hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ পালন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নান্দনিক আচরণ

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

১২
পাঁচ. আল্লাহর খাতিরে ক্ষোভ প্রকাশ ও তাঁর নির্ধারিত সীমানায় দৃঢ়তার সাথে জমে থাকা তাকওয়ার শীর্ষ পর্যায়কে নির্দেশ করে।
আর নবী ﷺ তাঁর প্রতিপালকের ব্যাপারে সবার থেকে বেশি তাকওয়াধারী ছিলেন, তাঁর খাতিরে সবার থেকে বেশি রাগকারী, ও তাঁর সীমানা সম্পর্কে সবার থেকে বেশি জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। হজের বিভিন্ন দৃশ্যে এবিষয়টির সাক্ষর মিলে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -

নামাজ আদায় ও পরে এসে যারা হজ কাফেলায় মিলিত হতে চায় তাঁদের অপেক্ষায় পুরা একটি দিবস যুলহুলায়ফায় অবস্থান করা। আর এসবই আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নকে উদ্দেশ্য করে। হজরত ইবনে আববাস  বলেন :

‘‘আমি আকিক উপত্যকায় রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি , আজ রাতে আমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে এক আগমনকারী এলেন এবং বললেন : আপনি এই পবিত্র উপত্যকায় নামাজ আদায় করুন এবং বলুন ‘হজের ভিতরে ওমরাহ প্রবিষ্ট’ , আর এটা এভাবে যে - নির্ভরযোগ্য বর্ণনা অনুসারে - রাসূলুল্লাহ মদীনা থেকে শনিবারে বের হয়েছেন চার রাকাত হিসেবে জোহরের নামাজ পড়ে, আর যুলহুলাইফা থেকে প্রস্থান করেছেন রবিবারে দু রাকাত হিসেবে জোহরের নামাজ পড়ে। ইমাম ইবনে কাছির বলেন :‘ দৃশ্যত: রাসূলুল্লাহকে আল-আকিক উপত্যকায় নামাজ পড়ার নির্দেশ দেয়ার অর্থ সেখানে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া জোহরের নামাজ আদায় করা পর্যন্ত। কারণ নির্দেশটি রাসূলুল্লাহর কাছে রাতের বেলায় আসে যা তিনি তাদেরকে ফজরের নামাজের পর জানান, জোহরের নামাজের পূর্বে যেহেতু আর কোনো নামাজ নেই তাই এ-নামাজ পড়ার জন্যই তিনি নির্দেশিত হন। নিশ্চয়ই এ-অপেক্ষা রীতিমতো কষ্টকর ব্যাপার- বিশেষ করে সাথে যখন হাজার হাজার মুসাফির।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কোরবানির পশু সঙ্গে এনেছেন বলে ইহরাম থেকে হালাল হননি, পক্ষান্তরে যারা কোরবানির পশু সঙ্গে আনে নি তাদেরকে ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যেতে বললেন, এবং তাদের হজ্বকে ওমরায় রূপান্তরিত করতে বললেন । জনতা এই ভেবে বিলম্ব করলেন যে রাসুলুল্লাহ ﷺ এবিষয়টি কেবল বৈধ হিসেবে অনুমতি দিয়েছেন, যা না করাটাই উত্তম হবে। আবার কেউ হালাল হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে বললেন ‘‘ আরাফায় এ অবস্থায় যাব যে তখনো আমাদের শিশ্ন বেয়ে রেত টপকাচ্ছে।’’ এ-সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর রাগান্বিত হলেন, আল্লাহর খাতিরে, কেননা তাঁর নির্দেশের যথাযথ সম্মান করা হয় নি অথচ তিনি আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। এ-অবস্থায় তিনি হজরত আয়েশার কাছে গেলে তিনি তাঁকে বললেন, যে আপনাকে রাগান্বিত করল তাকে আল্লাহ নরকগামী করুন। তিনি বললেন :‘ তুমি কি টের পাও নি? মানুষদেরকে একটি বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছি অথচ তা নিয়ে তারা ইতস্ততায় রয়েছে। আমি যদি আবার পেছনে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কোরবানির পশু সঙ্গে আনতাম না, কিনে নিতাম আর হালাল হয়ে যেতাম, তাদের মতই। অতঃপর জনতা সাড়া দিল ও আনুগত্য প্রকাশ করল।

স্বীয় পত্নী হজরত সাফিইয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কথা একই পর্যায়ে পড়ে। হজ শেষে রওনা হবার দিন হজরত সাফিইয়া ঋতুবতী হন, রাসূলুল্লাহ ﷺ জানতেন না যে তিনি তাওয়াফুল ইফাযা সেরে নিয়েছেন। তিনি বললেন :‘ এ-তো মনে হয় তোমাদের গতিরোধ করবে।’ এ ছিল নিঃসন্দেহে এক বিব্রতকর অবস্থা। কেননা একজনের জন্য বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে এতগুলো মানুষকে।

তাই আপনার উচিত শ্রেষ্ঠতম মানুষ রসূলুল্লাহ ﷺ এর অনুসরণ করা, প্রতিপালকের সীমানা লঙ্ঘিত হতে দেখলে রাগান্বিত হওয়া, এবং স্রষ্টার বেঁধে দেয়া গন্ডির মধ্যেই অবস্থান করা, তাঁর আদেশ ও নিষেধের সীমানা সামান্যতম অতিক্রম না করা। কোথাও যেন এর উল্টো না হয় সেজন্য সতর্ক থাকা; কেননা তা ধ্বংস ও ফেতনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ। ‘‘ আমি যেসব বিষয়ে তোমাদেরকে বারণ করলাম সেগুলো থেকে বিরত হও, আর যেগুলো করতে বললাম সাধ্যমতো সেগুলো করো। কেননা অধিক প্রশ্ন ও নবীদের বিষয়ে অনৈক্য ও মতবিরোধই তোমাদের পূর্ববতীদের ধ্বংসের কারণ হয়েছে।’’ পরিত্রাণ যদি পেতে চান তাহলে রাসূলের এ কথার প্রতিফলন ঘটান আপনার গোটা জীবনে। জনৈক তত্ত্বজ্ঞানী যা বলেছেন তাও আঁকড়ে ধরুন মজবুত করে, তিনি বলেছেন : আল্লাহ পাক যদি ‘ হে মুমিনগন’ বলে সম্বোধন করেন তাহলে তা কান পেতে শুনুন; কারণ তিনি নিশ্চয়ই হয়তো কোন উত্তম কাজের নির্দেশ দেবেন অথবা কোন অকল্যাণকর বিষয় থেকে বারণ করবেন। যা তিনি বলবেন তা থেকে চুল পরিমাণও নড়বেন না; কেননা তা হবে নিশ্চিতরূপে দুর্ভাগ্যের কারণ ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন