hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ পালন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নান্দনিক আচরণ

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

২৫
খ. সৎ কাজের নির্দেশ ও অসৎ কাজ থেকে বারণ
সৎকাজের নির্দেশ ও অসৎ কাজ থেকে বারণ ও সতর্ক করা ধর্মের মূল বিষয়সমূহের একটি। এটি অত্যন্ত মহৎ কাজ যা পালন করার উদ্দেশেই প্রেরণ ঘটেছে নবী রাসূলদের। এটা কল্যাণমুখী জীবনের নিরাপদ ঢাকনা,পরকালে ব্যক্তির পরিত্রাণের পথ। এর দ্বারা লাভ হয় মর্যাদা, প্রতিষ্ঠা। যা ছেড়ে দিলে সজীবতা হারায় ধর্মকর্ম, ছড়িয়ে যায় মূর্খতা, ব্যাপকতা পায় গোমরাহী।

যে ক্ষমতা রাখে তারই এ-কাজটি করা উচিত যদিও মনে হতে লাগে যে এ কাজে লাভ হচ্ছে থোরাই। কেননা দাঈর কাজ দায়িত্ব পালন করে যাওয়া। মানুষেরা গ্রহণ করছে কি করছে না সেটা তার মূল গুরুত্বের বিষয় নয়। আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন :

مَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا تَكْتُمُونَ

‘‘রাসূলের দায়িত্ব কেবল পোঁছিয়ে দেয়া।’’ তিনি তাঁর নবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন :

إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ

‘‘আপনি যাকে ভালোবাসেন তাকে পথ দেখাতে পারবেন না, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন পথ দেখান।’’ তিনি আরো বলেন :

وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ

‘‘ আপনি সৎকাজের নির্দেশ দিন।’’ সাথে সাথে আল্লাহ পাক এজাতীয় বিশেষণেই তাঁকে বিশেষিত করেছেন, এরশাদ হয়েছে :

مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ

‘‘তাদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা আছে তিনি তাদেরকে সৎকাজের আদেশ দিবেন ও অসৎ কাজ থেকে বারণ করবেন।’’

রাসূলুল্লাহ rএর জীবন নিয়ে ভেবে দেখলে স্পষ্টভাবে মূর্ত হবে যে তিনি যা কিছু ভালো তার বর্ণনাতেই সারাটি জীবন কাটিয়েছেন। যা পরিত্রাণ দেয় সে-ব্যাপারে উৎসাহ দিতে, অসত্যকে উন্মোচিত করতে, যা কিছু অন্যায়ের দিকে ঠেলে দেয় তা থেকে হুঁশিয়ার করতেই কেটেছে তাঁর গোটা জীবন। হজ্ব-মৌসুমে তাঁর অবস্থা, এর থেকে ভিন্ন ছিল না। কীভাবে হজ্বকর্ম যথার্থভাবে পালিত হবে সে-বিষয়ে তিনি হাজীদেরকে দিয়েছেন সকলপ্রকার দিকনির্দেশনা। তাদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সব বিষয়েই তাদেরকে বলেছেন । যা কিছু অকল্যাণকর তা থেকে সতর্ক করেছেন। রাসূলুল্লাহ r এর আমরে বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারের উজ্জ্বলতম কয়েকটি উদাহরণ নিরূপ :

ইবনে আববাস (রা) থেকে বর্ণিত:,‘ রাসূলুল্লাহ r এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন: আমি শুবরামার পক্ষ থেকে হজ্বের নিয়ত করলাম, তিনি বললেন শুবরামা কে? বললেন : আমার এক ভাই, অথবা নিকট-আত্মীয়। তিনি বললেন : নিজের হজ্ব করেছ? বললেন: না, রাসূলুল্লাহ r বললেন : প্রথমে নিজের হজ্ব করো পরে শুবরামার হজ্ব ।

সাহাবাদের যারা কোরবানির পশু সঙ্গে আনেন নি হালাল হয়ে যাওয়ার অনুমতির পর তাদের মধ্যে যারা দেরি করলেন তাদের বিষয়ে রাসূলুল্লাহr এর অস্বীকৃতি এবং রাগও এ পর্যায়ের একটি বিষয়। অতঃপর তিনি তাদেরকে এই বলে নির্দেশ দিলেন ‘‘ হালাল হও!’’ ; তাঁরা রাসূলুল্লাহ r এর নির্দেশে সাড়া দিলেন ও আনুগত্য স্বীকার করে হালাল হয়ে গেলেন।

‘‘রাসূলুল্লাহ r পবিত্র কাবা তোওয়াফের সময় এমন এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গেলেন যে তার হাত অন্য ব্যক্তির সাথে সূতো অথবা অন্য কিছু দিয়ে বেঁধে রেখেছে , তিনি তা কেটে দিলেন এবং বললেন, হাত দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাও।’’

ফযল ইবনে আববাস (রা) কে রাসূলুল্লাহ r স্বহস্তে বারণ করলেন যিনি পাশ দিয়ে যাওয়া নারীদের প্রতি দৃষ্টি দিচ্ছিলেন : হযরত জাবেরের (রা) হাদীসে এসেছে : ‘‘ ফযল ইবনে আববাস (রা) কে তিনি সহ-আরোহী করে নিলেন যিনি ছিলেন দৃষ্টিনন্দন-কেশী, শুভ্র ও সুদর্শন। রাসূলুল্লাহ r যখন এগিয়ে চললেন য়াজরিনের মহিলারা পাশ দিয়ে গেলো, ফযল ইবনে আববাস তাদের প্রতি তাকাতে লাগলেন, রাসূলুল্লাহ r তাঁর পবিত্র হাত ফযলের (রা) চেহারার ওপর রাখলেন, ফযল (রা) পার্শ্ব বদলিয়ে দেখতে শুরু করলেন। রাসূলুল্লাহ r ও তাঁর হাত সেদিকে ফিরালেন ফযলের (রা) চেহারা ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য।’’ খাসআমিয়া গোত্রের মহিলার প্রতি যখন তাকালেন তখনো তিনি ফযল (রা) কে বারণ করলেন, হযরত ইবনে আববাস (রা) বলেন : ‘‘ ফযল রাসূলুল্লাহ r এর সহ-আরোহী ছিলেন, খাসআমের এক মহিলা এলো, ফযল তার দিকে তাকাতে লাগলেন, সেও ফযলের (রা) দিকে তাকাতে লাগল, অতঃপর রাসূলুল্লাহ r তার চেহারাকে অন্যদিকে ফিরাতে লাগলেন...।’’

বর্তমান যুগে হাজ্বীদের মাঝে শরীয়তগর্হিত কাজ অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে ছড়িয়ে আছে। দুষ্কর্ম বাসা বেঁধেছে সু-বিস্তর পরিসরে। আর এর অধিকাংশেরই উৎস হলো অজ্ঞতা ও জ্ঞানের স্বল্পতা। দুষ্ট মনোবৃত্তি, কুটিল মানসিকতা এর উৎস নয় বলেই বিশ্বাস। তাই এ প্রকৃতির মানুষকে হেকমত ও নরমপদ্ধতিতে আহবান করবেন, দিনের হুকুম আহকাম শিখাবেন, এহসান ও কোমলতাসহ তাদেরকে সত্য গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবেন, সুকৌশলে ভালো কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ সৃষ্টি করবে , এবং মমত্বপূর্ণ ভাষায় অসত্য ও অকল্যাণ থেকে তাদেরকে বিরত রাখতে সচেষ্ট হবে।

ওলামা ও ইসলাম প্রচারকদের প্রচেষ্টা এক্ষেত্রে যতই উল্লেখযোগ্য হোক না কেন প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। কেননা মুনকার ও অবৈধ কর্ম এতই ব্যাপকতা পেয়েছে যে খন্ডিত চেষ্টায় তা রহিত করা কিছুতেই সম্ভব নয়। আসলে এ-কাজটি প্রতিটি হজ্বকারী ব্যক্তিরই করা উচিত। যখনই কেউ কাউকে অবশ্যকরণীয় কাজ ছেড়ে দিতে, অথবা কোনো হারাম কাজ করতে দেখবে সাথে সাথে তা প্রতিরোধ করতে উদ্যোগ নেবে; কেননা রাসূলুল্লাহ বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে-ব্যক্তি কোনো অবৈধ কর্ম দেখবে সে যেন তা হাত দিয়ে পরিবর্তন করে দেয়। যদি না পারে তাহলে জিহবা দিয়ে, যদি তাও না পারে তাহলে হৃদয় দিয়ে, আর এটাই হলো ঈমানের দুর্বলতম পর্যায়।’’

আল্লাহর সীমানা লঙ্ঘিত হলে যারা উত্তপ্ত হয়, সত্য ও ন্যায় প্রচারের দায়িত্ব পালনে যারা সচেষ্ট হয় আপনিও তাদের দলভুক্ত হন। কেননা যে ইসলামে একটি ভালো নিয়ম চালু করল সে তাদের আমলেরও ছোঁয়াব পেলো যারা তার কথামতো কাজ করল। অথচ তাদের নিজেদের ছোঁয়াব কিঞ্চিৎ পরিমাণও কমবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোনো খারাপ নিয়ম চালু করল সে তার পাপ বহন করল এবং যারা সে অনুসারে আমল করল তাদের পাপের বোঝাও বহন করল, আর তাদের পাপ কোনো অংশেই কমানো হবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন