hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ পালন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নান্দনিক আচরণ

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

১৮
১- শিক্ষাদান
আল্লাহ পাক রাসূলুল্লাহকে ‘‘শিক্ষক ও সহজকারী’’ হিসেবে পাঠিয়েছেন। আর তিনি এ-দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করেছিলেন। জনৈক বর্ণনাকারীর ভাষায় :‘‘ সর্বোত্তম শিক্ষাদাতা হিসেবে রাসূলুল্লাহর পূর্বে বা পরে কাউকে দেখিনি।’’ যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ rএর হজ্ব বিষয়ে চিন্তা করে দেখবে উল্লেখিত বর্ণনার মূর্ত প্রতীক হিসেবে তাঁকে পাবে; কেননা তিনি তাঁর সফর-সঙ্গী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সুবিধার জন্য হজ্বের পূর্বেই মানুষের মাঝে ঘোষণা দিতে বললেন। মদীনার বাইরে ‘যুলহূলাইফা’ স্থানেও পুরা একদিন অবস্থান করলেন নবাগতদের অপেক্ষায়। মদীনায় অনেকেই এলেন, অনেকে আবার পথে এসে যোগ দিলেন। সবার আগ্রহ একটাই, রাসূলুল্লাহর rঅনুসরণ ও তাঁর কাছ থেকে শেখা। রাসূলুল্লাহ r মানুষের সাথে মিশে গেলেন, গোটা হজ্ব মৌসুমে সবার জন্য দৃশ্যমান হয়ে রইলেন। কাউকে তাঁর সংস্রব থেকে বিমুখ করা হয়নি, অথবা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়নি। রাস্তা দিন রাস্তা দিন -এজাতীয় কোনো কথাও শোনা যায়নি।

আদর্শ যথার্থরূপে পৌঁছে দেয়া, ও মানুষের ওপর আল্লাহর প্রমাণ কায়েম করার প্রতিই ছিল রাসূলুল্লাহ r এর সমধিক মনোযোগ। তিনি মানুষজনকে শিক্ষাগ্রহণের প্রতি উৎসাহিত করেন, তাদের শানিত করেন, তিনি যা বলেন ও করেন তার প্রতি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেন উপস্থাপনের পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে, ও শেখানোর পদ্ধতিতে নতুনতা আনয়নের মাধ্যমে। এটাই হয়তো রাসূলুল্লহ r এর শেষ হজ্ব হতে পারে এই সম্ভাবনার কারণে তাঁর কাছ থেকে হজ্বকৃত্যের নিয়ম-কানুন রপ্ত করতে বললেন। মানুষদেরকে শান্ত ও চুপ করানোর জন্যও তিনি লোক নির্ধারিত করলেন, হযরত জারির থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে: রাসূলুল্লাহ r তাকে বললেন, লোকজনকে চুপ করাও, অতঃপর তিনি বললেন : আমার পর তোমরা কাফেরে রূপান্তরিত হয়ো না যে একে অন্যর গর্দানে আঘাত করবে। হযরত বেলাল থেকে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে: রাসূলুল্লাহ r মুযদালিফার দিন সকালে তাঁকে বললেন : বেলাল! মানুষদের চুপ করাও। তিনি প্রাপ্ত ওহী ও আদর্শ পোঁছিয়ে দিয়েছেন এব্যাপারেও সাক্ষী দেয়ার জন্যে মানুষদেরকে আহবান করেছেন; তিনি কোনো বিষয় শেখানোর কাজ সমাপ্তিতে বার বার জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলতেন: ‘‘আমি কি পোঁছিয়ে দিয়েছি’’? অতঃপর জনতা এই বলে সাক্ষ্য দিতো: ‘‘আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি পোঁছিয়ে দিয়েছেন, দায়িত্বপালন করেছেন, ও নসীহত করেছেন।’’

পোঁছিয়ে দেয়া ও শেখানোর দায়িত্ব রাসূলূল্লাহ r কেবল নিজেই পালন করেননি, বরং আরাফায় বক্তৃতা করার সময় রাবিয়া ইবনে উমাইয়াকে (রা) পিছনে দাঁড় করিয়েছেন চিৎকার করে তাঁর খুতবা মানুষদেরকে শোনানোর জন্য। তিনি আরাফায় আরো একজন লোক নির্ধারণ করেন জনতার মাঝে ডেকে ডেকে তাঁর পক্ষ থেকে পয়গাম পোঁছিয়ে দেয়ার জন্য। মিনায় তিনি আলীকে (রা) দায়িত্ব দেন তাঁর কথা পুনর্বার ব্যক্ত করার জন্য, এ অবস্থায় যে মানুষেরা দাঁড়িয়ে ও বসে সেখানে অবস্থানরত ছিল। তিনি একই উদ্দেশে আরাফা ও মিনায় হাজ্বীদের অবস্থানস্থলে প্রতিনিধি প্রেরণ করেন। তিনি কোমলভাবে ও কৌতুকচ্ছলেও শেখান, ইবনে আববাস (র) বলেন :‘‘ আমরা বনু আব্দুল মুত্তালেবের বাচ্চারা উটের পিঠে করে মুযদালিফা থেকে রাসূলুল্লাহ কাছে উপস্থিত হই। তিনি আমাদের উরুতে হালকা আঘাত করতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন : হে আমার বাচ্চারা ! সূর্যোদয়ের পূর্বে কঙ্কর নিক্ষেপ করো না।’’

তিনি কেবল সুস্থ ও বড়দেরকেই শেখাননি, অসুস্থদেরকেও শিখিয়েছেন ও দুর্বলদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এর একটি উদাহরণ যাবাআ’ (রা) যখন রাসূলুল্লাহকে r বললেন: য়্যা রাসুলুল্লাহ ! আমি হজ্ব করতে চাই কিন্তু আমি সমস্যার আশংকা করছি, রাসূলুল্লাহ r বললেন : হজ্ব করো এবং শর্ত করে নাও , যেখানে আটকা পড়বে সেখানেই তোমার বিরতি হবে। উম্মে সালামা (রা) যখন শেকায়েত করলেন তাঁর সমস্যা হয়েছে তাকে বললেন :‘‘ আরোহণবস্থায় মানুষদের পার্শ্ব হয়ে (প্রান্ত অবলম্বন করে) তোওয়াফ করো।’’ রাসূলুল্লাহ r মহিলা ও দুর্বলদের জন্য রাতের বেলাতেই মুযদালিফা থেকে প্রস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি শিশুদেরকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে শিখিয়েছেন। হযরত ইবনে আববাস (রা) তখন ছোট ছিলেন, আকাবার দিন সকালে তিনি তাঁর উটের ওপর দাঁড়ানো ছিলেন, রাসূলুল্লাহ r বললেন: ‘‘দাও, আমাকে কঙ্কর কুড়িয়ে দাও’’। ইবনে আববাস (রা) বলেন: ‘‘আমি রাসূলুল্লাহ r জন্য আঙুল দিয়ে নিক্ষেপ করার উপযোগী কিছু কঙ্কর কুড়ালাম, রাসূলুল্লাহর হাতে রাখলাম, অতঃপর তিনি এরূপ কঙ্কর নিক্ষেপ করতে বললেন। ছোটদেরকে শেখানোর ধারাবাহিকতায় তিনি বনু আব্দুল মুত্তালেবের শিশুদেরকে বলেছেন: ‘‘ সূর্যোদয়ের পূর্বে কঙ্কর নিক্ষেপ করো না।’’

রাসূলুল্লাহ r এর শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য কেবল জ্ঞান দেয়া ছিল না, তা ছিল মূলত বাস্তবে প্রয়োগের লক্ষ্যে। এজন্য কিছু হজ্বকর্মে শরিয়তভুক্তির হিকমতের বিষয়ে তিনি মানুষদেরকে সচেতন করেছেন, এই সূত্রেই তিনি বলেছেন: ‘‘ তোওয়াফ এবং সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ এবং কঙ্কর নিক্ষেপের বিধান তো কেবল আল্লাহর যিকির কায়েমের উদ্দেশ্যেই রাখা হয়েছে।’’

তিনি কিছু কর্মের মর্যাদা ও ফযিলতের কথা উল্লেখ করে মানুষের ইচ্ছাকে শানিত করেছেন। যেমন তিনি বলেছেন :‘‘ উত্তম দোয়া আরাফা দিবসের দোয়া, আর আমি ও আমার পূর্ববর্তী নবীগণ সর্বোত্তম যে কথাটি বলেছি তা হলো, لاإله إلا الله وحده لا شريك له ، له الملك وله الحمد وهو علي كل شيء قدير ‘ আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই , তিনি একক, লা শরীক, রাজত্ব তারই, প্রশংসাও তাঁর, এবং তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান।’ তিনি আরো বলেছেন: হজরে আসওয়াদ ও রুকনে য়ামানী স্পর্শ গুনাহকে সম্পূর্ণরূপে হ্রাস করে।’’ আরো এরশাদ করেছেন : ‘‘যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহর তোওয়াফ করবে, দু’রাকাত নামাজ পড়বে সে গোলাম আযাদের সমপরিমাণ ছোয়াব পাবে।’’ যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন হজ্ব উত্তম ? তিনি বললেন ‘‘উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়া ও কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা।’’ জনৈক আনসারী মিনায় যখন হজ্বের কিছু আমলের ফযিলতের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি বললেন : ‘‘বাইতুল হারামের উদ্দেশে তোমার ঘর থেকে বের হওয়ার মানে তোমাকে বহনকারী উটের প্রতিটি পদক্ষেপে আল্লাহ একটি করে পুণ্য লিখে দিবেন, এবং একটি পাপ মুছে দিবেন। আর আরাফায় তোমার অবস্থান, তখন তো আল্লাহ পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন, অবস্থানকারীদের নিয়ে গর্ব করে বলেন, এরা আমার দাস, এরা আলুথালু এবং ধুলায় আবৃত হয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেছে, এরা আমারই করুণা প্রত্যাশী, ও আমার শাস্তিকে ভয়কারী অথচ এরা আমাকে দেখে নি। যদি দেখতো তা হলে কেমন হতো? অতঃপর বিশাল মরুভূমির ধুলোর সংখ্যায়, অথবা পৃথিবীর সকল দিবসের সমান, অথবা আকাশের বৃষ্টির কণারাশির পরিমাণ পাপও যদি তোমার থেকে থাকে, আল্লাহ তা ক্ষমা করে দিবেন। আর কঙ্কর নিক্ষেপ, সেটা তোমার মূল্যবান সম্পদ হিসেবে রেখে দেয়া হবে। মাথা মুন্ডন, এর ছোওয়াব তো এই যে প্রতিটি চুলের বিনিময়ে একটি করে গুনাহ মাফ হবে। অতঃপর যখন বায়তুল্লাহর তোওয়াফ করবে, সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর মতো পাপমুক্ত হয়ে বের হয়ে আসবে’’।

রাসূলুল্লাহ r হজ্বকর্মসমূহ পরিপূর্ণ করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন, যেসব আমল ইতিপূর্বে সম্পাদিত হয়েছে সেগুলোর কিছু ফলাফলও ব্যক্ত করেছেন, এর মধ্যে বেলাল (রা) এর হাদীস : ‘‘রাসূলুল্লাহ r মুযদালিফার সকালে বলেছেন : ‘‘আল্লাহ তোমাদের ওপর করুণা করেছেন, পাপীদেরকে পুণ্যবানদের হাওলা করেছেন, আর পুণ্যবানেরা যা চেয়েছে তাদেরকে তাই দেয়া হয়েছে। তাহলে আল্লাহর নাম নিয়ে রওনা হও।’’

শেখানোর ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ r যে বিষয়গুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তা হলো নিম্নরূপ:

হজ্বের আহকাম : এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ r তত্ত্বগত বর্ণনা ও প্রায়োগিক আমল এ দুয়ের মধ্যে সমন্বয় করেছেন। এরই উদাহরণ, ‘‘তারবিয়া দিবসের (৮ জিলহজ্ব) একদিন পূর্বে তিনি জনতার মাঝে বক্তৃতা করেন, তাদের হজ্বে করণীয় বিষয় সম্পর্কে অবগত করান,’’ এর পর তিনি r হজ্বের প্রতিটি আমলের সময় তার পদ্ধতি বা

হুকুম বলে দেন।

ইসলামের আরকান ও এর ভিত্তিসমূহের মর্যাদা ও অবস্থান বর্ণনা করা: এই সূত্রে রাসূলুল্লাহ r হজ্বের এক খুৎবায় বলেছেন,‘‘ তোমাদের প্রভুকে ভয় করো, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ো, রমজান মাসের রোজা রাখো, সম্পদের যাকাত দাও , নেতার আনুগত্য করো, তবে প্রতিপালকের বেহেশতে স্থান পাবে।’’

শিরক ও বড়ো পাপ যেমন, রক্ত-সম্পদ-ইজ্জতসম্মান ইত্যাদিতে আঘাত - যেগুলোর ব্যাপার সকল শরীয়তই অভিন্ন মত মত পোষণ করেছে - এসব থেকে বারণও এ পর্যায়ে পড়ে, যেমন রাসূলুল্লাহ r এরশাদ করেছেন, তোমাদের রক্ত সম্পদ ও ইজ্জত তোমাদের মাঝে হারাম। তোমাদের এই দিবস এই মাস ও এই স্থলের মতোই, তিনি বললেন: চারটি বিষয়ে (সতর্ক হও) আল্লাহর সাথে কোনো কিছু শরীক করো না, যে আত্মাকে আল্লাহ হারাম করেছেন তা হত্যা করো না, তবে সত্যসহ । চুরি করো না। ব্যভিচার করো না।’’

কিছু শরীয়তী হুকুম আহকাম বর্ণনা : যেমন মুহরেমের গোসল, ও তার কাফন। ইবনে আববাস (রা) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে, তিনি বলেছেন: ‘‘এক ব্যক্তি আরাফায় অবস্থানরত থাকা কালে তার আরোহণের জন্তু থেকে পড়ে যায়, অতঃপর জন্তুটি তাকে পদ পিষ্ট করে। রাসূলুল্লাহ r বললেন : ‘‘পানি ও বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করাও, দুই কাপড়ে তাকে কাফন পরাও, সুগন্ধি দিয়ে আবৃত করো না, তার মাথাও ঢেকো না, কেননা কেয়ামত দিবসে সে তালবিয়া পড়া অবস্থায় উঠবে।’’

অথচ সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে উম্মতের বড়ো ব্যাধি হলো মূর্খতা-জ্ঞানহীনতা। উম্মতের অধিকাংশের মেধা-মস্তিষ্ক জুড়ে শক্তভাবে শেকড় গেড়ে নিয়েছে এ-জ্ঞানহীনতা। ধর্মের এমন সব বিষয় মানুষের কাছে অজ্ঞাত হয়ে গেছে যা ভাবতেও অবাক লাগে, আর এমন সব বিষয়ের ব্যাপারে স্মৃতিনাশ ঘটেছে যা রীতিমতো কল্পনার বাইরে। এমনকী ইসলামের প্রতীকী চিহ্নগুলোও অনেকের মানস-পট থেকে হারিয়ে গেছে। ইসলামের রীতিনীতি ও কায়দা-কানুন আজ অজানা, মুসলমানদের বিরাট অংশের ইসলামের সাথে সম্পৃক্ততা কেবলই উত্তরাধিকারসূত্রে, ইতিহাস ও আবেগতাড়িত, জ্ঞান ও বুদ্ধি এবং এর দাবি অনুসারে প্রয়োগ ও আমলভিত্তিক নয়। এ-শূন্যতাই প্রবৃত্তিপূজারি, পথভ্রষ্টকারী সম্প্রদায়কে সুযোগ করে দিয়েছে তাদের সত্য-বিচ্যুত ধ্যনধারণাসমূহ রূপালি মোড়কে আবৃত করে সর্বসাধারণ্যে ছড়িয়ে দিতে। এমনভাবে যে অন্ধকার আলো বলে মনে হতে লাগে, মুনকার মা’রুফ বলে ভ্রম হয়। আর এসব ক্ষেত্রে মুসলমানদের ধর্মীয় জ্ঞানের দৈন্যতা ও উচ্ছ্বসিত আবেগকে তারা ব্যবহার করে। আর এভাবেই বাতিলের ব্যাপ্তি বেড়ে যায়। সত্য মিশ্রিত হয়ে পড়ে অসংখ্য বাতিলের ভিড়ে।

আজ যেহেতু লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রতিবছর হজ্ব মৌসুমে পবিত্র ভূমিতে একত্রে পাওয়া যাচ্ছে, এটা অবশ্যই এক সুবর্ণসুযোগ যেখানে ধর্ম বিষয়ে জ্ঞানীগণ মানুষদেরকে দ্বীন শিখাতে, এর হুকুম আহকাম বিষয়ে তাদেরকে সচেতন করতে, ইসলামের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা, গর্ববোধ বাড়াতে ও গভীর করতে পাড়বেন। ইসলামী আদর্শ বাস্তবে রূপ দিতে, মানুষদেরকে এর প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে , এর অস্তিত্ব রক্ষায় মানুষের ইচ্ছাশক্তিকে আরো শানিত করতে সমর্থ হবেন। এ বিষয়গুলো হজ্ব পলনরত যেকোনো জ্ঞানী ব্যক্তিকে- যার সত্য প্রচার ও বর্ণনায় দক্ষতা রয়েছে- এ দায়িত্ব দেয় যে হজ্বকারীদের ধর্মীয় জ্ঞানের দৈন্যতা দূর করতে সর্বশেষ চেষ্টাটুকু ব্যয় করবেন যাতে উম্মতের ওপর থেকে অজ্ঞতার কালো মেঘ অপসারিত হয়, অন্ধকারে আলো জ্বলে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন