hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পুনরুদ্ধার

লেখকঃ আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

৪৮
নবীজীর অনুসরণ ছাড়া ওলী হওয়া যাবে নাঃ
কাফের, মুশরিক ও ইহুদী খৃষ্টানরা যেমন আল্লাহর ওলী হতে পারে না, তেমনি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর উম্মত দাবী করার পর, তাঁর শরীয়ত জাহেরী ও বাতেনীভাবে কোন মানুষ অনুসরণ না করলেও সে আল্লাহর ওলী হতে পারবে না।

অনুরূপভাবে কোন মানুষ যদি দাবী করে যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর শরীয়ত সাধারণ মুসলমানদের জন্য প্রজোয্য, কিন্তু যারা আল্লাহর ওলী, বা আবদাল, বা কুতুব ইত্যাদি তারা বাতেনীভাবে তা মানতে বাধ্য নন, অথবা তারা বাতেনীভাবে সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে আদেশ-নিষেধ লাভ করেন, অথবা দাবী করে যে, আল্লাহর কিছু ওলী আছেন যাদের কাছে রাসূল প্রেরণ করা হয়নি এবং তাদের তা দরকারও নেই; বরং আল্লাহর কাছে যাওয়ার তাদের আলাদা কোন রাস্তা আছে, অথবা বলে যে তারা প্রয়োজনীয় বিষয় কোন মাধ্যম ছাড়া সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে লাভ করেন, অথবা বলে যে, এরা শরীয়তের বাহ্যিক বিষয়গুলো মানেন কিন্তু বাতেনী মারেফতী বিষয়ে তাদের রাস্তা ভিন্ন তবে এরা কেউ আল্লাহর ওলী নয়; বরং শয়তানের ওলী। কেননা আল্লাহর নবী ও রাসূলগণই (আঃ) হচ্ছেন বান্দার সাথে আল্লাহর যোগসূত্রের মাধ্যম। তাঁদের মাধ্যমেই আল্লাহ্‌ ধর্মের তাবলীগ করেছেন। তাঁর আদেশ-নিষেধ, শান্তি ও শাস্তির ওয়াদা, হালাল-হারাম প্রভৃতি বান্দার কাছে পৌঁছিয়েছেন। অতএব ধর্ম ওটাই যা আল্লাহর রাসূলরা ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং কোন মানুষ যদি বিশ্বাস রাখে যে নবী-রাসূলদের পথ ও পদ্ধতির অনুসরণ ছাড়া কোন ওলীর আল্লাহর কাছে পৌঁছার ব্যবস্থা আছে, তবে সে আল্লাহর ওলী নয়; শয়তানের ওলী।

পূর্ব যুগে নবী-রাসূলগণ এলাকা ভিত্তিক প্রেরীত হওয়ার কারণে এক এলাকার লোকের অন্য এলাকার নবীর অনুসরণ বাধ্য ছিল না। যেমন খিযির (আঃ)এর জন্য মূসা (আঃ)এর অনুসরণ বাধ্য ছিল না। কিন্তু মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাতামুন্নাবিয়্যিন, তাঁর পর আর কোন নবী আসবে না, তিনি কিয়ামত পর্যন্ত জিন-ইনসান সকলের কাছে নবীরূপে প্রেরীত। তাঁর মাধ্যমেই আল্লাহ্‌ দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণ রূপ দান করেছেন। (সূরা মায়েদাঃ ৩) তিনি যা নিয়ে এসেছেন তার প্রত্যেকটা বিষয়ের উপর যে ঈমান না আনবে সে মুমিন নয়; আল্লাহর ওলী হওয়া তো দূরের কথা। যদি এরূপ দাবী করে যে, যাহেরীভাবে সব কিছুর উপর ঈমান রাখে বাতেনীভাবে নয় তবে সে কাফের-মুনাফেক। যদি দাবী করে যে শরীয়ত হচ্ছে যাহেরী রাস্তা আর মারেফত বাতেনী রাস্তা, অথবা দাবী করে যে শরীয়তের জ্ঞান লাভ করে মারেফত হাসেল করা যাবে না অথবা বলে যে, মারেফতের রাস্তা শরীয়ত থেকে আলাদা তবে সেও আল্লাহর ওলী নয়; শয়তানের ওলী। অথবা কেউ যদি দাবী করে যে শরীয়ত তথা কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান পরিপূর্ণরূপে লাভ করেও আল্লাহকে পাওয়া যাবে না, কিংবা বলে যে, মারেফতের রাস্তা খুবই গোপন ও সতন্ত্র তাই একজন পীর বা ওলী না ধরলে এবং তাদের কাছে মারেফতের জ্ঞান না পেলে আল্লাহকে চেনা যাবে না, তবে সেও কখনই আল্লাহর ওলী নয়; বরং সে শয়তানের ওলী। কেননা আল্লাহ তাআলা তাঁর নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে দুটি রাস্তা দেননি। তিনি তাঁকে যে রাস্তা দিয়েছেন সে সম্পর্কে বলেন,

وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ عَمَّا جَاءَكَ مِنَ الْحَقِّ لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا “

আর আমি আপনার কাছে এ কিতাব (কুরআন) নাযিল করেছি সত্যসহকারে, যা পূর্ববর্তী কিতাব সমূহের সত্যতা প্রমাণকারী এবং ঐ সমস্ত কিতাবের সংরক্ষকও; অতএব আপনি তাদের পারস্পরিক বিষয়ে আল্লাহর অবতারিত এ কিতাব অনুযায়ী মীমাংসা করুন, আপনার কাছে যে সত্য এসেছে তা বাদ দিয়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। আপনাদের প্রত্যেকের জন্যে আমি নির্দিষ্ট শরীয়ত এবং নির্দিষ্ট পন্থা নির্ধারণ করেছি। (সূরা মায়েদাঃ ৪৮)

ثُمَّ جَعَلْنَاكَ عَلَى شَرِيعَةٍ مِنَ الْأَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَلا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ “

এরপর আমি আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি দ্বীনের বিশেষ শরীয়তের উপর; সুতরাং আপনি তার অনুসরণ করেন, অজ্ঞদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। (সূরা জাছিয়াঃ ১৮)

তিনি আরো বলেন,

وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ ذَلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ “

এটাই আমার সোজা পথ, তোমরা এটারই অনুসরণ কর। এপথ ছাড়া অন্য কোন পথের অনুসরণ কর না, অন্যথায় তোমাদেরকে তাঁর সঠিক রাস্তা থেকে বিচ্যুত করে দূরে সরিয়ে দিবে। আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে এই নির্দেশ দিলেন, যাতে তোমরা বেঁচে থাকতে পার। (সূরা আনআমঃ ১৫৩)

আবদুল্লাহ্‌ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে একটি সরল রেখা আঁকলেন, তারপর বললেনঃ এটা হচ্ছে আল্লাহর পথ। অতঃপর তার ডানে ও বামে কতগুলো রেখা টানলেন এবং বললেন এগুলোও পথ, কিন্তু প্রত্যেকটা পথে একজন করে শয়তান বসে আছে সে মানুষকে তার পথে আহ্বান করে। অতঃপর তিনি পূর্বের আয়াতটি তেলাওয়াত করলেনঃ وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ ... (এটাই আমার সরল পথ, তোমরা এটারই অনুসরণ করে চল।) [. হাদীছটি ইমাম আহমাদ, নাসাঈ বর্ণনা করেছেন, সনদ হাসান দ্রঃ সহীহ মেশকাত- আলবানী, অনুচ্ছেদঃ কুরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা হা/১৬৬]

আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর পথ খুবই পরিস্কার ও স্বচছ এখানে কোন গোপনীয়তা নেই রাখ-ঢাক নেই। তিনি বলেনঃ ‘‘স্বচছ ও স্পষ্ট দলীল প্রমাণের উপর আমি তোমাদেরকে ছেড়ে যাচ্ছি। দিনের মত রাতও পরিস্কার। অর্থাৎ এখানে কোন সংশয়-সন্দেহ, অস্পষ্টতা নেই কিংবা গোপনীয়তা নেই। ধ্বংস প্রাপ্ত লোক ছাড়া তা থেকে কেউ বিচ্যুত হবে না। যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই অনেক বিভেদ দেখতে পাবে, তখন আবশ্যক হচ্ছে, তোমরা আমার এবং সুপথ প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাত সমূহকে আঁকড়ে ধরবে। [. এরবায বিন সারিয়া (রাঃ) থেকে হাদীছটি সহীহ, দ্রঃ সহীহ্ ইবনে মাজাহ হা/৪৩]

তিনি আরো বলেনঃ

( مَا بَقِيَ شَيْءٌ يُقَرِّبُ مِنَ الْجَنَّةِ، ويُبَاعِدُ مِنَ النَّارِ، إِلا وَقَدْ بُيِّنَ لَكُمْ )

জান্নাতের নিকটবর্তী করে, আর জাহান্নাম থেকে দূরে রাখে এমন কোন বিষয় বাকী নেই, যা তোমাদের নিকট বর্ণনা করা হয়নি। [. ত্বাবরানী, হাদীছ সহীহ, দ্রঃ সিলসিলা সহীহা হা/১৮০৩] অর্থাৎ জান্নাতে যাওয়ার জন্য যে সব আমল দরকার তার সবকিছুই তিনি আমাদের সামনে প্রকাশ করে গেছেন এবং জাহান্নামে নিয়ে যেতে পারে এরকম সকল আমল থেকে তিনি আমাদেরকে সতর্ক করেছেন।

অতএব শরীয়ত, তরীকত, মারেফত, হাকীকত যে নামই ব্যবহার করা হোক না কেন, যে পথেই আহবান করা হোক না কেন, তা যদি পবিত্র কুরআন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সহীহ্‌ হাদীছ মোতাবেক না হয় তবে তা প্রত্যাখ্যাত। আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ যে ব্যক্তি এমন আমল করবে, যাতে আমার নির্দেশনা নেই, তবে তা প্রত্যাখ্যাত। [. আয়েশা (রাঃ) থেকে সহীহ্ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল আকজীয়া, অনুচ্ছেদঃ অন্যায় হুকুম এবং নব আবিস্কৃত বিষয়সমূহ প্রত্যাখ্যাত হওয়া প্রসঙ্গে, হাদীছ/ ৩২৪৩।] সুতরাং আমল বলেন, আর তরীকাই বলেন যদি তার অস্তিত্ব নবীজীর শরীয়তে খুঁজে না পাওয়া যায়, তবে আল্লাহর কাছে তা গ্রহণীয় হবে না; বরং শির্ক অথবা বিদআত বলে গণ্য হবে- যার পরিণাম জাহান্নাম ছাড়া অন্য কিছু নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন