hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজ পালন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নান্দনিক আচরণ

লেখকঃ ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী

৪১
১- হজ্বের আহকাম শেখানোর ব্যাপারে যত্ন
রাসূলুল্লাহ r স্বজনদেরকে হজ্বের আহকাম শেখানোর ব্যাপারে যত্ন নিয়েছেন যাতে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে তাঁরা সঠিক পথে চলতে পারেন, তাদের ইবাদত আরাধনা বিশুদ্ধতা পায়। এর উদাহরণ : হযরত উম্মে সালামা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :‘‘ রাসূলুল্লাহ r কে বলতে শুনেছি : ’’হে মুহাম্মদের পরিবার! হজ্বে তোমরা ওমরার নিয়ত করো।’’ তোওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে হযরত আয়েশা ঋতুবতী হলে তাকে তিনি বললেন :‘‘ অন্যান্য হাজ্বীদের সাথেই তুমি হজ্বকর্ম চালিয়ে যাও , তবে বায়তুল্লাহর তোওয়াফ করো না।’’

‘‘সূর্যোদয়ের পূর্বে কঙ্কর নিক্ষেপ করো না, আব্দুল মুত্তালেব পরিবারের শিশুদেরকে রাসূলুল্লাহর একথাও সে পর্যায়ে পড়ে। স্বজনদেরকে সরাসরি দিকনির্দেশনা দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হতেন না, তিনি তাদের সাথে আলোচনায় বসতেন, তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতেন। হযরত হাফছা (রা) বর্ণনা করেন : ‘‘রাসূলুল্লাহ r তাঁর পত্নীদেরকে (রা) বিদায় হজ্বের সময় হালাল হয়ে যেতে বললেন : উত্তরে তাঁরা বললেন : তা হলে আপনি হালাল হচ্ছেন না কেন ? তিনি বললেন :‘‘ আমি মাথা তালবিদ করেছি, হাদীর জন্তুকে মালা ঝুলিয়েছি। তাই হাদী জবেহ না করা পর্যন্ত হালাল হব না।’’ অন্য এক বর্ণনায় এসেছে : তিনি বললেন : মানুষের কি হলো ? তারা হালাল হয়ে গেলো আর আপনি ওমরা থেকে হালাল হলেন না। হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত হাদীসও এই মর্মে প্রণিধানযোগ্য, তিনি বলেন :‘‘ হযরত আববাস (রা) বললেন : য়্যা রাসূলুল্লাহ r আপনার চাচাতো ভাইয়ের গর্দান কেন ঘুরিয়ে দিলেন ? তিনি বললেন : আমি একটি যুবক ও একটি যুবতীকে দেখলাম , অতঃপর শয়তানের আক্রমণ থেকে তাদেরকে নিরাপদ মনে করলাম না।

হজ্বের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বর্তমান যুগের অনেক হাজ্বীদের কাছেই অজ্ঞাত। হজ্বের আহকাম বিষয়ে মূর্খতা আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে অনেককেই। কেননা পরিবার পরিজনদেরকে যারা এ-জাতীয় আহকাম শিখায়, লক্ষ্য উদ্দেশ্যের ব্যাপারে সঠিক ধারণা দেয়, তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়, তাদের সংখ্যা খুবই কম।

তবে যারা এই মুবারক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট তাদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে অনেক। তারাই বরং সর্বোত্তম। রাসূলুল্লাহ বলেছেন : তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম যে তার পরিজনদের কাছে উত্তম। আর আমি এক্ষেত্রে তোমাদের থেকে উত্তম।’’ পরিজনদের ব্যাপারে যেভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত সেভাবেই দায়িত্ব পালন করুন। কেননা আপনি তাদের সেবা-যত্নের ক্ষেত্রে অভিভাবক। আর রাসূলুল্লাহ r বলেছেন : ‘‘ তোমাদের প্রত্যেকেই অভিভাবক আর প্রত্যেককে তার অভিভাবকত্ব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। ... ব্যক্তি তার পরিবারের অভিভাবক , সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’’ রাসূলুল্লাহর জীবনে আপনার জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে, তিনি অন্যদেরকে দোযখের ভয় দেখানোর আগে নিজের স্বজনদের হুঁশিয়ার করেছেন, তাদের শিখিয়েছেন, ও এক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছেন যেখানে বলা হয়েছে :‘‘ তুমি তোমার স্বগোত্রীয় নিকটজনদেরকে হুঁশিয়ার করো।’’

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন