hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পুনরুদ্ধার

লেখকঃ আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

শিক্ষা-দীক্ষায় তাওহীদ পুনরুদ্ধারঃ
আল্লাহ্‌ তাআলা সর্বপ্রথম যে বিষয়ের শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন তা হচ্ছে তাওহীদ বিষয়ক শিক্ষা। তিনি এরশাদ করেনঃ فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ অতএব তুমি শিক্ষা অর্জন কর একথার যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই। (সূরা মুহাম্মাদঃ ১৯) তিনি আরো বলেনঃ فَمَنْ يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِنْ بِاللَّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى অতঃপর যে তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করবে এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনবে সেই সুদৃঢ় হাতলকে আঁকড়ে ধরবে। (সূরা বাকারাঃ ২৫৬) অর্থাৎ কালেমায়ে তাওহীদকে আঁকড়ে ধরবে।

এই কারণে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দাওয়াতী জীবনের শুরুতেই মানুষকে এই তাওহীদের শিক্ষা প্রদান শুরু করেছেন। আর এর উপরেই নবুওতী জীবনের মূল্যবান তেরটি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন।

মুআয বিন জাবাল (রাঃ)কে ইয়ামানের গভর্ণর হিসেবে প্রেরণ করার সময় নবী পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে শিক্ষা দিয়েছিলেন সেটার অনুসরণে বর্তমানেও আমাদেরকে সিলেবাস তৈরী করতে হবে। তিনি তাঁকে বলেছিলেনঃ

তুমি কিতাবধারী জনগোষ্ঠি (খৃষ্টান অধ্যুষিত) এলাকায় যাচ্ছ, তুমি সর্ব প্রথম মানুষকে আহ্বান করবে কালেমা ওলা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর সাক্ষ্য দিতে। তারা যদি এটা মেনে নেয়, তবে তাদেরকে জানাবে যে আল্লাহ্‌ তাদের প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। তারা এটা মেনে নিলে তাদেরকে বলবে আল্লাহ্‌ তাদের সম্পদে যাকাত ফরয করেছেন। ধনীদের কাছ থেকে যাকাত আদায় করে তথাকার দরীদ্র জনগণের মাঝে তা বিতরণ করা হবে...। - [. বুখারী ও মুসলিম, ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত।]

একথা হতেই পারে না যে, এই কালেমা শুধু মুখে উচ্চারণ করলেই যথেষ্ট হয়ে যাবে, তার কোন অর্থ, তাৎপর্য ও দাবী থাকবে না। এর জন্যে কোন শর্তমালা থাকবে না। কি কাজ করলে এ কালেমা নষ্ট হতে পারে তার কোন কারণ থাকবে না। যদি তাই হত তবে মক্কার কাফেরদের এই কালেমা পাঠ করতে কোন বাধা থাকতো না। তারা ছিল আরব জাতি, এর নিগূড় তত্ব তারা বুঝতো এজন্যেই তারা তা পাঠ করতে অস্বীকার করেছিল। তারা এর তাৎপর্য বুঝতে পেরেছিল যে এটা পাঠ করলে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক নির্ধারণ করা যাবে না। কারো কাছে প্রার্থনার হস্ত প্রসারিত করা যাবে না। কাউকে মাধ্যম নির্ধারণ করা যাবে না। অথচ তারা এগুলো করতো। তারা গাইরুল্লাহর মাধ্যমে বিপদ থেকে উদ্ধার কামনা করতো, গাইরুল্লাহকে ডাকতো। আর গাইরুল্লাহর জন্যে নযর-মানত, পশু কুরবানী, অসীলা ধরা ইত্যাদি তো ছিলই। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ্‌ বলেছেনঃ

إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ . وَيَقُولُونَ أَإِنَّا لَتَارِكُو آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَجْنُونٍ “

তাদেরকে যখন বলা হত, তোমরা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌ বল, তখন তারা অহংকার করত আর বলত, আমরা কি একজন পাগল কবির কথামত আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব?চ (সূরা সাফ্‌ফাতঃ ৩৫-৩৬)

কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এ সমস্ত বিষয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। মসজিদের ইমাম ও ওয়ায়েজীনদের মুখে এ ধরণের কোন কথা তেমন শোনা যায় না। মোটকথা শিক্ষা সিলেবাসে, ওয়াজ-নসীহতে তাওহীদ অবহেলিত ও উপেক্ষিত। যার কারণে যে মসজিদ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করার জন্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেখানে হয় শির্কের চর্চা। [. যেমন, অনেক ইমাম সাহেব মসজিদের মেহরাবে বসে ‘সোলেমানী তাবীজ’ বা ‘নাফেউল খালায়েক’ প্রভৃতি বই থেকে তাবীজ-কবচ লিখে থাকেন। শির্কী ও কুফরী বাক্য পাঠ করে জিন-ভুত ছাড়ানোর চিকিৎসা করে থাকেন। এগুলো সবই শির্ক চর্চা। উক্ববা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদা দশজন লোক রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)এর নিকট আগমণ করল। তিনি তাদের মধ্যে নয়জনের কাছে বায়আত নিলেন কিন্তু একজনের বায়আত না নিয়ে হাত গুটিয়ে নিলেন। তারা আরয করল, কি ব্যাপার তার? তিনি বললেনঃ তার হাতে তাবীজ বাঁধা আছে। লোকটি তৎক্ষণাৎ তাবীজটি কেটে ফেলল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তার কাছে বায়আত নিলেন। এরপর বললেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি তাবীজ ব্যবহার করবে সে শির্ক করবে।’’ (মুসনাদে আহমাদ, হাকেম। সিলসিলা সহীহা হা/৪৯২) তাবেঈ ঈসা বিন হামযা একদা সাহাবী আবদুল্লাহ্ বিন ঊকাইম (রাঃ)কে শুশ্রূষা করার জন্যে গেলেন। তাঁর মুখমন্ডল ও সারা শরীর ফুলে লাল বর্ণ ধারণ করেছিল। তিনি তাকে পরামর্শ দিলেন আপনি একটা তাবীজ ব্যবহার করেন না কেন? তিনি বললেনঃ নাউযুবিল্লাহ্.. এর চাইতে মৃত্যুই বেশী উত্তম। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি কোন কিছু (গলায় বা হাতে) লটকাবে, তাকে সেই বস্ত্তর প্রতি সোপর্দ করা হবে।’’ (তিরমিযী, হাদীছটি হাসান দ্রঃ ছহীহ তিরমিযী হা/ ২০৭২) সাহাবী হুযায়ফা (রাঃ) জনৈক রুগীর সুশ্রূষা করার জন্যে গিয়ে দেখেন সে তার বাহুতে সুতা বেঁধে ব্যবহার করেছে। তিনি তা কেটে ফেললেন এবং বললেন, এ তাবীজ থাকাবস্থায় তোমার মৃত্যু হলে আমি তোমার জানাযা পড়তাম না। (তাফসীর ইবনে আবী হাতেম)] ইলমে দ্বীনের শিক্ষাগারের পাশাপাশি শির্কের ঘাঁটিও সমভাবে প্রতিষ্ঠিত। এ সমস্ত মসজিদ ও মাদ্রাসার পাশে শোভা পাচ্ছে কবর ও মাজারের সুরোম্য অট্টালিকা। অনেক ক্ষেত্রে মসজিদ-মাদ্রাসার চাইতে উক্ত মাজারের চাকচিক্য, সৌন্দর্য ও কারুকার্য চোখে পড়ার মত অবাক হওয়ার মত। অথচ ঐ সমস্ত মাজারে অহরহ শির্কের চর্চা হচ্ছে। মানুষ বিপদ উদ্ধারের জন্যে, সাহায্য চাইতে, জিন-ভুতের উপদ্রব থেকে বাঁচার আশায়, রোগ মুক্তি কামনায়, সন্তান পাওয়ার আকংখ্যায় সে সকল মাজারে ধর্ণা দিচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে নযর-মানত, পশু কুরবানীসহ অসংখ্য শির্কী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে বাধা দেয়ার মত কেউ নেই। বুঝানোর মত কোন ব্যবস্থা নেই।

এ সমস্ত মাদ্রসায় পাঠ্য সিলেবাসে তাওহীদ নামক কোন সাব্‌জেক্ট খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইসলামী আকীদা কি? কিভাবে আকীদা রক্ষা করা যায়? শির্ক কাকে বলে? কোন্‌ কোন্‌ কাজ করলে মানুষ শির্কে লিপ্ত হতে পারে এবং তার ঈমান নষ্ট হতে পারে ইত্যাদি কোন কিছুই ছাত্রদেরকে শিক্ষা দেয়া হয় না। যার কারণে ঐ বিষয়ে অজ্ঞ থেকেই মাসআলা-মাসায়েল শিখে একজন শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবন শেষ করেন। টাইটেল বা দাওরায়ে হাদীছ পাশ করে কর্ম জীবনে প্রবেশ করে, সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে গিয়ে চলমান শির্কের আখড়া কবর, মাজার বা দরবার প্রভৃতির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না, বলতে জানেন না। অনেক সময় তাদের অনেকেই কোন না কোন মাজারের খাদেম বনে যান বা নিজেই একটি দরবার শরীফ খুলে ঝাড়-ফুঁক বা তাবীজ-কবচ দিয়ে, জিন-ভুত ছাড়িয়ে রমরমা ব্যবসা শুরু করে দেন।

তার একটি মাত্র কারণ হচ্ছে তাদেরকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে তাওহীদ সম্পর্কে কোন ধারণা দেয়া হয়নি। শির্ক এবং তার বাহন ও উপকরণ থেকে কোনরূপ সতর্ক করা হয়নি।

সত্যিকারভাবে ঐ সমস্ত মসজিদে যদি তাওহীদের দারস চালু থাকতো, ঐ সমস্ত মাদ্রাসায় যদি তাওহীদের জ্ঞান দান করা হত তবে কখনই তাওহীদ ও শির্ক পাশাপাশি থাকতে পারত না। মসজিদ-মাদ্রাসা ও মাজার সহবস্থান করতে পারত না। হয় তাওহীদী শিক্ষায় বলিয়ান হয়ে ঈমানদার জনগণ ও ছাত্র সমাজ তার বিরুদ্ধে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলত, ফলে তাওহীদী প্রতিষ্ঠান মসজিদ-মাদ্রাসা অবশিষ্ট থাকত এবং শির্কের আখড়াগুলো ভেঙ্গে ফেলা হত, অন্যথা মসজিদ-মাদ্রাসা অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়ে যেত।

কিন্তু আফসোস, তা হবে কি করে? ঐ মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোর অস্তিত্বই তো হয়েছে মাজারকে কেন্দ্র করে, মাজারের বরকতে(!) মাজারে সমাধিস্থ আল্লাহর ওলীর (?) দুআর বরকতে ও তার ফায়যের অসীলায়(!) ঐ সমস্ত মসজিদ ও মাদ্রাসা তো আল্লাহর উদ্দেশ্য তৈরী হয়নি। তৈরী হয়েছে মাজারের ওলীর উদ্দেশ্যে। তাই ইমাম-মুআজ্জিনের বেতন, মসজিদের সংস্কার ও পরিচর্চা, মাদ্রাসার উন্নতী, লিল্লাহ বোডিং, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খরচের সিংহভাগ সংগ্রহ হয় মাজারের দান বাক্স থেকে উদ্বৃত্ত অর্থ থেকে। [. শাহাজালাল (র:)এর মাজার- যেখানে চবিবশ ঘন্টা শির্কের চর্চা হয়। তার এরিয়ার মধ্যে একটি কওমী ও হফেযী মাদ্রাসা রয়েছে। যেখানে দাওরায়ে হাদীছ পর্যন্ত শিক্ষা দান করা হয়। অথচ সে মাদ্রাসার ব্যয়ভার পরিচালনা করা হয় মাজারের ইনকাম থেকে!বরিশাল মহানগরীর কে বি হেমায়েত উদ্দীন রোডের হজরত লেচু শাহ (রঃ)মাদ্রাসাও একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। এটি আলিয়া মাদ্রাসা। দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় (৩০/০৬/২০০৮ইং তারিখে) খবরে প্রকাশঃ ‘‘হজরত লেচু শাহ (র:)এর রওজা শরিফ সংলগ্ন ভবনে তারই নামে নগরীর কয়েকেজন সমাজ সেবীর উদ্যোগে এ আলিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে।.... হজরত লেচু শাহ (র:) রওজা শরিফে সর্বস্তরের মানুষের দানেই প্রতিষ্ঠানটি চলে আসছে।’’কি আশ্চর্য শিক্ষা ব্যবস্থা! শির্ক থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে কুরআন-হাদীছ শিক্ষা দান? এধরণের মাজার সংলগ্ন ও মাজার কমিটি পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- মসজিদ-মাদ্রাসা আমাদের দেশে অসংখ্য-অগণিত। সত্য সন্ধানী উৎসুক মানুষ একটু খোঁজ নিলেই আমার একথার সত্যতা জানতে পারবেন।] অতএব তারা কি করে বুঝবে যে, মাজারের ওলীর প্রতি ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের নামে অনুষ্ঠিত এ সমস্ত কার্যাবলী সবই আল্লাহর তাওহীদ বিরোধী শির্কী কর্মকান্ড?

তাওহীদের প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে কবর-মাজারের সাথে সম্পর্ক গড়া নয়; বরং তা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা। ইসলামের আসল শিক্ষা মাজার গড়া নয়; বরং মাজার ভেঙ্গে ফেলা। এই জন্যে প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে সর্বপ্রথম কবর ও মাজার যিয়ারত নিষিদ্ধ করেন। শুধু তাই নয় মদীনায় হিজরত করে আসার পর সর্বপ্রথম উঁচু কবর ও মাজার ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন।

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবরের উপর ঘর তৈরী করতে ও কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন। আবুল হায়্যাজ আল আসাদী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ) বললেন,

( أَلا أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِي عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ ؟ أَنْ لا تَدَعَ تِمْثَالا إِلا طَمَسْتَهُ، وَلا قَبْرًا مُشْرِفًا إِلا سَوَّيْتَهُ ) وفي رواية ( وَلا صُورَةً إِلا طَمَسْتَهَا )

আমি কি তোমাকে এমন মিশন দিয়ে পাঠাবো না, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে যে মিশন দিয়ে পাঠিয়েছিলেন? আর তা ছিল, কোন মূর্তী পেলে তা ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে, কোন উঁচু কবর পেলে ভেঙ্গে তা মাটি বরাবর করে দিবে। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ এবং কোন ছবি পেলে তা মিটিয়ে ফেলবে। [. [ছহীহ] মুসলিম, অধ্যায়ঃ জানাযা, অনুচ্ছেদঃ কবরকে ভেঙ্গে মাটি বরাবর করা। হা/১৬০৯।]

একইভাবে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবরকে পাকা করতে ও তা চুনকাম করতে নিষেধ করেছন। জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবরকে চুনকাম করতে, তার উপর বসতে এবং তা পাকা করতে নিষেধ করেছেন। [. [ছহীহ] মুসলিম, অধ্যায়ঃ জানাযা, অনুচ্ছেদঃ কবরকে পাকা করা ও চুনকাম করা নিষেধ। হা/১৬১০।]

কবরস্থান যিয়ারত করা মুস্তাহাব। কেননা কবরের অধিবাসীগণ জীবিতদের দুআর মুখাপেক্ষী। জীবিতরা তাদের মুখাপেক্ষী নয়। এ জন্য তাদের উপকারের উদ্দেশ্যে কবর যিয়ারত করতে হবে, তাদের নিকট থেকে কোন উপকার পাওয়ার জন্য যিয়ারত করা যাবে না। কবরবাসীর নিকট থেকে উপকার লাভের আশায় যে যিয়ারত করা হয়, তা বিদআতী যিয়ারত। পক্ষান্তরে যে যিয়ারতের উদ্দেশ্য হবে, মৃত লোকদের উপকার সাধন ও তাদের অবস্থা থেকে শিক্ষা গ্রহণ, তবে তা হবে শরীয়ত সম্মত বৈধ যিয়ারত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন