hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ পালন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নান্দনিক আচরণ

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

১০
শিরক সম্পাদিত স্থানসমূহে ইসলামের নিদর্শন প্রকাশ
যেসব জায়গায় পূর্বে শিরক বা কুফর কর্ম অথবা আল্লাহর শত্রুতা প্রকাশ করা হয়েছে সেসব জায়গায় মুশরিকদের গাত্রদাহ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলামের নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করা। এই মর্মে মীনায় বর্ণিত রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদিস প্রণিধানযোগ্য, তিনি বলেন : ‘‘ আমরা আগামীকাল বনু কিনানার খায়ফে যেতে যাচ্ছি, যেখানে তারা কুফরকর্মের ওপর অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে , আর তা ছিল এই যে কোরাইশ ও কিনানাহ বনু হাশীম ও বনু আব্দুল মুত্তালিব - অথবা বনু মুত্তালিব- এর বিরুদ্ধে এই মর্মে কসম খেয়েছে যে তাদের সাথে তারা বৈবাহিক সম্পর্ক কায়েম করবে না, বেচা কিনা করবে না , যতক্ষণ না নবীকে তাদের কাছে সোপর্দ করা হবে।’’ তবে আল্লাহ তাদের কোনো কাজই সিদ্ধি হতে দেন নি। বরং তাদের দমন করেছেন এবং ব্যর্থ মনরথ করে ফিরিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর তিনি তার নবীকে সাহায্য করেছেন, তাঁর বাণীকে উঁচু করেছেন, তাঁর সরল-সোজা দ্বীনকে মজবুত করেছেন। ইবনুল কাইয়েম বলেছেন :‘‘ এটাই ছিল রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অভ্যাস যে তিনি তাওহীদের নিদর্শন কুফরের নিদর্শনের স্থানসমূহে প্রকাশ করতেন, এই সূত্রেই রাসূলুল্লাহ ﷺ লাত উজ্জার জায়গায় তায়েফের মসজিদ নির্মাণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’’

মুশরিকদের বিপরীতে চলা কেবল রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিজ কর্মেই সীমাবদ্ধ থাকে নি তিনি বরং সাহাবাদেরকেও অনুরূপ করতে বলতেন যখন তাঁর নিজের পক্ষে এরূপ করা সম্ভব হতো না। যেমন এহরামের সময়, যে কুরাইশী নয়, তাকে নির্দেশ দিয়েছেন কুরাইশদের বিদআতের বিপরীত কাজ করার। যেমন তাদের নিয়ম ছিল- হজ পালন করতে আসা কোনো ব্যক্তি কোরাইশদের পোশাক ব্যতীত তাদের নিজস্ব পোশাকে তোয়াফ করতে পারবে না, যে ব্যক্তি এ-পোশাক পাবে না সে বিবস্ত্র হয়ে তোয়াফ করবে। তাই এর বিপরীতে নবম হিজরিতে রাসূলুল্লাহ ﷺ নির্দেশ দিলেন, হজ বিষয়ে মানুষের মধ্যে এই বলে ঘোষণা দিতে: ‘‘ বিবস্ত্র হয়ে কেউ বায়তুল্লাহর তোয়াফ করবে না।’’ তদ্রুপভাবে সাহাবাদের মধ্যে যারা কোরবানির পশু সঙ্গে নিয়ে আসেন নি তাঁদেরকে তামাত্তু করতে নির্দেশ দেয়া, যাতে তাদের হজ মুশরিকদের বিপরীত হয়। মুশরিকরা মনে করতো হজের মাসসমূহে ওমরা জঘন্যতম অপরাধ। একই সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ আনসারদেরকে সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ করার নির্দেশ দিয়ে বললেন :‘‘ সাঈ করো , কেননা আল্লাহ তোমাদের ওপর সাঈ লিখে দিয়েছেন।’’ আর এটা জাহেলী যুগে মুশরিকদের যে প্রথা ছিল তার উল্টো করার জন্য করেছেন; কেননা তারা মূর্তির উদ্দেশে হজ পালন করতো এবং মনে করতো যে সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করা বৈধ নয়। এ-বিষয়টি হজরত আয়েশা ওরওয়াহ ইবনে যুবাইরকে বুঝিয়ে বললেন যখন হজরত আয়েশাকে বললেন, ‘‘ সাফা মারওয়ার মাঝে তোওয়াফ না করাটা আমার জন্য ক্ষতিকর মনে করি না , হজরত আয়েশা  জিজ্ঞেস করলেন, কেন ? তিনি বললেন : কারণ আল্লাহ তা’লা বলেছেন :

إن الصفا والمروة من شعائر الله

‘‘সাফা মারওয়াহ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের একটি।’’ হজরত আয়েশা বললেন আপনি যেরকম বলছেন বিষয়টি সেরকম হলে আয়াতটি এমন হতো : এ-দুয়ের মাঝে তোয়াফ না করলে কোনো ক্ষতি হবে না।’ এ-আয়াতটি নাযিল হয়েছে আনসারদের কিছু লোকের ব্যাপারে যারা জাহিলি যুগে হজের নিয়ত করলে মানাতের উদ্দেশে করতো অতঃপর সাঈ করা তাদের জন্য অবৈধ হয়ে যেতো । তাঁরা যখন রাসূলুল্লাহর সাথে হজ করতে আসলেন বিষয়টি রাসূলুল্লাহর কাছে উপস্থাপন করলেন , এসময় আল্লাহ তা’লা এ আয়াতটি নাযিল করলেন। আমার জীবনের সাক্ষী আল্লাহ কখনোই কারো হজ পরিপূর্ণ করবেন না যদি না সে সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ করে।’’

এজন্যেই ইমাম ইবনুল কাইয়েম বলেছেন : ‘ মুশরিকদের বিপরীত-করার মনোবৃত্তির ওপর শরীয়ত স্থির হয়ে গিয়েছে, বিশেষ করে হজের আচার অনুষ্ঠানে’। তাই শত সুসংবাদ ওই ব্যক্তির জন্য যে এ-ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর এ-আদর্শ আপন করে নিল, এবং মুশরিকদের ধর্মের কোনো কিছুরই সামন্যতম স্পর্শে এলো না। বরং মুশরিকদের যা কিছু বৈশিষ্ট্য জীবনভর তার উল্টো চলার ব্যাপারে মনস্থির করে নিল, কেননা ‘ যে, কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্ব করল সে তাদেরই দলভুক্ত হলো।’’ , ‘ আর যে কোন জাতিকে ভালোবাসল তার হাশর তাদের সাথেই হলো।’’

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন