hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ পালন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নান্দনিক আচরণ

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

৪৬
৬- ফেৎনা থেকে স্বজনদেরকে হিফাযত করা
ফেৎনা হচ্ছে হৃদয়ের স্বচ্ছতা বিধ্বংসী , মেধা ও ভাবকে বিকৃতকারী। আর যখন বহুল সংখ্যক পুরুষ ও মহিলা একত্রে জমায়েত হয় ফেৎনা সংঘটিত হওয়ার সুযোগও বেড়ে যায়। বিশেষ করে নারী সংক্রান্ত ফেৎনা। এ-জন্য রাসূলুল্লাহ r তাঁর পরিবারের সদস্যদের ফেৎনা থেকে দূরে রাখার ব্যাপারে খুবই যত্নবান ছিলেন। এর প্রমাণ :

হযরত ফযল ইবনে আববাসের গ্রীবা ঘুরিয়ে দেয়া যখন তিনি খাসআমিয়া গোত্রের মহিলার প্রতি দৃষ্টি দিচ্ছিলেন, আর তা এ আশংকায় যে শয়তান তাদের হৃদয়ে ফেতনার প্রবেশ ঘটাতে পারে। হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে, তিনি বলেছেন : ‘‘ হযরত আববাস বলেছেন : হে আল্লাহর রাসূল, আপনি আপনার চাচাতো ভাইয়ের গ্রীবা কেন ঘুরিয়ে দিলেন? তিনি বললেন : আমি একটি যুবক ও যুবতীকে দেখলাম অতঃপর শয়তানের আক্রমণ থেকে তাদেরকে নিরাপদ মনে করলাম না। অন্য এক বর্ণনা অনুসারে : ‘‘ আমি একটি যুবক ছেলে ও যুবতী মেয়েকে দেখলাম, অতঃপর তাদের ওপর শয়তানের আক্রমণের আশংকা করলাম।’’

পুরুষদের সম্মুখীন হলে ইহরাম অবস্থায় নবী পত্নীদের চাদর দিয়ে চেহারা ঢেকে ফেলা এবং তারা অতিক্রম করে চলে গেলে পুনরায় চেহারা খুলে ফেলা এ অবস্থায় যে রাসূল তাদের সঙ্গে রয়েছেন।

রাসূলুল্লাহ r তাঁর স্ত্রীদেরকে (রা) পুরুষদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তোওয়াফ করতে বলেছেন। যদিও তাঁরা পুরুষের সাথেই তোওয়াফ করতেন। হযরত উম্মে সালামার কথা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যখন তিনি রাসূলুল্লাহ r কে তার সমস্যার ব্যাপারে কৈফিয়ত করলেন , এবং রাসূলুল্লাহ r তাঁকে বললেন :‘‘পুরুষদের পাশ দিয়ে আরোহিত অবস্থায় তোওয়াফ করো।’’ অন্য এক বর্ণনায় এসেছে :‘‘ যখন ফযরের একামত দেয়া হয়, তখন তুমি উটের উপর সোওয়ার হয়ে তোওয়াফ করো এ অবস্থায় যে মানুষেরা নামাজ পড়ছে। অতঃপর আমি এরূপই করলাম।’’ ইবনে জুরাইজের হাদীসের ভাষ্যও এটাই। তিনি বলেন :‘‘ আতা’ জানিয়েছেন , যখন ইবনে হিশাম মহিলাদেরকে পুরুষের সাথে তোয়াফ থেকে নিষেধ করেছেন, তিনি বললেন : কীভাবে সে নিষেধ করে! নবী পত্নীগণ তো পুরুষের সাথেই তোওয়াফ করেছেন। আমি বললাম : হিজাবের , পরে না আগে ? তিনি বললেন : বিশ্বাস করুন, আমি এ বিষয়টি হিজাবের পর পেয়েছি। আমি বললাম : তাহলে কীভাবে পুরুষের সাথে মিশে তোওয়াফ করতেন? তিনি বললেন : পুরুষের সাথে মিশে তোওয়াফ করতেন না বরং পুরুষদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তোওয়াফ করতেন।’’ হযরত আয়েশার এ কথা থেকেও বিষয়টি বুঝতে পারা যায় যে তিনি তার এক আজাদকৃত মহিলাকে বললেন যিনি সাতবার বায়তুল্লাহর তোওয়াফ করেছেন,দু’বার অথবা তিনবার হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করেছেন , তাঁকে তিনি বললেন : ‘‘ আল্লাহ তোমাকে প্রতিদান না দিন, আল্লাহ তোমাকে প্রতিদান না দিন , তুমি পুরুষদের সাথে ভির ঠেলতে গিয়েছ, তুমি যদি তাকবির দিতে এবং অতিক্রম করে যেতে।’’ কারণ হযরত আয়েশা (রা) এমন জিনিস কখনোই ছাড়তে না যা রাসূলুল্লাহ r করতে বলেছেন, অথবা কোনো জিনিস করা থেকে বারণ করবেন না যা রাসূলুল্লাহর সামনে করা হয়েছে।

নবী-পত্নীদেরকে বায়তুল্লাহর রমল করার অনুমতি না দেয়া ও সাফা মারওয়ার মাঝখানে বতনুল ওয়াদিতে দৌড়ে চলা থেকে বারণ করা এ পর্যায়ে পড়ে। হযরত আয়েশা (রা) বলেছেন, হে মহিলাগণ ! আপনাদের বায়তুল্লাহর রমল করতে হবে না। এই ক্ষেত্রে আপনারা আমাদের কাছ থেকে আদর্শ গ্রহণ করুন,’’ অন্য এক বর্ণনায় এসেছে : আপনাদের জন্য কি আমরা আদর্শ নই? আপনাদের বায়তুল্লাহর রমল করতে হবে না,না আছে সাফা মারওয়ার মাঝখানে বেগে চলা।’’

এ-পর্যায়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নবী-পত্নীদেরকে হজ্বের পর যার যার ঘরে অবস্থান করতে বলা।

হজ্বে মূর্খতা ও ভিড়ের প্রবলতার কারণে দুর্বল-ইমানসম্পন্ন লোকদের বিপথগামী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয় কিছু শরীয়তবহির্ভূত কাজের সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করার। যার ফলে আল্লাহর ভয় বুকে ধারণ করে, দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে পরিবারের সদস্যদেরকে হিফাযত করা, পবিত্র ভূমিতে গিয়েও আল্লাহর ভয়ে যাদের বুক কাঁপে না তাদের বলয় থেকে স্বজনদেরকে রক্ষা করা প্রতিটি ব্যক্তিরই দায়িত্ব হয়ে যায়। স্থান ও কাল সংক্রান্ত কিছু মুস্তাহাব যদি, এর ফলে, ছুটে যায় তবু। কারণ ক্ষতিকর বিষয় দমন সৎকর্ম সিদ্ধির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো যে অর্পিত দায়িত্ব পালন নিজের আওতাধীনদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। পক্ষান্তরে, এ ক্ষেত্রে অবহেলা, ডেকে আনে কঠিন শাস্তি। রাসূলূল্লাহ r বলেছেন : ‘‘ যখন আল্লাহ পাক কিছু মানুষকে কারো দায়িত্বে দিয়ে দেন আর ওই ব্যক্তি তার আওতাধীনদের বিষয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয় আল্লাহ তার জন্য বেহেশত হারাম করে দেন।’’

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন