hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পুনরুদ্ধার

লেখকঃ আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

৩৮
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মতেরও ভাল-মন্দের মালিক ননঃ
অন্য দিকে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উম্মতেরও কল্যাণ-অকল্যাণ ও ভাল- মন্দের মালিক নন। দুনিয়াবী কল্যাণ-অকল্যাণ তো অবশ্যই এমনকি কাউকে হেদায়াত বা গুমরাহ করার ক্ষমতাও তাঁর অধিকারে নেই। এসব কিছুর অধিকারী মালিক হলেন একমাত্র আল্লাহ্‌ তাআলা। তিনি এরশাদ করেনঃ

قُلْ إِنِّي لا أَمْلِكُ لَكُمْ ضَرًّا وَلا رَشَدًا “

আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের কারো জন্যে কোন ধরণের অনিষ্টের এবং কল্যাণের মালিক নই। (সূরা জিনঃ ২১)

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর পিতৃব্য আবু তালেব নবীজীকে নানাভাবে আজীবন সহযোগিতা করেছেন। তাঁর জন্য নানান কষ্ট হাঁসি মুখে বরণ করে নিয়েছেন। এমনকি তিনি নবীজিকে বিশ্বাসও করতেন। তিনি এটাও মানতেন যে, ইসলামই সত্য ধর্ম এবং মূর্তি মিথ্যা। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে তিনি আবু তালেবকে শত অনুরোধ করেও কালেমা পাঠ করাতে পারেননি। তাকে হেদায়াত করতে পারেননি। কারণ তিনি হেদায়াতের মালিক নন। এজন্যে আল্লাহ্‌ তাঁকে কুরআন নাযিল করে আশ্বস্থ করেছেনঃ

إِنَّكَ لا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ “

আপনি কাউকে ভালবাসলেই তাকে হেদায়াত করতে পারেন না। কিন্তু আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছা হেদায়াত করতে পারেন। হেদায়াতপ্রাপ্তদের সম্পর্কে তিনি অধিক জ্ঞান রাখেন। (সূরাঃ কাসাসঃ ৫৬)‎

শায়খ আবদুর রহমান সাদী (রহঃ) বলেনঃ যারা উপকার পাওয়ার আশায় এবং বিপদ মুক্তির জন্যে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর স্মরণাপন্ন হয় এই আয়াত সমূহ তাদের মূর্খতাকে সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করে দিয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাতে কোন কর্তৃত্ব নেই। আল্লাহ যার কল্যাণ করবেন না, তিনি তার কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারবেন না। আল্লাহ যার বিপদ দূর করবেন না, তিনি তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারবেন না। আল্লাহ্‌ পাক তাঁকে যা শিখিয়েছেন বা জানিয়েছেন তা ব্যতীত তিনি অতিরিক্ত কিছুই জানেন না। তিনি মানব জাতির যে উপকার করতে পারেন তা হচ্ছে তিনি তাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন এবং জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন। সৎ আমল করলে জান্নাত অসৎ আমল করলে জাহান্নাম। তাঁর পক্ষ থেকে এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ উপকার মানুষের জন্যে। এ উপকার পিতা-মাতা, বন্ধু-বান্ধবের সকল উপকারের চাইতে অধিক ও শ্রেষ্ঠ। কেননা তিনি আল্লাহর বান্দাদেরকে যাবতীয় কল্যাণের রাস্তা দেখিয়েছেন এবং প্রত্যেক ক্ষতি ও অকল্যাণের বিষয় থেকে সতর্ক করেছেন। আর এ বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা দিয়ে গেছেন। [. তাফসীরে সা’দী ১/৩১১]

আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুতার যুদ্ধে সাহাবীদেরকে পাঠিয়েছিলেন। যুদ্ধে সাহাবীগণ ভীষণ বিপদের সম্মুখিন হয়েছিলেন। তাঁদের সেনাপতিগণ একে একে শহীদ হয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তারপরও তাঁরা আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ওলী সাইয়্যেদুল মুরসালীনের কাছ থেকে সাহায্যের কোন আশা করেননি, তাঁরা একবারও ভাবেননি যে, আমাদের সাথে আছেন দোজাহানের মুক্তি দূত, তিনি আমাদের রক্ষায় এগিয়ে আসবেন। আর আল্লাহ্‌ তাআলাও নবীজীকে গায়েবীভাবে তাদের সাহায্যের জন্যে প্রেরণ করেননি। সাহাবীগণ এক আল্লাহর উপর ভরসা করে শুধুমাত্র তাঁর নিকট থেকেই সাহায্যের আশায় যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্‌ই তাদেরকে সাহায্য করেছেন। দান করেছেন বিশাল বিজয়।

উম্মুল মু'মেনীন আয়েশা (রাঃ)এর চরিত্র নিয়ে মুনাফেকরা কটুক্তি করেছিল। ফলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে পেরেশানের হালতে দিন কাটাচ্ছিলেন। এমনকি তিনি আয়েশা (রাঃ)কে তাওবা করারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ওদিকে আয়েশা (রাঃ) দুঃশ্চিন্তা করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেছিলেন। প্রায় একমাস অস্থিরতার সাথে তাঁদের দিন কেটেছে। তারপরও নবীজী গায়েবী জ্ঞানের জোরে দাবী করতে পারেননি যে, আয়েশা (রাঃ) সত্য- মুনাফেকরা মিথ্যুক। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্‌ ওহী নাযিল করে তাঁদের চিন্তা মুক্ত করেন। চিরসত্যবাদী আবু বকর (রাঃ) এর চিরসত্যবাদীনী কন্যা মা আয়েশা (রাঃ)কে কুরআনের আয়াত নাযিল করে পুতপবিত্র ঘোষণা করেন। [. সূরা নূর ১১ থেকে ২৬ নং আয়াত। ঘটনাটি সহীহ্ মুসলিমে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে।]

অতএব গঙ্গুহী সাহেবের মাধ্যমে নয়; বরং আল্লাহর বিশেষ রহমতে হাজী সাহেবদের জাহাজ পথ খুঁজে পেয়েছে। যিনি মহান একক ক্ষমতাবান। যিনি মানুষকে জলে ও স্থলে ভ্রমণ করান। সেই আল্লাহই তাদেরকে রক্ষা করেছেন, উদ্ধার করেছেন। কেননা তিনিই তাদের সাথে ছিলেন এবং সকলের সাথে থাকেন। কোন নবী বা ওলী বা পীর মানুষের সাথে থাকেন না। মানুষের ভাল-মন্দ বিষয় প্রত্যক্ষ করেন না। আল্লাহ্‌ তাদেরকে ডুবিয়ে মারলে হাজার গঙ্গুহী, হাজার পীর, হাজার গাউছ, হাজার কুতুব একত্রিত হয়েও কোন উপকার করতে পারবে না। আল্লাহ্‌ বলেনঃ

وَإِنْ نَشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلا صَرِيخَ لَهُمْ وَلا هُمْ يُنْقَذُونَ،إِلا رَحْمَةً مِنَّا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ “

আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জিত করে দিতে পারি। সে অবস্থায় তারা সাহায্য করার জন্যে আর্তনাদ শ্রবণকারী কাউকে পাবে না এবং তারা পরিত্রাণও লাভ করবে না। কিন্তু আমার পক্ষ থেকে রহমত এবং তাদেরকে কিছুকাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার জন্যে আমি তাদেরকে ডুবিয়ে মারি না। (সূরা ইয়াসীনঃ ৪৩, ৪৪)

কেননা গঙ্গুহী সাহেবকে আল্লাহ্‌ জাহাজ রক্ষা বা এরকম কোন বিপদ থেকে উদ্ধারের দায়িত্ব প্রদান করেননি। সারা জীবন ধরে তাকে ডাকলে বা তার কাছ থেকে সাহায্যের আশা করলে, সামান্যতম উপকার তো দূরের কথা তিনি মানুষের ডাকই শুনতে পাবেন না। কোন্‌ মানুষ কি অবস্থায় আছে তা তিনি জানতেই পারবেন না। অতএব-

وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللَّهِ مَنْ لَا يَسْتَجِيبُ لَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَائِهِمْ غَافِلُونَ “

তার চাইতে অধিক বিভ্রান্ত আর কে হতে পারে, যে ব্যক্তি আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে আহ্বান করে যে ক্বিয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিবে না এবং সে তাদের আহ্বান সম্বন্ধে কোন কিছু অবহিতও নয়। (সূরা আহ্‌কাফঃ ৫)

সুতরাং গঙ্গুহী বা এরকম কোন পীরের উপর এধরণের বিশ্বাস আল্লাহর সাথে প্রকাশ্য শির্ক এবং তাঁর উপর অনেক বড় অপবাদ। যার পক্ষে আল্লাহ্‌ কোন দলীল নাযিল করেননি। আল্লাহ্‌ বলেন,

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا أَوْ قَالَ أُوحِيَ إِلَيَّ وَلَمْ يُوحَ إِلَيْهِ شَيْءٌ “

ঐ ব্যক্তির চেয়ে বড় যালেম আর কে হতে পারে যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে অথবা বলে যে তার কাছে নির্দেশনা এসেছে অথচ তার কাছে কোনই নির্দেশনা আসে নি। (সূরা আনআমঃ ৯৩)

এই শির্ক আল্লাহ্‌ কখনই ক্ষমা করবেন না। তিনি বলেন,

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ “

নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর চাইতে নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। (সূরা নিসাঃ ৪৮ ও ১১৬)

এধরণের শির্ক নিয়ে মৃত্যু বরণ করলে তার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ্‌ বলেন,

إِنَّهُ ُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ “

নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে কাউকে অংশী স্থাপন করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন। তার ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। আর যালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা মায়েদাঃ ৭২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন