়-নম্রতা হা/৬০২১।]
ইমাম ইবনে তায়মিয়া বলেনঃ ওআল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্যে এ হাদীছে দুটি স্তর উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমতঃ ফরয ইবাদতের মাধ্যমে নৈকট্য অর্জন। দ্বিতীয়তঃ ফরযের পর নফল ইবাদত আদায় করে নৈকট্য অর্জন। [. মাজমু’ ফাতাওয়া- ইমাম ইবনে তাইমিয়া ৩/২৫৬ পৃঃ]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/37/44
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।