মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হজ্বে রাসুলুল্লাহ r এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা সমূহের একটি হলো হজ্বসংক্রান্ত কোনো অনুশাসনের ব্যাপারে জটিলতা দেখা দিলে তা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেয়া, ও এতৎসংক্রান্ত সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া। হজ্ব মৌসুমে রাসূলুল্লাহ r এর এজাতীয় ফতোয়া অনেক। এগুলোর মধ্যে সম্ভবত প্রসিদ্ধ কয়টি হলো নিরূপ:
খাসআমের এক মহিলা বললেন: হে আল্লাহর রাসূল ! আমার পিতা খুব বৃদ্ধ, হজ্ব তার ওপর ফরজ। তিনি উটের ওপর সোজা হয়ে বসতে পারেন না। রাসূলুল্লাহ তাকে বললেন, তুমি তার পক্ষ থেকে হজ্ব আদায় করে দাও। য়াউমুন্নাহর বা জিলহজ্বের দশ তারিখের কার্যাবলির ধারাবাহিক অনুক্রমে যারা হেরফের করেছেন তাদেরকে তিনি বলেছেন, ‘‘ করো, সমস্যা নেই।’’
হজ্বমৌসুমে রাসূল্লাহ r এর ফতোওয়া প্রদান প্রক্রিয়ায় কয়েকটি জিনিস বিশেষভাবে লক্ষণীয়:
- সর্বসাধারণের স্বার্থে দাঁড়িয়ে থাকা এবং তারা যাতে সহজেই তাঁকে দেখতে পায় ও প্রশ্ন করতে পারে সেজন্য দৃশ্যমান হয়ে থাকা। নিম্নবর্ণিত হাদীসসমূহ এ ইঙ্গিতই বহন করছে:
হযরত জাবের (রা) বর্ণনা করেন :‘‘ বিদায় হজ্বের সময় রাসূলুল্লাহ r তাঁর উটের উপর আরোহিত অবস্থায় তোওয়াফ করেন। লাঠি দিয়ে তিনি হজরে আসওয়াদ স্পর্শ করেন, উদ্দেশ্য যাতে জনতা তাঁকে দেখতে পারে, প্রশ্ন করতে পারে এবং তিনি তত্ত্বাবধান করতে পারেন, কেননা জনতা তাঁকে ঢেকে ফেলেছিল।
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) বলেন :‘‘ রাসূলুল্লাহ r মিনায় জনতার উদ্দেশ্যে দাঁড়ালেন যাতে তারা প্রশ্ন করতে পারে...।’’ অন্য এক বর্ণনায় ইবনে আববাস (রা) বলেন :‘‘ অতঃপর রাসূলুল্লাহ মানুষের উদ্দেশে দাঁড়ালেন তাঁদের জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে।’’
তিনি প্রয়োজনগ্রস্তদের প্রতি লক্ষ্য করে ফতোয়ায় সহজকরণের প্রতি বেশি আগ্রহী ছিলেন, এর বহু উদাহরণ রয়েছে:
আয়েশা (রা) বলেন: ‘‘রাসূলুল্লাহ r যাবায়া বিনতে যুবাইর ইবনে আব্দুল্লাহর (রা) বাড়িতে প্রবেশ করলেন, তিনি বললেন :‘‘ হে আল্লাহর রাসূল! আমি হজ্ব করতে চাই, কিন্তু আমি আশংকাগ্রস্ত। রাসূলুল্লাহ r বললেন, হজ্ব করো, এবং শর্ত লাগাও, যেখানে আটকা পড়বে সেখানেই তোমার বিরতি হবে।’’
জাবেরের (রা) দীর্ঘ হাদীসের একাংশে এসেছে রাসূলুল্লাহ বলেছেন: ‘‘যদি আমি পিছনের দিনগুলোকে আবার সামনে পেতাম হাদির পশু সঙ্গে নিয়ে আসতাম না, আর এই (তীর্থযাত্রাকে ) রূপান্তরিত করতাম ওমরায়। তাই যার সাথে হাদির পশু নেই সে যেন হালাল হয়ে যায়, এবং এটাকে ওমরা বানিয়ে ফেলে। সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জাশআম বললেন, এটা কি কেবল এবছরের জন্য, য়্যা রাসূলুল্লাহ, না অনন্তকালের জন্য? রাসূলুল্লাহ r তাঁর মুবারক আঙ্গুলসমূহ পরস্পরে প্রবিষ্ট করালেন, এবং বললেন: ওমরা, হজ্বে প্রবিষ্ট হয়েছে; ওমরা, হজ্বে প্রবিষ্ট হয়েছে, না - বরং অনন্ত অনন্ত কালের জন্য।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) হতে বর্ণিত :‘‘ তিনি রাসূলুল্লাহ r কে ১০ যিলহজ দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতে শুনেছেন, এক ব্যক্তি উঠে জিজ্ঞাসা করল : আমি ভেবেছিলাম অমুক বিষয়টি অমুকটার পূর্বে; আর এক ব্যক্তি উঠে বলল, আমি ভেবেছিলাম অমুক জিনিসটি অমুকটার পূর্বে, আমি কোরবানির পূর্বেই মাথা মুন্ডন করে ফেলেছি; আমি কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বেই কোরবানি করে ফেলেছি, এ-ধরনের আরো বিষয় উত্থাপিত হলো। জবাবে রাসূলুল্লাহ r বললেন :‘‘ করো, কোনো সমস্যা নেই - সবার জন্যই এ কথা বললেন- আর সেদিন রাসূলুল্লাহ যে ব্যাপারেই জিজ্ঞাসিত হলেন বললেন, করে , সমস্যা নেই।’’
ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :‘‘ আববাস ইবনে আব্দুল মুত্তালেব হাজীদেরকে পানি পান করানোর দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে মিনার রাতগুলো মক্কায় যাপনের অনুমতি চাইলেন, রাসূলুল্লাহ r তাঁকে অনুমতি দিলেন।’’
আদী (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন :‘‘ রাসূলুল্লাহ r উটের রাখালদের জন্য মিনায় রাত্রি যাপন না করার অনুমতি দেন, তারা য়াওমুননাহারে (১০ জিলহজ্ব) কঙ্কর নিক্ষেপ করা এবং পরের দু’দিনের যেকোনো এক দিন একসাথে নিক্ষেপের অনুমতি দেন।’’
-ফতোয়ায় তিনি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার প্রতি বেশি আগ্রহী ছিলেন : যেমন জনৈক ব্যক্তি তাঁকে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল ! আমার পিতা খুব বৃদ্ধাবস্থায় ইসলাম পেয়েছেন, উটের পিঠে তিনি স্থির হয়ে বসতে পারেন না, আমি কি তবে তার হয়ে হজ্ব করে দেবো ? রাসূলুল্লাহ r বললেন: দেখ, যদি তিনি ঋণগ্রস্ত হতেন এবং তার পক্ষ থেকে তুমি আদায় করে দিতে, তাহলে কি হতো? লোকটি বলল: হাঁ, হতো। তিনি বললেন:‘ তাহলে তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্ব করে নাও।’
প্রশ্নকারীদের বিষয়ে তিনি ধৈর্যশীল, সহনশীল, বিনম্র ও দয়া পরবশ ছিলেন। এর দৃষ্টান্ত বহু, যেমন:
হযরত জাবেরের (রা) দীর্ঘ হাদীসের একাংশে রয়েছে :‘‘ এরপর তিনি কাসওয়ায় আরোহণ করলেন, উট তাঁকে নিয়ে মরুপ্রান্তরে যখন চলতে লাগল আমি তাঁর সামনে- পিছনে ডানে-বামে, যতদূর দৃষ্টি গেলো- আরোহী অথবা পদব্রাজী মানুষের ভির দেখতে পেলাম।’’
ইবনে আববাস (রা) বলেন :‘‘ রাসূলুল্লাহ r কে দেখে মানুষের ঢল নামল, তারা বলল: এইতো মুহাম্মদ। এইতো মুহাম্মদ! এমনকী মহিলারাও বাড়ির বাইরে চলে এলো। তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ r তাঁর কাছ থেকে কাউকে তাড়িয়ে দিতেন না। মানুষের ভির বেড়ে গেলে তিনি আরোহণ করলেন, তবে হেঁটে যাওয়া ও শ্রম-ক্লিষ্ট হওয়া উত্তম।’’ অন্য এক স্থানে ইবনে আববাস (রা) বলেন:‘‘ তিনি উটে চড়ে সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ করেন, তবে এটা সুন্নত নয়। মানুষদেরকে রাসূলুল্লাহ r এর কাছ থেকে সরিয়ে দেয়া হতো না, তাদেরকে দূরে ঠেলাও হতো না। তাই রাসূলুল্লাহ r উটে চড়ে সাঈ করেছেন, যাতে মানুষেরা তাঁকে শুনতে পারে, দেখতে পারে এ-অবস্থায় যে তিনি থাকবেন তাদের হাতের স্পর্শের বাইরে।’’
কুদামাহ ইবনে আমেরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : ‘‘ আমি ১০ যিলহজ রাসূলুল্লাহ r কে একটি লাল বর্ণের উটের ওপর আরোহিত অবস্থায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতে দেখলাম, মারধর, বিতরণ বা রাস্তা দিন রাস্তা দিন, এজাতীয় কিছু্ই সেখানে ছিল না।’’
হজ্বমৌসুমে তিনি হজ্ব বিষয়েই অধিকাংশ ফতোয়া দিয়েছেন, যেমন:
আসমা বিনতে উমাইস (রা) যুলহূলাইফায় সন্তান প্রসব করলে তিনি রাসূলুল্লাহ r এর কাছে জিজ্ঞাসা করতে পাঠালেন এখন তিনি কী করবেন? রাসূলুল্লাহ r বললেন: গোসল করো, স্রাব শোষণের জন্য একটি কাপড় ব্যবহার করো, ও এহরাম বাঁধো।’’
তিনি r যখন সাহাবাদেরকে হালাল হতে বললেন, জিজ্ঞাসিত হলেন, কীরকম হালাল হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, পুরোপুরি হালাল।’’
আওস আত্তাঈ (রা) প্রশ্ন করে যখন বললেন:‘‘ আমি তাঈ পাহাড় থেকে এসেছি, আরোহণের উটকে আমি ক্লিষ্ট করেছি, নিজেকে করেছি পরিশ্রান্ত, এমন কোনো বালির স্তূপ নেই যেখানে আমি থামিনি। আমি কি তাহলে হজ্ব করেছি? উত্তরে রাসূলুল্লাহ r বললেন: যে ব্যক্তি আমাদের এ নামাজে হাজির হলো, আমরা এখান থেকে প্রস্থান করবার পূর্ব পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকল, এবং এর পূর্বে, রাতে বা দিনে, আরাফায় অবস্থান করল, সে হজ্ব পরিপূর্ণ করল --।’’
হজ্বমৌসুমে- সংখ্যায় কম হলেও- তিনি অন্য প্রসঙ্গেও ফতোয়া দিয়েছেন, এক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত হাদীসসমূহ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
জাবের (রা) বলেন :‘‘ আমাদের দ্বীন বিষয়ে বর্ণনা দিন, যেন এইমাত্র আমাদের জন্ম হয়েছে, আমরা এ পৃথিবীতে যে আমল করছি তার উৎস কী, অকাট্যবিধি যার লিখিত কালি শুকিয়ে গেছে, অথবা তাই করছি যা সামনে আসছে । রাসূলুল্লাহ r বললেন: ‘‘ না, বরং তাই করছি যার লিখিত কালি বিশুষ্ক হয়েছে এবং প্রবাহ পেয়েছে ভাগ্য। প্রশ্নকারী বললেন, তাহলে আমরা কেন আমল করছি? তিনি বললেন: কাজ করে যাও, প্রত্যেকের জন্য তার নিজস্ব পথ সহজ করে দেয়া হয়েছে।’’
আবু কাতাদার এক বর্ণনায় এসেছে :‘‘ রাসূলুল্লাহ r হজ্বের উদ্দেশ্যে বের হলেন, আমারা তাঁর সঙ্গে বের হলাম।-- এ-হাদীসে আবু কাতাদার গাধী শিকার ও তার সঙ্গীদের এর গোশত আহারের কথা আছে যারা ছিল না এহরাম অবস্থায়। তিনি বলেন : তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করল-আমরা তো এহরাম অবস্থায় শিকারকৃত জন্তুর গোশত খেয়ে ফেললাম। অতঃপর তারা অবশিষ্ট গোশত বহন করে রাসূলুল্ল্হ r দরবারে এলেন, তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এহ্রাম বেঁধেছিলাম, আবু কাতাদা ইহ্রাম বাঁধেনি, আমরা জঙ্গলী গাধার পাল দেখলাম, আবুকাতাদাহ ধাওয়া করল এবং একটি গাধী শিকার করল, আমরা গেলাম ও তার গোশত আহার করলাম। আমরা পরস্পরে বললাম, শিকারকৃত জন্তুর গোশত ইহরাম অবস্থায় কীভাবে খাবো ? তাই অবশিষ্ট গোশত বহন করে নিয়ে এলাম। রাসূলুল্লাহ r বললেন : তোমরা কি কেউ আবু কাতাদাহকে এ-কাজ করতে বলেছ অথবা এ-ব্যাপারে কোনো ইশারা দিয়েছ ? তারা বললেন, না, করিনি। তিনি বললে, তাহলে অবশিষ্ট গোশত খেয়ে ফেলো।’’
ধর্মীয় বিষয়ে সমাধানপ্রার্থীর অবস্থার ওপর ভিত্তি করে যা বেশি উপযোগী সে হিসেবেই তিনি ফতোয়া দিতেন : তিনি কখনো প্রশ্নকারীর সরাসরি উত্তর দিতেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটাই পরিলক্ষিত হয়, যেমন খাসআমীয়ার তরুণী যখন তাঁকে প্রশ্ন করলেন : ‘‘আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর হজ্ব ফরজ করে দিয়েছেন, আর আমার পিতা ছিলেন খুবই বৃদ্ধ, উটের ওপর স্থির হয়ে বসতে পারেন না। তার পক্ষ থেকে কি আমি হজ্ব আদায় করে দেব? রাসূলূল্লাহ r বলেন: হাঁ’’, আবার কখনো জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের ব্যাপারে সাধারণ ও অনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা দিতেন : যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে ই’উলার হাদীসে এসেছে ‘‘ নজদের কিছু লোক আরাফায় রাসূলুল্লাহ r এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসূলুল্লাহ r জনৈক ঘোষণাকারীকে ঘোষণা করতে বললেন : হজ্ব হলো আরাফাহ।’’
রাসূলুল্লাহ r কখনো কর্মের প্রতি উৎসাহ প্রদানের সাথে তাঁর ফতোয়াকে যুক্ত করতেন। এর উদাহরণ, রাওহায় জনৈকা মহিলা একটি ছোট্ট শিশু উঁচু করে ধরে বললেন, এর হজ্ব হবে? রাসূলুল্লাহ r বললেন: হবে, আর ছোয়াবটা পাবে তুমি।’’
ফতোয়ার স্থানের বিভিন্নতাও লক্ষণীয় বিষয়। তিনি হজ্বযাত্রার পূর্বে মদীনায়, এবং ইহরামের সময় যুলহুলায়ফায়, মসজিদুল হারামে, আরাফায়, মুযদালিফায়, মিনায়, হজ্বের পবিত্র স্থানসমূহে গমনাগমনের সময়, এবং মদীনায় ফেরার পথে ফতোয়া দিয়েছেন।
বর্তমানে ধর্মীয়জ্ঞান প্রচারে ও ফতোয়া প্রদানে ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের এক্ষেত্রে ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ এখনো ঘুরে বেড়ায়, প্রশ্ন নিয়ে, উদ্ভ্রান্ত হয়ে। গত্যন্তর না পেয়ে, বেশভূষায় পরহেজগার মনে হয় এ ধরনের লোকদের শরনাপন্ন হয়। এর অর্থ আরো গুরুত্বের সাথে নিতে হবে এ-বিষয়টি। যারা আলেম, ধর্মীয় জ্ঞানের অধিকারী তাদেরকে যার যার ভাষায় সক্রিয় হতে হবে। প্রশ্নের উত্তর সরবরাহের নিমিত্তে, ও হুকুম আহকাম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য সর্ব সাধারণের সুবিধার্থে পথেঘাটে, আবাসনের স্থানসমূহে, তাদেরকে থাকতে হবে হাতের নাগালের মধ্যে। যাতে মানুষের মূর্খতা দূর হয়ে যায়, জাহেলদের ফতোয়া প্রদানের পথ বন্ধ হয় ও তাদের উৎসাহে ছন্দপতন ঘটে ।
এবিষয়ে সাধারণ মানুষেরও বোধ সৃষ্টি করতে হবে তারা যেন সত্যিকার আলেম ও দ্বীনদার ব্যক্তির কাছে প্রশ্ন করতে যান, প্রয়োজনীয় যাচাই করেন। তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে হবে, যেকাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাবে না। ফতোয়াদানকারীদেরও মনে রাখতে হবে যে সঠিক জ্ঞান ব্যতীত ফতোয়া দেয়া মারাত্মক অপরাধ। এজাতীয় কাজ আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি মিথ্যাচারিতা বৈ অন্য কিছু নয়, আর এই মর্মে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে :
‘‘নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা আর পাপ এবং অসংগত বিরোধিতা এবং কোন কিছুকে আল্লাহর সাথে শরীক করা, যার কোন সনদ তিনি প্রেরণ করেন নি, এবং আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলা যা তোমরা জান না।’’ রাসুলূল্লহ r এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘‘ আমার ওপর মিথ্যাচারিতা সাধারণ লোকদের প্রতি মিথ্যাচারিতার মতো নয়। যে আমার বিষয়ে ইচ্ছা করে মিথ্যা বলল সে যেন তার স্থান দোযখে প্রস্ত্তত করে নেয়।’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/163/19
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।