hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ পালন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নান্দনিক আচরণ

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

তিন. মুশরিকদের থেকে দায়মুক্ত হওয়ার ঘোষণা ও ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের বিপরীত কাজ করা।
ইসলাম ও শিরক বিপরীতমুখী দুটি বিষয় যা কোনোদিন একত্রিত হতে পারে না। এ-দুয়ের একটির উপস্থিতির অর্থ অন্যটির বিদায়, ঠিক রাত-দিনের বৈপরিত্বের মতই। এজন্য মক্কায় পরিস্থিতি অনুকূলে এলে প্রথম যে কাজটি করেছেন তাহলো শিরকের নিদর্শনসমূহের অপনোদন, পৌত্তলিকতার চিহ্নসমূহ অপসারণ, এ-বিষয়টিকেই বরং রাসূলুল্লাহ দ্রুততার আমেজ দিয়েছেন। তিনি যখন মসজিদুল হারামে প্রবেশ করেন হাতে থাকা একটি লাঠি দিয়ে কাবার পাশে স্থাপিত মূর্তিগুলোকে আঘাত করতে থাকেন, এবং বলতে থাকেন:

وقل جاء الحق وزهق الباطل ‘বলো সত্য এসেছে এবং অসত্য অপসারিত হয়েছে।’ قل جاء الحق وما يبدئ الباطل وما يعيد ‘বলো, সত্য এসেছে আর অসত্য, সে তো কিছু সৃষ্টির অথবা পুনরাবৃত্তির ক্ষমতা রাখে না।’ রাসূলুল্লাহ ﷺ কাবায় প্রবেশ থেকে বিরত থাকেন যতক্ষণ না সেখান থেকে মূর্তিগুলো অপসারিত হয়। হজরত ইবনে আববাস  বলেন : ‘‘ রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন এলেন তিনি কাবা ঘরে প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানালেন যেহেতু সেখানে মূর্তি রয়েছে, অতঃপর এগুলোর ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হলো এবং কাবা ঘর থেকে অপসারিত করা হলো।’’ পরবর্তীতে যখন আয়াত অবতীর্ণ হলো :

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا

‘‘ হে মোমিনগণ ! নিশ্চয়ই মুশরিকরা অপবিত্র, অতঃপর, এ-বছরের পর তারা যেন মসজিদুল হারামের নিকটবর্তী না হয়।’’ রাসূলুল্লাহ ﷺ তাৎক্ষণিকভাবে এ নির্দেশ বাস্তবায়নে তৎপর হলেন। তিনি হজরত আবু বকর (রা) কে নবম হিজরিতে মানুষের মাঝে এই বলে ঘোষণা দিতে বলেন ‘‘ এ-বছরের পর কোনো মুশরিক যেন হজ না করে’’।

রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর হজের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে মুশরিকদের উল্টো কাজ করতে যত্নবান ছিলেন ও বহু শা’আয়ের ও হজকর্মে আমাদের পিতা ইব্রাহীম (আ) এর আদর্শের অনুকরণ করেছেন । বিষয়টি গুরুত্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যখন তিনি মুশরিকদের ব্যাপারে মুসলমানদেরকে বললেন :‘ هدينا مخالف لهديهم ‘ আমাদের আদর্শ তাদেরটার থেকে ভিন্ন’। যখন তিনি আরাফার খুতবায় মুশরিকদের কার্যকলাপ থেকে ( বারাআত) তথা দায়মুক্ত হওয়া এবং সম্পর্ক ছেদের ব্যাপারে ঘোষণা দিলেন , তিনি বললেন : ‘‘ জাহিলি যুগের সকল বিষয় আমার দু’পায়ের নীচে রাখা, জাহিলি যুগের সকল হত্যা বাতিল বলে ঘোষিত হলো, আর আমাদের হত্যাসমূহের প্রথম হত্যা বাতিল বলে ঘোষণা করছি ইবনে রবিয়া বিন হারেছের হত্যা। বনী সা’দে দুগ্ধপায়ী থাকা অবস্থায় হুযাইল গোত্র তাকে হত্যা করে। জাহিলি যুগের সুদ মওকুফ বলে ঘোষিত হলো, আর প্রথম সুদ মওকুফ করছি আমাদের সুদ , আববাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের সুদ, এর পুরোটাই মওকুফ।’’

এবিষয়টি আরো উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ পেয়েছে ধর্মীয় জাতীয়তাভিত্তিক ঐক্যের বিষয়ে তাগিদের মাধ্যমে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন :‘‘ তোমরা তোমাদের পবিত্র স্থানসমূহে থাকো কারণ তোমরা ইব্রাহীমের ঐতিহ্যের ওপর রয়েছ।’’ মুসলমানদের একটা মর্যাদাপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে, হজকৃত্য আদায়ে তাদের রয়েছে একত্ববাদী পূর্বপুরুষদের এক বিশাল বাহিনী , রাসূলুল্লাহ ﷺ এর এ-বক্তব্য থেকেও উক্ত বিষয়টি পরিস্ফুটিত হয়। এই মর্মে রাসূলুল্লাহর একাধিক জায়গায় নবীগণ কর্তৃক হজ সম্পাদনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি যখন আল-আযরাক উপত্যকা হয়ে অতিক্রম করলেন , জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোন উপত্যকা ? উত্তর করা হলো - আল আযরাক উপত্যকা। তিনি বললেন : মনে হয় যেন মুসাকে (আ) দেখছি সানিয়্যা থেকে নীচে অবতরণ করতে । তিনি তালবিয়ার মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে আওয়াজ উঁচু করছেন। এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ হারশা সরু পথে গমন করলেন, তিনি বলবেন : এটা কোন সানিয়্যা ? উত্তর করা হলো সানিয়্যাতুল হারশা , তিনি বললেন , মনে হয় যেন ইউনুসকে (আ) দেখছি একটি মাংসল লাল উটের উপর সওয়ার অবস্থায়, তাঁর পরনে রয়েছে পশমির জুববা , উটের লাগাম আঁশের তৈরি, আর তিনি তালবিয়া পড়ছেন।’’ রাসূলুল্লাহ ﷺ আরো বলেছেন : ‘‘ আমার আত্মা যে সত্তার হাতে তার কসম, অবশ্যই ইবনে মারয়াম (ঈসা আ) ‘ফাজ্জুর রাওহা’ জায়গা থেকে হজ্বকারী অথবা ওমরাকারী অথবা উভয়টা সম্পাদনকারী হিসেবে তালবিয়া পড়বেন।’’

যেসব হজকর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ ইচ্ছাকৃতভাবে মুশরিকদের বিপরীতে কাজ করেছেন তা অনেক , তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

তালবিয়া

মুশরিকরা তাদের তালবিয়ায় শিরক মিশ্রিত করতো এবং বলতো :

إلا شريكا هو لك تملكه وما ملك ‘ কিন্তু একজন অংশীদার যার তুমিই মালিক এবং তার যা কিছু রয়েছে তারও ’ রাসূলুল্লাহ ﷺ তালবিয়ায় আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দিলেন শিরক দূরে সরিয়ে দিলেন, ও তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন এবং ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন